রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين

৭. রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৮৯৩
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া

ইসলামের দৃষ্টিতে এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। এক মুসলিম অপর মুসলিমকে কোনও কষ্ট দেবে না। সে তার সাহায্য করতে সচেষ্ট থাকবে। সুখে-দুঃখে তার পাশে থাকবে। তার বিপদ-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে। অসুখ-বিসুখ হলে দেখতে যাবে। ইন্তিকাল করলে তার জানাযায় উপস্থিত থাকবে এবং তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করবে।

• রোগ
রোগ-ব্যাধি মানুষের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এমন কোনও মানুষ নেই, যার কোনও রোগ-ব্যাধি হয় না। যে-কারও জন্য রোগ-ব্যাধি কষ্টদায়ক। অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ কঠিন। অনেক সময় সে জামাতে শামিল হতে পারে না। নিজ পারিবারিক প্রয়োজন সমাধা করাও তার জন্য সহজ হয় না। কখনও কখনও নিজ চিকিৎসার ব্যবস্থা করাও তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তখন সে নিঃসঙ্গ বোধ করে। অসহায়ত্বের কষ্টে ভোগে।

ইসলাম সব মুসলিমকে একদেহের সঙ্গে তুলনা করেছে। যেমন এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-
المسلمون كرجل واحد، إن اشتكى عينه، اشتكى كله، وإن اشتكى، رأسه اشتكى كله
‘মুসলিমগণ সকলে মিলে এক ব্যক্তিতুল্য, যার চোখ অসুস্থ হলে সারা শরীর অসুস্থ হয়ে যায় এবং মাথা অসুস্থ হলে সারা শরীর অসুস্থ হয়ে যায়’।
(সহীহ মুসলিম: ২৫৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৯৩; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান ৭২০২)

অপর এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-
مثل المؤمنين في توادهم، وتراحمهم، وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتكى منه عضو تداعى له سائر الجسد بالسهر والحمى
‘পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ামায়া ও সহমর্মিতায় মুমিনদের দৃষ্টান্ত একটি দেহের মত, যার কোনও এক অঙ্গ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নির্ঘুম ও জ্বরে তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়’।
(সহীহ বুখারী: ৬০১১; সহীহ মুসলিম: ২৫৮৬; বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা : ৬৪৩০: বায়হাকী, শুআবুল ঈমান : ১০৬২৭; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ : ৩৪৫৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৭২)
সুতরাং কোনও এক মুসলিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকি সকলের কর্তব্য তার অসুস্থতাকে নিজের অসুস্থতা মনে করা। সে যখন এরূপ মনে করবে, তখন অবশ্যই তার কাছে ছুটে যাবে। তার অসুস্থতার খোঁজখবর নেবে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। আমাদের ইসলাম এ বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়াকে অন্যদের উপর তার 'হক' সাব্যস্ত করেছে। রোগী দেখতে যাওয়া কে 'ইয়াদাত' বলা হয়। 'ইয়াদাত' করা বড়ই ফযীলতের কাজ। এর অনক ছাওয়াব। হাদীছে রোগীর 'ইয়াদাত' করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
'ইয়াদাত' করার দ্বারা রোগী মনোবল পায়, তার নিঃসঙ্গতা কাটে, যা তার আরোগ্যলাভে সহায়ক হয়। তাই কেউ অসুস্থ হলে অবশ্যই তার 'ইয়াদাত' করা উচিত। তবে 'ইয়াদাতের'ও বিশেষ আদব আছে। কিছু রীতিনীতি আছে। যেমন ইয়াদাত করতে গিয়ে-

■ রোগীর জন্য দু'আ করা।
■ রোগীর শরীরে হাত বোলানো।
■ তার কাছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাকে যাওয়া।
■ তাকে আশাব্যঞ্জক কথা শোনানো, যেমন আপনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবেন, আপনার ভয়ের কিছু নেই, আপনার রোগ বিপজ্জনক নয়, আপনাকে দেখে আগের তুলনায় ভালো লাগছে, আমরা আপনার পাশে আছি, সবাই আপনার জন্য দু'আ করছে, আপনার উপযুক্ত চিকিৎসা চলছে ইত্যাদি।
■ রোগীকে সবরের উপদেশ দেওয়া।
■ রোগ-ব্যাধিতে সবর করলে হাদীছে যেসব পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে তাকে তা শোনানো।
■ রোগীর কাছে যে-কারও দীর্ঘ সময় অবস্থান না করা।
■ বিশেষ প্রয়োজন না হলে একইদিনে একাধিকবার দেখতে না যাওয়া।
■ রোগীকে বেশি জিজ্ঞাসাবাদ না করা এবং অহেতুক পরামর্শ না দেওয়া।
■ রোগী সম্পর্কে রোগীর পরিবারবর্গের কাছে খোঁজখবর নেওয়া।
■ রোগীর সেবকদেরকে যথাযথ সেবাদানে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া এবং কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা দেওয়ার বিষয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করা।
■ রোগীর সামনে উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা।
■ রোগীর সামনে বিশেষ ঠেকা না হলে পানাহার করা হতে বিরত থাকা।
■ কারও অসুস্থতার সংবাদ পেলে তার 'ইয়াদাত' করতে বেশি দেরি না করা।
■ অন্যের গৃহে প্রবেশ করার আদবসমূহ রক্ষা করা।
■ রোগীর দু'আ কবুল হয়। তাই তার কাছে দু'আ চাওয়া।

এছাড়াও 'ইয়াদাতের' বিভিন্ন আদব আছে। সেগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া দরকার। অন্যথায় 'ইয়াদাত' করতে গিয়ে উপকারের বিপরীতে ক্ষতি করে ফেলারও আশঙ্কা রয়েছে।
রোগ-ব্যাধির চূড়ান্ত রূপ হল মৃত্যু। যে-কোনও পরিবারের জন্য প্রিয়জনের মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক। তাই কোনও পরিবারের কারও মৃত্যু হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে অন্যদের নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য 'ইয়াদাতের' তুলনায় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং অবিলম্বে সকলকে সে পরিবারের পাশে দাড়াতে হবে। তাদের মায়্যিতে গোসল ও দাফন-কাফনের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিতে হবে। তারা বড়ই শোকার্ত। এ অবস্থায় এসব কাজ তাদের নিজেদের পক্ষে আঞ্জাম দেওয়া সহজ নয়। তাই ইসলাম এসব কাজকেও অন্যদের উপর তাদের 'হক' সাব্যস্ত করেছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ হক আদায়ে যত্নবান থাকা ইসলামী ভ্রাতৃতের দাবি। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করে তোলার জন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু নির্দেশনা দান করেছেন। সেসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে মুমূর্ষ রোগীকে কালেমার তালকীন করা, মৃত্যুর পর মায়্যিতের চোখ বন্ধ করে দেওয়া, অস্বাভাবিক কিছু দৃষ্টিগোচর হলে তা প্রকাশ না করা, শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা, তাদেরকে সবরের উপদেশ দেওয়া, প্রিয়জনের মৃত্যুতে সবর করলে কী পুরস্কার পাওয়া যায় সে কথা তাদের শোনানো, বিলাপ করতে ও চিৎকার করে কাঁদতে নিষেধ করা, তাদের মনে শক্তি যোগানো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে জানাযায় শামিল হওয়া, মায়্যিতের সঙ্গে কবর পর্যন্ত যাওয়া, দাফনের কাজে শরীক থাকা, দাফনের পর কিছুক্ষণ অবস্থান করা ও মায়্যিতের জন্য দু'আ করা, মায়্যিতের প্রশংসা করা ইত্যাদি।
মোটকথা রোগ-ব্যাধি থেকে শুরু করে কারও মৃত্যু ও মায়্যিতের কাফন-দাফন পর্যন্ত যাবতীয় বিষয়ে ইসলামের রয়েছে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ হিদায়াত ও বিধি-বিধান। ইমাম নববী রহ. সে সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীছ পেশ করেছেন। সকলের কর্তব্য আগ্রহের সঙ্গে তা পড়া, বোঝার চেষ্টা করা ও আমলে যত্নবান হওয়া। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন।
হাদীছ নং: ৮৯৩

হযরত বারা' ইবন আযিব রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন- রোগীর খোঁজখবর নিতে, জানাযায় অংশগ্রহণ করতে, হাঁচিদাতার জবাব দিতে, কসমকারীর কসম রক্ষায় সহযোগিতা করতে, মজলুমের সাহায্য করতে, দাওয়াতদাতার দাওয়াত কবুল করতে এবং সালামের প্রসার ঘটাতে।-বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১২৩৯; সহীহ মুসলিম: ২০৬৬; জামে তিরমিযী: ২৮০৯; সুনানে নাসাঈ :১৯৩৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৬৪৪; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা: ৫৮৪৬)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
893 - عن البَرَاءِ بن عازِبٍ رضي الله عنهما، قَالَ: أمَرَنَا رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - بعِيَادَةِ الْمَريضِ، وَاتِّبَاعِ الجَنَازَةِ، وَتَشْمِيتِ العَاطِسِ، وَإبْرَارِ الْمُقْسِمِ، وَنَصْرِ المَظْلُومِ، وَإجَابَةِ الدَّاعِي، وَإفْشَاءِ السَّلاَمِ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮৯৪
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
হাদীছ নং: ৮৯৪

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি- সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া; জানাযায় অংশগ্রহণ করা; দাওয়াত কবুল করা, ও হাঁচিদাতার ( আলহামদুলিল্লাহ বলার) জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ১২৪০; সহীহ মুসলিম: ২১৬২; সুনানে ইবন মাজাহ : ১৪৩৫; সহীহ ইবন হিব্বান : ২৪১; বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা : ৬১৬; মুসনাদে আহমাদ: ৭৩৭৭; বাগাবী,শারহুস্ সুন্নাহ: ১৪০৫)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
894 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮৯৫
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
রোগীকে দেখতে যাওয়া, ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো ও পিপাসার্তকে পানি পান করানোর ফযীলত
হাদীছ নং: ৮৯৫

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদমসন্তান। আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি। বান্দা বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! আপনি জগৎসমূহের পালনকর্তা। আপনি কীভাবে অসুস্থ হতে পারেন যে, আমি আপনাকে দেখতে যাব? তিনি বলবেন, তুমি জানতে না আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তা সত্ত্বেও তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তুমি জানতে না যদি তাকে দেখতে যেতে, তবে অবশ্যই আমাকে তার কাছে পেতে? আল্লাহ বলবেন, হে আদমসন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি। বান্দা বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি কীভাবে আপনাকে খাওয়াতে পারি, যখন আপনি জগৎসমূহের প্রতিপালক? তিনি বলবেন, তুমি কি জানতে না আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, অথচ তুমি তাকে খাবার দাওনি? তুমি কি জানতে না যদি তাকে খাবার খাওয়াতে, তবে অবশ্যই তা আমার কাছে পেতে? আল্লাহ বলবেন, হে আদমসন্তান! আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান করাওনি। বান্দা বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি কীভাবে আপনাকে পানি পান করাতে পারি, যখন আপনি জগৎসমূহের প্রতিপালক? তিনি বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি পান করাওনি। শোনো হে! যদি তুমি তাকে পানি পান করাতে, তবে অবশ্যই আমার কাছে তা পেতে। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২৫৬৯; বুখারী, আল আদাবুল মুফরাদ : ৫১৭; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহূয়াহ: ২৮; সহীহ ইবনে হিব্বান : ২৬৯; তাবারানী, মাকারিমুল আখলাক: ১৭০; বায়হাকী, আল আসমা ওয়াস সিফাত: ৪৭৩; শু'আবুল ঈমান: ৮৭৫২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৪১০)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
895 - وعنه، قَالَ: قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ اللهَ - عز وجل - يَقُولُ يَومَ القِيَامَةِ: يَا ابْنَ آدَمَ، مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أعُودُكَ وَأَنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ؟! قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّ عَبْدِي فُلاَنًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَني عِنْدَهُ! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أطْعِمُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ؟! قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِي فُلانٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ أطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أسْقِيكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمينَ؟! قَالَ: اسْتَسْقَاكَ عَبْدِي فُلاَنٌ فَلَمْ تَسْقِهِ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي!». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৮৯৬
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কাজের নির্দেশ
হাদীছ নং: ৮৯৬

হযরত আবূ মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা রোগী দেখতে যেয়ো, ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান করো এবং বন্দীদের মুক্ত করো। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৩০৪৬; সুনানে দারিমী: ২৫০৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৭৪৫০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৫৭৬)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
896 - وعن أَبي موسى - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «عُودُوا المَريضَ، وَأطْعِمُوا الجَائِعَ، وَفُكُّوا العَانِي». رواه البخاري. (1)
«العاَنِي»: الأسيرُ.
হাদীস নং: ৮৯৭
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফযীলত
হাদীছ নং: ৮৯৭

হযরত ছাওবান রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মুসলিম ব্যক্তি যখন তার অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে জান্নাতের খুরফা আহরণে রত থাকে, যতক্ষণ না ফিরে আসে। জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জান্নাতের খুরফা কী? তিনি বললেন, তার ফলমূল। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২৫৬৮; জামে তিরমিযী: ৯৬৭; বুখারী, আল আদাবুল মুফরাদ : ৫২১; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১০৮১; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৬৭৬১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা : ১০৮৩২; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ১৪৪৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৫৮১)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
897 - وعن ثوبان - رضي الله عنه - عن النبي - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إنَّ المُسْلِمَ إِذَا عَادَ أخَاهُ المُسْلِمَ، لَمْ يَزَلْ في خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ» قِيلَ: يَا رَسولَ الله، وَمَا خُرْفَةُ الجَنَّةِ؟ قَالَ: «جَنَاهَا». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৮৯৮
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
সকাল-সন্ধ্যায় সত্তর হাজার ফিরিশতার দু'আ পাওয়ার উপায়
হাদীছ নং: ৮৯৮

হযরত আলী রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যে-কোনও মুসলিম ব্যক্তি সকালবেলা কোনও অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে গেলে সত্তর হাজার ফিরিশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দু'আ করে। যদি সন্ধ্যাবেলা তাকে দেখতে যায় তবে সত্তর হাজার ফিরিশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দু'আ করে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান কর হয়। -তিরমিযী
( জামে তিরমিযী : ৯৬৯; সুনানে আবূ দাউদ: ৩০৯৮; মুসনাদে আহমাদ: ৯৭৬; বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান: ৮৭৪২; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ: ১৪১০)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
898 - وعن عليّ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «مَا مِنْ مُسْلِم يَعُودُ مُسْلِمًا غُدْوةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ ألْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِيَ، وَإنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبحَ، وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ في الْجَنَّةِ». رواه الترمذي (1)، وقال: «حديث حسن».
«الخَريفُ»: الثَّمرُ الْمَخْرُوفُ، أيْ: الْمُجْتَنَى.
হাদীস নং: ৮৯৯
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
সপ্তম ভাগ: রোগী দেখতে যাওয়া, মায়্যিতকে বিদায় দেওয়া, জানাযার নামায পড়া, দাফনে শরীক হওয়া, দাফনের পর কবরের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করা

পরিচ্ছেদ :১ রোগী দেখতে যাওয়া
অমুসলিম রোগীকে দেখতে যাওয়া ও ইসলামের দাওয়াত
হাদীছ নং: ৮৯৯

হযরত আনাস রাযি. বলেন, এক ইহুদি গোলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমত করত। সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে আসলেন। তিনি তার মাথার কাছে বসলেন। তারপর তাকে বললেন, ইসলাম গ্রহণ করো। সে তার পিতার দিকে তাকাল। তার পিতা তার কাছেই ছিল। সে বলল, তুমি আবুল কাসিমের কথা মানো। সে ইসলাম গ্রহণ করল। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখান থেকে বের হয়ে আসলেন। তিনি বলছিলেন–
الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِي أَنْقَدَهُ مِنَ النَّارِ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেছেন)। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ১৩৫৬; সুনানে আবু দাউদ: ৩০৯৫; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৩৩৫০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৮৮৪; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১২১৫৭; বাগাবী, শারহু সুন্নাহ: ৫৭)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
كتاب عيَادة المريض وَتشييع المَيّت والصّلاة عليه وَحضور دَفنهِ وَالمكث عِنْدَ قبرهِ بَعدَ دَفنه

باب عيادة المريض
899 - وعن أنسٍ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ غُلاَمٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - فَمَرِضَ، فَأتَاهُ النَّبيُّ - صلى الله عليه وسلم - يَعُودُهُ، فَقَعَدَ عِنْدَ رَأسِهِ، فَقَالَ لَهُ: «أسْلِمْ» فَنَظَرَ إِلَى أبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ؟ فَقَالَ: أَطِعْ أَبَا القَاسِمِ، فَأسْلَمَ، فَخَرَجَ النَّبيُّ - صلى الله عليه وسلم - وَهُوَ يَقُولُ: «الحَمْدُ للهِ الَّذِي أنْقَذَهُ منَ النَّارِ». رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৯০০
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
ফোঁড়া ও জখমের উপশমে দু'আ ও রুকয়া
হাদীছ নং: ৯০০

হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, যখন কোনও লোক তার কোনও অঙ্গে অসুস্থতা বোধ করত অথবা তার শরীরে কোনও ফোঁড়া বা জখম হত, তখন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজ আঙ্গুল দিয়ে এরূপ করতেন। এ বলে বর্ণনাকারী সুফয়ান ইবন উয়ায়না তার শাহাদাত আঙ্গুল মাটির উপর রাখলেন, তারপর সেটি উঠালেন এবং বললেন- بِسْمِ اللَّهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا ، يُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا ( আল্লাহর নামে আমাদের ভূমির মাটি আমাদের কারও থুথুর সঙ্গে, আমাদের প্রতিপালকের নির্দেশে এর দ্বারা আমাদের রুগ্ন ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করুক)। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ৫৭৪৫; সহীহ মুসলিম: ২১৯৪; মুসনাদুল হুমায়দী : ৯৪৪; মুসনাদে আবু ইয়া'লা : ৪৫২৭; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৮২৬৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৪১৫)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
900 - عن عائشة رضي الله عنها: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ إِذَا اشْتَكى الإنْسَانُ الشَّيْءَ مِنْهُ، أَوْ كَانَتْ بِهِ قَرْحَةٌ أَوْ جُرْحٌ، قَالَ النَّبيُّ - صلى الله عليه وسلم - بِأُصْبُعِهِ هكَذا - وَوَضَعَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَة الرَّاوي سَبَّابَتَهُ بِالأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَها - وقال: «بِسمِ اللهِ، تُرْبَةُ أرْضِنَا، بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا، بإذْنِ رَبِّنَا (1)». متفقٌ عَلَيْهِ. (2)
হাদীস নং: ৯০১
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
রোগীর শরীরে হাত বোলানো ও দু'আ পাঠ
হাদীছ নং: ৯০১

হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁর পরিবারের কোনও রোগীকে দেখতে যেতেন, নিজ ডানহাত তার উপর বুলাতেন আর বলতেন-
اللهم رب الناس أذهب البأس اشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاء لا يغادر سقما
‘মানুষের প্রতিপালক হে আল্লাহ! কষ্ট দূর করুন। আরোগ্য দিন। আপনিই আরোগ্যদাতা। আপনার আরোগ্যদান ছাড়া কোনও আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দান করুন, যা কোনও রোগ অবশিষ্ট রাখবে না)। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ৫৭৪৩; সহীহ মুসলিম : ২১৯১; সুনানে আবূ দাউদ: ৩১৮৩; জামে' তিরমিযী: ৩৫৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ১৬১৯; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৭৪৬৬; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী : ১৫০৭; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৩৫৭০; মুসনাদে আহমাদ: ৫৬৬)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
901 - وعنها: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ يَعُودُ بَعْضَ أهْلِهِ يَمْسَحُ بِيدِهِ اليُمْنَى، ويقولُ: «اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، أَذْهِب البَأْسَ، اشْفِ أنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفاؤكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقمًا». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৯০২
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
হাদীছ নং: ৯০২

হযরত আনাস রাযি. (তাঁর শিষ্য) ছাবিতকে বললেন, আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রুকয়া (চিকিৎসা) দ্বারা রুকয়া করব না? তিনি বললেন, অবশ্যই করুন। হযরত আনাস রাযি. বললেন (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগী দেখে বলতেন)-
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ الْبَأْسِ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ، لَا شَافي إِلَّا أَنْتَ ، شِفَاء لَا يُغَادِرُ سَقمًا
‘মানুষের প্রতিপালক হে আল্লাহ! হে কষ্ট নিবারণকারী! আরোগ্য দিন। আপনিই আরোগ্যদাতা। আপনি ছাড়া কোনও আরোগ্যদাতা নেই। এমন আরোগ্য দান করুন, যা কোনও রোগ অবশিষ্ট রাখবে না’। -বুখারী
(সহীহ বুখারী : ৫৭৪২; সুনানে আবু দাউদ : ৩৮৯০; জামে’ তিরমিযী: ৯৭৩; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০৭৯৪)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
902 - وعن أنسٍ - رضي الله عنه - أنه قَالَ لِثابِتٍ رحمه اللهُ: ألاَ أرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: «اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَأسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقمًا». رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৯০৩
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
অসুস্থ অবস্থায় হযরত সা'দ রাযি.-এর জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'আ
হাদীছ নং: ৯০৩

হযরত সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাযি. বলেন, আমার অসুস্থ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। তিনি বললেন- اَللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا ،اَللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا، اَللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا (হে আল্লাহ! সা'দকে আরোগ্য দান করুন। হে আল্লাহ! সা'দকে আরোগ্য দান করুন। হে আল্লাহ! সা'দকে আরোগ্য দান করুন)। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম : ১৬২৮; সুনানে আবূ দাউদ: ৩১০৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ৬২৮৪; মুসনাদে আহমাদ: ১৪৪১; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৭৮১; সহীহ ইবন খুযায়মা : ২৩৫৫; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ১২৬৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৫৮৯)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
903 - وعن سعدِ بن أَبي وقاصٍ - رضي الله عنه - قَالَ: عَادَنِي رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا، اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا، اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৯০৪
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা-বেদনার রুকয়া
হাদীছ নং: ৯০৪

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ উছমান ইবন আবুল আস রাযি. থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটা ব্যথার কথা জানিয়েছিলেন, যা তিনি নিজ শরীরে অনুভব করছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার শরীরের ব্যথার স্থানে হাত রাখো এবং তিনবার বিসমিল্লাহ বলো। তারপর সাতবার বলো- أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأَحَاذِرُ (আমি আল্লাহর পরাক্রম ও তাঁর কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি সেই বিষয়ের অনিষ্ট থেকে, যা আমি অনুভব করছি এবং যার আশঙ্কাবোধ করছি)। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২২০২; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৫২২; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ১০৭৭৩; খারাইতী, মাকারিমুল আখলাক : ১০৯০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ২৯৬৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর : ৮৩৪২; বায়হাকী, আল আসমা ওয়াস সিফাত: ২৪৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৪১৭)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
904 - وعن أَبي عبدِ الله عثمان بنِ أَبي العاصِ - رضي الله عنه: أنّه شَكَا إِلَى رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وَجَعًا، يَجِدُهُ في جَسَدِهِ، فَقَالَ لَهُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «ضَعْ يَدَكَ عَلَى الَّذِي يَألَم مِنْ جَسَدِكَ وَقُلْ: بسم اللهِ ثَلاثًا، وَقُلْ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أعُوذُ بِعِزَّةِ الله وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أجِدُ وَأُحَاذِرُ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৯০৫
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
রোগী দেখার একটি বিশেষ দু'আ
হাদীছ নং: ৯০৫

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এমন কোনও রোগীকে দেখতে যায়, যার মৃত্যু উপস্থিত হয়নি, তারপর তার কাছে সাতবার বলে- أسأل الله العظيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، أنْ يَشْفِيَكَ (প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহর কাছে, মহান আরশের অধিপতির কাছে, যেন তোমাকে আরোগ্য দান করেন), তবে অবশ্যই আল্লাহ তাকে সেই রোগ থেকে মুক্তিদান করবেন। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৩১০৬; জামে তিরমিযী: ২০৮৩; মুসনাদে আহমাদ: ২১৩৮। মুসনাদুল বাযযার : ৫১৩০; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ১০৮১৬; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ১২২৭২; ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লা: ৫৪৪; হাকিম, আল মুস্তাদরাক : ১২৬৮)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
905 - وعن ابن عباسٍ رضي الله عنهما، عن النبيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ عَادَ مَرِيضًا لَمْ يَحْضُرْهُ أجَلُهُ، فقالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ، إِلاَّ عَافَاهُ اللهُ مِنْ ذَلِكَ المَرَضِ». رواه أَبُو داود والترمذي، (1) وقال: «حديث حسن»، وقال الحاكم: «حديث صحيح عَلَى شرط البخاري».
হাদীস নং: ৯০৬
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
রোগী দেখার আরেকটি দু'আ
হাদীছ নং: ৯০৬

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি এক অসুস্থ বেদুঈনকে দেখার জন্য তার কাছে প্রবেশ করলেন। তিনি যখনই কোনও রোগীকে দেখতে যেতেন, তখন বলতেন - لا بأس، طهور إن شاء الله ( কোনও অসুবিধা নেই । ইনশাআল্লাহ এটা পবিত্রতা দানকারী)। -বুখারী
( সহীহ বুখারী : ৩৬১৬; আল আদাবুল মুফরাদ : ৫১৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ১০৮১২; সহীহ ইবনে হিব্বান : ২৯৫৯; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর : ১১৯৫১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা : ৬৫৯৫; শু'আবুল ঈমান : ৮৭৭৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ:১২৪১২)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
906 - وعنه: أنَّ النبي - صلى الله عليه وسلم - دَخَلَ عَلَى أعْرَابِيٍّ يَعُودُهُ، وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَى مَنْ يَعُودُهُ، قَالَ: «لاَ بَأسَ؛ طَهُورٌ إنْ شَاءَ اللهُ». رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৯০৭
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামের শেখানো রুকয়ার একটি দু'আ
হাদীছ নং: ৯০৭

হযরত আবু সা'ঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলেন। তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হাঁ। হযরত জিবরীল বললেন-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ، أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
‘আল্লাহর নামে আপনাকে রুকয়া করছি ওইসকল জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, প্রত্যেক প্রাণী বা ঈর্ষান্বিত ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নামে আপনাকে রুকয়া করছি’।-মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২১৮৬; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৩৫৭৩; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ: ১৯৭৭৯; মুসনাদুল বাযযার: ৮৪০৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০৭৭৫; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার : ৭১৯৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৮৫৬৫; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৩৯৯০)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
907 - وعن أَبي سعيد الخدري - رضي الله عنه: أن جِبريلَ أتَى النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، اشْتَكَيْتَ؟ قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: بِسْمِ الله أرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ، بِسمِ اللهِ أُرقِيكَ. رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৯০৮
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:২ রোগীর জন্য দু'আ করতে হয় যে কথার দ্বারা
জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষার কিছু যিকির
হাদীছ নং: ৯০৮

হযরত আবু সা'ঈদ খুদরী রাযি. ও আবূ হুরায়রা রাযি. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বলে لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই এবং আল্লাহ মহান), তার প্রতিপালক তার তসদীক করে বলেন, আমি ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই এবং আমি মহান। যখন সে বলে لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ (আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই। তিনি এক। তাঁর কোনও শরীক নেই), আল্লাহ বলেন, আমি ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই। আমি এক। আমার কোনও শরীক নেই। যখন সে বলে لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ (আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই। সার্বভৌমত্ব তাঁরই এবং তাঁরই সমস্ত প্রশংসা), তিনি বলেন, আমি ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই। আমারই সমস্ত প্রশংসা এবং যখন সে বলে- لا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِالله ( আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বুদ নেই এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (কারও) কোনও শক্তি ও ক্ষমতা নেই), আল্লাহ বলেন, আমি ছাড়া কোনও মা'বুদ নেই। আমার সাহায্য ছাড়া (কারও) কোনও শক্তি ও ক্ষমতা নেই। তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি তার অসুস্থতাকালে এগুলো বলে, তারপর মারা যায়, আগুন তাকে গ্রাস করবে না। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ৩৪৩০; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৭৯৪; মুসনাদুল বাযযার: ৮২৭৩; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ৯৭৭৪; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ১২৫৮; সহীহ ইবনে হিব্বান : ৮৫১; হাকিম, আল মুস্তাদরাক : ৮: বায়হাকী, আল আসমা ওয়াস সিফাত: ১৮৭; শু'আবুল ঈমান : ৬৫৪)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يُدعى به للمريض
908 - وعن أَبي سعيد الخدري وأبي هريرة رضي الله عنهما: أنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أنّه قَالَ: «مَنْ قَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ، صَدَّقَهُ رَبُّهُ، فَقَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ أنَا وأنَا أكْبَرُ. وَإِذَا قَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، قَالَ: يقول: لاَ إلهَ إلاَّ أنَا وَحْدِي لا شَريكَ لِي. وَإِذَا قَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، قَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ أنَا لِيَ المُلْكُ وَلِيَ الحَمْدُ. وَإِذَا قَالَ: لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ، قَالَ: لاَ إلهَ إِلاَّ أنَا وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بي» وَكَانَ يقُولُ: «مَنْ قَالَهَا في مَرَضِهِ ثُمَّ مَاتَ لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ». رواه الترمذي، (1)
وقال: «حديث حسن».
হাদীস নং: ৯০৯
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:৩ রোগীর অবস্থা সম্পর্কে তার পরিবারের কাছে খোঁজখবর নেওয়া
হাদীছ নং: ৯০৯

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তিম রোগের সময় হযরত আলী ইবন আবী তালিব রাযি. তাঁর নিকট থেকে বের হয়ে আসলেন। লোকে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আবুল হাসান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেমন আছেন? তিনি বললেন, আলহামদুলিল্লাহ তিনি ভালো আছেন। -বুখারী
(সহীহ বুখারী : ৪৪৪৭; আল-আদাবুল মুফরাদ : ১১৩০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক : ৯৭৫৪; মুসনাদে আহমাদ : ২৩৭৪; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৬৫৭৪)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب استحباب سؤال أهل المريض عن حاله
909 - عن ابن عباسٍ رضي الله عنهما: أنَّ عليَّ بْنَ أَبي طالب - رضي الله عنه - خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رسولِ الله - صلى الله عليه وسلم - في وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فقالَ النَّاسُ: يَا أَبَا الحَسَنِ، كَيْفَ أصْبَحَ رَسُولُ اللهِ - صلى الله عليه وسلم؟ قَالَ: أصْبَحَ بِحَمْدِ اللهِ بَارئًا. رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৯১০
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:৪ যে ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে, সে যা বলবে
ওফাতের সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আ করেছিলেন
হাদীছ নং: ৯১০

হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার গায়ে হেলান দেওয়া ছিলেন। এ অবস্থায় আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার প্রতি রহম করুন। আমাকে মহান বন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে দিন।-বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৪৪৪০; সহীহ মুসলিম: ২৪৪৪; জামে' তিরমিযী: ৩৪৯৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৭০৬৮; সুনানে ইবন মাজাহ ১৬১৯; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৯৩৩১; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ ৯১২; সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৬১৮: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৮২৭)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يقوله مَن أيس من حياته
910 - عن عائشة رضي الله عنها، قالت: سَمِعْتُ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إلَيَّ، يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وارْحَمْنِي، وأَلْحِقْنِي بالرَّفِيقِ الأَعْلَى». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৯১১
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:৪ যে ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে, সে যা বলবে
মৃত্যুযন্ত্রণায় আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দু'আ
হাদীছ নং: ৯১১

হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর অবস্থায় আমি দেখেছি তাঁর কাছে পানিভর্তি একটি পেয়ালা রয়েছে। তিনি সে পেয়ালায় তাঁর হাত ঢুকিয়ে পানি দ্বারা নিজ চেহারা মুছছিলেন, তারপর বলছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ৭৯৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৭০৬৪; সুনানে ইবন মাজাহ : ১৬২৩; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা : ২৯৩৩৩; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৪৫১০; তাবারানী, আলমু'জামুল কাবীর: ৮৩; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৩৭৩১)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب مَا يقوله مَن أيس من حياته
911 - وعنها، قالت: رَأيتُ رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - وَهُوَ بِالْمَوْتِ، عِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ، وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ في القَدَحِ، ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بالماءِ، ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ أعِنِّي عَلَى غَمَرَاتِ المَوْتِ أَوْ سَكَرَاتِ المَوْتِ». رواه الترمذي. (1)
হাদীস নং: ৯১২
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:৫ রোগীর প্রতি তার পরিবারবর্গ ও তার খাদেমদেরকে তার প্রতি সদয় ব্যবহার, সহনশীলতা প্রদর্শন এবং তার যেসব বিষয় কষ্টদায়ক তাতে সবর করার উপদেশদান; এমনিভাবে হদ্দ, কিসাস ইত্যাদির মাধ্যমে যার মৃত্যুর কারণ নিকটবর্তী তার প্রতি সদয় আচরণের উপদেশ
জুহায়না গোত্রের এক নারীর ব্যভিচার ও তার অকল্পনীয় অনুতাপ
হাদীছ নং: ৯১২

হযরত ইমরান ইবনুল হুসায়ন রাযি. থেকে বর্ণিত, জুহায়না গোত্রের এক নারী ব্যভিচার দ্বারা গর্ভবতী অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হদ্দযোগ্য অপরাধে লিপ্ত হয়েছি। আপনি আমার উপর তা জারি করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিভাবককে ডেকে বললেন, তুমি এর প্রতি সদয় আচরণ করো। সন্তান প্রসব করার পর তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। সে তাই করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশে তার গায়ের কাপড় তার উপর শক্ত করে বাঁধা হল। তারপর তার আদেশে তাকে রজম করা হল। তারপর তিনি তার জানাযার নামায পড়লেন। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ১৬৯৬; সুনানে আবূ দাউদ: ৪৪৪০; জামে তিরমিযী: ১৪৩৫; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ৪২৭; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৪৪১; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৪৭৫; সুনানে দারা কুতনী: ৩১৬০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৬৯৬৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ২৫৮৮)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب استحباب وصية أهل المريض ومن يخدمه بالإحسان إليه واحتماله والصبر عَلَى مَا يشق من أمره وكذا الوصية بمن قرب سبب موته بحد أَوْ قصاص ونحوهما
912 - عن عِمْران بن الحُصَيْنِ رضي الله عنهما: أنَّ أمْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ أتَت النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَهِيَ حُبْلَى مِنَ الزِّنَا، فَقَالَتْ: يَا رسول الله، أصَبْتُ حَدًّا فَأقِمْهُ عَلَيَّ، فَدَعَا رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - وَلِيَّهَا، [ص:277] فَقَالَ: «أحْسِنْ إِلَيْهَا، فَإذَا وَضَعَتْ فَأتِنِي بِهَا» فَفَعَلَ، فَأمَرَ بِهَا النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - فَشُدَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا، ثُمَّ أمَرَ بِهَا فَرُجِمَت، ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا. رواه مسلم. (1)