কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের মুদ্দত সম্পর্কিত বর্ণনা
২১০। রবী ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা বিনতে জাহশ যিনি আব্দুর রহমান ইবনে আউফের সহধর্মিণী ছিলেন - ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হলেন যা অবিরাম চলতে লাগল। তাঁর এ অবস্থা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ তা হায়য নয়, বরং তা জরায়ুর স্পন্দন মাত্র। অতএব সে যেন হায়যের মুদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং সে দিনগুলোতে নামায আদায় থেকে বিরত থাকে, হায়যের মুদ্দত অতিবাহিত হলে সে যেন প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করে।
كتاب الطهارة
ذكر الأقراء
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ الَّتِي، كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَأَنَّهَا اسْتُحِيضَتْ لاَ تَطْهُرْ فَذُكِرَ شَأْنُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّهَا لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنَّهَا رَكْضَةٌ مِنَ الرَّحِمِ فَلْتَنْظُرْ قَدْرَ قُرْئِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ لَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ ثُمَّ تَنْظُرْ مَا بَعْدَ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১০
আন্তর্জাতিক নং: ২১০
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের মুদ্দত সম্পর্কিত বর্ণনা
২১১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে হাবীবা বিনতে জাহশ (রাযিঃ) সাত বছর ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ এটা হায়য নয়, বরং একটি শিরা মাত্র (যা থেকে রক্ত নির্গত হয়)। অতএব তিনি তার হায়যের মুদ্দত পরিমাণ নামায ত্যাগ করতে আদেশ দিলেন। তারপর গোসল করতে ও নামায আদায় করতে বললেন। এরপর তিনি প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতেন।
كتاب الطهارة
ذكر الأقراء
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، كَانَتْ تُسْتَحَاضُ سَبْعَ سِنِينَ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ إِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ " . فَأَمَرَهَا أَنْ تَتْرُكَ الصَّلاَةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا وَحَيْضَتِهَا وَتَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২১১
আন্তর্জাতিক নং: ২১১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের মুদ্দত সম্পর্কিত বর্ণনা
২১২। ঈসা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ......... উরওয়াহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট এসে তাঁর রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যার কথা জানালেন। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাঁকে বললেনঃ এটা একটি শিরা মাত্র (যা হতে রক্ত নির্গত হয়)। অতএব লক্ষ্য রাখবে যখন তোমার হায়য উপস্থিত হয়, তখন নামায আদায় করা হতে বিরত থাকবে। আর যখন তোমার হায়য অতিবাহিত হয় এবং তুমি পবিত্র হও, তখন তুমি নামায আদায় করবে এবং এক হায়য থেকে অন্য হায়যের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত।
এ হাদীস হতে বুঝা যায়, (الأَقْرَاءَ) আকরা’ এখানে হায়য অর্থেই ব্যবহৃত হয়। আবু আব্দুর রহমান বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) এ হাদীসটি উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মুনযীর (রাবী) তাতে এ (হায়য) সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন তা তিনি উল্লেখ করেন নি।
এ হাদীস হতে বুঝা যায়, (الأَقْرَاءَ) আকরা’ এখানে হায়য অর্থেই ব্যবহৃত হয়। আবু আব্দুর রহমান বলেনঃ হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) এ হাদীসটি উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মুনযীর (রাবী) তাতে এ (হায়য) সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন তা তিনি উল্লেখ করেন নি।
كتاب الطهارة
ذكر الأقراء
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، حَدَّثَتْ أَنَّهَا، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَتْ إِلَيْهِ الدَّمَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَانْظُرِي إِذَا أَتَاكِ قُرْؤُكِ فَلاَ تُصَلِّي فَإِذَا مَرَّ قُرْؤُكِ فَتَطَهَّرِي ثُمَّ صَلِّي مَا بَيْنَ الْقُرْءِ إِلَى الْقُرْءِ " هَذَا الدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ الأَقْرَاءَ حِيَضٌ . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ مَا ذَكَرَ الْمُنْذِرُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২১২
আন্তর্জাতিক নং: ২১২
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হায়যের মুদ্দত সম্পর্কিত বর্ণনা
২১৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ফাতিমা বিনতে আবী হুবায়শ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট এসে বললেনঃ আমি একজন ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা; আমি পাক হই না। এমতাবস্থায় আমি কি নামায ত্যাগ করব? তিনি বললেনঃ না। এটা হায়য নয়। এটা একটা শিরার রক্ত মাত্র। যখন তোমার হায়য আরম্ভ হবে তখন নামায ছেড়ে দিবে। যখন তা অতিবাহিত হয় তখন রক্ত ধুয়ে নামায আদায় করবে।
كتاب الطهارة
ذكر الأقراء
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " .