আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
নফল রোযা পালনকারী যদি তার রোযা ভেঙ্গে ফেলে তবে তার উপর তা কাযা করা ওয়াজিব।
৭৩৩. আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আর হাফসা (রাযিঃ) উভয়েই একবার রোযা পালন করছিলাম। আমাদের সামনে খুবই লোভনীয় খাবার এলো, আমরা তা থেকে খেয়ে নিলাম। তারপরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলে হাফসা (রাযিঃ) আমার আগেই তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। আর তিনি ছিলেন তার বাপের বেটি (পিতা, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর মত সাহসী) কাজেই বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা দুজন রোযাদার ছিলাম। এমন সময় আমাদের সামনে লোভনীয় খাবার এলে; আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তিনি বললেন, তোমরা উভয়ে এর স্থলে আরেক দিন রোযা পালন করবে।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, সালিহ্ ইবনে আবুল আখদার ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু হাফস (রাহঃ) এই হাদীসটিকে যুহরী (রাহঃ), উরওয়া, আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মালিক ইবনে আনাস, মা‘মার, উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর, যিয়াদ ইবনে সা’দ (রাহঃ) প্রমূখ হাফিযুল হাদীস যুহরী (রাহঃ) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে মুরসাল হিসেবে এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। এতে তাঁরা উরওয়ার নাম উল্লেখ করেননি। আর এটিই অধিকতর সহীহ। কেননা, ইবনে জুরাউজ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি যুহরীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার নিকট আয়িশা (রাযিঃ) এর বরাতে উরওয়া কিছু রিওয়ায়াত করেছেন কি? তিনি বললেন, এই বিষয়ে আমি উরওয়া থেকে কিছু শুনিনি। তবে সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিকের খিলাফতকালে এ হাদীস সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাদের কারো কাছ থেকে কিছু লোকের মাধ্যমে আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে এটি আমি শুনেছি। এই হাদীসটি আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, আলী ইবনে ঈসা ইবনে ইয়াযীদ বাগদাদী রাওহ ইবনে উবাইদা ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) শেষ পর্যন্ত। কতক সাহাবী ও অপরাপর একদল আলিম এই হাদীস অনুসারে আমলের মত গ্রহণ করেছেন। নফল রোযা ভঙ্গ করলে কাযা করতে হবে বলে তাঁরা মনে করেন। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাযিঃ) এর অভিমত।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي إِيجَابِ الْقَضَاءِ عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ، صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَدَرَتْنِي إِلَيْهِ حَفْصَةُ وَكَانَتِ ابْنَةَ أَبِيهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ . قَالَ " اقْضِيَا يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى صَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ هَذَا . وَرَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَزِيَادُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَائِشَةَ مُرْسَلاً . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُرْوَةَ وَهَذَا أَصَحُّ .
لأَنَّهُ رُوِيَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ قُلْتُ لَهُ أَحَدَّثَكَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَ لَمْ أَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ فِي هَذَا شَيْئًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُ فِي خِلاَفَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ نَاسٍ عَنْ بَعْضِ مَنْ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ عِيسَى بْنِ يَزِيدَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَرَأَوْا عَلَيْهِ الْقَضَاءَ إِذَا أَفْطَرَ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ .