মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪০৫৭
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৫৭। হযরত আওফ ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, যখনই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে ফায় (-এর সম্পদ) আসিত, তখন তিনি বিলম্ব না করিয়া সেই দিনই উহা বণ্টন করিয়া দিতেন। (অবশ্য বণ্টনের মধ্যে এই নীতি অবলম্বন করিতেন যে,) যাহার পরিবার আছে তাহাকে দুই ভাগ, আর যে অবিবাহিত তাহাকে এক ভাগ দিতেন। একবার আমাকে ডাকা হইল এবং আমাকে দিলেন দুই ভাগ। কেননা, আমার পরিবার ছিল। অতঃপর আমার পরে আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে ডাকা হইল, তাহাকে দেওয়া হইল এক ভাগ। (কেননা, তিনি ছিলেন অবিবাহিত।) — আবু দাউদ
كتاب الجهاد
الْفَصْل الثَّانِي
عَن عوفِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَتَاهُ الْفَيْءُ قَسَمَهُ فِي يَوْمِهِ فَأَعْطَى الْآهِلَ حَظَّيْنِ وَأَعْطَى الْأَعْزَبَ حَظًّا فَدُعِيتُ فَأَعْطَانِي حَظَّيْنِ وَكَانَ لِي أَهْلٌ ثُمَّ دُعِيَ بَعْدِي عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ فَأُعْطِيَ حَظًّا وَاحِدًا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৫৮
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৫৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দেখিয়াছি, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে যখনই কোন (ফায়-এর) মাল-সম্পদ আসিত, তখন তিনি সর্বাগ্রে মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম দ্বারা আরম্ভ করিতেন। –আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلُ مَا جَاءَهُ شيءٌ بدَأَ بالمحرَّرينَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৫৯
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৫৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার নবী (ﷺ)-এর নিকট রং্গিন পাথর বা নাগীনা ভর্তি একটা থলি আনা হইল। তিনি সেইগুলি আযাদ নারী ও বাদীদের মধ্যে বণ্টন করিয়া দিলেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার পিতা (হযরত আবু বকর)-ও আযাদ ও গোলামের জন্য বণ্টন করিতেন। – আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى بطبية فِيهَا خَرَزٌ فَقَسَمَهَا لِلْحُرَّةِ وَالْأَمَةِ قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَ أَبِي يَقْسِمُ لِلْحُرِّ وَالْعَبْدِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৬০
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৬০। হযরত মালেক ইবনুল আওস ইবনে হাদাসান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ফায় সম্পর্কে আলোচনা করিয়া বলিলেন, এই ফায়-এর মধ্যে আমার অধিকার তোমাদের চাইতে বেশী নহে। এবং এই মালের মধ্যে তোমাদের কেহই অন্যের চাইতে অধিক হকদার নহে; বরং আল্লাহর কিতাবের বিবরণ ও তাঁহার রাসূল (ﷺ)-এর বন্টননীতি মোতাবেক আমাদের মর্যাদার পার্থক্য রহিয়াছে। অতএব, কোন ব্যক্তি প্রথম সারির প্রবীণ মুসলমান, আবার কেহ আছে বহু যুদ্ধ-জেহাদে তাহার শ্রম-সাধনা ব্যয় করিয়াছে। আবার কেহ এমনও আছে, যাহার পরিবারস্থ লোকসংখ্যা বেশী এবং এমন লোকও আছে যাহার প্রয়োজন অত্যধিক। (মোটকথা, এই সব কিছুর ভিত্তিতে অংশের মধ্যে তারতম্য হইতে পারে।) — আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَن مالكِ بن أوسِ بن الحدَثانِ قَالَ: ذكر عمر بن الْخطاب يَوْمًا الْفَيْءَ فَقَالَ: مَا أَنَا أَحَقُّ بِهَذَا الْفَيْءِ مِنْكُمْ وَمَا أَحَدٌ مِنَّا بِأَحَقَّ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا أَنَّا عَلَى مَنَازِلِنَا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقَسْمِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَالرَّجُلُ وَقِدَمُهُ وَالرَّجُلُ وَبَلَاؤُهُ وَالرَّجُلُ وَعِيَالُهُ وَالرَّجُلُ وَحَاجَتُهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৬১
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৬১। হযরত মালেক ইবনে আওস ইবনে হাদাসান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হযরত ওমর (রাঃ) إِنَّما الصَّدَقاتُ للفقراءِ والمساكينِ এই আয়াতটি عَلِيمٌ حَكِيمٌ পর্যন্ত পাঠ করিয়া বলিলেন, যাকাত কেবলমাত্র এই আয়াতে বর্ণিত খাতসমূহের জন্যই নির্ধারিত। অতঃপর وَاعْلَمُوا أَنَّ مَا غَنِمْتُمْ مِنْ شيءٍ فإنَّ للَّهِ خُمُسَه وللرَّسولِ এই আয়াতটি وابنِ السَّبِيلِ পর্যন্ত পাঠ করিয়া বলিলেন, গনীমতের এক পঞ্চমাংশ (খুমুস) যাহা এই আয়াতের মধ্যে উল্লেখ রহিয়াছে, উহা শুধুমাত্র নবী (ﷺ)-এর নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের প্রাপ্য অধিকার। অতঃপর তিনি مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقرى এই আয়াতটি للفقراءِ পর্যন্ত পাঠ করিলেন। অতঃপর والذينَ جاؤوا منْ بعدِهِم এই আয়াতটি তেলাওয়াত করিয়া বলিলেন, এই আয়াত সমস্ত মুসলমানদিগকে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে। (অর্থাৎ, ফায়-এর মধ্যে সমস্ত মুসলমানের অধিকার রহিয়াছে।) সুতরাং যদি আমি বাঁচিয়া থাকি তাহা হইলে (ঐ দূরপ্রান্তে) সারবে হিমইয়ার নামক স্থানে যে রাখাল বসবাস করিতেছে, তাহার কাছেও তাহার অংশ অবশ্যই পৌঁছিয়া যাইবে, অথচ এই সম্পদ অর্জন করিতে তাহার কপালের ঘাম ঝরিবে না। (অর্থাৎ, তাহাকে কোন প্রকার পরিশ্রম করিতে হইবে না।) — শরহে সুন্নাহ্
كتاب الجهاد
وَعَنْهُ قَالَ: قَرَأَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ: (إِنَّما الصَّدَقاتُ للفقراءِ والمساكينِ)
حَتَّى بَلَغَ (عَلِيمٌ حَكِيمٌ)
فَقَالَ: هَذِهِ لِهَؤُلَاءِ. ثُمَّ قَرَأَ (وَاعْلَمُوا أَنَّ مَا غَنِمْتُمْ مِنْ شيءٍ فإنَّ للَّهِ خُمُسَه وللرَّسولِ)
حَتَّى بلغَ (وابنِ السَّبِيلِ)
ثُمَّ قَالَ: هَذِهِ لِهَؤُلَاءِ. ثُمَّ قَرَأَ (مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقرى)
حَتَّى بلغَ (للفقراءِ)
ثمَّ قرأَ (والذينَ جاؤوا منْ بعدِهِم)
ثُمَّ قَالَ: هَذِهِ اسْتَوْعَبَتِ الْمُسْلِمِينَ عَامَّةً فَلَئِنْ عِشْتُ فَلَيَأْتِيَنَّ الرَّاعِيَ وَهُوَ بِسَرْوِ حِمْيَرَ نَصِيبُهُ مِنْهَا لَمْ يَعْرَقْ فِيهَا جَبِينُهُ. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
حَتَّى بَلَغَ (عَلِيمٌ حَكِيمٌ)
فَقَالَ: هَذِهِ لِهَؤُلَاءِ. ثُمَّ قَرَأَ (وَاعْلَمُوا أَنَّ مَا غَنِمْتُمْ مِنْ شيءٍ فإنَّ للَّهِ خُمُسَه وللرَّسولِ)
حَتَّى بلغَ (وابنِ السَّبِيلِ)
ثُمَّ قَالَ: هَذِهِ لِهَؤُلَاءِ. ثُمَّ قَرَأَ (مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقرى)
حَتَّى بلغَ (للفقراءِ)
ثمَّ قرأَ (والذينَ جاؤوا منْ بعدِهِم)
ثُمَّ قَالَ: هَذِهِ اسْتَوْعَبَتِ الْمُسْلِمِينَ عَامَّةً فَلَئِنْ عِشْتُ فَلَيَأْتِيَنَّ الرَّاعِيَ وَهُوَ بِسَرْوِ حِمْيَرَ نَصِيبُهُ مِنْهَا لَمْ يَعْرَقْ فِيهَا جَبِينُهُ. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৬২
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা
৪০৬২। হযরত মালেক ইবনে আওস ইবনে হাদাসান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (এক সময় হযরত আলী ও হযরত আব্বাস [রাঃ]-এর মধ্যে নবী [ﷺ]-এর পরিত্যক্ত সম্পদের মীরাস লইয়া বিবাদ দেখা দেয়। হযরত ওমর [রাঃ]-এর নিকট উহার মীমাংসা পেশ করা হইলে) হযরত ওমর (রাঃ) এইভাবে দলীল পেশ করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট তাঁহার ব্যক্তিগত ব্যবহারে তিনটি ভূমি ছিল। বনী নযীর, খায়বার ও ফাদাক ভূমি। অবশ্য বনী নযীরের আয় হইতে তিনি নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খরচ করিতেন। ফাদাক ভূমির আয় মুসাফিরদের জন্য রক্ষিত ছিল। কিন্তু খায়বারের আয়কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন ভাগে বিভক্ত করিয়া নিয়াছিলেন। দুই ভাগ মুসলমান সাধারণের জন্য এবং এক ভাগ নিজের পরিবার পরিজনের খোরপোষে ব্যয় করিতেন। ইহার পরও তাহার পরিবারের খরচ হইতে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকিত, তাহা দরিদ্র মুহাজেরীনদের মধ্যে বিতরণ করিয়া দিতেন। – আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعنهُ قَالَ: كانَ فِيمَا احتجَّ فيهِ عُمَرُ أَنْ قَالَ: كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثُ صَفَايَا بَنُو النَّضِيرِ وخيبرُ وفَدَكُ فَأَمَّا بَنُو النَّضِيرِ فَكَانَتْ حَبْسًا لِنَوَائِبِهِ وَأَمَّا فَدَكُ فَكَانَتْ حَبْسًا لِأَبْنَاءِ السَّبِيلِ وَأَمَّا خَيْبَرُ فَجَزَّأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةٌ أَجزَاء: جزأين بينَ المسلمينَ وجزءً نَفَقَةً لِأَهْلِهِ فَمَا فَضُلَ عَنْ نَفَقَةِ أَهْلِهِ جَعَلَهُ بَيْنَ فُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক: