মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৫৫৩১
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার
৫৫৩১। হযরত আবু রাযীন উকাইলী (রাঃ) বলেন, একদা আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার সৃষ্টি জগতকে কিভাবে পুনরুত্থিত করিবেন, তাঁহার মালুকের মধ্যে উহার কোন নিদর্শন আছে কি? তিনি বলিলেনঃ আচ্ছা বল দেখি, (খরার সময় তুমি তোমার এলাকার কোন বিরান মাঠের উপর দিয়া অতিক্রম কর নাই ? অতঃপর (বৃষ্টি বর্ষণের পরে) যখন তুমি সেই মাঠের উপর দিয়া অতিক্রম কর তখন উহা বাতাসে দোলায়িত তরতাজা ঘাস ইত্যাদিতে পরিণত হইয়া যায়? আমি বলিলাম, হ্যাঁ, দেখিয়াছি। এইবার হুযূর (ﷺ) বলিলেন; আল্লাহর সৃষ্টি জগতে ইহাই উহার বাস্তব নিদর্শন। অনুরূপভাবেই আল্লাহ্ তা'আলা মৃতকে জীবিত করিবেন। —হাদীস দুইটি রাযীন রেওয়ায়ত করিয়াছেন।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن أبي رزين الْعقيلِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُعِيدُ الله الْخلق؟ مَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ؟ قَالَ: «أَمَا مَرَرْتَ بِوَادِي قَوْمِكَ جَدْبًا ثُمَّ مَرَرْتَ بِهِ يَهْتَزُّ خَضِرًا؟» قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَتِلْكَ آيَةُ اللَّهِ فِي خلقه (كَذَلِك يحيي اللَّهُ الْمَوْتَى) رَوَاهُمَا رزين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫৩২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৩২। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন: কিয়ামতের দিন মানবমণ্ডলীকে লাল-শ্বেত মিশ্রিত এমন এক সমতলভূমিতে একত্রিত করা হইবে যেমন উহা সাফাই করা আটার রুটির মত। সেই যমীনে কাহারও (ঘর বা ইমারতের) কোন চিহ্ন থাকিবে না। – মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
بَاب الْحَشْر: الْفَصْل الأول
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى أَرْضٍ بَيْضَاءَ عَفْرَاءَ كَقُرْصَةِ النَّقِيِّ لَيْسَ فِيهَا عَلَمٌ لأحدٍ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫৩৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৩৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন: কিয়ামতের দিন দুনিয়ার এই যমীনটি হইবে একটি রুটির ন্যায়, মহাপরাক্রম শালী আল্লাহ্ উহাকে হাতের মধ্যে লইয়া এমনভাবে উলট-পালট করিবেন যেমন তোমাদের কেহ সফর অবস্থায় তাড়াহুড়া করিয়া এই হাতে সেই হাতে লইয়া রুটি প্রস্তুত করে। এবং এই রুটি দ্বারা বেহেশতবাসীদের আপ্যায়ন করা হইবে। নবী (ছাঃ)-এর আলোচনা এই পর্যন্ত পৌঁছিলে অমনি জনৈক ইহুদী আসিয়া বলিল, হে আবুল কাসেম (ছাঃ)! আল্লাহ্ রহমানুর রহীম আপনার কল্যাণ করুন। আমি কি আপনাকে অবগত করিব না যে, (আমাদের তওরাত কিতাবে উল্লেখ আছে) কিয়ামতের দিন জান্নাতবাসীদিগকে কি বস্তু দ্বারা সর্বপ্রথম আপ্যায়ন করা হইবে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, বল। সে বলিল, এই যমীন হইবে একটি রুটি, যেইরূপ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইহুদীর কথা শুনিয়া নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকাইয়া এমনভাবে হাসিলেন যে, তাহার মাঢ়ির দাত পর্যন্ত প্রকাশ হইয়া পড়িল। অতঃপর ইহুদী বলিল, আমি কি আপনাকে অবগত করিব না যে, তাহাদের সেই খাদ্যের তরকারী কি হইবে? তাহা হইবে বালাম ও নূন। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, উহা আবার কি? সে বলিল, ষাঁড় ও মাছ। সেই দুইটির কলিজার উপরের বাড়তি যেই গোশত উহা সত্তর হাজার লোকে খাইবে। —মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَكُونُ الْأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خُبْزَةً وَاحِدَةً يَتَكَفَّؤُهَا الْجَبَّارُ بِيَدِهِ كَمَا يَتَكَفَّأُ أَحَدُكُمْ خُبْزَتَهُ فِي السّفر نُزُلاً لِأَهْلِ الْجَنَّةِ» . فَأَتَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ. فَقَالَ: بَارَكَ الرَّحْمَنُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ أَلَا أُخبرُك بِنُزُلِ أهل الجنةِ يومَ القيامةِ؟ قَالَ: «بَلَى» . قَالَ: تَكُونُ الْأَرْضُ خُبْزَةً وَاحِدَةً كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَنَظَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْنَا ثُمَّ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَالَ: أَلَا أُخْبِرُكَ بِأَدَامِهِمْ؟ بَالَامٌ وَالنُّونُ. قَالُوا: وَمَا هَذَا؟ قَالَ: ثَوْرٌ وَنُونٌ يَأْكُلُ مِنْ زَائِدَةِ كَبِدِهِمَا سَبْعُونَ ألفا. مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক: