কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৩৯৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৭
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৬৭। আব্দুল্লাহ ইবন মু'আবিয়্যাহ জুমাহী (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এমন একটা ফিতনা অনিবার্য যা সমগ্র আরবকে পরিবেষ্টন করবে। এই ফিতনায় যারা মারা যাবে, তারা হবে জাহান্নামী। সে সময় মুখে কথা বলা, তলোয়ার দ্বারা আঘাত করার চাইতেও কঠিনতর হবে।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ زِيَادٍ، سِيمِينْ كُوشْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " تَكُونُ فِتْنَةٌ تَسْتَنْظِفُ الْعَرَبَ قَتْلاَهَا فِي النَّارِ اللِّسَانُ فِيهَا أَشَدُّ مِنْ وَقْعِ السَّيْفِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৮
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৬৮। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশশার (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা ফিতনা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা তাতে রসনা তলোয়ারের আঘাতের সমতূল্য।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " إِيَّاكُمْ وَالْفِتَنَ فَإِنَّ اللِّسَانَ فِيهَا مِثْلُ وَقْعِ السَّيْفِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬৯
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৬৯। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আলকামাহ্ ইব্ন ওয়াককাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার নিকট দিয়ে একজন শরীফ লোক যাচ্ছিলেন। আলকামাহ্ (রাযিঃ) তাঁকে বললেনঃ তোমার সাথে আমার আত্মীতার সম্পর্ক আছে এবং অন্যবিধ অধিকারও আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি সে সব আমীর লোকদের কাছে যাতায়াত করছো এবং তাদের সাথে সে সব কথাবর্তা বলে বেড়াও, যা আল্লাহ তা'য়ালা চান। আর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবী বিলাল ইবন হারিস মুযানী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি এমন কথা বলে, যাতে আল্লাহর রিযামন্দী আছে, অথচ সে জানে না এর পরিণতি কি হবে এবং কতটা (বিনিময়) হবে, তখন আল্লাহ তা'আলা এই কথার বদৌলতে কিয়ামত পর্যন্ত তার রিযামন্দী লিখে দেন। পক্ষান্তরে, তোমাদের কেউ যদি তার মুখ থেকে এমন কথা বের করে, যাতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে এবং তার জানানেই যে, এই কথার পরিণতি কতদূর গড়াবে মহান আল্লাহ তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত অসন্তুষ্টি লিপি বদ্ধ করেন। আলকামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, এবারে ভেবে দেখুন, আপনি কি বলছেন এবং সব কথা মুখ থেকে বের করছেন? আর আমি অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করি, কিন্তু বিলাল ইবন হারিস মুযানী (রাযিঃ) এর এই হাদীস আমাকে তা থেকে বিরত রেখেছে।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ مَرَّ بِهِ رَجُلٌ لَهُ شَرَفٌ فَقَالَ لَهُ عَلْقَمَةُ إِنَّ لَكَ رَحِمًا وَإِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنِّي رَأَيْتُكَ تَدْخُلُ عَلَى هَؤُلاَءِ الأُمَرَاءِ وَتَتَكَلَّمُ عِنْدَهُمْ بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَتَكَلَّمَ بِهِ وَإِنِّي سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ " . قَالَ عَلْقَمَةُ فَانْظُرْ وَيْحَكَ مَاذَا تَقُولُ وَمَاذَا تَكَلَّمُ بِهِ فَرُبَّ كَلاَمٍ - قَدْ - مَنَعَنِي أَنْ أَتَكَلَّمَ بِهِ مَا سَمِعْتُ مِنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭০
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৭০। আবু ইউসুফ সায়দালানী, মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ রাক্কী (রাহঃ)....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষ আল্লাহর অসন্তুষ্টসূচক একটি কথা বলে ফেলে এবং তাতে খারাপ কিছু মনে করে না, অথচ এই কথাটি সত্তর বছর পর্যন্ত সে জাহান্নামের গর্তে পড়তে থাকবে।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ الصَّيْدَلاَنِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ لاَ يَرَى بِهَا بَأْسًا فَيَهْوِي بِهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ سَبْعِينَ خَرِيفًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭১
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৭১। আবু বকর (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা নীরবতা অবলম্বন করে।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَسْكُتْ " .
হাদীস নং: ৩৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৩
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৭৩। মুহাম্মাদ ইবন আবু উমার আদানী (রাহঃ) ……..  মু'আয ইবন জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা কোন এক সফরে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলাম। একদিন আমি অতি ভোরে তাঁর নিকটে লোম এবং এ সময় আমরা পথ চলছিলাম। তখন আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। তিনি বললেনঃ তুমি বড় কঠিন প্রশ্ন করলে। এই বিষয়টি তার জন্যই সহজ, যাকে আল্লাহ সহজ লভ্য করে দেন। তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে অন্য কিছুর শরীক করবে না, সালাত আদায় করবে, যাকাত দিবে, রামাযান মাসের সিয়াম পালন করবে এবং বায়তুল্লাহর হাজ্জ করবে। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে কল্যাণের পথসমূহ বলে দিব কি? (তাহলোঃ ) সিয়াম ঢাল স্বরূপ, সাদাকাহ (দান খয়রাত) পাপরাশি মোচন করে দেয়, যেমন পানি আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং রাতের মধ্যবর্তী সময়ে মানুষের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদ। অতঃপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ
تتجافى جنوبهم عن المضاجع يدعون ربهم خوفا وطمعا وممارزقنهم ينفقون. فلا تعلم نفس ما أخفى لهم من قرة أعين جزاء بما كانوا يعملون.
“তারা শয্যাত্যাগ করে তাদের রবকে ডাকে আশাও আকাঙ্ক্ষায় এবং আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি, তা থেকে তারা খরচ করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকরকী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।" (৩২ঃ ১৬-১৭)
অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সার সংক্ষেপ ও শীর্ষস্থানীয় কাজটি বলে দিব? (তা হচ্ছে)ঃ জিহাদ। তারপর তিনি বললেনঃ এই সব কাজের ভিত্তি যার উপর রচিত, সেটা কি আমি তোমাকে বলে দিব না? আমি বললাম, জ্বি হ্যাঁ, (হে আল্লার নবী! আমাদের মুখের কথাবার্তা সম্পর্কে কি আমাদের পাকড়াও করা হবে? তিনি বললেনঃ হে মু'আয! তোমার মা তোমার জন্য কাঁদুক! (এটা একটা প্রবাদ যা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বলা হয়) মানুষ তো তার অসংযত কথাবার্তার কারণে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
تتجافى جنوبهم عن المضاجع يدعون ربهم خوفا وطمعا وممارزقنهم ينفقون. فلا تعلم نفس ما أخفى لهم من قرة أعين جزاء بما كانوا يعملون.
“তারা শয্যাত্যাগ করে তাদের রবকে ডাকে আশাও আকাঙ্ক্ষায় এবং আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি, তা থেকে তারা খরচ করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকরকী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।" (৩২ঃ ১৬-১৭)
অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সার সংক্ষেপ ও শীর্ষস্থানীয় কাজটি বলে দিব? (তা হচ্ছে)ঃ জিহাদ। তারপর তিনি বললেনঃ এই সব কাজের ভিত্তি যার উপর রচিত, সেটা কি আমি তোমাকে বলে দিব না? আমি বললাম, জ্বি হ্যাঁ, (হে আল্লার নবী! আমাদের মুখের কথাবার্তা সম্পর্কে কি আমাদের পাকড়াও করা হবে? তিনি বললেনঃ হে মু'আয! তোমার মা তোমার জন্য কাঁদুক! (এটা একটা প্রবাদ যা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বলা হয়) মানুষ তো তার অসংযত কথাবার্তার কারণে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " لَقَدْ سَأَلْتَ عَظِيمًا وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ النَّارَ الْمَاءُ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ " . ثُمَّ قَرَأَ (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ) حَتَّى بَلَغَ (جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ) ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ وَعَمُودِهِ وَذُرْوَةِ سَنَامِهِ الْجِهَادُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمِلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ " . قُلْتُ بَلَى . فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ فَقَالَ " تَكُفُّ عَلَيْكَ هَذَا " . قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ قَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ عَلَى وُجُوهِهِمْ فِي النَّارِ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৪
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৭৪। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশশার (রাহঃ)...... নবী (স) এর সহধর্মীনি উম্মু হাবীবাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সৎকাজের আদেশ, অসৎকজের নিষেধ এবং মহান আল্লাহর যিকির ব্যতিরেকে মানুষের প্রতিটি কথা তার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, কোন কোন কথায় তার ফায়দা হবে না।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خُنَيْسٍ الْمَكِّيُّ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ حَسَّانَ الْمَخْزُومِيَّ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ صَالِحٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ  " كَلاَمُ ابْنِ آدَمَ عَلَيْهِ لاَ لَهُ إِلاَّ الأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَذِكْرَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৫
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ফিতনার দিনে রসনা সংযত রাখা
৩৯৭৫। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... আবু শা'সা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন উমার (রাযিঃ) কে প্রশ্ন করা হলো যে, আমরা আমাদের শাসকদের কাছে যাতায়াত করি এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলি, (তাদের সন্তুষ্ট করার জন্যে); কিন্তু যখন সেখান থেকে বের হই, তখান উল্টো কথা বলি। (তোমাদের মন্দ দিকগুলো আলোচনা করি। এর পরিণতি কি হতে পারে ?) তিনি বললেনঃ আমরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানায় এরূপ আচরণকে নিফাক মনে করতাম।
كتاب الفتن
بَاب كَفِّ اللِّسَانِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ إِنَّا نَدْخُلُ عَلَى أُمَرَائِنَا فَنَقُولُ الْقَوْلَ فَإِذَا خَرَجْنَا قُلْنَا غَيْرَهُ . قَالَ كُنَّا نَعُدُّ ذَلِكَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ النِّفَاقَ .

তাহকীক:
