মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
৫. কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২৬৫
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(১) ইয়াযিদ ইবন্ হাইয়ান আত-তাইমী, (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হুসাইন ইবন্ সাবরাহ এবং উমর ইবন্ মুসলিম (তিনজন) যাইদ ইবন্ আরকাম (রা)-এর নিকট গমন করি। আমরা তাঁর কাছে বসার পরে হুসাইন তাঁকে বলে, হে যাইদ, আপনি অনেক কল্যাণ লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা শুনেছেন তা আমাদেরকে বলুন। তখন যাইদ ইবন্ আরকাম (রা) বলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র, আল্লাহর কসম! আমার বয়স বেড়ে গিয়েছে এবং দিনও ঘনিয়ে এসেছে। এজন্য আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা কিছু মুখস্থ করেছিলাম তার কিছু কিছু ভুলে গিয়েছি। অতএব, আমি যা তোমাদেরকে বলেছি তা গ্রহণ কর এবং (বিস্মৃতি বা দ্বিধার কারণে) যা বলছি না সে বিষয়ে তোমরা আমাকে চাপাচাপি করিও না ।
এরপর তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন মক্কা ও মিনার মধ্যবর্তী 'খুম্মা' নামক জলাশয়ের পাশে আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন । তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন । এরপর তিনি ওয়ায করলেন ও উপদেশ প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে মানুষেরা! তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোনো। আমি একজন মানুষ মাত্র। হয়ত শীঘ্রই আমার মহিমাময় মহাসম্মানিত প্রভুর দূত এসে পড়বেন এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। আমি তোমাদের মধ্যে দুইটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি আল্লাহর কিতাব, যার মধ্যে রয়েছে পথের দিশা ও আলো। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে গ্রহণ করবে এবং দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। অতঃপর তিনি আল্লাহর কিতাব সুদৃঢ়রূপে ধারণ ও পালন করতে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করেন। এরপর তিনি বললেন, এবং আমার পরিবার-পরিজন! আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি।, আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি, আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি।
তখন হুসাইন বলেনঃ হে যাইদ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজন কারা? তাঁর স্ত্রীগণ কি তাঁর পরিবার-পরিজন নন? উত্তরে যাইদ বলেন, তাঁর স্ত্রীগণও তাঁর পরিবার-পরিজন। তবে প্রকৃত অর্থে তাঁর পরিবার-পরিজন তাঁরাই তাঁর পরে যাঁদের জন্য সাদকা বা যাকাত গ্রহণ হারাম করা হয়েছে। হুসাইন বলেন, তাঁরা কারা? যাইদ বলেনঃ তাঁরা আলী, আকীল, জাফর ও আব্বাসের বংশধরগণ। হুসাইন বলেন, এঁদের সকলের জন্যই কি যাকাত গ্রহণ হারাম করা হয়েছে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ ।
এরপর তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন মক্কা ও মিনার মধ্যবর্তী 'খুম্মা' নামক জলাশয়ের পাশে আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন । তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন । এরপর তিনি ওয়ায করলেন ও উপদেশ প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে মানুষেরা! তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোনো। আমি একজন মানুষ মাত্র। হয়ত শীঘ্রই আমার মহিমাময় মহাসম্মানিত প্রভুর দূত এসে পড়বেন এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। আমি তোমাদের মধ্যে দুইটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি আল্লাহর কিতাব, যার মধ্যে রয়েছে পথের দিশা ও আলো। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে গ্রহণ করবে এবং দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। অতঃপর তিনি আল্লাহর কিতাব সুদৃঢ়রূপে ধারণ ও পালন করতে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করেন। এরপর তিনি বললেন, এবং আমার পরিবার-পরিজন! আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি।, আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি, আমি আমার পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি।
তখন হুসাইন বলেনঃ হে যাইদ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজন কারা? তাঁর স্ত্রীগণ কি তাঁর পরিবার-পরিজন নন? উত্তরে যাইদ বলেন, তাঁর স্ত্রীগণও তাঁর পরিবার-পরিজন। তবে প্রকৃত অর্থে তাঁর পরিবার-পরিজন তাঁরাই তাঁর পরে যাঁদের জন্য সাদকা বা যাকাত গ্রহণ হারাম করা হয়েছে। হুসাইন বলেন, তাঁরা কারা? যাইদ বলেনঃ তাঁরা আলী, আকীল, জাফর ও আব্বাসের বংশধরগণ। হুসাইন বলেন, এঁদের সকলের জন্যই কি যাকাত গ্রহণ হারাম করা হয়েছে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ ।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(1) عن يزيد بن حيان التيمي قال انطلقت أنا وحصين بن سبرة وعمر ابن مسلم إلى زيد بن أرقم (رضي الله عنه) فلما جلسنا إليه قال له حصين لقد لقيت يا زيد خيرا كثيرا، رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وسمعت حديثه وغزوت معه وصليت معه، لقد رأيت يا زيد خيرا كثيرا، حدثنا يا زيد ما سمعت من سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا ابن أخي والله لقد كبرت سنى وقدم عهدي ونسيت بعض الذي كنت أعي من رسول الله صلى الله عليه وسلم فما حدثتكم فاقبلوه وما لا فلا تكلفونه، ثم قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما خطيبا فينا بماء يدعى خما (1) يعني بين مكة والمدينة فحمد الله تعالى وأثنى عليه ووعظ وذكر ثم قال أما بعد ألا أيها الناس، إنما أنا بشر يوشك أن يأتيني رسول ربي عز وجل فأجيب، وإني تارك فيكم ثقلين (2) أولهما كتاب الله عز وجل فيه الهدى والنور فخذوا بكتاب الله تعالى واستمسكوا به، فحث على كتاب الله ورغب فيه، قال وأهل بيتي، أذكركم الله في أهل بيتي، أذكركم الله في أهل بيتي، أذكركم الله في أهل بيتي، فقال له حصين ومن أهل بيته يا زيد أليس نساؤه من أهل بيته
قال إن نساءه من أهل بيته ولكن أهل بيته من حرم الصدقة بعده، قال ومن هم؟ قال آل علي وآل عقيل وآل جعفر وآل عباس، قال أكل هؤلاء حرم الصدقة؟ قال نعم.
قال إن نساءه من أهل بيته ولكن أهل بيته من حرم الصدقة بعده، قال ومن هم؟ قال آل علي وآل عقيل وآل جعفر وآل عباس، قال أكل هؤلاء حرم الصدقة؟ قال نعم.
তাহকীক:
হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ১১১০৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(২) আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি, যে দুইটির একটি আরেকটির চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর গ্রন্থ (কুরআন), যা আকাশ থেকে যমিন পর্যন্ত বিস্তৃত আল্লাহর রশি এবং আমার নিকটতম পরিজন, আমার বাড়ির মানুষ। আমার হাউযে (কাওসারে) ফিরে যাওয়া পর্যন্ত এই দুইটি জিনিস কখনই পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(2) عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إني تارك فيكم الثقلين أحدهما أكبر من الآخر كتاب الله حبل ممدود (1) من السماء إلى الأرض وعترتي أهل بيتي وأنهما (2) لن بفترقا حتى يردا على الحوض.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(৩) আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, জিবরাঈল (আ) আমার নিকট আগমন করেন এবং বলেন, হে মুহাম্মাদ, আপনার উম্মত আপনার পরে মতবিরোধ করবে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল, এ মতভেদ থেকে বাঁচার উপায় কি? তিনি উত্তরে বলেন, মহান আল্লাহর গ্রন্থ। গ্রন্থ দিয়েই আল্লাহ সকল প্রতাপশালীর প্রতাপ চূর্ণ করেন। যে গ্রন্থকে সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরবে সে মুক্তি লাভ করবে এবং যে একে পরিত্যাগ করবে সে ধ্বংসগ্রস্ত হবে। তিনি দু'বার এ বাক্যটি বলেন। এ গ্রন্থটি চূড়ান্ত মীমাংসাকারী বাণী সম্বলিত, যা নিরর্থক নয়। জিহ্বা যাকে সৃষ্টি করতে পারে না এবং যার অত্যাশ্চর্য বিষয়াদি কখনো শেষ হবে না । এ গ্রন্থের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সংবাদ, তোমাদের মধ্যকার সকল মীমাংসার উপায়-উপকরণ, এবং তোমাদের পরে যা সংঘটিত হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(3) عن علي رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول أتاني جبريل
عليه السلام فقال يا محمد إن أمتك مختلفة بعدك قال فقلت له فأين المخرج يا جبريل قال فقال كتاب الله تعالى به يقصم الله كل جبار، من اعتصم به نجا، ومن تركه هلك مرتين، قوله فصل وليس بالهزل لا تختلقه الألسن ولا تفنى أعاجيبه، فيه نبأ ما كان قبلكم وفصل ما بينكم وخبر ما هو كائن بعدكم
عليه السلام فقال يا محمد إن أمتك مختلفة بعدك قال فقلت له فأين المخرج يا جبريل قال فقال كتاب الله تعالى به يقصم الله كل جبار، من اعتصم به نجا، ومن تركه هلك مرتين، قوله فصل وليس بالهزل لا تختلقه الألسن ولا تفنى أعاجيبه، فيه نبأ ما كان قبلكم وفصل ما بينكم وخبر ما هو كائن بعدكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৯৯৮
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(৪) ইমরান ইবন্ হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সুন্নতসমূহের প্রচলন করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা আমাদের (সাহাবীগণের) অনুসরণ কর। আল্লাহর কসম! তোমরা যদি তা না কর তাহলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে।
[টীকাঃ অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহর অনুধাবন ও পালনের ক্ষেত্রে সাহাবীগণই আদর্শ। ইসলামের বিষয়ে তাঁদের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণই মুক্তির নিশ্চয়তা দান করে। তাঁদের পথ থেকে বিচ্যুতি বিভ্রান্তির কারণ। হাদীসটি ইমাম আহমদ ছাড়া কেউ সংকলন করেন নি। হাদীসটির সনদে দুর্বলতা আছে ।]
[টীকাঃ অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহর অনুধাবন ও পালনের ক্ষেত্রে সাহাবীগণই আদর্শ। ইসলামের বিষয়ে তাঁদের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণই মুক্তির নিশ্চয়তা দান করে। তাঁদের পথ থেকে বিচ্যুতি বিভ্রান্তির কারণ। হাদীসটি ইমাম আহমদ ছাড়া কেউ সংকলন করেন নি। হাদীসটির সনদে দুর্বলতা আছে ।]
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(4) عن عمران بن حصين رضي الله عنه قال نزل القرآن وسن رسول الله صلى الله عليه وسلم السنن ثم قال اتبعونا فوالله إن لم تفعلوا تضلوا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(৫) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর নিকট বসে ছিলাম তখন তিনি এভাবে তাঁর সামনে একটি সরল রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এটি মহিমাময় পরাক্রমশালী আল্লাহর পথ। তিনি সেই রেখার ডানে দুইটি রেখা ও বামে দুইটি রেখা আঁকলেন। তিনি বললেন, এগুলো শয়তানের পথ । এরপর তিনি মাঝের সরল রেখার ওপর নিজের হাত রাখলেন এবং কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন, “এবং এই পথই আমার সরল পথ, সুতরাং এরই অনুসরণ করবে এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এইভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।” (সূরা-৬ আন'আমঃ আয়াত ১৫৩)।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(5) عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال كنا جلوسا عند الله صلى الله عليه وسلم فخط خطا هكذا أمامه فقال هذا سبيل الله عز وجل وخطين عن يمينه وخطين شماله قال هذه سبيل الشيطان ثم وضع يده في الخط الأوسط ثم تلا هذه الآية (وأن هذا صراطي مستقيما فاتبعوه ولا تتبعوا السبل فتفرق بكم عن سبيله ذلكم وصالكم به لعلكم تتقون)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৩০
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(১) পরিচ্ছেদঃ মহিমাময় পরাক্রান্ত আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ় ও পরিপূর্ণরূপে মান্য করা
(৬) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, সকল যুগেই কিছু মানুষ এই দীনের সত্য ও সঠিক মতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন। তাঁদের বিরোধীদের বিরোধিতা তাদের কোনো ক্ষতি করবে না। এভাবেই তাঁদের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা অবস্থাতেই আল্লাহর নির্দেশ বা কিয়ামত উপস্থিত হবে। [উম্মতের মধ্যে সঠিক মতের অনুসারী একটি দল সকল যুগেই থাকবেন।)
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(1) باب في الاعتصام بكتاب الله عز وجل
(6) عن أبي هريرة رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لن يزال
على هذا الأمر عصابة (1) على الحق لا يضرهم خلاف من خالفهم حتى يأتيهم أمر الله عز وجل وهم على ذلك.
على هذا الأمر عصابة (1) على الحق لا يضرهم خلاف من خالفهم حتى يأتيهم أمر الله عز وجل وهم على ذلك.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৪৫ - ১
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(৭) খালিদ ইবন্ মা'দান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবন্ আমর আস-সুলামী ও হুজর ইবন হুজর দু'জনে আমাদেরকে বলেছেনঃ আমরা সাহাবী 'ইরবায ইবন সারিয়া (রা)-এর নিকট গমন করি । তিনি সে সকল সাহাবীগণের মধ্যে ছিলেন যাঁদের সম্পর্কে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছিল, “তাদেরও কোনো অপরাধ নেই যারা আপনার নিকট বাহনের জন্য আসলে আপনি বলেছিলেন, 'তোমাদের জন্য কোনো বাহন আমি পাচ্ছি না'; (তারা অর্থব্যয়ে অসামর্থ্যজনিত দুঃখে অশ্রুবিগলিত নয়নে ফিরে গেল)।” (সূরা তাওবাঃ আয়াতঃ ৯২)। আমরা তাঁকে সালাম করে বললাম, আমরা বাড়িতে আপনার অসুস্থতার খোঁজ নিতে এবং আপনার নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করার জন্য আগমন করেছি। তখন ইরবায (রা) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় নসীহত করেন। যে ওয়ায শুনে (শ্রোতাদের) চক্ষুসমূহ অশ্রুশিক্ত হয়ে যায় এবং হৃদয়গুলো ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়ে। তখন এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার এই ওয়ায যেন বিদায়ী ওয়ায । তাহলে আপনি আমাদেরকে কি দায়িত্ব প্রদান করছেন? তিনি বলেন, আমি তোমাদের ওসীয়ত করছি, আল্লাহকে ভয় করতে বা তাকওয়া অবলম্বন করতে ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের আনুগত্য করতে, যদিও সেই প্রশাসক হাবশী হয়। আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা আমার পরেও বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। কাজেই তোমরা আমার সুন্নত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে সুদৃঢ়রূপে অনুসরণ করবে। তোমরা তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। খবরদার! তোমরা নব-উদ্ভাবিত বিষয়াবলী থেকে আত্মরক্ষা করবে। কারণ প্রত্যেক নব-উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আতই পথভ্রষ্টতা।
(অন্য এক বর্ণনায়ও ইরবায (রা) অনুরূপ বিবরণ দিয়েছেন।) এই বর্ণনায় তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার এই বক্তব্য একজন বিদায়ীর বক্তব্যের মত। তাহলে আপনি আমাদেরকে (দায়িত্ব হিসাবে কি নির্দেশ প্রদান করছেন? তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে ধবধবে সাদা পরিষ্কার রাজপথের উপর রেখে যাচ্ছি। যে পথের রাতও দিনের মত আলোকিত। এই পথ থেকে যে এদিক সেদিক সরে যাবে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরেও বেঁচে থাকবে তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। … কাজেই তোমরা আমার যে সুন্নত ও রীতি জান সেই সুন্নতকে সুদৃঢ়রূপে পালন করবে... দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে; কারণ মু'মিন ব্যক্তি একান্ত অনুগত ও বাধ্যগত উটের মত, যেভাবে যেদিকে তাকে টেনে নেয়া হয় সেদিকেই সে চলে।
(অর্থাৎ মু'মিনের নিজস্ব কোনো মত নেই। অনুগত উট যেমন নিজের অসুবিধা বা কষ্ট বিবেচনা না করে মালিকের নির্দেশনা মত চলতে থাকে, মু'মিনেরও দায়িত্ব হলো তেমনি নিজের পছন্দ-অপছন্দ বা সুবিধা-অসুবিধার তোয়াক্কা না করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত বা রীতির হুবহু অনুকরণ করতে থাকা।)
(অন্য এক বর্ণনায়ও ইরবায (রা) অনুরূপ বিবরণ দিয়েছেন।) এই বর্ণনায় তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার এই বক্তব্য একজন বিদায়ীর বক্তব্যের মত। তাহলে আপনি আমাদেরকে (দায়িত্ব হিসাবে কি নির্দেশ প্রদান করছেন? তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে ধবধবে সাদা পরিষ্কার রাজপথের উপর রেখে যাচ্ছি। যে পথের রাতও দিনের মত আলোকিত। এই পথ থেকে যে এদিক সেদিক সরে যাবে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরেও বেঁচে থাকবে তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। … কাজেই তোমরা আমার যে সুন্নত ও রীতি জান সেই সুন্নতকে সুদৃঢ়রূপে পালন করবে... দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে; কারণ মু'মিন ব্যক্তি একান্ত অনুগত ও বাধ্যগত উটের মত, যেভাবে যেদিকে তাকে টেনে নেয়া হয় সেদিকেই সে চলে।
(অর্থাৎ মু'মিনের নিজস্ব কোনো মত নেই। অনুগত উট যেমন নিজের অসুবিধা বা কষ্ট বিবেচনা না করে মালিকের নির্দেশনা মত চলতে থাকে, মু'মিনেরও দায়িত্ব হলো তেমনি নিজের পছন্দ-অপছন্দ বা সুবিধা-অসুবিধার তোয়াক্কা না করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত বা রীতির হুবহু অনুকরণ করতে থাকা।)
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(7) عن خالد بن معدان قال حدثنا عبد الرحمن بن عمرو السلمي وحجر (2) بن حجر الكلاعي قال أتينا العرباض بن سارية (رضي الله عنه) وهو ممن نزل فيه (ولا على الذين إذا ما أتوك لتحملهم قلت لا أجد ما أحملكم عليه) فسلمنا وقلنا أتيناك زائرين وعائدين ومقتبسين، فقال عرباض صلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم الصبح ذات يوم ثم أقبل علينا فوعظنا موعظة بليغة ذرفت (3) منها العيون ووجلت منها القلوب، فقال قائل يا رسول الله كأن هذه موعظة مودع فماذا تعهد إلينا فقال أوصيكم بتقوى الله والسمع والطاعة وإن كان حبشيا فإنه من يعش منكم بعدي فسيرى أختلافا كثيرا فعليكم
-
بسنتي وسنة الخلفاء (1) الراشدين المهديين فتمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ وإياكم ومحدثات (2) الأمور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة
(وعنه من طريق آخر بنحوه) (3) وفيه قلنا يا رسول الله إن هذه لموعظة مودع فماذا تعهد إلينا قال قد تركتكم على البيضاء (4) ليلها كنهارها لا يزيغ عنها بعدي إلا هالك ومن يعش منكم (فذكر نحو ما تقدم وفيه) فعليكم
-
بما عرفتم من سنتي (وفيه أيضا) عضوا عليها بالنواجذ فإنما المؤمن كالجمل الأنف (1) حيثما انقيد انقاد
-
بسنتي وسنة الخلفاء (1) الراشدين المهديين فتمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ وإياكم ومحدثات (2) الأمور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة
(وعنه من طريق آخر بنحوه) (3) وفيه قلنا يا رسول الله إن هذه لموعظة مودع فماذا تعهد إلينا قال قد تركتكم على البيضاء (4) ليلها كنهارها لا يزيغ عنها بعدي إلا هالك ومن يعش منكم (فذكر نحو ما تقدم وفيه) فعليكم
-
بما عرفتم من سنتي (وفيه أيضا) عضوا عليها بالنواجذ فإنما المؤمن كالجمل الأنف (1) حيثما انقيد انقاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৯
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(৮) আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “আমার আগে যে কোনো উম্মতের মধ্যে যখনই আল্লাহ কোন নবী প্রেরণ করেছেন তখনই তাঁর উম্মতের মধ্যে তাঁর কিছু একান্ত আপন সাহায্যকারী সহচর ও সঙ্গী ছিলেন। যাঁরা তাঁর সুন্নত আঁকড়ে ধরে ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশ মেনে চলেন । অতঃপর তাঁদের পরে উম্মতের মধ্যে এমন কিছু খারাপ মানুষের উদ্ভব ঘটে, যারা যা বলে তা করে না, আর এমন কাজ করে যা করতে তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয় নি।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(8) عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما من نبي بعثه الله عز وجل في أمة قبلي إلا كان له من أمته حواريون (2) وأصحاب يأخذون بسنته ويقتدون بأمره ثم إنها تخلف من بعدهم خلوف (3) يقولون ما لا يفعلون ويفعلون ما لا يؤمرون.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭০
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(৯) মুজাহিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সফরে ইবন উমর (রা)-এর সঙ্গী ছিলাম। তিনি এক স্থানে পথ থেকে একটু সরে ঘুরে গেলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলোঃ আপনি এমন করলেন কেন? তিনি বললেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ করতে দেখেছি, তাই আমিও এরূপ করলাম।”
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(9) عن مجاهد قال كنا مع ابن عمر (رضي الله عنهما) في سفر فمر
-
بمكان فحاد عنه فسئل لم فعلت فقال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فعل هذا ففعلت.
-
بمكان فحاد عنه فسئل لم فعلت فقال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فعل هذا ففعلت.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৯৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(১০) হাসান ইবন জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি মিকদাম ইবন্ মা'দিকারিব (রা)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাইবার যুদ্ধের সময়ে অনেক জিনিস হারাম বলে ঘোষণা করেন। এরপর বলেন, অচিরেই এমন হতে পারে যে, তোমাদের কেউ হয়ত তার আসনে আয়েশ করে বসে আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে। তাকে আমার হাদীস শোনানো হবে কিন্তু সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহর গ্রন্থ কুরআন রয়েছে। কুরআনে আমরা যা হালাল হিসাবে দেখতে পাব, তাকে হালাল বলে মানব এবং কুরআনে যা হারাম হিসাবে দেখতে পাব তাকে হারাম হিসাবে গ্রহণ করব। তোমরা মনোযোগ সহকারে জেনে রাখ! আল্লাহর রাসূল যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারই মত।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(10) عن الحسن بن جابر قال سمعت المقدام بن معد يكرب (رضي الله عنه) يقول حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم خيبر أشياء ثم قال يوشك (1) أحدكم أن يكذبني وهو متكيء وعلى أريكته (2) يحدث بحديثي فيقول بيننا وبينكم كتاب الله فما وجدنا فيه من حلال استحللناه وما وجدنا فيه من حرام حرمناه؛ ألا وإن ما حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم مثل ما حرم الله.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৭৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(১১) মিকদাদ ইবন মা'দিকারিব (রা) থেকে আরও বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা মনোযোগ সহকারে জেনে রাখ! নিশ্চয় আমাকে কুরআন দেওয়া হয়েছে এবং তার সাথে অনুরূপ বিধান (হাদীস) প্রদান করা হয়েছে। সাবধান! অচিরেই এমন হতে পারে যে, কোনো মানুষ ভরপেটে পরিতৃপ্ত হয়ে তার আসনে আয়েশ করে বসে বলবে, তোমরা কুরআন অবলম্বন করে চলবে। তাতে (কুরআনে) যা হালাল বলা হয়েছে তাকে হালাল বলে মানবে এবং যা হারাম বলা হয়েছে তাকে হারাম বলে মানবে। তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর! তোমাদের জন্য গৃহপালিত গাধার গোশত হালাল নয়। অনুরূপভাবে দাঁত দিয়ে শিকারকারী (মাংশাসী) হিংস কোনো জীবজন্তু তোমাদের জন্য হালাল নয় । সাবধান, কোনো অমুসলিম নাগরিকের ফেলে যাওয়া বা পড়ে পাওয়া দ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল নয়, তবে যদি সেই দ্রব্যের মালিক তা ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রয়োজনীয় হিসাবে ফেলে দেয় (তাহলে তা গ্রহণ করা হালাল হবে)। যদি কোনো পথচারী কাফেলা কোনো জনপদে অবতরণ করে তাহলে তাদের (পথচারীদের) আতিথেয়তা করা এলাকাবাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক। যদি তারা তাদের মেহমানদারী না করে তাহলে তাদের জন্য জোরপূর্বক তাদের থেকে মেহমানদারীর পরিমাণ খাদ্য আদায় করে নেয়া বৈধ।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(11) وعنه أيضا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألا إني أوتيت الكتاب ومثله معه (3) ألا يوشك رجل ينثني شبعان على أريكته يقول عليكم بالقرآن
فما وجدتم فيه من حلال فأحلوه، وما وجدتم فيه من حرام فحرموه، ألا لا يحل لكم لحم الحمار الأهلي ولا كل ذي ناب من السباع، ألا ولا لقظة من مال معاهد إلا أن يستغني صاحبها (1)، ومن نزل بقوم فعليهم (2) أن يقروه فإن لم يقروهم فعليهم أن يعقبوهم بمثل قراهم.
فما وجدتم فيه من حلال فأحلوه، وما وجدتم فيه من حرام فحرموه، ألا لا يحل لكم لحم الحمار الأهلي ولا كل ذي ناب من السباع، ألا ولا لقظة من مال معاهد إلا أن يستغني صاحبها (1)، ومن نزل بقوم فعليهم (2) أن يقروه فإن لم يقروهم فعليهم أن يعقبوهم بمثل قراهم.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৬১
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(১২) আবূ রাফি' (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি জানি, তোমাদের কারো কাছে হয়ত আমার কিছু হাদীস পৌঁছাবে, সে তখন তার আসনে আয়েশ করে বসে থাকবে এবং বলবেঃ এ কথাতো আমি আল্লাহর গ্রন্থে পাচ্ছি না।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(12) عن أبي رافع عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لأعرفن ما يبلغ أحدكم من حديثي شيء وهو متكيء على أريكته فيقول ما أجد هذا في كتاب الله.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮০১
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত সুদৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর রীতিনীতির অনুকরণ করা প্রসঙ্গে
(১৩) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি জানি, তোমাদের কেউ হয়ত তার আসনে আয়েশ করে বসে থাকবে, এমতাবস্থায় তার কাছে আমার একটি হাদীস পৌঁছাবে, তখন সে বলবেঃ 'তোমরা আমাকে কুরআন পড়ে শোনাও।” আমার পক্ষ থেকে যদি কোনো কল্যাণকর বক্তব্য তোমাদের কাছে পৌঁছে তাহলে আমি তা বলি অথবা না বলি, আমি তা বলছি বলে মনে করতে হবে। আর আমার পক্ষ থেকে যদি কোনো অকল্যাণকর বক্তব্য তোমাদের নিকট পৌঁছে তাহলে মনে করতে হবে যে, আমি অকল্যাণ কর কিছু বলি না।*
*হাদীসটির শিক্ষা হলো, বিশুদ্ধ ও নিশ্চিতরূপে আমার কোনো কথা তোমাদের কাছে পৌঁছানোর পরেও তোমরা তার অর্থ ও ভাবগত দিক বিবেচনা করবে। দীর্ঘদিন আমার সাহচর্যের ফলে তোমরা আমার কথার ভাষা ও অর্থ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেছ।
*হাদীসটির শিক্ষা হলো, বিশুদ্ধ ও নিশ্চিতরূপে আমার কোনো কথা তোমাদের কাছে পৌঁছানোর পরেও তোমরা তার অর্থ ও ভাবগত দিক বিবেচনা করবে। দীর্ঘদিন আমার সাহচর্যের ফলে তোমরা আমার কথার ভাষা ও অর্থ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেছ।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(2) باب في الاعتصام بسنته صلى الله عليه وآله وسلم والاهتداء بهديه
(13) عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لأعرفن
أحدا منكم أتاه عني حديث وهو متكيء في أريكته فيقول اتلوا على بابه قرآنا، ما جاءكم عني من خير قلته أو لم أقله فأنا أقوله وما أتاكم من شر فأنا لا أقول الشر.
أحدا منكم أتاه عني حديث وهو متكيء في أريكته فيقول اتلوا على بابه قرآنا، ما جاءكم عني من خير قلته أو لم أقله فأنا أقوله وما أتاكم من شر فأنا لا أقول الشر.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৩৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(৩) পরিচ্ছেদঃ দীনের মধ্যে বিদ'আত সৃষ্টি সম্পর্কে সাবধান বাণী এবং বিভ্রান্তির দিকে আহ্বানের পাপ প্রসঙ্গে
(১৪) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন। তাতে তিনি আল্লাহ যেরূপ প্রশংসা ও গুণ বর্ণনার যোগ্য সেরূপ প্রশংসা এবং গুণ বর্ণনা করেন। এরপর তিনি বলেন, অতঃপর, সত্যতম কথা হল, আল্লাহর গ্রন্থ এবং শ্রেষ্ঠতম আদর্শ হল মুহাম্মাদের (ﷺ) আদর্শ। আর নিকৃষ্টতম বিষয় হল নব-উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ বা বিদ'আত। আর সকল বিদ'আত হল পথভ্রষ্টতা ।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(3) باب في التحذير من الابتداع في الدين وإثم من دعا إلى ضلالة
(14) عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله وأثنى عليه بما هو أهله ثم قال أما بعد فإن أصدق الحديث كتاب الله وإن أفضل الهدي هدي محمد صلى الله عليه وسلم وشر الأمور محدثاتها (1) وكل بدعة ضلالة.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৫৬
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(৩) পরিচ্ছেদঃ দীনের মধ্যে বিদ'আত সৃষ্টি সম্পর্কে সাবধান বাণী এবং বিভ্রান্তির দিকে আহ্বানের পাপ প্রসঙ্গে
(১৫) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কোনো বিভ্রান্ত সুন্নতের (রীতির) প্রচলন করে এবং সেই রীতি অন্য মানুষেরা অনুসরণ করে, তাহলে ঐসকল অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ ঐ ব্যক্তিও লাভ করবে এবং এতে অনুসারীদের পাপের পরিমাণে কোনো কমতি হবে না । আর যে ব্যক্তি কোনো হিদায়াতমূলক সুন্নতের (রীতির) প্রচলন করে এবং সেই রীতি অন্য মানুষেরা অনুসরণ করে, তাহলে এ ব্যক্তি সকল অনুসারীর সাওয়াবের সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তবে এতে অনুসারীদের সাওয়াবের কোনো কমতি হবে না।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(3) باب في التحذير من الابتداع في الدين وإثم من دعا إلى ضلالة
(15) عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن سنة ضلال فاتبع عليها كان مثل أوزارهم من غير أن ينقص من أوزارهم شيء ومن سن سنة هدي فاتبيع عليها كان له مثل أجورهم من غير أن ينقص من أجورهم شيء.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৭০
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(৩) পরিচ্ছেদঃ দীনের মধ্যে বিদ'আত সৃষ্টি সম্পর্কে সাবধান বাণী এবং বিভ্রান্তির দিকে আহ্বানের পাপ প্রসঙ্গে
(১৬) গুদাইফ ইবনুল হারিস আছ-ছুমালী (রা.) বলেন, (উমাইয়া খলীফা) আব্দুল মালিক ইবন্ মারওয়ান আমার কাছে দূত প্রেরণ করে ডেকে পাঠান এবং বলেন যে, হে আবূ আসমা, আমরা দুইটি বিষয়ের ওপর মানুষদেরকে সমবেত করেছি (এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা চাচ্ছি)। গুদাইফ (রা) বললেন, বিষয় দুইটি কী কী? খলীফা আব্দুল মালিক বললেন, বিষয় দুইটি হলোঃ (১) শুক্রবারের দিন (জুম'আর খুতবার মধ্যে) মিম্বরে ইমামের খুৎবা প্রদানের সময় হাত তুলে দোয়া করা, এবং (২) ফজর এবং আসরের নামাযের পরে গল্প কাহিনীর মাধ্যমে ওয়ায করা। তখন গুদাইফ বললেন, নিঃসন্দেহে এ দুইটি বিষয় আমার মতে আপনাদের বিদ'আতগুলোর থেকে ভালো বিদ'আত তবে আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব না। কেননা রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন কেউ এ ধরনের বিদ'আতের উদ্ভাবন ঘটায় তখনই সেই পরিমাণ সুন্নত তাদের মধ্য থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়। কাজেই একটি সুন্নত আঁকড়ে ধরে থাকা একটি বিদ'আত উদ্ভাবন করার থেকে উত্তম।”
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(3) باب في التحذير من الابتداع في الدين وإثم من دعا إلى ضلالة
(16) عن حبيب بن عبيد الرحبي (1) عن غضيف بن الحرث الثمالي رضي الله عنه قال بعث إلي عبد الملك بن مروان فقال يا أبا أسماء أنا قد أجمعنا الناس على أمرين قال وما هما؟ قال رفع الأيدي على المنابر يوم الجمعة (2) والقصص (3) بعد الصبح والعصر فقال أما إنهما أمثل (4) بدعتكم عندي ولست مجيبك إلى شيء منهما قال لم؟ قال لأن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما أحدث قوم بدعة إلا رفع مثلها من السنة، فتمسك بسنة، خير من أحداث بدعة.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১২৮
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
(৩) পরিচ্ছেদঃ দীনের মধ্যে বিদ'আত সৃষ্টি সম্পর্কে সাবধান বাণী এবং বিভ্রান্তির দিকে আহ্বানের পাপ প্রসঙ্গে
(১৭) সা'দ ইবন্ ইবরাহীম (মৃত্যুঃ ১২৫ হি) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তার তিনটি বাড়ির প্রত্যেক বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ এক ব্যক্তিকে (ওসীয়ত করে) প্রদান করেন । আমি এ বিষয়ে প্রখ্যাত তাবেয়ী মুহাদ্দিস ও ফকীহ কাসিম ইবন্ মুহাম্মাদ (ইবন্ আবূ বকর সিদ্দীক (মৃ ১০৬ হি)-কে জিজ্ঞাসা করি । তিনি বলেন, তিনটি বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ একস্থানে একত্রিত কর । কারণ আমি আয়িশা (রা)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কোনো ব্যক্তি আমাদের কার্যক্রমের বাইরে কোনো কর্ম করে তাহলে তার কর্ম প্রত্যাখ্যাত । (অন্য বর্ণনায় আছে, তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত।)
[এ ব্যক্তি এমন পদ্ধতিতে ওসীয়ত করেছে যে পদ্ধতিতে ওসীয়ত করা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমাজে প্রচলিত ছিল না। ওসীয়ত করতে হলে মূল সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হিসাবে একটি বাড়ি ওসীয়ত করাই ছিল রীতি। কাজেই তার ওসীয়তের নতুন পদ্ধতি বাতিল হবে এবং মূল ওসীয়ত গৃহীত হবে। যার জন্য ওসীয়ত করা হয়েছে সে একটি বাড়ি পাবে এবং অন্য ওয়ারিসগণ অন্যান্য বাড়ি পাবে।)
[এ ব্যক্তি এমন পদ্ধতিতে ওসীয়ত করেছে যে পদ্ধতিতে ওসীয়ত করা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমাজে প্রচলিত ছিল না। ওসীয়ত করতে হলে মূল সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হিসাবে একটি বাড়ি ওসীয়ত করাই ছিল রীতি। কাজেই তার ওসীয়তের নতুন পদ্ধতি বাতিল হবে এবং মূল ওসীয়ত গৃহীত হবে। যার জন্য ওসীয়ত করা হয়েছে সে একটি বাড়ি পাবে এবং অন্য ওয়ারিসগণ অন্যান্য বাড়ি পাবে।)
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
(3) باب في التحذير من الابتداع في الدين وإثم من دعا إلى ضلالة
(17) عن سعد بن إبراهيم أن رجلا أوصى في مساكن له بثلث كل مسكن لإنسان فسألت القاسم بن محمد فقال اجمع ثلاثة في مكان واحد فإني سمعت عائشة (رضبي الله عنها) تقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من عمل عملا ليس عليه أمرنا (1) فأمره رد (وفي رواية فهو رد)
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০৪৯৪
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
অনুচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর পর দীনি বিষয়ে পরিবর্তন বা নব-উদ্ভাবনের শাস্তি প্রসঙ্গে
(১৮) আবূ বাকরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার সাহচর্য লাভ করেছে এবং আমাকে দেখেছে এমন কিছু মানুষ হাউযে (কাউসারে) আমার কাছে আগমন করবে। যখন তাদেরকে আমার কাছে উঠানো হবে এবং আমি তাদের দেখতে পাব তখন আবার তাদেরকে আমার নিকট থেকে হটিয়ে দেয়া হবে । তখন আমি বলব, হে প্রভু! ওরা আমার সাথী! তখন বলা হবে, আপনার পরে এরা কী নব উদ্ভাবন করেছিল তা আপনি জানেন না।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
فصل منه في وعيد من بدل أو أحدث بعد النبي صلى الله عليه وآله وسلم
(18) عن أبي بكرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليردن على الحوض رجال ممن صحبني ورآني حتى إذا رفعوا إلى ورأيتهم اختلجوا (2) دوني فلأقولن رب أصحابي فيقاتل أنك لا تدري ما أحدثوا بعدك.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮২২
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
অনুচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর পর দীনি বিষয়ে পরিবর্তন বা নব-উদ্ভাবনের শাস্তি প্রসঙ্গে
(১৯) আবূ হাযিম (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (সাহাবী) সাহল ইবন সা'দ আস-সাঈদী (রা)-কে বলতে শুনেছি; আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আমি তোমাদের অগ্রগামী হিসাবে (হাউযে কাউসারে) অপেক্ষা করব। যে ব্যক্তি হাউযে উপস্থিত হবে সে পান করবে। আর যে পান করবে সে এরপর আর কখনো পিপাসার্ত হবে না। অনেক মানুষ (হাউযে) আমার নিকট আগমন করবে। আমি তাদেরকে চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনবে। এরপর আমার ও তাদের মধ্যে আড়াল সৃষ্টি করে দেয়া হবে। আবু হাযিম বলেন, আমি যখন এই হাদীস বলছিলাম তখন নু'মান ইবন্ আবি আইয়াশ তা শুনতে পান। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেনঃ আপনি কি এভাবেই সাহল (রা)-কে বলতে শুনেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আমি আবূ সাঈদ খুদরী (রা)-কে আরেকটু বেশী বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলবেন, এরা তো আমার উম্মত। তখন তাঁকে বলা হবে, আপনার পরে এরা কি কর্ম করেছিল তা আপনি জানেন না। তখন আমি বলব, দূর হয়ে যাক! দূর হয়ে যাক!! যারা আমার পরে (দীনে) পরিবর্তন করেছে।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
فصل منه في وعيد من بدل أو أحدث بعد النبي صلى الله عليه وآله وسلم
(19) عن يعقوب بن عبد الرحمن عن أبي حازم قال سمعت سهلا (يعني ابن سعد الساعدي رضي الله عنه) يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول أنا فرطكم (3) على الحوض من ورد شرب ومن شرب لم يظمأ بعده أبدا وليردن علي أقوام أعرفهم ويعرفونني ثم يحال بيني وبينهم، قال أبو حازم فسمع النعمان بن أبي عياش وأنا أحدثهم هذا الحديث فقال هكذا سمعت سهلا يقول؟ قال فقلت نعم، قال وأنا على أبي سعيد الخدري لسمعته
-
يزيد فيقول إنهم مني فيقال إنك لا تدري ما عملوا بعدك فأقول سحقا (1) سحقا لمن بدل بعدي.
-
يزيد فيقول إنهم مني فيقال إنك لا تدري ما عملوا بعدك فأقول سحقا (1) سحقا لمن بدل بعدي.
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২৯০
কুরআন সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরা
অনুচ্ছেদঃ নবী (ﷺ)-এর পর দীনি বিষয়ে পরিবর্তন বা নব-উদ্ভাবনের শাস্তি প্রসঙ্গে
(২০) হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা)-ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
فصل منه في وعيد من بدل أو أحدث بعد النبي صلى الله عليه وآله وسلم
(20) وعن حذيفة بن اليمان عن النبي صلى الله عليه وسلم وآله وسلم مثله.
তাহকীক: