মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
হাদীস নং: ৩৩৫৫
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৫। সেই আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার বাপ ও দাদা পরম্পরায় বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, হুযূর, আমি দরিদ্র, আমার কোন মাল-সম্পদ নাই, কিন্তু আমার সম্পদশালী এক ইয়াতীম আছে, (যাহার অভিভাবক আমি।) তিনি বলিলেন, তবে তুমি তোমার ইয়াতীমের মাল হইতে (তোমার পারি শ্রমিক পরিমাণ) খাইতে পার অতিরিক্ত না করিয়া, তাড়াতাড়ি উড়াইয়া না দিয়া ও মূলধন ধ্বংস না করিয়া। —আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعنهُ وَعَن أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي فَقِيرٌ لَيْسَ لِي شَيْءٌ وَلِي يَتِيمٌ فَقَالَ: «كُلْ مِنْ مَالِ يَتِيمِكَ غَيْرَ مُسْرِفٍ وَلَا مُبَادِرٍ وَلَا مُتَأَثِّلٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৬
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৬। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) রোগাক্রান্ত অবস্থায় বলিতেন, তোমরা নামাযকে সঠিকভাবে পালন কর এবং যেসমস্ত দাস-দাসী তোমাদের অধীনে আছে তাহাদের হক আদায় কর। বায়হাকী শোআবুল ঈমানে।
كتاب النكاح
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي مَرَضِهِ: «الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৭
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৭। আর আহমাদ ও আবু দাউদ (রহঃ) ’আলী হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب النكاح
وَرَوَى أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৮
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৮। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আপন দাস-দাসীর সাথে দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করিবে না। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ سَيِّئُ الْمَلَكَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫৯
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫৯। হযরত রাফে' ইবনে মার্কীস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দাস-দাসীর সাথে সদাচরণ করা কল্যাণ ও বরকতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে উহাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা অমঙ্গল ও দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। —আবু দাউদ
গ্রন্থকার বলেন, মাসাবীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে আরও কিছু বাক্য বর্ধিত আছে, যাহা আমি অন্য কোথাও দেখিতে পাই নাই। বাক্যটি হইল, 'সদকা' মানুষকে অপমৃত্যু হইতে বিরত রাখে এবং নেকী বা পুণ্য হায়াতকে বৃদ্ধি করে।
গ্রন্থকার বলেন, মাসাবীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে আরও কিছু বাক্য বর্ধিত আছে, যাহা আমি অন্য কোথাও দেখিতে পাই নাই। বাক্যটি হইল, 'সদকা' মানুষকে অপমৃত্যু হইতে বিরত রাখে এবং নেকী বা পুণ্য হায়াতকে বৃদ্ধি করে।
كتاب النكاح
وَعَنْ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُسْنُ الْمَلَكَةِ يُمْنٌ وَسُوءُ الْخُلُقِ شُؤْمٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ أَرَ فِي غَيْرِ الْمَصَابِيحِ مَا زَادَ عَلَيْهِ فيهِ منْ قولِهِ: «والصَّدَقةُ تمنَعُ مِيتةَ السُّوءِ والبِرُّ زيادةٌ فِي العُمُرِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬০
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬০। হযরত আবু সায়ীদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ আপন চাকর-বাকরকে প্রহার করে এবং সে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, তখন তোমরা তোমাদের হাত গুটাইয়া লও। – তিরমিযী, এবং বায়হাকী শোআবুল ঈমানে, কিন্তু বায়হাকীর বর্ণনায় فارفعوا أَيْدِيكُم এর স্থলে فَلْيُمْسِكْ রহিয়াছে। অর্থাৎ, তোমার হাতকে নিবৃত্ত রাখ।
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا ضَرَبَ أَحَدُكُمْ خَادِمَهُ فَذَكَرَ اللَّهَ فَارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ لَكِنْ عِنْدَهُ «فَلْيُمْسِكْ» بدل «فارفعوا أَيْدِيكُم»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬১
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬১। হযরত আবু আইউব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি মা ও তাহার সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটায়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা তাহার ও তাহার প্রিয়জনদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাইবেন। — তিরমিযী ও দারেমী
كتاب النكاح
وَعَن أبي أيوبَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ وَالِدَةٍ وَوَلَدِهَا فَرَّقَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحِبَّتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬২
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬২। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে এমন দুইটি গোলাম দান করিলেন যাহারা পরস্পর ভাই ভাই। পরে আমি উহার একটিকে বিক্রয় করিয়া ফেলিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আলী। তোমার গোলামটির কি হইল? (অর্থাৎ, উহাকে দেখিতেছি না কেন?) আমি ঘটনাটি বলিলাম। তখন তিনি বলিলেন, উহাকে ফেরত লও, উহাকে ফেরত লও। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: وَهَبَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غلامين أَخَوَيْنِ فَبعث أَحدهمَا فَقَالَ لي رَسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَلِيُّ مَا فَعَلَ غُلَامُكَ؟» فَأَخْبَرْتُهُ. فَقَالَ: «رُدُّهُ رُدُّهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৩
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৩। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার তিনি একটি দাসী ও উহার সন্তানের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাইয়াছিলেন। অর্থাৎ, উভয়ের একটিকে বিক্রয় করিয়া ফেলিলেন। (এতদশ্রবণে) নবী (ﷺ) তাহাকে ইহা নিষেধ করিলেন। অতঃপর আলী উক্ত বিক্রয় প্রত্যাহার করিলেন। — আবু দাউদ। হাদীসটি মুনকাতে' সূত্রে বর্ণিত।
كتاب النكاح
وَعَنْهُ أَنَّهُ فَرَّقَ بَيْنَ جَارِيَةٍ وَوَلَدِهَا فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فردَّ البَيعَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد مُنْقَطِعًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৪
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৪। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেন যাহার মধ্যে এই তিনটি গুণ বিদ্যমান থাকিবে, আল্লাহ তা'আলা তাহার মৃত্যুকে সহজ করিবেন এবং তাহাকে আপন জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন। তাহা হইল, (এক) অসহায়-দুর্বলের সহিত সদ্ব্যবহার, (দুই) পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ এবং (তিন) দাস-দাসীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب النكاح
وَعَنْ جَابِرٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ يَسَّرَ اللَّهُ حَتْفَهُ وَأَدْخَلَهُ جَنَّتَهُ: رِفْقٌ بِالضَّعِيفِ وَشَفَقَةٌ عَلَى الْوَالِدَيْنِ وَإِحْسَانٌ إِلَى الْمَمْلُوكِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৫
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৫। হযরত আবু উমামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আলী (রাঃ)-কে একটি গোলাম দান করিলেন এবং বলিলেন, ইহাকে মারধর করিও না। কেননা, কোন নামাযীকে মারধর করিতে আমাকে নিষেধ করা হইয়াছে। (অর্থাৎ, আল্লাহ্ নিষেধ করিয়াছেন) আর আমি এই গোলামটিকে নামায পড়িতে দেখিয়াছি। —মাসাবীহ। ইহা মাসাবীহের শব্দ
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم وَهَبَ لِعَلِيٍّ غُلَامًا فَقَالَ: «لَا تَضْرِبْهُ فَإِنِّي نُهِيتُ عَنْ ضَرْبِ أَهْلِ الصَّلَاةِ وَقَدْ رَأَيْتُهُ يُصَلِّي» . هَذَا لفظ المصابيح
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم وَهَبَ لِعَلِيٍّ غُلَامًا فَقَالَ: «لَا تَضْرِبْهُ فَإِنِّي نُهِيتُ عَنْ ضَرْبِ أَهْلِ الصَّلَاةِ وَقَدْ رَأَيْتُهُ يُصَلِّي» . هَذَا لفظ المصابيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৬
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৬। এবং দারা-কুতনী তাঁহার মুজতাবা গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, নামাযী ব্যক্তিদিগকে প্রহার করিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে নিষেধ করিয়াছেন।
كتاب النكاح
وَفِي «الْمُجْتَبَى» لِلدَّارَقُطْنِيِّ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضَرْبِ الْمُصَلِّينَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৭
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর খেদমতে আসিয়া আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা স্বীয় গোলামদের অপরাধ কতবার ক্ষমা করিব? ইহা শুনিয়া তিনি চুপ রহিলেন, লোকটি পুনরায় কথাটি আবৃত্তি করিল। এইবারও তিনি নীরব রহিলেন। যখন সে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসা করিল, তখন তিনি বলিলেন, 'তোমাদের গোলামদের অপরাধ দৈনিক সত্তরবার মাফ করিয়া দাও।' —আবু দাউদ।
كتاب النكاح
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كم نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ؟ فَسَكَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلَامَ فصمتَ فلمَّا كانتِ الثَّالثةُ قَالَ: «اعفُوا عَنْهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৮
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৮। আর তিরমিযী (রহঃ) ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
كتاب النكاح
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬৯
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৯। হযরত আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গোলামদের মধ্যে যেইটি তোমাদের মর্জি মোতাবেক কাজকর্ম করে, তাহাকে উহাই খাওয়াও যাহা তোমরা খাও এবং উহাই পরাও যাহা তোমরা পরিধান কর। আর যেই গোলাম তোমার মর্জি মোতাবেক কাজ না করে, তাহাকে বিক্রয় করিয়া ফেল। আল্লাহর মাখলুককে (মারধর করিয়া) কষ্ট দিও না। – আহমদ ও আবু দাউদ
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَاءَمَكُمْ مِنْ مَمْلُوكِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُ مِمَّا تَكْسُونَ وَمَنْ لَا يُلَائِمُكُمْ مِنْهُمْ فَبِيعُوهُ وَلَا تُعَذِّبُوا خَلَقَ اللَّهِ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭০
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৭০। হযরত সাহল ইবনে হানযালীয়া (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন একটি উটের নিকট দিয়া অতিক্রম করিলেন, যাহার পিঠ উহার পেটের সহিত মিশিয়া রহিয়াছে। (অর্থাৎ, ক্ষুধায় কাতর ছিল।)
ইহা দেখিয়া হুযূর (ﷺ) বলিলেন, এইসমস্ত বাকশক্তিহীন পশুদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। ইহাদের উপর তোমরা এমন অবস্থায় আরোহণ কর, যখন উহা সওয়ারীর উপযুক্ত হয়। (অর্থাৎ, তাজা-তাগড়া অবস্থায় আরোহণ কর) এবং অধিক ক্লান্ত হইয়া পড়িলে তখন ছাড়িয়া দাও যাবৎ না উহার ক্লান্তি দূরীভূত হয়। –আবু দাউদ
ইহা দেখিয়া হুযূর (ﷺ) বলিলেন, এইসমস্ত বাকশক্তিহীন পশুদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। ইহাদের উপর তোমরা এমন অবস্থায় আরোহণ কর, যখন উহা সওয়ারীর উপযুক্ত হয়। (অর্থাৎ, তাজা-তাগড়া অবস্থায় আরোহণ কর) এবং অধিক ক্লান্ত হইয়া পড়িলে তখন ছাড়িয়া দাও যাবৎ না উহার ক্লান্তি দূরীভূত হয়। –আবু দাউদ
كتاب النكاح
وَعَن سهلِ بنِ الحَنظلِيَّةِ قَالَ: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعِيرٍ قَدْ لَحِقَ ظَهْرُهُ بِبَطْنِهِ فَقَالَ: «اتَّقُوا اللَّهَ فِي هَذِهِ الْبَهَائِمِ الْمُعْجَمَةِ فَارْكَبُوهَا صَالِحَة واترُكوها صَالِحَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭১
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৭১। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণী নাযিল হইল, “উত্তম পন্থায় ব্যতীত ইয়াতীমের মালের নিকটেও যাইও না।” (সূরা আনআম, আয়াত ১৫১) এবং এই বাণী, “যাহারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের মাল খায় তাহারা নিশ্চয় তাহাদের পেটে আগুন খায়; শীঘ্রই তাহারা দোযখে পৌঁছিবে।” (সূরা নিসা, আয়াত ১০) —তখন যাহার নিকট ইয়াতীম ছিল, সে যাইয়া তাহার খাদ্যকে নিজের খাদ্য হইতে এবং তাহার পানীয়কে নিজের পানীয় হইতে পৃথক করিয়া দিল। যখন ইয়াতীমের কিছু খাদ্য বা পানীয় বাঁচিয়া যাইত, তাহা তাহার জন্য রাখিয়া দেওয়া হইত। যাহাতে সে উহা অন্য সময় খাইত অথবা নষ্ট হইয়া যাইত। ইহা তাহাদের পক্ষে বড় কষ্টদায়ক হইয়া পড়িল। অতএব, তাহারা ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বলিল। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এই বাণী নাযিল করিলেন, “তাহারা আপনাকে ইয়াতীম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলুন— ইয়াতীমের পক্ষে যাহা ভাল তাহা করাই ভাল; তবে তোমরা যদি তাহাদিগকে তোমাদের সাথে একত্রে রাখিতে চাও (রাখিতে পার, ) তাহারা তোমাদের ভাই।” (সূরা বাকারা, আয়াত ২২০) অতঃপর তাহারা তাহাদের খাদ্যকে নিজেদের খাদ্যের এবং তাহাদের পানীয়কে নিজেদের পানীয়ের সাথে একত্র করিল। —আবু দাউদ ও নাসায়ী
كتاب النكاح
الْفَصْل الثَّالِث
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أحسن)
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: (إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا)
الْآيَةَ انْطَلَقَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ يَتِيمٌ فَعَزَلَ طَعَامه من طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ مِنْ شَرَابِهِ فَإِذَا فَضَلَ مِنْ طَعَامِ الْيَتِيمِ وَشَرَابِهِ شَيْءٌ حُبِسَ لَهُ حَتَّى يَأْكُلَهُ أَوْ يَفْسُدَ فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ: إصْلَاح لَهُم خير وَإِن تخالطوهم فإخوانكم)
فَخَلَطُوا طَعَامَهُمْ بِطَعَامِهِمْ وَشَرَابَهُمْ بِشَرَابِهِمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: (إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا)
الْآيَةَ انْطَلَقَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ يَتِيمٌ فَعَزَلَ طَعَامه من طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ مِنْ شَرَابِهِ فَإِذَا فَضَلَ مِنْ طَعَامِ الْيَتِيمِ وَشَرَابِهِ شَيْءٌ حُبِسَ لَهُ حَتَّى يَأْكُلَهُ أَوْ يَفْسُدَ فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ: إصْلَاح لَهُم خير وَإِن تخالطوهم فإخوانكم)
فَخَلَطُوا طَعَامَهُمْ بِطَعَامِهِمْ وَشَرَابَهُمْ بِشَرَابِهِمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক: