আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ২৮৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০-১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জাহিলী যুগে লোকেরা হজ্জের মাসসমূহে উমরা পালন করাকে পৃথিবীর বুকে সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধ মনে করত এবং মুহাররম মাসকে সফর মাস হিসেবে গণনা করত। তারা বলত, যখন উটের পিঠ ভালো হয়ে যাবে, হাজীদের পদচিহ্ন লুপ্ত হয়ে যারে এবং সফর মাস অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন যে ব্যক্তি উমরা করতে চায়, তার জন্য তা করা জায়েয হবে। নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বেঁধে যিলহজ্জের চার তারিখে মক্কায় পৌঁছলে তিনি তাদের হজ্জের ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিণত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এই নির্দেশ তাদের কাছে গুরুতর কাজ বলে মনে হল। অতএব তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! কি রকমের হালাল হব? তিনি বললেন, সব রকমের হালাল।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الأَرْضِ وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرً وَيَقُولُونَ إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الأَثَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ . فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْحِلِّ قَالَ  " الْحِلُّ كُلُّهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০-২
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮০। নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ......... আবুল আলিয়া আল বাররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। তিনি যিলহজ্জ মাসের ৪ তারিখের পর (মক্কা) পৌঁছলেন এবং ফজরের নামায আদায় করলেন। নামায শেষে তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি এই ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিণত করতে চায়, সে তা করতে পারে।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، الْبَرَّاءِ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَقَدِمَ لأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَصَلَّى الصُّبْحَ وَقَالَ لَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ  " مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০-৩
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮১। ইবরাহীম ইবনে দীনার, রাওহ থেকে আবু দাউদ মুবারকী আবু শিহাব থেকে ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ইয়াহয়া ইবনে কাসীর থেকে এবং তারা সকলে শুবা (রাহঃ) থেকে। এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাওহ ও ইয়াহয়া ইবনে কাসীর (রাহঃ) এর বর্ণনায় নসর (রাহঃ) এর অনুরূপ কথা আছেঃ ″রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন।″
আবু শিহাব (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে “আমরা হজ্জের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম।”
তাদের সকলের বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল-বাতহা নামক স্থানে ফজরের নামায আদায় করলেন। কিন্তু আল জাহযামী (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ কথার উল্লেখ নাই।
আবু শিহাব (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে “আমরা হজ্জের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম।”
তাদের সকলের বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল-বাতহা নামক স্থানে ফজরের নামায আদায় করলেন। কিন্তু আল জাহযামী (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ কথার উল্লেখ নাই।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمُبَارَكِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ أَمَّا رَوْحٌ وَيَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ فَقَالاَ كَمَا قَالَ نَصْرٌ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ . وَأَمَّا أَبُو شِهَابٍ فَفِي رِوَايَتِهِ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُهِلُّ بِالْحَجِّ . وَفِي حَدِيثِهِمْ جَمِيعًا فَصَلَّى الصُّبْحَ بِالْبَطْحَاءِ . خَلاَ الْجَهْضَمِيَّ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০-৪
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮২। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বেঁধে (যিলহজ্জ মাসের প্রথম) দশ দিনের চার দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মক্কায় উপনীত হন। তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন, তারা যেন এই ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিণত করে।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ السَّدُوسِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ لأَرْبَعٍ خَلَوْنَ مِنَ الْعَشْرِ وَهُمْ يُلَبُّونَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪০-৫
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮৩। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যি-তুওয়া নামক স্থানে ফজরের নামায আদায় করলেন। যিলহজ্জ মাসের চার দিন অতিক্রান্ত হইয়ার পর (মক্কায়) পৌঁছলেন এবং তাঁর সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন, তারা যেন নিজেদের ইহরামকে উমরায় পরিণত করে কিন্তু যার সাথে কুরবানীর পশু আছে, সে ব্যতীত।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِذِي طَوًى وَقَدِمَ لأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُحَوِّلُوا إِحْرَامَهُمْ بِعُمْرَةٍ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না, ইবনে বাশশার ও উবাইদুল্লাহ ইবনে মূআয (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এই সেই উমরা যা থেকে আমরা লাভবান হয়েছি। অতএব যার সাথে কুরবানীর পশু নেই সে যেন সম্পূর্ণরূপে ইহরাম খুলে ফেলে। কেননা উমরাকে কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَا بِهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ الْهَدْىُ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ فَإِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪২
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু যামরা যুবাঈ (রাহঃ) বলেন, আমি তামাত্তু হজ্জ করলাম। কতিপয় লোক আমাকে তা করতে নিষেধ করল। আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে তা করার নির্দেশ দিলেন। এরপর আমি বায়তূল্লাহ শরীফে আসলাম এবং ঘুমালাম। স্বপ্নে আমার কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, উমরাও কবুল হয়েছে এবং হজ্জও কবুল হয়েছে। আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ স্বপ্নের কথা বললাম। তিনি বললেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার! এতো আবুল কাসিম (ﷺ) এর সুন্নত।
كتاب الحج
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ، قَالَ تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ عَنْ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَنِي بِهَا . - قَالَ - ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْبَيْتِ فَنِمْتُ فَأَتَانِي آتٍ فِي مَنَامِي فَقَالَ عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ وَحَجٌّ مَبْرُورٌ - قَالَ - فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ سُنَّةُ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
