মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

হাদীস নং: ৫৬৭৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৪। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন কাফেরের দাঁত হইবে ওহুদ পাহাড়ের ন্যায়, রান বা উরু হইবে ‘বাইযা’ পাহাড়ের মত মোটা এবং দোযখে তাহার বসার স্থান হইবে তিন দিনের দূরত্ব পরিমাণ প্রশস্ত। যেমন—(মদীনা হইতে) ‘রাবাযা’ (পর্যন্ত দূরত্বের ব্যবধান)। – তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ضِرْسُ الْكَافِرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِثْلُ أُحُدٍ وَفَخِذُهُ مِثْلُ الْبَيْضَاءِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ مسيرَة ثَلَاث مثل الربذَة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৭৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হইবে বিয়াল্লিশ হাত মোটা, দাঁত হইবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং জাহান্নামে তাহার বসার স্থান হইবে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী ব্যবধান পরিমাণ। -তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ غِلَظَ جِلْدِ الْكَافِرِ اثْنَانِ وَأَرْبَعُونَ ذِرَاعًا وَإِنَّ ضِرْسَهُ مِثْلُ أُحُدٍ وَإِنَّ مَجْلِسَهُ مِنْ جَهَنَّمَ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৭৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৬। হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (দোযখে) কাফের তাহার জিহ্বা এক ক্রোশ-দুই ক্রোশ পর্যন্ত বাহির করিয়া হেঁচড়াইয়া চলিবে এবং লোকেরা উহা মাড়াইয়া চলিবে। — আহমদ ও তিরমিযী, এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَافِرَ لَيُسْحَبُ لسانُه الفرسَخ والفرسخين يتوطَّؤُه النَّاس» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَيْثُ غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৭৭
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৭। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জাহান্নামে সাউদ নামে একটি পাহাড় আছে (কুরআনেও ইহার উল্লেখ রহিয়াছে।) কাফেরকে সত্তর বৎসরে উহার উপরে উঠান হইবে এবং তথা হইতে তাহাকে নীচে নিক্ষেপ করা হইবে। এই অবস্থায় সর্বদা উঠা-নামা করিতে থাকিবে। – তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الصَّعُودُ جَبَلٌ مِنْ نَارٍ يُتَصَعَّدُ فِيهِ سَبْعِينَ خَرِيفًا وَيُهْوَى بِهِ كَذَلِكَ فِيهِ أَبَدًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৭৮
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৮। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) আল্লাহ্ তা'আলার বাণী— كَالْمهْلِ এর ব্যাখ্যায় বলিয়াছেনঃ উহা যয়তুন তেলের নীচের তপ্ত গাদের ন্যায়। যখন উহা তাহার মুখের কাছে নেওয়া হইবে, তখন গরম উত্তাপে তাহার মুখের চামড়া-মাংস উহাতে খসিয়া পড়িবে। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي قَوْله: (كَالْمهْلِ) أَيْ كَعَكَرِ الزَّيْتِ فَإِذَا قُرِّبَ إِلَى وَجْهِهِ سَقَطت فَرْوَة وَجهه فِيهِ رَوَاهُ التِّرْمِذِيّّّّّّّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৭৯
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৭৯। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখীদের মাথার উপর তপ্ত-গরম পানি ঢালা হইবে এবং উহা তাহার পেটের মধ্যে প্রবেশ করিবে, ফলে পেটের ভিতরে যাহাকিছু আছে, সমস্ত কিছু বিগলিত হইয়া পায়ের দিক দিয়া নির্গত হইবে। কুরআনে বর্ণিত الصَّهْرُ দ্বারা ইহাই বুঝান হইয়াছে। আবার সে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়া আসিবে (পুনরায় উহা ঢালা হইবে)। – তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْحَمِيمَ لَيُصَبُّ عَلَى رؤوسهم فَينفذ الْحَمِيم حَتَّى يخلص إِلَى جَوْفه فسلت مَا فِي جَوْفِهِ حَتَّى يَمْرُقَ مِنْ قَدَمَيْهِ وَهُوَ الصَّهْرُ ثُمَّ يُعَادُ كَمَا كَانَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৫৬৮০
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮০। হযরত আবু উমামাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) আল্লাহর বাণী— يُسْقَى مِنْ مَاءٍ صديد يتجرَّعُه (অর্থাৎ, দোযখীদের পুঁজ ও কদর্য-রক্ত জাহান্নামীদিগকে পান করান হইবে, যাহা তাহারা ঢগঢগ করিয়া গলাধঃকরণ করিবে।) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলিয়াছেনঃ উক্ত পানীয় তাহার মুখের কাছে নেওয়া হইবে, কিন্তু সে উহাকে পছন্দ করিবে না। আর যখন উহাকে মুখের নিকটবর্তী করা হইবে, তখন তাহার চেহারা (উহার উত্তাপে) দগ্ধ হইয়া যাইবে এবং তাহার মাথার চামড়া খসিয়া পড়িবে। আর যখন সে উহা পান করিবে তখন তাহার নাড়িভুঁড়ি খণ্ড খণ্ড হইয়া মলদ্বার দিয়া নির্গত হইবে। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ (অর্থাৎ,) “এবং জাহান্নামীদিগকে এমন তপ্ত-গরম পানি পান করান হইবে যে, উহাতে তাহাদের নাড়িভুঁড়ি খণ্ড খণ্ড হইয়া বাহির হইবে।” আল্লাহ্ আরও বলিয়াছেনঃ “জাহান্নামীগণ যখন পানি চাহিবে তখন তেলের গাদের ন্যায় পানি তাহাদেরকে দেওয়া হইবে, যাহাতে তাহাদের চেহারা দগ্ধ হইয়া যাইবে। ইহা অতীব মন্দ পানীয় বস্তু।” – তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: (يُسْقَى مِنْ مَاءٍ صديد يتجرَّعُه) قَالَ: يُقَرَّبُ إِلَى فِيهِ فَيَكْرَهُهُ فَإِذَا أُدْنِي مِنْهُ شَوَى وَجْهَهُ وَوَقَعَتْ فَرْوَةُ رَأْسِهِ فَإِذَا شَرِبَهُ قَطَّعَ أَمْعَاءَهُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ دُبُرِهِ. يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: (وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أمعاءهم) وَيَقُولُ: (وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوه بئس الشَّرَاب) رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮১
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮১। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখ চারটি প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। প্রত্যেক প্রাচীর চল্লিশ বৎসরের দূরত্ব পরিমাণ পুরু বা মোটা। — তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِسُرَادِقِ النَّارِ أَرْبَعَةُ جُدُرِ كِثَف كل جِدَار مسيرَة أَرْبَعِينَ سنة . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮২। হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখীদের কদর্য-পুঁজের এক বালতি যদি দুনিয়াতে ঢালিয়া দেওয়া হয়, তাহা হইলে ইহা গোটা দুনিয়াবাসীকে দুর্গন্ধময় করিয়া দিবে। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب صفةالنار وَأَهْلهَا)
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَنَّ دَلْوًا مِنْ غَسَّاقٍ يَهَرَاقُ فِي الدُّنْيَا لَأَنْتَنَ أَهْلُ الدُّنْيَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এই আয়াতটি পাঠ করিলেন (অর্থাৎ,) “তোমরা আল্লাহকে যথাযথ ভয় কর এবং পূর্ণ মুসলমান না হইয়া মৃত্যুবরণ করিও না।” (অতঃপর) হুযুর (ﷺ) বলিলেনঃ যদি 'যাক্কুম' গাছের এক ফোঁটা এই দুনিয়ায় পড়ে, তবে গোটা দুনিয়াবাসীর জীবনধারণের উপকরণসমূহ বিনষ্ট হইয়া যাইবে। এমতাবস্থায় ঐ সমস্ত লোকদের দুর্দশা কিরূপ হইবে, ইহা যাহাদের খাদ্য হইবে? — তিরমিযী, তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ: (اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُم مُسلمُونَ) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَو أَن قَطْرَة من الزقوم قطرات فِي دَارِ الدُّنْيَا لَأَفْسَدَتْ عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ مَعَايِشَهُمْ فَكَيْفَ بِمَنْ يَكُونُ طَعَامَهُ؟» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৪। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহর বাণী وهم فِيهَا كَالِحُونَ ইহার অর্থ হইল, দোযখী ব্যক্তির অবস্থা এই হইবে যে, আগুনের প্রচণ্ড তাপে তাহার মুখ ভাজা-পোড়া হইয়া উপরের ঠোট সঙ্কুচিত হইয়া মাথার মধ্যস্থলে পৌঁছিবে এবং নীচের ঠোঁট ঝুলিয়া নাভির সাথে আসিয়া লাগিবে। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (وهم فِيهَا كَالِحُونَ) قَالَ: «تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسْطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تضرب سُرَّتَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৫। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ হে মানুষসকল! তোমরা (আল্লাহর ভয়ে) খুব বেশী বেশী ক্রন্দন কর। যদি কাঁদিতে ব্যর্থ হও, তাহা হইলে ক্রন্দনের রূপ ধারণ কর। কেননা, দোযখী দোযখের মধ্যে কাঁদিতে থাকিবে, এমন কি পানির নালার ন্যায় তাহাদের চেহারার অশ্রু প্রবাহিত হইবে। একসময় অশ্রুও খতম হইয়া যাইবে এবং রক্ত প্রবাহিত হইতে থাকিবে, ইহাতে তাহার চক্ষুসমূহে এমন গভীরভাবে ক্ষত হইবে যে, যদি উহাতে নৌকা চালাইতে হয় তবে উহাও চলিবে। —শরহে সুন্নাহ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ ابْكُوا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِيعُوا فَتَبَاكَوْا فَإِنَّ أَهْلَ النَّارِ يَبْكُونَ فِي النَّارِ حَتَّى تَسِيلَ دُمُوعُهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ كَأَنَّهَا جَدَاوِلُ حَتَّى تَنْقَطِعَ الدُّمُوعُ فَتَسِيلَ الدِّمَاءُ فَتَقَرَّحَ الْعُيُونُ فَلَوْ أَنَّ سُفُنًا أُزْجِيَتْ فِيهَا لجَرَتْ» . رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»



اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 253 ح 4418) * فیہ یزید الرقاشی : ضعیف و عمران بن زید التغلبی : لین و للحدیث لون آخر عند ابن ماجہ (4324) و سندہ ضعیف ۔

(ضَعِيف)
হাদীস নং: ৫৬৮৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৬। হযরত আবুদ দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখবাসীদিগকে ভীষণ ক্ষুধায় লিপ্ত করা হইবে এবং ক্ষুধার যাতনা সেই আযাবের সমান হইবে, যাহা তাহারা পূর্ব হইতে দোযখে ভোগ করিতেছিল। তাহারা ফরিয়াদ করিবে। ইহার প্রেক্ষিতে তাহাদিগকে যারী' নামক এক প্রকার কাঁটাযুক্ত দুর্গন্ধময় খাদ্য দেওয়া হইবে। উহা তাহাদেরকে তৃপ্ত করিবে না এবং ক্ষুধাও নিবারণ করিবে না। অতঃপর পুনরায় খাদ্যের জন্য ফরিয়াদ করিবে, এইবার এমন খাদ্য দেওয়া হইবে, যাহা তাহাদের গলায় আটকাইয়া যাইবে। তখন তাহাদের দুনিয়ার ঐ কথাটি স্মরণে আসিবে যে, এইভাবে গলায় কোন খাদ্য আটকাইয়া গেলে তখন পানি গলাধঃকরণ করিয়া উহাকে নীচের দিকে ঢুকান হইত, সুতরাং তাহারা পানির জন্য ফরিয়াদ করিবে, তখন তপ্ত-গরম পানি লোহার কড়া দ্বারা উঠাইয়া কাছে ধরা হইবে, যখন উহা তাহাদের মুখের নিকটবর্তী করা হইবে, তখন তাহাদের মুখের গোশত ভাজা-পোড়া হইয়া যাইবে, আর যখনই সেই পানি তাহাদের পেটের ভিতরে ঢুকিবে, উহা তাহাদের পেটের ভিতরে যাহাকিছু আছে, তাহা খণ্ড-বিখণ্ড করিয়া ফেলিবে। এইবার দোযখীগণ পরস্পরে বলিবে, দোযখের রক্ষীদেরকে আহ্বান কর, (যেন আমাদের শাস্তি হ্রাস করা হয়।) তখন রক্ষীগণ বলিবেন, তোমাদের কাছে কি আল্লাহর রাসূলগণ স্পষ্ট দলীল-প্রমাণ লইয়া উপস্থিত হন নাই ? তাহারা বলিবে হ্যাঁ, আসিয়াছিলেন, (তবে আমরা তাঁহাদিগকে মিথ্যাবাদী বলিয়াছিলাম।) তখন রক্ষীগণ বলিবেন, তোমাদের ফরিয়াদ তোমরা নিজেরাই কর। অথচ কাফেরদের ফরিয়াদ নিরর্থক (অর্থাৎ, আল্লাহ্ তা'আলা উহা কবুল করিবেন না)। হুযুর (ﷺ) বলেন; এইবার দোযখীগণ বলাবলি করিবে, (দোযখের দারোগা) মালেককে ডাক। তখন তাহারা বলিবে, হে মালেক! তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের কাছে এই আবেদন কর, তিনি যেন আমাদিগকে মৃত্যু দান করেন। উত্তরে মালেক বলিবেন, তোমরা হামেশার জন্য এইখানে এই অবস্থায়ই থাকিবে।
অধস্তন রাবী আ'মাশ বলেন, আমাকে বর্ণনা করা হইয়াছে; দোযখীদের আহ্বান বা ফরিয়াদ আর মালেকের জওয়াবের মাঝখানে একহাজার বৎসর অতিক্রান্ত হইবে। হুযূর (ﷺ) বলেন; দোযখীগণ সর্বদিক হইতে নিরাশ হইয়া অতঃপর তাহারা পরস্পরে বলিবে, এইবার তোমরা তোমাদের পরওয়ারদিগারের কাছে সরাসরি ফরিয়াদ কর। তোমাদের রবের চাইতে উত্তম আর কেহই নাই। তখন তাহারা বলিবে, হে আমাদের পরওয়ারদিগার। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের উপর প্রবল হইয়া গিয়াছে, ফলে আমরা গোমরাহ্ সম্প্রদায়ে পরিণত হইয়াছি। হে আমাদের রব! আমাদিগকে এই দোযখ হইতে বাহির করিয়া দাও। ইহার পরও যদি আমরা পুনরায় নাফরমানীতে লিপ্ত হই, তাহা হইলে আমরাই হইব নিজেদের উপর অত্যাচারী। হুযূর (ﷺ) বলেন; তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহাদিগকে উত্তর দিবেন (হে হতভাগার দল!) দূর হও, জাহান্নামেই পড়িয়া থাক, তোমরা আমার সাথে আর কথা বলিবে না। হুযুর (ﷺ) বলেন; এই সময় তাহারা আল্লাহ্ তা'আলার সর্বপ্রকারের কল্যাণ হইতে নিরাশ হইয়া পড়িবে। এবং ইহার পর হইতে তাহারা (দোযখের মধ্যে থাকিয়া) বিকটভাবে চীৎকার ও হা-হুতাশ এবং নিজের উপর ধিক্কার করিতে থাকিবে। আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান বলেন, লোকেরা এই হাদীসটি মরফুরূপে বর্ণনা করেন না। – তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُلْقَى عَلَى أَهْلِ النَّارِ الْجُوعُ فَيَعْدِلُ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ مِنْ ضَرِيعٍ لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِنْ جُوعٍ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالطَّعَامِ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ ذِي غُصَّةٍ فَيَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجِيزُونَ الْغُصَصَ فِي الدُّنْيَا بِالشَّرَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشَّرَابِ فَيُرْفَعُ إِلَيْهِمُ الْحَمِيمُ بِكَلَالِيبِ الْحَدِيدِ فَإِذَا دَنَتْ مِنْ وُجُوهِهِمْ شَوَتْ وُجُوهَهُمْ فَإِذَا دَخَلَتْ بُطُونَهُمْ قطعتْ مَا فِي بطونِهم فيقولونَ: ادْعوا خَزَنَةَ جهنمَ فيقولونَ: أَلمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالُوا: فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ قَالَ: فيقولونَ: ادْعوا مَالِكًا فيقولونَ: يَا مالكُ ليَقْضِ علَينا ربُّكَ قَالَ: «فيُجيبُهم إِنَّكم ماكِثونَ» . قَالَ الْأَعْمَشُ: نُبِّئْتُ أَنَّ بَيْنَ دُعَائِهِمْ وَإِجَابَةِ مَالِكٍ إِيَّاهُمْ أَلْفَ عَامٍ. قَالَ: فَيَقُولُونَ: ادْعُوا رَبَّكُمْ فَلَا أَحَدَ خَيْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَيَقُولُونَ: رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ قَالَ: فيُجيبُهم: اخْسَؤوا فِيهَا وَلَا تُكلمونِ قَالَ: «فَعِنْدَ ذَلِكَ يَئِسُوا مِنْ كُلِّ خَيْرٍ وَعِنْدَ ذَلِكَ يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِيرِ وَالْحَسْرَةِ وَالْوَيْلِ» . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: وَالنَّاسُ لَا يرفعونَ هَذَا الحديثَ. رَوَاهُ الترمذيُّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮৭
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৭। হযরত নো'মান ইবনে বশীর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, “আমি তোমাদিগকে দোযখের আগুন হইতে ভীতি প্রদর্শন করিয়াছি, আমি তোমাদিগকে দোযখের আগুন হইতে ভীতি প্রদর্শন করিয়াছি।” তিনি এই বাক্যগুলি বারবার এমনভাবে উচ্চ আওয়াযে বলিতে থাকিলেন যে, বর্তমানে আমি যেই স্থানে বসিয়া আছি, যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই স্থান হইতে উক্ত বাক্যগুলি বলিতেন, তবে উহা বাজারের লোকেরাও শুনিতে পারিত। আর তিনি এমনভাবে (হেলিয়া দুলিয়া) বাক্যগুলি বলিয়াছেন যে, তাঁহার কাঁধের উপর রক্ষিত চাদরখানা পায়ের উপরে গড়াইয়া পড়িয়াছিল। —দারেমী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَنْذَرْتُكُمُ النَّارَ أَنْذَرْتُكُمُ النَّارَ» فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى لَوْ كَانَ فِي مَقَامِي هَذَا سَمِعَهُ أَهْلُ السُّوقِ وَحَتَّى سَقَطَتْ خَمِيصَةٌ كَانَتْ عَلَيْهِ عِنْدَ رجلَيْهِ. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৮৮
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যদি একখানা সীসার এইরূপ গ্লোব—এই কথা বলিয়া তিনি মাথার খুলির ন্যায় গোল জিনিসের প্রতি ইংগিত করিলেন—আকাশ হইতে যমীনের দিকে ছাড়িয়া দেওয়া হয়, তখন উহা একটি রাত্র অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই যমীনে পৌঁছিয়া যাইবে, অথচ এই দুইয়ের মধ্যবর্তী শূন্য স্থানটি পাঁচ শত বৎসরের রাস্তা। কিন্তু যদি উহাকে ঐ শিকল বা জিঞ্জিরের এক পার্শ্ব হইতে ছাড়িয়া দেওয়া হয়, যাহার দ্বারা দোযখীদিগকে বাঁধা হইবে, তখন উহা দিবা-রাত্র অতিক্রম করিতে করিতে চল্লিশ বৎসর পর্যন্তও উহার মূলে অথবা বলিয়াছেন; উহার গভীর তলদেশে পৌঁছিতে পারিবে না। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَنَّ رَصَاصَةً مِثْلَ هَذِهِ - وَأَشَارَ إِلَى مِثْلِ الْجُمْجُمَةِ - أُرْسِلَتْ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَهِيَ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ لَبَلَغَتِ الْأَرْضَ قَبْلَ اللَّيْلِ وَلَوْ أَنَّهَا أُرْسِلَتْ مِنْ رَأْسِ السِّلْسِلَةِ لَسَارَتْ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ قَبْلَ أنْ تبلع أَصْلهَا أَو قعرها» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৫৬৮৯
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৮৯। হযরত আবু বুরদাহ্ (রাঃ) তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখের মধ্যে এমন একটি নালা বা গর্ত আছে, যাহার নাম 'হাবহাব'। প্রত্যেক স্বৈরাচারী-অহংকারীকে সেখানে রাখা হইবে। —দারেমী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن أبي بُردةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ فِي جَهَنَّمَ لَوَادِيًا يُقَالُ لَهُ: هَبْهَبُ يسكنُه كلُّ جبَّارٍ رَوَاهُ الدَّارمِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬৯০
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৯০। হযরত ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দোযখে দোযখীদের দেহ হইবে প্রকাণ্ড ও বিরাট বিরাট। এমন কি তাহাদের কানের লতি হইতে ঘাড় পর্যন্ত ব্যবধান হইবে সাত শত বৎসরের দূরত্ব, গায়ের চামড়া হইবে সত্তর গজ মোটা এবং এক একটি দাঁত হইবে ওহুদ পাহাড়ের মত।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَعْظُمُ أَهْلُ النَّارِ فِي النَّارِ حَتَّى إِنَّ بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِ أَحَدِهِمْ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةَ سبعمائةِ عامٍ وإِنَّ غِلَظَ جلدِه سَبْعُونَ ذراعان وَإِن ضرسه مثل أحد»
tahqiq

তাহকীক: