কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২০১
আন্তর্জাতিক নং: ২০১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০১। ইমরান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... কুরাইশ বংশের আসাদ গোত্রের ফাতিমা বিনতে কায়েস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ এর নিকট এসে উল্লেখ করলেন যে, তার অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়। তার ধারণা যে, রাসূলুল্লাহ তাঁকে বলেছেন যে, তা একটি শিরার* রক্ত মাত্র। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হয় তখন নামায ছেড়ে দিবে- আর যখন হায়যের মেয়াদ অতিবাহিত হয়, তখন রক্ত ধৌত করবে তারপর নামায আদায় করবে।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَوِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
হাদীস নং: ২০২
আন্তর্জাতিক নং: ২০২
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০২। হিশাম ইবনে আম্মার (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যখন হায়য আরম্ভ হয় তখন নামায ছেড়ে দিবে আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায় (অর্থাৎ যখন তা অতিবাহিত হয়) তখন গোসল করবে।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي " .
হাদীস নং: ২০৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৩
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৩। ইমরান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উম্মে হাবীবাহ বিনতে জাহশ সাত বছর ইস্তেহাযায় ভুগেছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অবহিত করলেন। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেনঃ এটা হায়য নয় বরং এটা একটা শিরার রক্ত মাত্র। অতএব, তুমি গোসল কর এবং নামায আদায় কর।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ سَبْعَ سِنِينَ فَاشْتَكَتْ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي "
হাদীস নং: ২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৪
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৪। রবী ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা বিনতে জাহশ (রাযিঃ) যিনি ছিলেন উম্মুল মুমেনীন যয়নাব বিনতে জাহশ (রাযিঃ) এর বোন- ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এ বিষয়ে ফতোওয়া জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ এটা হায়য নয়। এটা একটা শিরার রক্ত মাত্র। অতএব যখন হায়য বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে এবং নামায আদায় করবে। আবার যখন হায়য আরম্ভ হবে, তখন নামায ছেড়ে দিবে।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর তিনি প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতেন এবং নামায আদায় করতেন। কোন কোন সময় তিনি তাঁর বোন যয়নাবের কক্ষে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থাকতেন, একটি বড় গামলায় গোসল করতেন। এমনকি রক্তের লাল রং পানির উপর উঠে আসত। তারপর তিনি বের হতেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে নামায শরীক হতেন। এটা তাঁকে নামায বাধা প্রদান করত না।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي النُّعْمَانُ، وَالأَوْزَاعِيُّ، وَأَبُو مُعَيْدٍ - وَهُوَ حَفْصُ بْنُ غَيْلاَنَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ امْرَأَةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَهِيَ أُخْتُ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَإِذَا أَدْبَرَتِ الْحَيْضَةُ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي وَإِذَا أَقْبَلَتْ فَاتْرُكِي لَهَا الصَّلاَةَ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّي وَكَانَتْ تَغْتَسِلُ أَحْيَانًا فِي مِرْكَنٍ فِي حُجْرَةِ أُخْتِهَا زَيْنَبَ وَهِيَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَنَّ حُمْرَةَ الدَّمِ لَتَعْلُو الْمَاءَ وَتَخْرُجُ فَتُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا يَمْنَعُهَا ذَلِكَ مِنَ الصَّلاَةِ .
হাদীস নং: ২০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৫। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) এর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শ্যালিকা উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) সাত বছর যাবৎ ইস্তিহাযায় ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফতওয়া জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেনঃ এটা হায়য নয়, বর এটা একটা শিরার রক্ত। অতএব তুমি গোসল কর এবং নামায আদায় কর।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، - خَتَنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ اسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي "
হাদীস নং: ২০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উম্মে হাবীবা বিনতে জাহশ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফতোওয়া জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি ইস্তিহাযায় আক্রান্ত। তিনি বললেনঃ এটা একটা শিরার রক্ত মাত্র। অতএব তুমি গোসল কর এবং নামায আদায় কর। এরপর উম্মে হাবীবা প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতেন।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اسْتَفْتَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ . فَقَالَ " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي " . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
হাদীস নং: ২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৭। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে (ইস্তিহাযার) রক্ত প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তাঁর টব রক্তে পূর্ণ দেখেছি। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাঁকে বললেনঃ তোমার হায়য যতদিন তোমাকে নামায হতে বিরত রাখবে, ততদিন বিরত থাক, তারপর গোসল কর।
কুতায়বা (রাহঃ) থেকে অন্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে তিনি জাফরের* নাম উল্লেখ করেন নি।

*জা‘ফর পূর্বোক্ত রিওয়ায়াতের সনদে একজন রাবী।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّمِ - قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها رَأَيْتُ مِرْكَنَهَا مَلآنَ دَمًا - فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " امْكُثِي قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحْبِسُكِ حَيْضَتُكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي "
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، مَرَّةً أُخْرَى وَلَمْ يَذْكُرْ جَعْفَرًا
হাদীস নং: ২০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০৮
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে
২০৯। কুতায়বা (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ এর সময়ে জনৈকা মহিলার সর্বদা রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, উম্মে সালামা তার এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করলেন। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেনঃ (রক্তস্রাব বন্ধ না হওয়ার) যে রোগে সে আক্রান্ত, সে রোগ হওয়ার পূর্বে প্রত্যেক মাসে কত দিন কত রাত হায়য আসত সে তার প্রতি লক্ষ্য রাখবে। মাসের সেই দিন ও রাত্রিগুলোতে নামায আদায় করবে না। তারপর সে দিনগুলো অতিবাহিত হলে সে গোসল করবে ও লজ্জাস্থান কাপড় দিয়ে বেঁধে নিবে এবং নামায আদায় করবে।

সহীহ।
كتاب الطهارة
ذكر الاغتسال من الحيض
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، تَعْنِي أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِتَنْظُرْ عَدَدَ اللَّيَالِي وَالأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لْتَسْتَثْفِرْ ثُمَّ لْتُصَلِّي " .