আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১০- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৯ টি
হাদীস নং: ১৯৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৪-১
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ আল মাযিনী (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদগাহের দিকে বের হলেন, বৃষ্টির জন্য দুআ করলেন এবং কিবলামুখী হয়ে চাঁদর পাল্টালেন (উপর দিককে নীচে এবং ডান দিককে বামদিকে করলেন)।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبَّادَ بْنَ تَمِيمٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ الْمَازِنِيَّ، يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمُصَلَّى فَاسْتَسْقَى وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ حِينَ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৪-২
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্বাদ ইবনে তামীমের চাচা আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আসিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ঈদগাহে বের হলেন, বৃষ্টির জন্য দুআ করলেন, কিবলার দিকে মুখ করলেন, চাঁদর পাল্টালেন এবং দু’রাকআত নামায আদায় করলেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمُصَلَّى فَاسْتَسْقَى وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَقَلَبَ رِدَاءَهُ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৪-৩
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদগাহের দিকে গেলেন, বৃষ্টির জন্য দুআ করার উদ্দেশ্যে। যখন তিনি দুআর করার ইচ্ছা করলেন, তখন কিবলার দিকে মুখ করলেন এবং নিজের চাঁদর উল্টিয়ে নিলেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ عَبَّادَ بْنَ تَمِيمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى يَسْتَسْقِي وَأَنَّهُ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৪-৪
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৬। আবু তাহির ও হারামালা (রাহঃ) ......... আব্বাদ ইবনে তামীম মাযিনী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার চাচাকে (যিনি সাহাবী ছিলেন) বলতে শুনেছেন যে, নবী (ﷺ) এক দিন বৃষ্টির জন্য দুআ করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। লোকদেরকে পাশ্চাতে রেখে আল্লাহর কাছে দুআ করলেন, কিবলার দিকে মুখ করলেন এবং চাঁদর উল্টালেন, এর পর দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبَّادُ بْنُ تَمِيمٍ الْمَازِنِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَمَّهُ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا يَسْتَسْقِي فَجَعَلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ يَدْعُو اللَّهَ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৫-১
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি দুআ করাকালীন তিনি তাঁর উভয় হাত উপরে উঠাতেন। এমন কি তাঁর উভয় বগলের শুভ্রতা দেখা যেত।
كتاب صلاة الاستسقاء
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৫-২
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৮। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বৃষ্টির জন্য দুআ করলেন এবং হাতের পিঠদ্বারা আসমানের দিকে ইশারা করলেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَسْقَى فَأَشَارَ بِظَهْرِ كَفَّيْهِ إِلَى السَّمَاءِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৫-৩
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৪৯। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ইসতিসকা ব্যতীত অন্য কোন দুআয় হাত উঠাতেন না। ইসতিসকায় এত হাত উঠাতেন যে, উভয় বগলের শুভ্রতা দৃষ্টিগোচর হত। তবে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, রাবী বলেছেন, ″বগলের শুভ্রতা বা উভয় বগলের শুভ্রতা″।
كتاب صلاة الاستسقاء
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَعَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ دُعَائِهِ إِلاَّ فِي الاِسْتِسْقَاءِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ . غَيْرَ أَنَّ عَبْدَ الأَعْلَى قَالَ يُرَى بَيَاضُ إِبْطِهِ أَوْ بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
হাদীস নং: ১৯৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৬
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫০। ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّحَدَّثَهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-১
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি জুমআর দিনে দারুল কাযার দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামলে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তা ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘরবাড়ীও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পাশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খণ্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখি নি।
পরবর্তী জুমআয় এক ব্যক্তি সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেল। আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য দুআ করুন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের উপরে নয়, আমাদের আশেপাশে বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! টিলা উপত্যকার মধ্যে এবং গাছগাছালি উৎপন্ন হওয়ার স্থানে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন মেঘ সরে গেল। আমরা বের হলাম, আর সূর্যের তাপের মধ্য দিয়ে হাটতে লাগলাম। শরীক (রাহঃ) বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যক্তি কি পূর্বের ব্যক্তি ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জানি না।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘরবাড়ীও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পাশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খণ্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখি নি।
পরবর্তী জুমআয় এক ব্যক্তি সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেল। আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য দুআ করুন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের উপরে নয়, আমাদের আশেপাশে বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! টিলা উপত্যকার মধ্যে এবং গাছগাছালি উৎপন্ন হওয়ার স্থানে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন মেঘ সরে গেল। আমরা বের হলাম, আর সূর্যের তাপের মধ্য দিয়ে হাটতে লাগলাম। শরীক (রাহঃ) বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যক্তি কি পূর্বের ব্যক্তি ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জানি না।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّجُمُعَةٍ مِنْ بَابٍ كَانَ نَحْوَ دَارِ الْقَضَاءِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهِ يُغِثْنَا . قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ أَغِثْنَا اللَّهُمَّ أَغِثْنَا اللَّهُمَّ أَغِثْنَا " . قَالَ أَنَسٌ وَلاَ وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلاَ قَزَعَةٍ وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلاَ دَارٍ - قَالَ - فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ - قَالَ - فَلاَ وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا - قَالَ - ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا عَنَّا - قَالَ - فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ حَوْلَنَا وَلاَ عَلَيْنَا اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ " . فَانْقَلَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ . قَالَ شَرِيكٌ فَسَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَهُوَ الرَّجُلُ الأَوَّلُ قَالَ لاَ أَدْرِي .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-২
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫২। দাউদ ইবনে রুশায়দ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর যুগে অনাবৃষ্টির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এক জুমআর দিনে নবী (ﷺ) মিম্বরে খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন জনৈক গ্রাম্য ব্যক্তি দাঁড়াল এবং বলল হে আল্লাহর রাসুল! মাল সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিজন অভূক্ত হয়ে পড়েছে। অতঃপর রাবী উপরোক্ত হাদীস অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তবে এ হাদীসে এরপর রয়েছে যে, হে আল্লাহ! আমাদের চতুষ্পার্শে, আমাদের উপরে নয়। তখন তিনি যে দিকে তার হাত দ্বারা ইশারা করছিলেন, সে দিক থেকেই মেঘ সরে যাচ্ছিল। ফলে আমরা মদীনাকে গোলাকারে দেখতে পেলাম। কানাত-উপত্যাকা দিয়ে এক মাস কাল পানি প্রবাহিত হতে থাকলে মদীনার প্রান্ত থেকে কেউ আসলে প্রচুর বর্ষণ হয়েছে বলে যে খবর দিত।
তবে এ হাদীসে এরপর রয়েছে যে, হে আল্লাহ! আমাদের চতুষ্পার্শে, আমাদের উপরে নয়। তখন তিনি যে দিকে তার হাত দ্বারা ইশারা করছিলেন, সে দিক থেকেই মেঘ সরে যাচ্ছিল। ফলে আমরা মদীনাকে গোলাকারে দেখতে পেলাম। কানাত-উপত্যাকা দিয়ে এক মাস কাল পানি প্রবাহিত হতে থাকলে মদীনার প্রান্ত থেকে কেউ আসলে প্রচুর বর্ষণ হয়েছে বলে যে খবর দিত।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَصَابَتِ النَّاسَ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَاهُ . وَفِيهِ قَالَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا " . قَالَ فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ إِلاَّ تَفَرَّجَتْ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَدِينَةَ فِي مِثْلِ الْجَوْبَةِ وَسَالَ وَادِي قَنَاةَ شَهْرًا . وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلاَّ أَخْبَرَ بِجَوْدٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-৩
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৩। আব্দুল আলা ইবনে হাম্মাদ ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দিমী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) জুমআর দিবসে খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন লোকেরা তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, হে আল্লাহর নবী! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বৃক্ষরাজী বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে, পশু-পাখি মারা পড়ছে। এরপর রাবী পূর্বোক্তভাবে ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আব্দুল আ’লার বর্ণনা রয়েছে যে, মদীনা হতে মেঘমালা সরে পড়ল, মদীনার আশেপাশে বর্ষণ হচ্ছিল কিন্তু মদীনায় এক ফোটাও বৃষ্টি হচ্ছিল না। তখন আমি মদীনার দিকে লক্ষ্য করে দেখছিলাম যে, তা মুকুটের ন্যায়।
كتاب صلاة الاستسقاء
وحَدَّثَنِي عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ ، قَالَا : حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، فَقَامَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَصَاحُوا ، وَقَالُوا : يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَحَطَ الْمَطَرُ وَاحْمَرَّ الشَّجَرُ وَهَلَكَتِ الْبَهَائِمُ ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ ، وَفِيهِ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الْأَعْلَى : " فَتَقَشَّعَتْ ، عَنْ الْمَدِينَةِ فَجَعَلَتْ تُمْطِرُ حَوَالَيْهَا ، وَمَا تُمْطِرُ بِالْمَدِينَةِ قَطْرَةً ، فَنَظَرْتُ إِلَى الْمَدِينَةِ وَإِنَّهَا لَفِي مِثْلِ الْإِكْلِيلِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-৪
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৪। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) হতে উপরোক্তভাবে বর্ণিত আছে। তবে এতে আরো রয়েছে যে, আল্লাহ মেঘ খণ্ডকে একত্রিত করলেন, আমরা সবাই অপেক্ষা করতে লাগলাম, এমন কি আমি দেখতে পেলাম যে, অতি শক্তিশালী ব্যক্তিও ভাবনায় পড়ে গেল যে, কী করে বাড়িতে ফিরে যাবে?
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِهِ وَزَادَ فَأَلَّفَ اللَّهُ بَيْنَ السَّحَابِ وَمَكَثْنَا حَتَّى رَأَيْتُ الرَّجُلَ الشَّدِيدَ تُهِمُّهُ نَفْسُهُ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-৫
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৫। হারূন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, জনৈক গ্রাম্য ব্যক্তি জুমআর দিনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আসল, তখন তিনি মিম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর রাবী অনুরূপভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। আমি মেঘমালাকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেখতে পেলাম, যেন তা ভাজ করে উঠিয়ে নেয়া লেপ।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، أَنَّ حَفْصَ بْنَ، عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ وَزَادَ فَرَأَيْتُ السَّحَابَ يَتَمَزَّقُ كَأَنَّهُ الْمُلاَءُ حِينَ تُطْوَى .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৮
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ঐ সময়ে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দেহের উপর ভাগ হতে কাপড় সরিয়ে দিলেন। ফলে তাঁর শরীর বৃষ্টিতে ভিজে গেল। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কেন এরূপ করলেন? তিনি উত্তরে বললেন, যেহেতু মহান প্রভুর কাছ থেকে সদ্য আগত (তাই আমি শরীরে লাগিয়ে নিলাম বরকতের জন্য)।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ أَصَابَنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَطَرٌ قَالَ فَحَسَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَوْبَهُ حَتَّى أَصَابَهُ مِنْ الْمَطَرِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ صَنَعْتَ هَذَا قَالَ لِأَنَّهُ حَدِيثُ عَهْدٍ بِرَبِّهِ تَعَالَى.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৯-১
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কা’নাব (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, যে দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকত, ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হত তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারায় তা প্রকাশ পেত। তিনি পেরেশান হয়ে ঘরে আসতেন, বাহিরে যেতেন। যখন বর্ষণ হয়ে যেত তখন তার চেহরায় আনন্দের আভা বয়ে যেত, চিন্তা ও পেরেশানীভাব কেটে যেত।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আমার আশঙ্কা হয়ে যেত, এতে আমার উম্মতের উপর প্রেরিত কোন আযাব রয়েছে এবং তিনি যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, এত আল্লাহর রহমত।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আমার আশঙ্কা হয়ে যেত, এতে আমার উম্মতের উপর প্রেরিত কোন আযাব রয়েছে এবং তিনি যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, এত আল্লাহর রহমত।
كتاب صلاة الاستسقاء
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، - وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ الرِّيحِ وَالْغَيْمِ عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرَّ بِهِ وَذَهَبَ عَنْهُ ذَلِكَ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ " إِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ عَذَابًا سُلِّطَ عَلَى أُمَّتِي " . وَيَقُولُ إِذَا رَأَى الْمَطَرَ " رَحْمَةٌ" .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৯-২
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৮। আবু তাহির (রাহঃ) ......... নবী সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে দিন ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হত সেদিন নবী (ﷺ) বলতেন, হে আল্লাহ! আমি মেঘের কল্যাণ কামনা করছি এবং এর মধ্যে যেসব কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি, ধ্বংস থেকে এবং যে মন্দ কাজের জন্য পাঠানো হয়েছে তা থেকে। আকাশে যখন বিজলী চমকায়, বজ্রের বিকট গর্জন হয়, তখন তাঁর চেহারা মুবারক বিবর্ণ হয়ে যেত, রং পরিবর্তন হয়ে যেত। তিনি পেরেশান হয়ে ঘরে প্রবেশ করতেন আবার বের হতেন এবং আগে বাড়তেন ও পিছনে হটে যেতেন। যখন বর্ষণ হয়ে যেত তখন তার চেহারায় আনন্দ ফুটে উঠত।
আয়িশা (রাযিঃ) তা অনুভব করতে পেরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এতে তিনি উত্তর দিলেন হে আয়িশা! আমার আশঙ্কা হয়, এমন হতে পারে যেমন হুদ (আলাইহিস সালাম) এর কওম বলেছিল, যখন তারা মেঘমালাকে তাদের উপত্যকার দিকে আসতে দেখল, তখন তারা বলতে লাগল, এ প্রসারিত মেঘমালা, আমাদের উপর বারি বর্ষণ করবে।
আয়িশা (রাযিঃ) তা অনুভব করতে পেরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এতে তিনি উত্তর দিলেন হে আয়িশা! আমার আশঙ্কা হয়, এমন হতে পারে যেমন হুদ (আলাইহিস সালাম) এর কওম বলেছিল, যখন তারা মেঘমালাকে তাদের উপত্যকার দিকে আসতে দেখল, তখন তারা বলতে লাগল, এ প্রসারিত মেঘমালা, আমাদের উপর বারি বর্ষণ করবে।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ، يُحَدِّثُنَا عَنْ عَطَاءِ، بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ " . قَالَتْ وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ وَخَرَجَ وَدَخَلَ وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ فَعَرَفْتُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ " لَعَلَّهُ يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ ( فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا) " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৯-৩
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫৯। হারুন ইবনে মারুফ ও আবু তাহির (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমি এভাবে খিলখিল করে হাসতে দেখিনি যাতে তার আল-জিব দেখা যায়। তিনি মুচকি হাসতেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মেঘমালা বা ঝড়ো হাওয়া দেখতেন তখন তার চেহারায় তার প্রভাব পরিলক্ষিত হত। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষকে দেখি বৃষ্টি আসার মেঘমালা দেখলে তারা আনন্দিত হয়, অথচ আপনি যখন মেঘমালা দেখেন, তখন আমি আপনার মুখমণ্ডলে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখতে পাই। তিনি বলেন, হে আয়িশা! এর মধ্যে যে কোন আযাব নেই, সে সম্পর্কে আমি শংকামুক্ত হই কিভাবে? কোন কোন জাতিকে ঝড়ো হাওয়া দিয়ে আযাব দেয়া হয়েছে। আরেক সম্প্রদায় আযাব দেখতে পেল, কিন্তু তারা বলল এটা মেঘ আমাদের জন্য বর্ষণ করবে।
كتاب صلاة الاستسقاء
وحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، ح وحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا، حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ، إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ، قَالَتْ: وَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا، عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَى النَّاسَ، إِذَا رَأَوْا الْغَيْمَ فَرِحُوا، رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ الْمَطَرُ، وَأَرَاكَ إِذَا رَأَيْتَهُ عَرَفْتُ فِي وَجْهِكَ الْكَرَاهِيَةَ؟ قَالَتْ: فَقَالَ: " يَا عَائِشَةُ مَا يُؤَمِّنُنِي أَنْ يَكُونَ فِيهِ عَذَابٌ، قَدْ عُذِّبَ قَوْمٌ بِالرِّيحِ، وَقَدْ رَأَى قَوْمٌ الْعَذَابَ، فَقَالُوا: {هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} [الأحقاف: 24]
হাদীস নং: ১৯৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৯০০-১
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৬০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে সাহায্য করা হয়েছে পূবালী হাওয়া দ্বারা এবং কওমে আদকে ধ্বংস করা হয়েছে পশ্চিমা বাতাস দ্বারা।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُورِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৯০০-২
- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৬১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে উমর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবান আল জুফী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب صلاة الاستسقاء
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانٍ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ .
তাহকীক: