কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৯৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৮
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৩৯৯৮। বিশর ইবন হিলাল সাওয়াফ (রাহঃ)...... উসামাহ ইব্‌ন যায়িদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি আমার ওফাতের পরে পুরুষদের জন্য নারী জাতির চাইতে অধিক ফিতনার বস্তু আর কিছুই নয়।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا أَدَعُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৩৯৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৯
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৩৯৯৯। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)......আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন সকাল হয়, তখন দুইজন ফিরিশতা ঘোষণা দেনঃ নারীদের কারণে পুরুষদের ধ্বংস অনিবার্য এবং পুরুষদের কারণে নারীদের ধ্বংস অনিবার্য।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مِنْ صَبَاحٍ إِلاَّ وَمَلَكَانِ يُنَادِيَانِ وَيْلٌ لِلرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ وَوَيْلٌ لِلنِّسَاءِ مِنَ الرِّجَالِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪০০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০০
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৪০০০। ইমরান ইব্‌ন মুসা লায়সী (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুৎবার জন্য দাঁড়িয়ে যান। তিনি তাঁর খুৎবার বলেন, নিশ্চয় দুনিয়া চির সবুজ ও সুমধুর মনে হয়। আর আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াতে তোমাদেরকে খলীফা বানিয়েছেন। আর তিনি দেখছেন তোমরা কি করছো। সাবধান ! দুনিয়া থাক এবং নারী জাতি থেকেও হুশিয়ার থাক।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَامَ خَطِيبًا فَكَانَ فِيمَا قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ وَإِنَّ اللَّهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ أَلاَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪০০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০১
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৪০০১। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা ও আলী ইব্‌ন মুহাম্মাদ (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে বসা ছিলেন। ইত্যবসরে মুযায়নাহ গোত্রের একজন মহিলা তাঁর খিদমতে আসলো। সে অত্যন্ত সুসজ্জিতা ও অলংকার পরিহিতা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলো। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের জৌলুসপূর্ণ ও শোভাবর্ধক পোশাক পরিধান করে মসজিদে আসতে নিষেধ কর। কেননা, বনী ইসরাঈলের নারীরা অলংকার ভূষিতা ও সুসজ্জিতা হয়ে মসজিদে আসার পূর্বে তাদের প্রতি লা'নত বর্ষিত হয়নি।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ إِذْ دَخَلَتِ امْرَأَةٌ مِنْ مُزَيْنَةَ تَرْفُلُ فِي زِينَةٍ لَهَا فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ انْهَوْا نِسَاءَكُمْ عَنْ لُبْسِ الزِّينَةِ وَالتَّبَخْتُرِ فِي الْمَسْجِدِ فَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يُلْعَنُوا حَتَّى لَبِسَ نِسَاؤُهُمُ الزِّينَةَ وَتَبَخْتَرْنَ فِي الْمَسَاجِدِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪০০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০২
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৪০০২। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার এক মহিলাকে সুগন্ধি মেখে মসজিদে আসতে দেখলেন তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর বান্দী! তুমি কোথায় যাওয়ার মনস্থ করছো? সে বললোঃ মসজিদে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি কি সুগন্ধি ব্যবহার করেছো ? সে বললোঃ জ্বি হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা আতর মেখে মসজিদে গমণ করে, তার সালাত কবুল হবে না, যতক্ষণ সে গোসল করে।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مَوْلَى أَبِي رُهْمٍ، - وَاسْمُهُ عُبَيْدٌ - أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، لَقِيَ امْرَأَةً مُتَطَيِّبَةً تُرِيدُ الْمَسْجِدَ فَقَالَ يَا أَمَةَ الْجَبَّارِ أَيْنَ تُرِيدِينَ قَالَتِ الْمَسْجِدَ قَالَ وَلَهُ تَطَيَّبْتِ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ تَطَيَّبَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ لَمْ تُقْبَلْ لَهَا صَلاَةٌ حَتَّى تَغْتَسِلَ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪০০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৩
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
নারী জাতির ফিতনা
৪০০৩। মুহাম্মাদ ইবন (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ হে নারী সমাজ! তেমরা অধিক সাদাকাহ দিবে এবং অধিক পরিমাণে ইতিগফার করবে। কেননা, আমি তোমাদের অধিকাংশকে জাহান্নামের কীট হিসাবে দেখেছি। তখন তাদের থেকে জনৈকা জ্ঞানী মহিলা বললো; হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কি কসূর যে, আমরা জাহান্নামে বেশী সংখ্যক হবো? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক অভিশাপ দিয়ে থাকো এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো। আমি তো বিবেক বুদ্ধি ও দ্বীনের লোকসানের সাথে সাথে জ্ঞানদীপ্ত পুরুষের জ্ঞান লোপকারী হিসেবে তোমাদের চাইতে অধিকতর পটু কাউকে দেখছি না। সে মহিলাটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল। বিবেক বুদ্ধি ও দ্বীনের লোকসান কি করে হয়? তিনি বললেনঃ জ্ঞানের দৈন্যতার পরিচয় হচ্ছে এই যে, দুইজন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। আর তোমাদের দ্বীনের ক্ষেত্রে কমতির চিহ্ন হচ্ছে এই যে, তোমরা কয়েক দিনরাত্র পর্যন্ত সালাত থেকে বিরত থাকো এবং রমযান মাসের বেশ কয়েকদিন সিয়াম পালন থেকে বঞ্চিত থাকো। এই হচ্ছে তোমাদের দীন সম্পর্কিত লোকসান।
كتاب الفتن
بَاب فِتْنَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَأَكْثِرْنَ مِنَ الاِسْتِغْفَارِ فَإِنِّي رَأَيْتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ جَزْلَةٌ وَمَا لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ قَالَ ‏"‏ تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذِي لُبٍّ مِنْكُنَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ وَالدِّينِ قَالَ ‏"‏ أَمَّا نُقْصَانُ الْعَقْلِ فَشَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ تَعْدِلُ شَهَادَةَ رَجُلٍ فَهَذَا مِنْ نُقْصَانِ الْعَقْلِ وَتَمْكُثُ اللَّيَالِيَ مَا تُصَلِّي وَتُفْطِرُ فِي رَمَضَانَ فَهَذَا مِنْ نُقْصَانِ الدِّينِ ‏"‏ ‏.‏