কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ৪০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৪
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৪। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)......আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে ঐ সময় আসার আগ পর্যন্ত যে, তোমরা দু'আ করলে তা কবূল করা হবে না। মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে ঐ সময় আসার আগ পর্যন্ত যে, তোমরা দু'আ করলে তা কবূল করা হবে না।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ  " مُرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ قَبْلَ أَنْ تَدْعُوا فَلاَ يُسْتَجَابَ لَكُمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৫
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৫। আবু বাকর ইবন শায়বা (রাহঃ)...... কায়স ইব্ন আবু হাযিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আবু বাকর (রাযিঃ) দাঁড়ালেন, তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর তারীফ করলেন। অতঃপর বললেনঃ হে লোক সকল। তোমরা তো, এই আয়াত তিলাওয়াত করে থাক :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
“ওহে বিশ্বাসীগণ। তোমরা নিজেদের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করো। যে ব্যক্তি গুমরাহ হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, যখন তোমরা হিদায়েতের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।”
(তিনি বলেনঃ) এবং আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ মানুষ যখন কোন মন্দ কাজ হতে দেখে তা পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর ব্যাপক হারে শাস্তি অবতীর্ণ করেন।
আবু উসামাহ (রাহঃ) তাঁর সনদে পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ
“ওহে বিশ্বাসীগণ। তোমরা নিজেদের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করো। যে ব্যক্তি গুমরাহ হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, যখন তোমরা হিদায়েতের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।”
(তিনি বলেনঃ) এবং আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ মানুষ যখন কোন মন্দ কাজ হতে দেখে তা পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর ব্যাপক হারে শাস্তি অবতীর্ণ করেন।
আবু উসামাহ (রাহঃ) তাঁর সনদে পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الآيَةَ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) وَإِنَّا سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوُا الْمُنْكَرَ لاَ يُغَيِّرُونَهُ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابِهِ " . قَالَ أَبُو أُسَامَةَ مَرَّةً أُخْرَى فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ .
হাদীস নং: ৪০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৬
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৬। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)....... আবু উবায়দাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন বানূ ইসরাঈলের উপর বিপদ আসলো, তখন তাদের অবস্থা ছিল এই যে, এক ব্যক্তি তার ভাইকে পাপাচারে লিপ্ত দেখলে তাকে নিষেধ করতো। কিন্তু পরদিন তার সাথে একত্রে পানাহার করতো, মেলামেশা করতো এবং তাকে পাপকার্য থেকে বিরত রাখতো না। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদের একের অন্তর দ্বারা অপরকে আঘাত করেন এবং তাদের শানে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ...... وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ
“বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল, তারা দাউদ ও মারয়াম তনয় ঈসা কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল এর কারণ ছিল এই যে, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। তারা যে সব গর্হিত কাজ করতো তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করতো না। তারা যা করতো, তা কতই না নিকৃষ্ট। তাদের অনেককে তুমি কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে। কত নিকৃষ্ট তাদের কৃতকর্ম যে কারণে আল্লাহ্ তাদের প্রতি ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তাদের শাস্তি ভোগ স্থায়ী হবে। তারা আল্লাহর প্রতি, নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাসী হলে তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতো না। কিন্তু তাদের অনেকেই ফাসিক।” (৫ঃ ৭৮-৮১)
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেলান দিয়ে বসাছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ তোমরা যালিমের হাত পাকড়াও করে তাকে ইনসাফ কায়েম করতে বাধ্য না করা পর্যন্ত শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ...... وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ
“বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল, তারা দাউদ ও মারয়াম তনয় ঈসা কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল এর কারণ ছিল এই যে, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। তারা যে সব গর্হিত কাজ করতো তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করতো না। তারা যা করতো, তা কতই না নিকৃষ্ট। তাদের অনেককে তুমি কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে। কত নিকৃষ্ট তাদের কৃতকর্ম যে কারণে আল্লাহ্ তাদের প্রতি ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তাদের শাস্তি ভোগ স্থায়ী হবে। তারা আল্লাহর প্রতি, নবীর প্রতি এবং যা তার প্রতি নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাসী হলে তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতো না। কিন্তু তাদের অনেকেই ফাসিক।” (৫ঃ ৭৮-৮১)
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেলান দিয়ে বসাছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ তোমরা যালিমের হাত পাকড়াও করে তাকে ইনসাফ কায়েম করতে বাধ্য না করা পর্যন্ত শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَّا وَقَعَ فِيهِمُ النَّقْصُ كَانَ الرَّجُلُ يَرَى أَخَاهُ عَلَى الذَّنْبِ فَيَنْهَاهُ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ الْغَدُ لَمْ يَمْنَعْهُ مَا رَأَى مِنْهُ أَنْ يَكُونَ أَكِيلَهُ وَشَرِيبَهُ وَخَلِيطَهُ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ فَقَالَ (لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ) حَتَّى بَلَغَ (وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ ) " . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ وَقَالَ " لاَ حَتَّى تَأْخُذُوا عَلَى يَدَىِ الظَّالِمِ فَتَأْطِرُوهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - أَمْلاَهُ عَلَىَّ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْوَضَّاحِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِهِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - أَمْلاَهُ عَلَىَّ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْوَضَّاحِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِهِ .
হাদীস নং: ৪০০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৭
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৭। ইমরান ইব্ন মুসা (রাহঃ)....... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁর ভাষণে বলেনঃ জেনে রাখ। কোন মানুষের পক্ষে সত্য কথা বলার ব্যাপারে ভয় করা উচিত নয়, যখন সে নিশ্চিতভাবে সত্যকে জানে।
তিনি (রাবী) বলেন, এই হাদীস বর্ণনাকালে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ক্রন্দন করেন এবং বলেনঃ আল্লাহর শপথ । আমরা তো কয়েকটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু আমরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি।
তিনি (রাবী) বলেন, এই হাদীস বর্ণনাকালে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ক্রন্দন করেন এবং বলেনঃ আল্লাহর শপথ । আমরা তো কয়েকটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু আমরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَامَ خَطِيبًا فَكَانَ فِيمَا قَالَ  " أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ رَجُلاً هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا عَلِمَهُ " . قَالَ فَبَكَى أَبُو سَعِيدٍ وَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ فَهِبْنَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৮
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৮। আবু কুরায়ব (রাহঃ)....আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন নিজকে হেয় জ্ঞান না করে। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কেউ নিজকে কিভাবে হেয় জ্ঞান করবে? তিনি বললেনঃ সে কোন বিষয় সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশের ব্যাপারে অবহিত থাকবে, অথচ সত্য কথা প্রকাশ করবে না। অতঃপর কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা'আলা তাকে বললেনঃ অমুক ব্যাপারে এই, এই কথা বলতে তোমাকে কিসে বাঁধা দিয়েছিল। সে বলবে, লোকের ভয়ভীতি। অতঃপর আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে তো আমার ব্যাপারে অধিকতর ভয় করা উচিত ছিল।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ يَحْقِرْ أَحَدُكُمْ نَفْسَهُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَحْقِرُ أَحَدُنَا نَفْسَهُ قَالَ " يَرَى أَمْرًا لِلَّهِ عَلَيْهِ فِيهِ مَقَالٌ ثُمَّ لاَ يَقُولُ فِيهِ فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَقُولَ فِي كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ خَشْيَةُ النَّاسِ . فَيَقُولُ فَإِيَّاىَ كُنْتَ أَحَقَّ أَنْ تَخْشَى " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৯
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০০৯। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ).... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে পাপকার্য সংঘটিত হয় এবং তাদের নেককার ব্যক্তির তাদের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী ও সম্মানিত হওয়া সত্ত্বেও তারা পাপকার্য থেকে তাদের ফিরিয়ে রাখে না, তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর ব্যাপক শাস্তি অবতীর্ণ করেন।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " مَا مِنْ قَوْمٍ يُعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي هُمْ أَعَزُّ مِنْهُمْ وَأَمْنَعُ لاَ يُغَيِّرُونَ إِلاَّ عَمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابٍ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০১০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১০
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০১০। সুওয়ায়েদ ইব্ন সাঈদ   (রাহঃ).......জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সমুদ্র-প্রথের মুহাজিরবৃন্দ (জাফর ইব্ন আবু তালিব ও তাঁর সফর সঙ্গীরা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমার কাছে সেসব আশ্চর্যজনক ঘটনা ব্যক্ত করবে না, যা তোমরা হাবশার দেশে প্রত্যক্ষ করেছো? তাদের মধ্য হতে কতিপয় নওজোয়ান বললেন, জ্বি হ্যাঁ। হে আল্লাহর রাসূল! একবার আমরা সেখানে বসাছিলাম, হঠাৎ তাদের পাদ্রীদের স্ত্রীদের মধ্য হতে এক বৃদ্ধ রমনী আমাদের কাছে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তার মাথায় এক কলসী পানি বহন করছিল। সে হাবসার এক যুবকের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করছিল। সেই যুবকটি তার একটি হাত বৃদ্ধা মহিলার উভয় কাঁধের মাঝখানে রাখলো অতঃপর তাকে ধাক্কা দিল। মহিলাটি তার উভয় হাঁটুর উপর পড়ে গেল এবং তার পানির কলসীটা ভেঙ্গে গেল। সে পতিত অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যুবকটির দিকে তাকাচ্ছিল। সে বললোঃ হে ধোঁকাবাজ। তোমার (এ কাজের পরিণতি) তুমি অচিরেই জানতে পারবে। যখন আল্লাহ তা'আলা ইনসাফের আসনে উপবিষ্ট হবেন, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত লোককে একত্রিত করবেন, হাত-পা (যাবতীয় অঙ্গ প্রতঙ্গ) তাদের দ্বারা কৃতকর্মের ফিরিস্তি পেশ করবে, তখন তুমি জানতে পারবে তোমার ও আমার অবস্থা আল্লাহর নিকট কি হবে।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বৃদ্ধা মহিলা সত্যিই বলেছে, বৃদ্ধা মহিলা সত্যিই বলেছে। আল্লাহ তা'আলা এই উম্মাতকে কি ভাবে গোনাহ থেকে পবিত্র করবেন, যাদের সবলদের থেকে দুর্বলদের পাওনা চুকিয়ে দেওয়া না হবে?
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বৃদ্ধা মহিলা সত্যিই বলেছে, বৃদ্ধা মহিলা সত্যিই বলেছে। আল্লাহ তা'আলা এই উম্মাতকে কি ভাবে গোনাহ থেকে পবিত্র করবেন, যাদের সবলদের থেকে দুর্বলদের পাওনা চুকিয়ে দেওয়া না হবে?
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَمَّا رَجَعَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُهَاجِرَةُ الْبَحْرِ قَالَ " أَلاَ تُحَدِّثُونِي بِأَعَاجِيبِ مَا رَأَيْتُمْ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ " . قَالَ فِتْيَةٌ مِنْهُمْ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ مَرَّتْ بِنَا عَجُوزٌ مِنْ عَجَائِزِ رَهَابِينِهِمْ تَحْمِلُ عَلَى رَأْسِهَا قُلَّةً مِنْ مَاءٍ فَمَرَّتْ بِفَتًى مِنْهُمْ فَجَعَلَ إِحْدَى يَدَيْهِ بَيْنَ كَتِفَيْهَا ثُمَّ دَفَعَهَا فَخَرَّتْ عَلَى رُكْبَتَيْهَا فَانْكَسَرَتْ قُلَّتُهَا فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الْتَفَتَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ سَوْفَ تَعْلَمُ يَا غُدَرُ إِذَا وَضَعَ اللَّهُ الْكُرْسِيَّ وَجَمَعَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ وَتَكَلَّمَتِ الأَيْدِي وَالأَرْجُلُ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ فَسَوْفَ تَعْلَمُ كَيْفَ أَمْرِي وَأَمْرُكَ عِنْدَهُ غَدًا . قَالَ يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " صَدَقَتْ صَدَقَتْ كَيْفَ يُقَدِّسُ اللَّهُ أُمَّةً لاَ يُؤْخَذُ لِضَعِيفِهِمْ مِنْ شَدِيدِهِمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০১১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১১
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০১১। কাসিম ইব্ন যাকারিয়া ইবন দীনার (রাহঃ)... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যালিম শাসকের সামনে ন্যায়ের কথা বলাই উত্তম জিহাদ।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُصْعَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ  " أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ " .
হাদীস নং: ৪০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১২
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০১২। রাশিদ ইব্ন সাঈদ রামলী (রাহঃ)....আবু উমামাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, জামরায়ে উলা (মিনা প্রান্তরে অবস্থিত) নামক স্থানে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হলো। সে বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! উত্তম জিহাদ কোনটি? তিনি কতক্ষণ নীরব থাকলেন। যখন তিনি দ্বিতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করলেন, তখন সেই ব্যক্তি একই প্রশ্ন করলো। তিনি এবারও নীরবতা অবলম্বন করলেন। যখন তিনি 'জামরায়ে আকাবাহ'-এর কংকর নিক্ষেপ করলেন এবং সাওয়ার হওয়ার জন্য কদম মুবারক রেকাবে রাখলেন, তখন বললেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? সে বলালোঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি হাযির। তিনি বললেনঃ যালিম শাসকের সামনে, সত্যকথা বলাই (উত্তম জিহাদ)।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ عَرَضَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الأُولَى فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ فَسَكَتَ عَنْهُ فَلَمَّا رَأَى الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ سَأَلَهُ فَسَكَتَ عَنْهُ فَلَمَّا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ لِيَرْكَبَ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ " . قَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ ذِي سُلْطَانٍ جَائِرٍ " .
হাদীস নং: ৪০১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০১৩
 ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
ভালকাজের আদেশ ও মন্দকাজের নিষেধ প্রসঙ্গে
৪০১৩। আবু কুরাইব (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খলীফা মারওয়ান ঈদের দিনে মিম্বর সরিয়ে ফেললেন। তিনি সালাতুল ঈদের পূর্বেই খুৎবা শুরু করলেন। তখন জনৈক ব্যক্তি বললোঃ হে মারওয়ান! তুমি সুন্নতের খেলাফ করছো, একে তো তুমি আজকের দিনে মিম্বর সরিয়ে দিয়েছো, অথচ এই দিনে তা বের করা হতো না। আর তুমি সালাতের পূর্বেই খুৎবা শুরু করে দিয়েছো, অথচ (সালাতের পূর্বে) তা শুরু করা হতো না। তখন আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেনঃ এই ব্যক্তি তো তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলো। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি শরীয়াত বিরোধী কাজ হতে দেখে এবং সে তার হাত দিয়ে বদলে দিতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে বদলে দেয়। যদি সে এতে সক্ষম না হয়; তাহলে মুখের কথ্য দিয়ে (প্রতিবাদ করবে)। এতেও যদি সে সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন অন্তর দিয়ে তা অপছন্দ করে। আর এটাই হচ্ছে ঈমানের দর্বলতর স্তর।
كتاب الفتن
بَاب الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَالَ رَجُلٌ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلَمْ يَكُنْ يُبْدَأُ بِهَا . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ  " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .
