মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪২৮৬
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪৩৮৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার এই পেয়ালা দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হরেক প্রকারের পানীয় পান করাইতাম, যেমন—মধু, নাবীয, পানি ও দুধ। মুসলিম
كتاب الأطعمة
بَابُ النَّقِيعِ وَالْأَنْبِذَةِ: الْفَصْل الأول
عَن أنسٍ قَالَ: لَقَدْ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَدَحِي هَذَا الشَّرَابَ كُلَّهُ: الْعَسَلَ والنَّبيذَ والماءَ وَاللَّبن. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৮৭
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৮৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য চামড়ার মশকে নাবীয প্রস্তুত করিতাম। উহার উপর হইতে শক্ত করিয়া বাঁধা হইত এবং নীচেও একটি মুখ ছিল। আমরা সকাল বেলায় যে নাবীয বানাইতাম, তিনি উহা বিকালে পান করিতেন এবং বিকালে যে নাবীয বানাইতাম, তিনি উহা সকালে পান করিতেন। —মুসলিম
كتاب الأطعمة
وَعَن عائشةَ قَالَتْ: كُنَّا نَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سِقَاءٍ يُوكَأُ أَعْلَاهُ وَلَهُ عَزْلَاءُ نَنْبِذُهُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ عِشَاءً وَنَنْبِذُهُ عِشَاءً فيشربُه غُدوةً. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৮৮
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৮৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য রাত্রের প্রথম ভাগে নাবীয তৈয়ার করা হইত। তিনি উহা পরবর্তী দিন সকালে, ইহার পরের রাত্রে, দ্বিতীয় দিনে ও দ্বিতীয় রাত্রে এবং তৃতীয় দিন আছর পর্যন্ত পান করিতেন। ইহার পরও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকিত, তখন উহা চাকর-বাকরদিগকে পান করাইতেন অথবা ফেলিয়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ করিতেন, তখন উহা ফেলিয়া দেওয়া হইত।—মুসলিম
كتاب الأطعمة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِي تَجِيءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الْأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِيَ شَيْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بهِ فصُبَّ. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৮৯
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৮৯। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য মশকে নাবীয প্রস্তুত করা হইত। যদি উহা সংগ্রহ না হইত, তখন পাথর নির্মিত পাত্রে নাবীয তৈয়ার করা হইত। —মুসলিম
كتاب الأطعمة
وَعَن جابرٍ قَالَ: كَانَ يُنْبَذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سِقَائِهِ فَإِذَا لَمْ يَجِدُوا سِقَاءً يُنْبَذُ لَهُ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৯০
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৯০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদুর খোলস, সবুজ মটকা, আলকাতরা লাগান পাত্র এবং খেজুর বৃক্ষের মূলের পাত্র ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং চামড়ার মশকে নাবীয প্রস্তুত করিতে আদেশ করিয়াছেন। —মুসলিম
كتاب الأطعمة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نهى عَن الدُّبَّاء والحنتم والمرفت وَالنَّقِيرِ وَأَمَرَ أَنْ يُنْبَذَ فِي أَسْقِيَةِ الْأَدَمِ. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৯১
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৯১। হযরত বুরায়দা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমি তোমাদিগকে কয়েক প্রকারের পাত্রের ব্যবহার নিষেধ করিয়াছিলাম। প্রকৃতপক্ষে কোন পাত্র হারাম বস্তুকে হালালে এবং হালাল বস্তুকে হারামে পরিণত করিতে পারে না। অবশ্য নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিসই হারাম। অন্য এক রেওয়ায়তের মধ্যে আছে, আমি তোমাদিগকে চামড়ার মশক ছাড়া অন্যান্য পাত্রে পানীয় প্রস্তুত করিতে নিষেধ করিয়াছিলাম। এখন তোমরা প্রত্যেক প্রকারের পাত্রে পান করিতে পার। তবে নেশা সৃষ্টিকারী কোন জিনিসই পান করিবে না। —মুসলিম
كتاب الأطعمة
وَعَن بُرَيْدَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَهَيْتُكُمْ عَنِ الظُّرُوفِ فَإِنَّ ظَرْفًا لَا يُحِلُّ شَيْئًا وَلَا يُحَرِّمُهُ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: «نَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَشْرِبَةِ إِلَّا فِي ظُرُوفِ الْأَدَمِ فَاشْرَبُوا فِي كُلِّ وِعَاءٍ غَيْرَ أَنْ لَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
তাহকীক: