(২৯৬) আব্দুল্লাহ ইবন আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যুহরের সময় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে ঢলে পড়লে এবং যখন মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘ্যের মতো হবে, যতক্ষণ আসরের সময় উপস্থিত না হবে। আসরের সময় সূর্য হলুদ না হওয়া পর্যন্ত। মাগরিবের সালাতের সময় দিগন্তের আলো দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত। ইশার সালাতের সময় মধ্যরাত্র পর্যন্ত। ফজরের সালাতের সময় ভোর উদিত হওয়া থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত ।

(২৯৭) আব্দুল্লাহ ইবন আমর বলেন, আসরের সময় মাগবিবের সময় উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত ।

(২৯৮) জাবির রা. দীর্ঘ হাদীস বর্ণনার মধ্যে বলেন, এরপর দিবসের শুভ্রতা যা হচ্ছে ‘শাফাক’ তা তিরোহিত হলে বিলাল ইশার আযান প্রদান করলেন ।

(২৯৯) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একরাতে রাতের সাধারণ অংশ অতিবাহিত হলে ইশার সালাত আদায় করলেন, এমনকি মসজিদের মানুষেরা ঘুমিয়ে পড়েছিল। এরপর তিনি বেরিয়ে সালাত আদায় করেন । অতঃপর তিনি বলেন, এই হল ইশার সময়।

(৩০০) নাফি' ইবন জুবাইর বলেন, উমার রা. আবু মুসা আশআরি রা.কে চিঠিতে লেখেন, রাত্রের যখন ইচ্ছা ইশার সালাত আদায় করুন, একে ভুলে যাবেন না বেখেয়াল হবেন না।

(৩০১) উবাইদ ইবন জুরাইজ বলেন, তিনি আবু হুরাইরা রা.কে প্রশ্ন করেন, ইশার সালাতের অবহেলার চূড়ান্ত পর্যায় কী? তিনি বলেন, সুবহে সাদিকের উদয় হওয়া।

(৩০২) সামুরাহ ইবন জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বিলালের আযান বা দিগন্তের এইরূপ লম্বা শুভ্রতা তোমাদের কাউকে যেন তার সাহরির খাদ্যগ্রহণ থেকে ধোঁকা না দেয়। যতক্ষণ না এভাবে দিগন্তে প্রসারিত হয়ে প্রভাতের সূচনা হয়। হাদীসের বর্ণনাকারী হাম্মাদ ইবন যাইদ (মৃ: ১৭৯ হি.) তার দুইহাত দুইদিকে প্রসারিত করে সুবহে সাদিকের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।