ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)
২০. সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২১২৬
সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন কোন বিষয়ে নারী ও পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়
(২১২৬) তাবিয়ি ইবন শিহাব যুহরি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর পরবর্তী দুই খলীফার সুন্নত অতিক্রান্ত হয়েছে যে, (চুরি, ব্যভিচার, মদপান ইত্যাদি অপরাধের) শরীআত নির্ধারিত শাস্তির বিষয়ে মহিলাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
كتاب الشهادة
عن الزهري قال: مضت السنة من رسول الله صلى الله عليه وسلم والخليفتين من بعده أن لا تجوز شهادة النساء في الحدود
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১২৭
সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন কোন বিষয়ে নারী ও পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়
(২১২৭) তাবিয়ি ইবন শিহাব যুহরি বলেন, সুন্নত অতিক্রান্ত হয়েছে যে, মহিলাদের সন্তান জন্মদান, তাদের দোষত্রুটি ইত্যাদি যে সকল বিষয়ে মহিলারা ছাড়া অন্য কেউ জানতে পারেন না, সে সকল বিষয়ে শুধু মহিলাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে। সন্তান জন্মের পর মুহূর্তে কেঁদে উঠেছিল কি না, সে বিষয়ে ধাত্রীর একার সাক্ষ্যই গ্রহণ করা হবে ।
كتاب الشهادة
عن الزهري قال: مضت السنة أن تحوز شهادة النساء فيما لا يطلع عليه غيرهن من ولادات النساء وعيوبهن وتجوز شهادة القابلة وحدها في الإستهلال
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১২৮
সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন কোন বিষয়ে নারী ও পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়
(২১২৮) আমর ইবন শুআইব তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মুসলিমগণ পরস্পরে পরস্পরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সৎ ও সত্যবাদী বলে বিবেচিত হবেন। তবে কোনো মহিলাকে ব্যভিচারের অপবাদ প্রদানের কারণে শরীআত নির্ধারিত শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
كتاب الشهادة
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: المسلمون عدول بعضهم على بعض إلا محدودا في فرية
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১২৯
সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন কোন বিষয়ে নারী ও পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়
(২১২৯) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সন্তানের পক্ষে পিতার সাক্ষ্য, পিতার পক্ষে সন্তানের সাক্ষ্য, স্বামীর পক্ষে স্ত্রীর সাক্ষ্য, স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর সাক্ষ্য, মালিকের পক্ষে দাসের সাক্ষ্য, দাসের পক্ষে মালিকের সাক্ষ্য, শরীকের পক্ষে অন্য শরীকের সাক্ষ্য এবং বেতনদাতার পক্ষে বেতনভোগী কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
كتاب الشهادة
عن عائشة رضي الله عنها مرفوعا: لا تجوز شهادة الوالد لولده ولا الولد لوالده ولا المرأة لزوجها ولا الزوج لامرأته ولا العبد لسيده ولا السيد لعبده ولا الشريك لشريكه ولا الأجير لمن استأجره
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১৩০
সাক্ষ্য-শুনানির বিধান
কোন কোন বিষয়ে নারী ও পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়
(২১৩০) আমর ইবন শুআইব তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমানতের খিয়ানতকারী পুরুষ ও মহিলার সাক্ষ্য এবং হিংসুক ব্যক্তি কর্তৃক তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেছেন । কোনো বাড়ির খাদেম বা কর্মচারী কর্তৃক তার বাড়ির মালিকদের পক্ষে প্রদত্ত সাক্ষ্য তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে মালিকগণ ছাড়া অন্যদের পক্ষে এইরূপ খাদেমের সাক্ষ্য তিনি গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করেছেন।
كتاب الشهادة
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم رد شهادة الخائن والخائنة وذي الغمر على أخيه ورد شهادة القانع لأهل البيت وأجازها لغيرهم... لا تجوز شهادة زان ولا زانية
তাহকীক: