আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৬
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
শাবানকে রমযানের সঙ্গে মিলিত করা।
৭৩৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে শা‘বান ও রমযান ব্যতীত দুই মাস লাগাতার রোযা করতে দেখিনি। - ইবনে মাজাহ ১৬৪৮
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي وِصَالِ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ إِلاَّ شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ .
হাদীস নং: ৭৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
শাবানকে রমযানের সঙ্গে মিলিত করা।
এই বিষয়ে আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, উম্ম সালামা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। এই হাদীসটি আবু সালামা, আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রেও বর্ণিত আছে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, শা‘বান মাসের মত আর কোন মাসে এত অধিক (নফল) রোযা পালন করতে আমি নবী (ﷺ) কে দেখিনি। এ মাসের কিছু অংশ ব্যতীত পুরো মাসটাই বলতে কি সারা মাসটাই তিনি (নফল) রোযা পালন করতেন।

৭৩৫. হান্নাদ (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

ইবনে মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি এই হাদীস প্রসঙ্গে বলেন, কেউ যদি মাসের অধিকাংশ দিন রোযা পালন করে তবে আরবী বাগধারা অনুসারে সারা মাসই রোযা পালন করেছে বলা বৈধ। বলা হয় অমুক ব্যক্তি সারারাত দাড়িয়ে নামায আদায় করেছে। অথচ হতে পারে সে রাতের আহারে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজেও তার কিছু সময় ব্যয় করেছে। এ প্রেক্ষিতে ইবনে মুবারক (রাহঃ) মনে করেন, হাদীস দু‘টি সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেন, এ হাদীসের অর্থ হলো এই যে, তিনি (শাবান) মাসের অধিকাংশ দিন রোযা পালন করতেন। সালিম আবুন নযর (রাহঃ) প্রমখ এই হাদীসটিকে আবু সালামা-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي وِصَالِ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، أَيْضًا عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ كَانَ يَصُومُهُ إِلاَّ قَلِيلاً بَلْ كَانَ يَصُومُهُ كُلَّهُ .

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هُوَ جَائِزٌ فِي كَلاَمِ الْعَرَبِ إِذَا صَامَ أَكْثَرَ الشَّهْرِ أَنْ يُقَالَ صَامَ الشَّهْرَ كُلَّهُ وَيُقَالُ قَامَ فُلاَنٌ لَيْلَهُ أَجْمَعَ . وَلَعَلَّهُ تَعَشَّى وَاشْتَغَلَ بِبَعْضِ أَمْرِهِ . كَأَنَّ ابْنَ الْمُبَارَكِ قَدْ رَأَى كِلاَ الْحَدِيثَيْنِ مُتَّفِقَيْنِ يَقُولُ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ يَصُومُ أَكْثَرَ الشَّهْرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَ رِوَايَةِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو .