মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৫৩২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৩২। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন: কিয়ামতের দিন মানবমণ্ডলীকে লাল-শ্বেত মিশ্রিত এমন এক সমতলভূমিতে একত্রিত করা হইবে যেমন উহা সাফাই করা আটার রুটির মত। সেই যমীনে কাহারও (ঘর বা ইমারতের) কোন চিহ্ন থাকিবে না। – মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
بَاب الْحَشْر: الْفَصْل الأول
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى أَرْضٍ بَيْضَاءَ عَفْرَاءَ كَقُرْصَةِ النَّقِيِّ لَيْسَ فِيهَا عَلَمٌ لأحدٍ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

حشر হাশর অর্থ একত্রিত করা। কিয়ামতের দিন সমস্ত মাখলুককে একস্থানে একত্রিত করা হইবে। কুরআনের বহু আয়াতে ইহার উল্লেখ রহিয়াছে। যেমন,وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَفْدًا الآية প্রভৃতি। আল্লামা কারতুবী বলিয়াছেন, হাশর সর্বমোট চারটি। দুইটি দুনিয়াতে এবং অপর দুইটি আখেরাতে। দুনিয়ার একটি হইল, যাহা সূরায়ে হাশরে বর্ণিত হইয়াছে — هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِن دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْ আর দ্বিতীয়টি হইল, কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণের অন্তর্ভুক্ত, যাহা হযরত হোযাইফা ইবনে উসাইদ (রাঃ) হইতে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করিয়াছেন, فنار تحشر الناس من المشرق الى المغرب আর আখেরাতের প্রথমটি হইল, সমস্ত মানুষ নিজ নিজ কবর হইতে উঠিয়া আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হইবে। فحشرنا هم فلم نغادر منهم احدا আর দ্বিতীয়টি হইল, জান্নাত অথবা জাহান্নামে জমায়েত হওয়া। হাশরের ময়দানে কি অবস্থায় একত্রিত হইবে এবং সেই দিনের বিভীষিকা কিরূপ হইবে, অত্র অধ্যায়ের হাদীসসমূহে উহারই বর্ণনা রহিয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান