মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
১. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি আত্মমর্যাদাবোধের কারণে রাগ করেন কিনা? তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি নিজ আত্মমর্যাদাবোধ রক্ষার্থে রাগ করি আল্লাহ্ আমার থেকেও বেশী আত্মমর্যাদাবোধের কারণে রাগ করেন। আর আল্লাহ্ তাঁর আত্মমর্যাদাবোধর কারণেই সমস্ত অশ্লীলতা থেকে নিষেধ করেছেন।
আবূ হুরায়রা (রা)-এর দ্বিতীয় বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, মুমিনগণ আত্মমর্যাদাবোধের কারণে রাগ করে থাকেন। আল্লাহ্ নিজেও আত্মমর্যাদাবোধের কারণে রাগ করেন, আল্লাহর আত্মমর্যাদায় তখন আঘাত আসে, যখন মুমিন আল্লাহ্ কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজে অগ্রসর হয়।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن أبي هريرة (6) قال قيل لرسول الله صلى الله عليه وسلم اما تغار؟ قال والله أني لأغار والله أغير منى (1) ومن غيرته نهى عن الفواحش (وعنه من طريق ثان) (2) ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قال المؤمن يغار (3) والله يغار ومن غيرة الله أن يأتي المؤمن شيئا حرم الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
২. আবু হুরায়রা (রা) আরো বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, মুমিন, মুমিন, একথা তিনি দু'বার অথবা তিনবার বলেন; অবশ্যই আত্মমর্যাদা বোধের কারণে রাগ করে। আর আল্লাহ্ তা'আলা সর্বাধিক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
وعنه أيضا (5) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال المؤمن المؤمن مرتين أو ثلاثا يغار يغار (6) والله أشد غيرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৩. মুগীরা ইবন শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন সা'দ ইবন 'উবাদা (রা) বলেছেন, আমি যদি আমার স্ত্রীকে কোন পুরুষের সাথে দেখতাম, তাহলে অবশ্যই উন্মুক্ত তলোয়ার দিয়ে তাকে হত্যা করতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ কথা পৌঁছলে তিনি বলেন, তোমরা সা'দের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে অবাক হচ্ছ। আল্লাহর কসম! আমি তার থেকে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন ব্যক্তি, আর আল্লাহ্ আমার চেয়েও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। এ আত্মমর্যাদার কারণেই তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সমস্ত অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহর তুলনায় অধিক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন আর কেউ নেই। আল্লাহ্ তুলনায় অধিক পরিমাণে ওযর গ্রহণকারী কোন সত্ত্বা নেই। এ কারণেই তিনি রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছেন মানুষদেরকে সুসংবাদ ও সতর্ক করার জন্য। আর আল্লাহ্ তুলনায় অধিক প্রশংসা পছন্দকারী কেউ নেই, এজন্যই তিনি জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তার দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, 'উবায়দুল্লাহ কাওয়ারেরী অনুরূপ সনদ ও মতনসহ হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবূ আওয়ানা নয়। আবু 'আবদুর রহমান বলেন, (অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইব্‌ন ইমাম আহমদ) 'উবায়দুল্লাহ কাওয়ারেরী বলেন, জাহমিয়াদের নিকট এ হাদীস থেকে কঠোর কোন হাদীস নেই, তা হল: আল্লাহ্ তা'আলার চাইতে অধিক প্রশংসা পছন্দকারী আর কেউ নেই।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن المغيرة بن شعبة (7) الله قال قال سعد بن عبادة لو رأيت رجلا مع امراتي لضربته بالسيف غير مصفح فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اتعجبون من غيرة سعد واله لأنا أغير منه والله أغير مني (7) ومن أجل غيرة الله حرم الفواحش ما ظهر منها وما بطن ولا شخص أغير من الله (9) ولا شخص أحب اليه العذر (10) من الله من أجل ذلك بعث الله المرسلين مبشرين ومنذرين ولا شخص أحب إليه مدحة من الله (11) من أجل ذلك وعد الله الجنة (ومن طريق ثان) قال حدثنا عبيد الله القواريري ليس ثنا أبو عوانة بإسناده مثله (1) سواء قال أبو عبد الرحمن (2) قال عبيد الله القواريري ليس حديث أشد على الجهمية (3) من هذا الحديث قوله لا شخص أحب إليه مدحة من الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৪. আসমা বিনতে আবূ বকর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ থেকে অধিক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন আর কেউ নেই।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن أسماء بنت أبي بكر (4) رضي الله عنهما ان نبي الله صلى الله عليه وسلم كان يقول لا شيء أغير من الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৫. নবী করিম (ﷺ)-এর স্ত্রী যয়নব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী করিম (ﷺ) ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন। এ সময় তিনি বললেন, লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ! নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত দূর্যোগে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ খুলে গেছে। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলীর দ্বারা চক্র বানালেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাদের মধ্যে নেক লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার বেশী হবে।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن زينب زوج النبي صلى الله عليه وسلم (5) قالت استيقظ النبي صلى الله عليه وسلم من نوم وهو محمر وجهه وهو يقول لا إله إلا الله ويل للعرب من شر قد اقترب (6) فتح اليوم من ردم يأجوج ومأجوج مثل هذه وحلق (7) قلت يا رسول الله انهلك وفينا الصالحون؟ قال صلى الله عليه وسلم نعم إذا كثر الخبث
হাদীস নং: ৬
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৬. 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) বলেছেন যে, যখন যমীনে নানা প্রকার পাপ কাজ প্রসারিত হবে, তখন আল্লাহ্ যমীনের অধিবাসীদের উপর কঠোর বিপদ নাযিল করবেন। 'আয়েশা (রা) জিজ্ঞেস করলেন, সেখানে আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি আনুগত্যশীল লোকেরা অবস্থান করা সত্ত্বেও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, পরবর্তীতে তারা আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হবে।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن عائشة (9) رضي الله عنها تبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم إذا ظهر السوء في الأرض (10) أنزل الله بأهل الأرض بأسه قالت وفيهم أهل طاعة الله عز وجل؟ قال نعم ثم يصيرون إلى رحمة الله تعالى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৭. 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূদ দাতা, সূদ গৃহীতা, সুদের সাক্ষীদাতা ও সুদের লেখক, উলকি-চিহ্নকারী, উলকি চিহ্নদানকারী যে হালাল করে এবং যার জন্য হালাল করা হয়, এবং যাকাত অস্বীকারকারী সকলকে লা'নত করেছেন আর তিনি মৃতের জন্য বিলাপ করে কান্নাকাটি করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن علي رضي الله عنه (1) قال لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه والواشمة والمستوشمة والمحلل والمحلل له ومانع الصدقة وكان ينهى عن النوح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৮. সামুরা ইবন জুন্দুব আল-গাযারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিকাংশ সময়ই তাঁর সাথীদের জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে, সে তাঁর নিকট বলতো, যা আল্লাহ চাইতেন। একদিন সকালে তিনি বললেন, রাতে (স্বপ্নে) আমার নিকট দু'জন আগন্তুক (ফেরেশতা) এসে তারা আমাকে উঠায়। তারপর আমাকে বলে: চলুন! আমি তাদের সাথে চললাম। তখন আমরা ঘুমন্ত এক ব্যক্তির কাছে এসে পৌছলাম। অপর একজন তার নিকট পাথর হাতে দাঁড়ান। সে তার মাথা লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করছে। এতে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর অনেক নিচে গিয়ে পতিত হচ্ছে। সে পুনরায় পাথরের পেছনে পেছনে গিয়ে পাথরটি নিয়ে ফিরে আসতে না আসতেই তার মাথা পূর্বেও ন্যায় ভাল হয়ে যাচ্ছে। ফিরে এসে সে প্রথমে যেরূপ করেছিল আবার অনুরূপ আচরণ করে। আমি ফেরেশতাদ্বয়কে জিজ্ঞেস করলাম, সুবহানাল্লাহ! বলুন, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে এক লোককে দেখতে পেলাম। সে চিত হয়ে শুয়ে ছিল। আর একজন তার নিকট লোহার সাঁড়াশী হাতে দাঁড়ান ছিল। সে তা দ্বারা একের পর এক তার মুখমণ্ডলের একাংশ চিরে গলার পেছন পর্যন্ত নিয়ে যেত। অনুরূপ তার নাসারন্ধ্র চিরে পেছন পর্যন্ত নিয়ে যেত। তিনি বলেন, অপর দিকে কাটা শেষ না হতেই প্রথম দিকটি পূর্বের ন্যায় ভাল হয়ে যেত। এভাবে বার বার ঐরূপ করছিল, যেরূপ প্রথম করেছিল। আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ। বলুন এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। এরপর সামনে চলে আমরা একটি (রুটি তৈরীর) চুলার নিকট গিয়ে পৌঁছলাম, আউফ (রা) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, আমি সেখানে শোর গোলের শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা তাতে উঁকি মেরে বেশ কিছু উলঙ্গ নারী-পুরুষকে তার মাঝে দেখতে পেলাম। যাদের নীচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা তাদের স্পর্শ করছিল। আগুনের আওতায় আসলেই তারা উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠতো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। সামনে অগ্রসর হয়ে আমরা একটি নহরের নিকট পৌঁছলাম। আমার যতদুর মনে পড়ে, তিনি বলেছিলেন, সেটি ছিল লাল রক্তের ন্যায়। নহরে একজনকে সাঁতরাতে দেখলাম। নহরের পাড়ে একজন লোক দাঁড়িয়ে ছিল। যার নিকট ছিল অসংখ্য পাথরের এক স্তূপ। সাঁতারকারী লোকটি সাঁতার শেষ করে যার নিকট পাথরের স্তূপ ছিল, তার নিকট এসে মুখ খুলে দিত। আর সে তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করতে। তারপর সে সাঁতরাতে চলে যেত। সাঁতরায়ে ফিরে এসে বার বার মুখ খুলে দিত। আর ঐ লোকটি তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করতো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে একজন বীভৎস চেহারার লোক দেখতে পেলাম। যেরূপ তোমরা কোন বীভৎস চেহারার লোক দেখে থাক। তার নিকট ছিল আগুন। সে আগুন জ্বালাচ্ছিল ও তার চতুর্দিকে দৌড়াচ্ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোক কে? তারা বললেন, সামনে চলুন। সামনে আমরা এক ঘন সন্নিবিষ্ট বাগানে উপনীত হলাম। বাগানটি বসন্তের হরেক রকম ফুলে সুশোভিত ছিল, বাগানের মাঝে ছিল একজন লোক। যার আকৃতি এতখানি দীর্ঘকায় ছিল, আমরা তার মাথা দেখতে পাচ্ছিলাম না। তার চারপাশে বিপুলসংখ্যক বালক ছিল, যেরূপ আর কখনও আমি দেখিনি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোক কে? আর এরাই বা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন, সামনে চলুন। অবশেষে আমরা এক বিরাট বাগানে গিয়ে উপনীত হলাম। এরূপ বড় ও সুন্দর বাগান আর আমি কখনও দেখিনি। তারা আমাকে বললেন, এর উপর আরোহণ করুন। আমরা তাতে আরোহণ করলে এক শহর আমাদের নজরে পড়লো। সেটি ছিল সোনা ও রূপার ইট দিয়ে তৈরী। আমরা ঐ শহরের দরজায় পৌঁছলাম। দরজা খুলতে বললে আমাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হলো। ভেতরে প্রবেশ করে আমরা কিছু লোকের দেখা পেলাম, যাদের শরীরের অর্ধেক খুবই সৌন্দর্যমন্ডিত ছিল। যেরূপ তোমরা খুব সুন্দর কাউকে দেখে থাক। আর অর্ধেক ছিল খুবই কদাকার। যেরূপ তোমরা খুব কদাকার কাউকে দেখে থাক। তারা উভয়ে ঐ লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, যাও, তোমরা এ ঝর্ণায় নেমে পড়। দেখা গেল প্রস্থের দিকে লম্বা প্রবাহমান একটি ঝর্ণা রয়েছে। তার পানি ছিল সম্পূর্ণ সাদা। তারা গেল এবং তাতে নেমে পড়লো। তারপর তারা আমাদের নিকট ফিরে আসলে দেখা গেল, তাদের কদাকৃতি দুর হয়ে গিয়েছে। এক্ষণে তারা খুব সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফেরেশতাদ্বয় আমাকে বললেন, এটাই 'আদন' নামক বেহশত। এটাই আপনার বাসস্থান। আমি উপরের দিকে তাকালাম। দেখলাম ধবধবে সাদা মেঘের ন্যায় এক অট্টালিকা। তারা আমাকে জানাল, এটাই আপনার প্রাসাদ। আমি বললাম, আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কল্যাণ করুন! আমাকে ছেড়ে দিন আমি এতে প্রবেশ করব। তারা বললেন, এখন নয়, তবে এতে আপনি অবশ্যই প্রবেশ করবেন। আমি তাদের বললাম, সারারাত ধরে আমি অনেক অনেক আশ্চর্য জিনিস প্রত্যক্ষ করলাম। এগুলোর তাৎপর্য কি? তারা উত্তরে বললেন, এক্ষণে আমরা তা আপনাকে জানাব। প্রথম যে ব্যক্তির নিকট আপনি গিয়েছেন, যার মাথা পাথর মেরে মেরে চৌচির করা হচ্ছিল, সে কুরআন মুখস্ত করে তার উপর আমল ছেড়ে দিয়েছিল। আর ঘুমিয়ে ফরয নামায তরক করতো। আর যে ব্যক্তির নিকট আপনি গেলেন যার গলদেশের পেছন পর্যন্ত চেরা হচ্ছিল আর নাসারন্ধ্র ও তার চোখ পিঠ পর্যন্ত চেরা হচ্ছিল, সে সকাল বেলা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে যেত, আর চতুর্দিকে মিথ্যার বেশাতি করে বেড়াত। আর ঐ উলংগ নারী-পুরুষ যাদের প্রজ্জ্বলিত চুলায় দেখতে পেয়েছেন, তারা ছিল যেনাকার পুরুষ ও যেনাকার নারী। আর যে লোক ঝর্ণায় সাঁতরাচ্ছিল, যার নিকট দিয়ে আপনি গিয়েছিলেন এবং যে পাথরের লোকমা খাচ্ছিল, সে ছিল সুদখোর। আর ঐ কদাকার ব্যক্তি, যাকে আপনি আগুনের নিকট দেখতে পেয়েছিলেন, যে আগুন জ্বালিয়ে চারিদিকে দৌড়াচ্ছিল, সে জাহান্নামের দারগা মালিক ফেরেশতা। বাগানে যে দীর্ঘাকৃত লোকটিকে দেখেছিলেন, তিনি ছিলেন ইব্রাহীম (আ), আর তার চারপাশে যে বালক আপনি দেখতে পান তারা ঐ সব শিশু যারা স্বভাব ধর্মের উপর মৃত্যুবরণ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, মুসলমানদের কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেছিল: হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মুশরিকদের সন্তানরা কোথায়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, তারাও সেখানে ছিল। আর যাদের দেহের অধিকাংশ অতি সুন্দর ছিল, এবং আরেক অংশ অতি কদাকার ছিল। তারা ঐসব লোক, যারা ভাল মন্দ উভয় প্রকার কাজ মিশ্রিতভাবে করেছিল, আল্লাহ তাদের ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফযরের সালাত আদায় করে আমাদের দিকে ফিরে বলতেন, তোমাদের কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? যদি কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখতো, তবে যা দেখতো, তা বলতো, যা আল্লাহ চাইতেন। তেমনি একদিন তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তবে আমি দেখলাম, রাতে দুজন লোক (ফেরেশতা) আমার নিকট এসেছিল। তারা আমার হাত ধরলো এবং আমাকে নিয়ে একটি খালি জায়গা অথবা সমতল জায়গার দিকে বের হলো। এরপর আমাকে নিয়ে এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল, এভাবে তিনি অনুরূপ পূর্বের হাদীসটি উল্লেখ করলেন। এরপর আমি তাদের সাথে চললাম এবং সেখানে একটি ঘরে প্রজ্জ্বলিত আগুনের চুলা দেখতে পেলাম, তার উপরের দিক সঙ্কীর্ণ এবং নীচের দিক প্রশস্থ। নীচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা প্রজ্বলিত হচ্ছিল, সেখানে নারী ও পুরুষদেরকে উলংঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেলাম। আগুন জালানো হলে তার লেলিহান শিখা উপর পর্যন্ত পৌছে ভিতরের লোকগুলো উপরের চলে আসতো। এমন কি তারা বের হওয়ার চেষ্টা করতো।
আগুনের তেজ কমে গেলে তাদেরকে আবার আগুনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হতো তারপর আমি সামনে চলতে লাগলাম, সেখানে একটি রক্তের নহরের মধ্যে এক ব্যক্তিকে দেখলাম। নহরের পাড়ে এক ব্যক্তি হাতে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নহরে সাঁতরানো ব্যক্তি তার নিকট এসে মুখ খুলে দিত, আর সে তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করত। তারপর সে তার স্থানে চলে যেত।
তারপর আমি চললাম এবং সেখানে একটি সবুজ বাগান ও বড় একটি গাছ দেখতে পেলাম। সেখানে একজন বৃদ্ধ লোক, যার চারপাশে বালকরা ছিল, তাদের নিকটে এক ব্যক্তি ছিল, যার সামনে ছিল আগুন, যা সে প্রজ্বলিত করছিল। তারা (ফিরিশতাদ্বয়) আমাকে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে একটি গাছের উপর উঠে, এবং আমাকে অতি সুন্দর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করায়। এরূপ সুন্দর ঘর আমি আর কখনও দেখিনি। সেখানে পুরুষ বৃদ্ধ, যুবক, নারী ও বালকদেরকে দেখতে পেলাম। তারা সেখান থেকে আমাকে বের করলো এবং আমাকে নিয়ে একটি গাছে উঠলো। সেখানে আমাকে একটি ঘরে প্রবেশ করালো এ ঘরটি পূর্বের ঘরের চেয়ে উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ছিল। সেখানে যুবক ও বৃদ্ধরা অবস্থান করছিল তিনি বর্ণনা করেন, ফেরেশতা আমাকে বললেন, যে ঘরে আমি প্রথমে প্রবেশ করেছিলাম, সেটি ছিল সাধারণ মুমিনদের বাসস্থান, দ্বিতীয় ঘরটি শহীদদের বাসস্থান আর আমি হলাম জিবরাঈল আর উনি হলেন- মিকাইল (আ)। তারপর তারা আমাকে বললেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আপনি মাথা উঠান, আমি মাথা উঁচু করলাম, সে স্থানটি ছিল মেঘের আকৃতির মত। তখন তারা আমাকে বললেন, এটি আপনার বাসস্থান। আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আমার ঘরে প্রবেশ করি, তারা বললেন, আপনার এখনও কাজ বাকী আছে, যা আপনি পূর্ণ করেননি। আপনি তা পূর্ণ করার পর আপনার ঘরে প্রবেশ করবেন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن سمرة بن جندب الفزاري) (2) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما يقوله لأصحابه هل رأى أحد منكم رؤيا؟ قال فيقص عليه من شاء الله أن يقص قال وإنه قال لنا ذات يوم غداة (3) إنه آتاني الليلة آيتان (4) وانهما ابتعثاني وانهما قالا لي انطلق واني انطلقت معهما (5) وانا اتينا على رجل مضطجع واذا آخر قائم عليه بصخرة واذا هو يهوي بالصخرة لرأسه فيثلغ (6) بها رأسه فيتدهده الحجر ههنا (7) فيتبع الحجر يأخذه (8) فما يرجع إليه (9) حتى يصح رأسه كما كان ثم يعود عليه فيفعل به مثل ما فعل المرة الأولى قال قلت سبحان الله ما هذان (10) قال قالا لي انطلق انطلق فانطلقت معهما فأتينا على رجل مستلق لقفاه وإذا آخر قائم عليه بكلوب (11) من حديد فإذا هو يأتي أحد شقي وجهه فيشرشر (12) شدقه إلى قفاه ومنخراه إلى قفاه وعيناه إلى قفاه قال ثم يتحول إلى الجانب الآخر فيفعل به مثل ما فعل بالجانب الأول حتى يصبح الأول كما كان ثم يعود فيفعل به مثل ما فعل به المرة الأولى قال قلت سبحان الله ما هذان؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقت فأتينا على مثل بناء التنور (13) قال عوف وأحسب أنه قال وإذا فيه لغط وأصواب قال فأطلعت فإذا فيه رجال ونساء عراة واذا هم يأتيهم لهب من اسفل منهم فإذا اتاهم ذلك اللهب ضوضوا (1) قال قلت من هؤلاء؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأثبنا على نهر حسبت أنه قال أحمر مثل الدم واذا في النهر رجل يسبح (2) ثم يأتي ذلك الرجل الذي جمع الحجارة فيفغر له (3) فاه فيلقمه حجرا حجرا قال فينطلق فيسبح ما يسبح ثم يرجع إليه كلما رجع إليه فغر له فاه والقمه حجرا قال قلت ما هذا؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأتينا على رجل كريه المرآة (4) كأكره ما أنت راه رجلا مرآة فإذا هو عند نار له يحشها (5) ويسعى حولها قال قلت لهما ما هذا؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأتينا على روضة معشبة (6) فيها من كل نور الربيع قال وإذا بين ظهراني الروضة رجل قائم طويل لا اكاد ان أرى رأسه طولا في السماء واذا حول الرجل من أكثر ولدان رأيتهم قط وأحسنه قال قلت لهما ما هذا وما هؤلاء؟ قال فقالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فانتهينا إلى دوحة (7) عظيمة لم أر دوحة قط اعظم منها ولا أحسن فقالا لي ارق فيها (8) فارتقينا فيها فانتهينا إلى مدينة مبنية بلبن ذهب ولبن فضة (9) فأتينا باب المدينة فاستفتحنا ففتح لنا فدخلنا فلقينا فيها رجالا شطر (10) من خلقهم كأحسن ما أنت راه وشطر كأقبح ما انت راه قال فقالا لهم اذهبوا فقعوا في ذلك النهر فإذا نهر صغير معترض يجري كانما هو المحض (11) في البياض قال فذهبوا فوقعوا فيه ثم رجعوا الينا وقد ذهب ذلك السوء عنهم وصاروا في أحسن صورة قال فقالا لي هذه جنة عدن وهذاك منزلك قال فبينما بصري في صعدا (12) فإذا قصر مثل الربابة (13) البيضاء قالا لي هذاك منزلك قال قلت لهما بارك الله فيكما ذراني (14) فلأدخله قال قالا لي أما الآن فلا وأنت داخله (15) قال فإني رأيت منذ الليلة عجبا فما هذا الذي رأيت؟ قال قالا لي أما إنا سنخبرك (أما) الرجل الأول الذي أتيت عليه يثلغ رأسه بالحجر فإنه رجل يأخذ القرآن فيرفضه وينام عن الصلوات المكتوبة (وأما) الرجل الذي أتيت يشرشر شدقه إلى قفاه وعيناه إلى قفاه ومنخراه إلى قفاه فإنه الرجل يغدو من بيته فيكذب الكذبة تبلغ الآفاق (وأما) الرجال والنساء العراة الذين في بناء مثل بناء التنور فإنهم الزناة والزواني (وأما) الرجل الذي يسبح في النهر ويلقم الحجارة فإنه آكل الربا (وأما) الرجل الكريه المرآة الذي عند النار يحشها فإنه مالك خازن جهنم (وأما) الرجل الطويل الذي رأيت في الروضة غابة إبراهيم عليه السلام (وأما) الولدان الذين حوله فكل مولود مات على الفطرة؟ قال فقال بعض المسلمين يا رسول الله وأولاد المشركين؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وأولاد المشركين (وأما) القوم الذي كان شطر منهم حسنا وشطر منهم قبيح فإنهم خلطوا عملا صالحا وآخر سيئا فتجاوز الله عنهم قال أبو عبد الرحمن (1) قال أبي سمعت من عباد بن عباد يخبر به عن عوف عن أبي رجاء عن سمرة بن جندب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال فيتدهده الحجر ههنا قال أبي فجعلت اتعجب من فصاحة عباد (2) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى صلاة الغداة أقبل علينا بوجهه فقال هل رأى أحد منكم الليلة رؤيا؟ فإن كان أحد رأى تلك الليلة رؤيا تشعها عليه فيقول فيها ما شاء الله أن يقول فسألنا يوما فقال هل رأى أحد منكم الليلة رؤيا؟ فقلنا لا قال لكن أنا رأيت رجلين أتياني فأخذا بيدي فأخرجاني إلى أرض فضاء أو أرض مستوية فرا بي على رجل فذكر نحو الحديث المتقدم وفيه فانطلقت معهما فإذا بيت مبني على بناء التنور أعلاه ضيق وأسفله واسع يوقد تحته نار فإذا فيه رجال ونساء عراة فإذا أوقدت ارتفعوا حتى يكادوا أن يخرجوا فإذا خمدت رجعوا فيها (وفيه) فانطلقت فإذا نهر من دم فيه رجل وعلى شط النهر رجل بين يديه حجارة فيقبل الرجل الذي في النهر فإذا دنا ليخرج رمى في فيه حجرا فرجع إلى مكانه (وفيه) فانطلقت فإذا روضه خضراء فإذا فيها شجرة عظيمة وإذا شيخ في أصلها حوله صبيان وإذا رجل قريب منه بين يديه نار يحششها ويوقدها فصعدا بي في الشجرة فأدخلاني دار لم أر دارا أحسن منها فإذا فيها رجال شيوخ وشبان وفيها نساء وصبيان فأخرجاني منها فصعدا بي في الشجرة فأدخلاني دارا هي أحسن وأفضل منها فيها شيوخ وشباب (وفيه) وأما الدار التي دخلت أولا فدار عامة المؤمنين وأما الدار الأخرى فدار الشهداء وانا جبريل وهذا ميكائيل ثم قالا لي ارفع رأسك فرفعت رأسي فإذا هي كهيئة السحاب فقالا لي وتلك دارك فقلت لهما دعاني ادخل داري فقالا إنه قد بقي لك عمل لم تستكمله فلو استكملته دخلت دارك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৯. আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি রাতে অন্ধকার প্রকৌষ্ঠে কোন কঠিন পাথরের ভিতরে বসে সেখানে অপরাধ করে যার কোন দরজা জানালা নেই, তাহলেও সে অপরাধ মানুষের সামনে প্রকাশিত হবে।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن أبي سعيد الخدري (1) عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لو أن أحدكم يعمل (2) في صخرة سماء وليس لها باب ولا كوة (3) لخرج عمله للناس كائنا ما كان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
১০. আলী ইবন খালিদ (রা) থেকে বর্ণিত। আবূ আমামা আল-বাহেলী (র) একদা খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুয়াবীয়ার নিকট দিয়ে অতিক্রম কালে তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোমল কথা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, জেনে রাখ, তোমাদের প্রত্যেকে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে সে ব্যতিত যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য থেকে এমনভাবে বের হয়ে যায়, সেভাবে শক্তিশালী উট তার ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن علي بن خالد (4) أن أبا امامة الباهلي مر على خالد بن يزيد بن معاوية فسأله عن الين كلمة سمعها من رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ألا كلكم دخل الجنة الا من شرد على الله (5) شراد البعير (6) على أهله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
১১. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুর্ভাগা ব্যতিত কেউ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। তাকে বলা হলো, দুর্ভাগা কে? তিনি বললেন, যে আল্লাহর আনুগত্য করে না এবং আল্লাহর ভয়ে নাফরমানী পরিত্যাগ করে না।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن أبي هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخل النار الا شقي قيل ومن الشقي؟ قال الذي لا يعمل بطاعة ولا يترك لله معصية
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১২. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, চোর যখন চুরি করে, তখন সে মুমিন থাকে না; ব্যভিচারী যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। মদপানকারী যখন মদপান করে, তখন সে মুমিন থাকে না, গনিমতের মাল বণ্টন করার পূর্বে যে চুরি করে, সে মুমিন থাকে না। ছিনতাইকারী যখন ছিনতাই করে, তখন সে মুমিন থাকে না, আতা (রা) বলেন, যে কেউ এমন কিছু ছিনতাই করবে, যে জিনিসের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। বাহায বলেন, তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এরূপ স্বভাবের কারণে তার থেকে ঈমান উঠিয়ে নেয়া হয়। যদি সে উত্তমভাবে তাওবা করে, তবে আল্লাহ্ তার তাওবা কবুল করেন (আর তখন তার কাছে ঈমান ফিরে আসে)।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن أبي هريرة رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يسرق حين يسرق وهو مؤمن ولا يزنى حين يزني وهو مؤمن ولا يشرب الخمر حين يشربها وهو مؤمن ولا يغل حين يغل وهو مؤمن (10) ولا ينتهب حين ينتهب وهو مؤمن وقال عطاء ولا ينتهب نهبة ذات شرف (11) وهو مؤمن قال بهز فقيل له قال إنه ينتزع منه الايمان (12) فإن تاب تاب الله عليه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৩. আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কবীরা গুনাহসমূহের কথা উল্লেখ করেন, অথবা তাঁকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন; আল্লাহর সাথে শিরক করা, মানুষ খুন করা, পিতামাতাকে কষ্ট দেয়া। তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহের সংবাদ দেব? তিনি বললেন, তাহলো- মিথ্যা কথা বলা, অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। শায়বা (র) বলেন, আমার ধারণা তিনি মিথ্যা সাক্ষ্যর কথা বলেছেন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن أنس بن مالك (13) قال ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم الكبائر أو سئل عن الكبائر فقال الشرك بالله عز وجل وقتل النقس وعقوق الوالدين وقال ألا أنبئكم بأكبر الكبائر قال قول الزور أو قال شهادة الزور (1) قال شعبة أكبر ظني أنه قال شهادة الزور
হাদীস নং: ১৪
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৪. 'আবদুর রহমান ইবন আবু বাকরা (রা) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করবো না? এ কথাটা তিনি তিনবার বললেন। তাহলো আল্লাহর সাথে শিরক করা। বর্ণনাকারী বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট কবিরা গুনাহের উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন কবিরা গুনাহ হল আল্লাহর সাথে শরিক করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় কথাগুলো বললেন। এরপর সোজা হয়ে বসে বললেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। অথবা তিনি বললেন, মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া সবচেয়ে বড় গুনাহ। তিনি কথাগুলো বার বার বলছিলেন, এমন কি আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম, যদি তিনি থামতেন!
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن عبد الرحمن بن أبي بكرة عن أبيه (2) قال كنا جلوسا عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال ألا أنبئكم بأكبر الكبائر ثلاثا الاشراك بالله عز وجل قال وذكر الكبائر عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال الاشراك بالله عز وجل وعقوق الوالدين وكان متكئا فجلس وقال وشهادة الزور وشهادة الزور وشهادة الزور أو قول الزور وشهادة الزور (3) فما زال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكررها حتى قلنا ليته سكت
হাদীস নং: ১৫
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৫. 'আবদুল্লাহ ইবন উনাইস আল্ জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতাপিতার অবাধ্য হওয়া ও মিথ্যা শপথ করা, সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে জেনে শুনে দৃঢ়ভাবে মিথ্যা শপথ করে মাছির ডানার মত সামান্যতম জিনিসও গ্রহণ করেছে, তার এ মিথ্যা শপথের কারণে কিয়ামতের দিন তার অন্তরে আল্লাহ কাল দাগ সৃষ্টি করে দেবেন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن عبد الله ابن أنيس الجهني (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان من اكبر الكبائر الشرك بالله وعقوق الوالدين واليمين الغموس (6) وما حلف حالف بالله يمينا صبرا (7) فأدخل فيها مثل جناح بعوضة إلا جعله الله (1) نكتة في قلبه إلى يوم القيامة
হাদীস নং: ১৬
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৬. আবু আইয়ুব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে এবং তার সাথে কোন কিছু শরীক না করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, রমযানের রোজা রাখে, কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে, তার জন্য অবশ্যই জান্নাত। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলো, কবীরা গুনাহ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, কোন মুসলমানকে হত্যা করা এবং যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن أبي أيوب الانصاري (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من جاء يعبد الله لا يشرك به شيئا ويقيم الصلاة ويؤتي الزكاة ويصوم رمضان ويجتنب الكبائر فإن له الجنة وسألوه ما الكبائر؟ قال الاشراك بالله وقتل النفس المسلمة وفرار يوم الزحف
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৭. 'আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, কাউকে আল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বী বা শরীক সাব্যস্ত করা; কেননা তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন সে বললো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, তুমি এ কারণে তোমার সন্তানকে হত্যা করবে যে, সে খাদ্যে তোমার সাথে শরীক হবে। সে বললো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা, বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে এ কথার সত্যতা ঘোষণা করে নাযিল করেন,
"وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلهُ أَخَرَ"
الى قوله تعالى
"وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا".
“যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না”
এখান থেকে শুরু হয়ে নিম্নোক্ত আয়াত পর্যন্ত
“আর যারা এ কাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।”
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن عبد الله (3) قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال أي الذنب أكبر؟ قال أن تجعل لله ندا وهو خلقك قال ثم أي؟ قال ثم أن تقتل ولدك من أجل أن يطعم معك قال ثم أي؟ قال ثم أن تزاني بحليلة جارك قال فأنزل الله عز وجل تصديق ذلك في كتابه (والذين لا يدعون مع الله إله آخر) إلى قوله (ومن يفعل ذلك يلق أثاما)
হাদীস নং: ১৮
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৮. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, কবিরা গুনাহ হলো, আল্লাহর সাথে শিরক করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া শো'বা রাবীর সন্দেহ হলো যে, অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মানুষ হত্যা করা ও মিথ্যা শপথ করা।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن عبد الله بن عمرو (4) عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال الكبائر الاشراك بالله عز وجل وعقوق الوالدين أو قتل النفس شعبة الشاك واليمين الغموس
হাদীস নং: ১৯
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
১৯. সালামা ইবন কায়স আল-আশজায়ী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জের দিন বলেন, সাবধান কবিরা গুনাহ হলো চারটি: আল্লাহর সাথে কোন কিছু শিরক করা, আল্লাহর হারাম করা কোন প্রাণকে অকারণে বধ করা, ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া এবং চুরি করা। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শোনার পর থেকে আমি এগুলোর প্রতি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা পোষণ করি।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن سلمة بن قيس الأشجعي (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع الا انما هن أربع (6) أن لا تشركوا بالله شيئا ولا تقتلوا النفس التي حرم الله الا بالحق ولا تزنوا ولا تسرقوا قال فما أنا بأشح عليهن مني اذ سمعتهن من رسول الله صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কবিরা গুনাহ সংক্রান্ত স্বভাব থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীদের শাস্তি সম্পর্কে যা এসেছে
২০. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন ধোয়ায় পরিণত হবে, অশ্লীলতা থেকে তোমরা সাবধান থাক, কারণ আল্লাহ্ তা'আলা অশ্লীলতা পছন্দ করেন না, সুতরাং তোমরা অশ্লীল কথা বলো না। তোমরা কৃপণতা থেকে সাবধান থাকবে, কারণ কৃপণতার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদেরকে ধ্বংস করা হয়েছে, তাদেরকে পাপ কাজ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা পাপাচারে লিপ্ত হয়। তাদেরকে কৃপণতা না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, অথচ তারা কৃপণতা করে; তাদেরকে অশ্লীল কাজ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, অথচ তারা অশ্লীল কাজ করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! ইসলামে কোন জিনিস সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, তোমার হাত ও মুখের অনিষ্ঠ থেকে যেন অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
باب ما جاء في الترهيب من خصال من كبريات المعاصي مجتمعة ووعيد فاعلها
عن عبد الله بن عمرو بن العاص (7) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الظلم ظلمات يوم القيامة واياكم والفحش فإن الله لا يحب الفحش ولا التفحش واياكم والشح فإن الشح أهلك من كان قبلكم أمرهم بالقطيعة فقطعوا وأمرهم بالبخل فبخلوا وأمرهم بالفجور ففجروا قال فقام رجل فقال يا رسول أي الإسلام أفضل؟ قال إن يسلم المسلمون من لسانك ويدك الحديث