মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৫৬৬৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৬৬। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন কিয়ামতের দিন জাহান্নামকে এমন অবস্থায় উপস্থিত করা হইবে যে, উহার সত্তরটি লাগাম হইবে এবং প্রতিটি লাগামের সহিত সত্তর হাজার ফিরিশতা থাকিবে, তাহারা উহা টানিয়া আনিবে। —মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُؤْتَى بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ لَهَا سَبْعُونَ أَلْفَ زِمَامٍ مَعَ كُلِّ زِمَامٍ سبعونَ ألفَ مَلَكٍ يجرُّونها» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৬৭
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৬৭। হযরত নোমান ইবনে বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: দোযখীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সহজতর শাস্তি ঐ ব্যক্তির হইবে, যাহাকে আগুনের ফিতাসহ দুইখানা জুতা পরান হইবে, ইহাতে তাহার মগজ এমনিভাবে ফুটিতে থাকিবে, যেমনিভাবে তামার পাত্র ফুটিতে থাকে। সে ধারণা করিবে, তাহার অপেক্ষা কঠিন আযাব আর কেহ ভোগ করিতেছে না, অথচ সে হইবে সর্বাপেক্ষা সহজতর শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। — মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَهْوَنَ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا مَنْ لَهُ نَعْلَانِ وَشِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ كَمَا يَغْلِي الْمِرْجَلُ مَا يُرَى أَنَّ أَحَدًا أَشَدُّ مِنْهُ عَذَابًا وَإِنَّهُ لَأَهْوَنُهُمْ عَذَابًا» . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৬৮
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৬৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। দোযখীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সহজতর শাস্তি হইবে আবু তালিবের। তাহার দুই পায়ে দুইখানা আগুনের জুতা পরাইয়া দেওয়া হইবে, ইহাতে তাহার মাথার মগজ ফুটিতে থাকিবে। - বুখারী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَهْوَنَ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا أَبُو طَالِبٍ وَهُوَ مُنْتَعِلٌ بِنَعْلَيْنِ يغلي مِنْهُمَا دماغه» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৬৯
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৬৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন দোযখীদের মধ্য হইতে দুনিয়ার সর্বাধিক মালদার-সম্পদশালী ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হইবে এবং তাহাকে দোযখের আগুনে ঢুকাইয়া তোলা হইবে। অতঃপর তাহাকে বলা হইবে; হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনও আরাম-আয়েশ দেখিয়াছ? পূর্বে কখনও তোমার নেয়ামতের সুখ অর্জিত হইয়াছিল ? সে বলিবে, না, আল্লাহর কসম, হে আমার পরওয়ার দিগার। (আমি কখনও সুখ-ভোগ করি নাই।) অতঃপর বেহেস্তবাসীদের হইতে এমন এক ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হইবে, যে দুনিয়াতে সর্বাপেক্ষা দুঃখ-কষ্টের জীবন যাপন করিয়াছিল। তখন তাহাকে মুহূর্তের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া জিজ্ঞাসা করা হইবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনও দুঃখ-কষ্ট দেখিয়াছ ? এবং তুমি কি কখনও কঠোরতার সম্মুখীন হইয়াছিলে? সে বলিবে, না, আল্লাহর কসম, হে আমার পরওয়ারদিগার! আমি কখনও দুঃখ-কষ্টে পতিত হই নাই। আর কখনও কোন কঠোর অবস্থার সম্মুখীন হই নাই। -মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُؤْتَى بِأَنْعَمِ أَهْلِ الدُّنْيَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُصْبَغُ فِي النارِ صَبْغَةً ثمَّ يُقَال: يَا ابْنَ آدَمَ هَلْ رَأَيْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ هَلْ مَرَّ بِكَ نَعِيمٌ قَطُّ؟ فَيَقُولُ: لَا وَاللَّهِ يَا رَبِّ وَيُؤْتَى بِأَشَدِّ النَّاسِ بُؤْسًا فِي الدُّنْيَا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُصْبَغُ صَبْغَةً فِي الْجَنَّةِ فَيُقَالُ لَهُ: يَا ابْنَ آدَمَ هَلْ رَأَيْتَ بُؤْسًا قَطُّ؟ وَهَلْ مَرَّ بِكَ شِدَّةٌ قَطُّ. فَيَقُولُ: لَا وَاللَّهِ يَا رَبِّ مَا مَرَّ بِي بُؤْسٌ قَطُّ وَلَا رَأَيْتُ شدَّة قطّ . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৭০
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা কম ও সহজতর শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বলিবেনঃ যদি গোটা পৃথিবী পরিমাণ সম্পদ তোমার থাকিত, তাহা হইলে তুমি কি সমুদয়ের বিনিময়ে এই আযাব হইতে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করিতে ? সে বলিবে; হ্যাঁ, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেন: আদমের ঔরসে থাকাকালে ইহার চাইতেও সহজতর বিষয়ের আমি হুকুম করিয়া ছিলাম যে, আমার সহিত কাহাকেও শরীক করিও না, কিন্তু তুমি ইহা অমান্য করিয়াছ এবং আমার সহিত শরীক করিয়াছ। মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَقُولُ اللَّهُ لِأَهْوَنِ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ: لَوْ أَنَّ لَكَ مَا فِي الْأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ أَكَنْتَ تَفْتَدِي بِهِ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيَقُولُ: أَرَدْتُ مِنْكَ أَهْوَنَ مِنْ هَذَا وَأَنْتَ فِي صُلْبِ آدَمَ أَنْ لَا تُشْرِكَ بِي شَيْئًا فَأَبَيْتَ إِلَّا أَنْ تُشْرِكَ بِي . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৭১
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭১। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: দোযখীদের মধ্যে কোন কোন লোক এমন হইবে, দোযখের আগুন তাহার পায়ের টাখনু পর্যন্ত পৌঁছিবে। তাহাদের মধ্যে কাহারও হাঁটু পর্যন্ত আগুন পৌঁছিবে,কাহারও কাহারও কোমর পর্যন্ত এবং কাহারও কাহারও গর্দান পর্যন্ত পৌঁছিবে। —মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مِنْهُمْ مَنْ تَأْخُذُهُ النَّارُ إِلَى كَعْبَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ تَأْخُذُهُ النَّارُ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ تَأْخُذُهُ النَّارُ إِلَى حُجْزَتِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ تَأْخُذُهُ النَّار إِلَى ترقوته» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৭২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭২। আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জাহান্নামের মধ্যে কাফিরদের উভয় ঘাড়ের দূরত্ব হবে কোন দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের ভ্রমণের দূরত্ব পরিমাণ। অপর এক বর্ণনায় আছে- কাফিরের এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান এবং তার দেহের চামড়া হবে তিন দিনের সফরের দূরত্ব পরিমাণ পুরু বা মোটা। মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَيْنَ مَنْكِبَيِ الْكَافِرِ فِي النَّارِ مَسِيرَةَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ لِلرَّاكِبِ الْمُسْرِعِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «ضِرْسُ الْكَافِرِ مِثْلُ أُحُدٍ وَغِلَظُ جِلْدِهِ مَسِيرَةُ ثَلَاثٍ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَذِكْرُ حَدِيث أبي هُرَيْرَة: «إِذا اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا» . فِي بَابِ «تَعْجِيلِ الصَّلَوَات»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৭৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখের আগুনকে প্রথমে একহাজার বৎসর পর্যন্ত প্রজ্বলিত করা হইয়াছে, ইহাতে উহা লাল হইয়া যায়। তারপর একহাজার বৎসর প্রজ্বলিত করা হয়, ফলে উহা সাদা হইয়া যায়। অতঃপর একহাজার বৎসর পর্যন্ত প্রজ্বলিত করা হয়, অবশেষে উহা কাল হইয়া যায়। সুতরাং উহা এখন ঘোর অন্ধকার কাল অবস্থায় রহিয়াছে। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُوقِدَ عَلَى النَّارِ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى احْمَرَّتْ ثُمَّ أُوقِدَ عَلَيْهَا أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى ابْيَضَّتْ ثُمَّ أُوقِدَ عَلَيْهَا أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى اسْوَدَّتْ فَهِيَ سَوْدَاءُ مُظْلِمَةٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক: