শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৪. উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৫৮৬১
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬১। ইব্ন আবু দাউদ ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী(ﷺ) ইরশাদ করেন : মুসলমানগণ, তাদের শর্তসমূহের নিকট আব্দ্ধ।
হাদীসের রাবী ইবরাহীম ইব্ন হামযা, তিনিই ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন হামযা যুবায়বী আল-মাদানী। তিনি একজন সত্যবাদী রাবী। এছাড়া কাসীর ইব্ন যায়দ আসলামী এবং ওয়ালিদ ইব্ন রাবাহ আসলামীও সত্যবাদী রাবী ।
আবু জাফর বলেন, উলামা-ই কিরামের একটি জামাত عمرى (মৃত্যু পর্যন্ত শর্তকৃত দান) জায়েয হওয়া সম্পর্কে মত প্রকাশ করেন এবং معمر له (যাকে দান করা হয়েছে)-এর মৃত্যুর পর তা معمر (দানকারীর) -এর নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। তাঁদের এ মতের পক্ষে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম, হলেন কাসিম ইব্ন মুহাম্মাদ, ইয়াযীদ ইব্ন কসাইত, ইয়াহইয়া ইন সাঈদ, লায়স ইব্ন সা'দ ও ইমাম মালিক (রাহঃ)।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত প্রকাশ করে বলেন, এ হাদীস কেবল ঐ সব শর্তের জন্য প্রযােজ্য যার বিশুদ্ধতা কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ ও মুসলমানদের ইজমা দ্বারা অনুমােদিত হয়েছে। কিন্তু যে শর্ত হতে কিতাবুল্লাহ কিংবা সুন্নতে রাসূল নিষেধ করেছে, তা এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, তাউস, মুজাহিদ, নাখঈ, সাওরী, আওযাঈ, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, শাফিঈ, আহমদ, আব্দুল্লাহ ইব্ন শুবরুমা ও আবু উবায়দ (রাহঃ)।
এটা কি লক্ষ্য করা হয় না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হযরত বারীরা (রাযিঃ) সম্পর্কেও হাদীসে ইরশাদ করেন : كل شرط ليس في كتاب الله فهو باطل وإن كان مائة شرط
অর্থাৎ “যে শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই, তা বাতিল যদিও একশবার তার শর্ত করা হােক না কেন।” কিতাবুল্লাহর শর্ত দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে, যা স্পষ্টই কুরআন মজীদে উল্লেখ করা হয়েছে, কিংবা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, দুটোই। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর শর্ত, তাও কিতাবুল্লাহর শর্ত বলেই বিবেচিত হবে। এ কারণে যে, কিতাবুল্লাহর নির্দেশেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কথা পালন করা ওয়াজিব। কারণ আল্লাহ তা'আলাই এ সম্পর্কে ইরশাদ করেন : مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا “রাসূল তােমাদের যা প্রদান করেন তা তােমরা গ্রহণ কর, আর যার থেকে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাকো।”
আর মুসলমানরা যে কোন শর্ত করুক, তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর এ বক্তব্য المسلمون عند شروطهم -এর অন্তর্ভুক্ত হবে না। কারণ তা-ই যদি হবে, তবে بيع এর মধ্যে দুটি শর্ত করাও জায়েয হতাে যার থেকে নবী(ﷺ) নিষেধ করেছেন। আর আলােচ্য এ হাদীস ঐ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হতাে। আর এ হাদীসের সাথেও সাংঘর্ষিক হতাে। আর এ হাদীসের সাথেও সাংঘর্ষিক হতো کل شرط ليس في كتاب الله فهو باطل وان کان مائة شرط “যে সমস্ত শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই (অর্থাৎ কিতাবুল্লাহ যার সমর্থন করে না) তা বাতিল যদিও একশবারই শর্ত হােক না কেন।” আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন শর্তের ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেননি, বরং বিশেষ ঐ শর্তের জন্য ব্যবহার করেছেন, যে শর্ত করার জন্য তিনি মুসলমানদের অনুমতি প্রদান করেছেন এবং সে শর্ত সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি ও জেনেছি, অতঃপর তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন المسلون عند شروطهم অতএব এর অর্থ হবে শরীয়তসম্মত শর্ত করলে মুসলমানদের জন্য সে সব শর্ত পালন করা জরুরী। এমনকি যে শর্ত তাদের জন্য করা জায়েয আছে, এমন শর্ত করলেও তা ভঙ্গ করা তাদের জন্য জায়েয নয়। আর নবী(ﷺ) হতে এমন হাদীস বর্ণিত আছে, যা এ কথাও স্পষ্ট প্রমাণ করেঃ
হাদীসের রাবী ইবরাহীম ইব্ন হামযা, তিনিই ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন হামযা যুবায়বী আল-মাদানী। তিনি একজন সত্যবাদী রাবী। এছাড়া কাসীর ইব্ন যায়দ আসলামী এবং ওয়ালিদ ইব্ন রাবাহ আসলামীও সত্যবাদী রাবী ।
আবু জাফর বলেন, উলামা-ই কিরামের একটি জামাত عمرى (মৃত্যু পর্যন্ত শর্তকৃত দান) জায়েয হওয়া সম্পর্কে মত প্রকাশ করেন এবং معمر له (যাকে দান করা হয়েছে)-এর মৃত্যুর পর তা معمر (দানকারীর) -এর নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। তাঁদের এ মতের পক্ষে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম, হলেন কাসিম ইব্ন মুহাম্মাদ, ইয়াযীদ ইব্ন কসাইত, ইয়াহইয়া ইন সাঈদ, লায়স ইব্ন সা'দ ও ইমাম মালিক (রাহঃ)।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত প্রকাশ করে বলেন, এ হাদীস কেবল ঐ সব শর্তের জন্য প্রযােজ্য যার বিশুদ্ধতা কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ ও মুসলমানদের ইজমা দ্বারা অনুমােদিত হয়েছে। কিন্তু যে শর্ত হতে কিতাবুল্লাহ কিংবা সুন্নতে রাসূল নিষেধ করেছে, তা এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, তাউস, মুজাহিদ, নাখঈ, সাওরী, আওযাঈ, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, শাফিঈ, আহমদ, আব্দুল্লাহ ইব্ন শুবরুমা ও আবু উবায়দ (রাহঃ)।
এটা কি লক্ষ্য করা হয় না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হযরত বারীরা (রাযিঃ) সম্পর্কেও হাদীসে ইরশাদ করেন : كل شرط ليس في كتاب الله فهو باطل وإن كان مائة شرط
অর্থাৎ “যে শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই, তা বাতিল যদিও একশবার তার শর্ত করা হােক না কেন।” কিতাবুল্লাহর শর্ত দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে, যা স্পষ্টই কুরআন মজীদে উল্লেখ করা হয়েছে, কিংবা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, দুটোই। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর শর্ত, তাও কিতাবুল্লাহর শর্ত বলেই বিবেচিত হবে। এ কারণে যে, কিতাবুল্লাহর নির্দেশেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কথা পালন করা ওয়াজিব। কারণ আল্লাহ তা'আলাই এ সম্পর্কে ইরশাদ করেন : مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا “রাসূল তােমাদের যা প্রদান করেন তা তােমরা গ্রহণ কর, আর যার থেকে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাকো।”
আর মুসলমানরা যে কোন শর্ত করুক, তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর এ বক্তব্য المسلمون عند شروطهم -এর অন্তর্ভুক্ত হবে না। কারণ তা-ই যদি হবে, তবে بيع এর মধ্যে দুটি শর্ত করাও জায়েয হতাে যার থেকে নবী(ﷺ) নিষেধ করেছেন। আর আলােচ্য এ হাদীস ঐ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হতাে। আর এ হাদীসের সাথেও সাংঘর্ষিক হতাে। আর এ হাদীসের সাথেও সাংঘর্ষিক হতো کل شرط ليس في كتاب الله فهو باطل وان کان مائة شرط “যে সমস্ত শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই (অর্থাৎ কিতাবুল্লাহ যার সমর্থন করে না) তা বাতিল যদিও একশবারই শর্ত হােক না কেন।” আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন শর্তের ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেননি, বরং বিশেষ ঐ শর্তের জন্য ব্যবহার করেছেন, যে শর্ত করার জন্য তিনি মুসলমানদের অনুমতি প্রদান করেছেন এবং সে শর্ত সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি ও জেনেছি, অতঃপর তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন المسلون عند شروطهم অতএব এর অর্থ হবে শরীয়তসম্মত শর্ত করলে মুসলমানদের জন্য সে সব শর্ত পালন করা জরুরী। এমনকি যে শর্ত তাদের জন্য করা জায়েয আছে, এমন শর্ত করলেও তা ভঙ্গ করা তাদের জন্য জায়েয নয়। আর নবী(ﷺ) হতে এমন হাদীস বর্ণিত আছে, যা এ কথাও স্পষ্ট প্রমাণ করেঃ
كتاب الهبة والصدقة
بَابُ الْعُمْرَى
5861 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ: «الْمُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى إِجَازَةِ الْعُمْرَى وَجَعَلُوهَا رَاجِعَةً إِلَى الْمُعْمِرِ بَعْدَ مَوْتِ الْمُعْمَرِ لَهُ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: إِنَّمَا وَقَعَ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا عَلَى الشُّرُوطِ الَّتِي قَدْ أَبَاحَ الْكِتَابُ اشْتِرَاطَهَا وَجَاءَتْ بِهِ السُّنَّةُ وَأَجْمَعَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ. فَأَمَّا مَا نَهَى عَنْهُ الْكِتَابُ أَوْ نَهَتْ عَنْهُ السُّنَّةُ فَهُوَ غَيْرُ دَاخِلٍ فِي ذَلِكَ. أَلَا يَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي حَدِيثِ بَرِيرَةَ كُلُّ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللهِ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ. وَمَا فِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ هُوَ مَا كَانَ مَنْصُوصًا فِيهِ أَوْ مَا قَالَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَنَّهُ إِنَّمَا وَجَبَ قَبُولُهُ لِكِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ يَقُولُ فِيهِ {مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا} [الحشر: 7] . وَلَيْسَ كُلُّ شَرْطٍ يَشْرِطُهُ الْمُسْلِمُونَ يَدْخُلُ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ لَجَازَ الشَّرْطَانِ فِي الْبَيْعِ اللَّذَانِ قَدْ نَهَى عَنْهُمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَكَانَ هَذَا الْحَدِيثُ مُعَارِضًا لِذَلِكَ وَلِقَوْلِهِ كُلُّ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللهِ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ. فَلَمَّا لَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى وَإِنَّمَا جَعَلَ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الشُّرُوطِ وَقَدْ وَقَفْنَا عَلَيْهَا وَعَرَفْنَاهَا فَأَعْلَمَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ الْمُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ أَنَّهُمْ عِنْدَ تِلْكَ الشُّرُوطِ الَّتِي قَدْ أَجَازَ لَهُمُ اشْتِرَاطَهَا حَتَّى لَا يَجِبَ لِمَنْ هِيَ لَهُمْ عَلَيْهِ نَقْضُهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬২
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬২। আহমদ ইব্ন দাউদ ….. কাসীর ইব্ন আব্দুল্লাহ আল-মুযানী তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : মুসলমানগণ তাদের শর্ত পালনে আব্দ্ধ। তবে যে শর্ত হারামকে হালাল করে অথবা হালালকে হারাম করে (তা পালন করবে না)।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, মুসলমানদের জন্য ঐ শর্ত পালন করা জরুরী যা এ সব শর্তের বিপরীত; যা এ হাদীসে مستثنى (ব্যতিক্রম) করা হয়েছে ও বাদ দেয়া হয়েছে।
আর عمرى এর ব্যাপারে যে শর্ত আরােপ করা হয়, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তা বাতিল হওয়া সম্পর্কে আমাদেরকে গত করেছেন, যা মুতাওয়াতির সনদে তার থেকে বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্য হতে একটি হলো :
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, মুসলমানদের জন্য ঐ শর্ত পালন করা জরুরী যা এ সব শর্তের বিপরীত; যা এ হাদীসে مستثنى (ব্যতিক্রম) করা হয়েছে ও বাদ দেয়া হয়েছে।
আর عمرى এর ব্যাপারে যে শর্ত আরােপ করা হয়, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তা বাতিল হওয়া সম্পর্কে আমাদেরকে গত করেছেন, যা মুতাওয়াতির সনদে তার থেকে বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্য হতে একটি হলো :
كتاب الهبة والصدقة
5862 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ قَالَ: ثنا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْمُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ إِلَّا شَرْطًا أَحَلَّ حَرَامًا، أَوْ حَرَّمَ حَلَالًا» فَدَلَّ هَذَا أَنَّ الشُّرُوطَ الَّتِي الْمُسْلِمُونَ عِنْدَهَا هِيَ بِخِلَافِ هَذِهِ الشُّرُوطِ الْمُسْتَثْنَاةِ. وَكَانَتِ الشُّرُوطُ فِي الْعُمْرَى قَدْ وَقَّفَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بُطْلَانِهَا فِي آثَارٍ قَدْ جَاءَتْ عَنْهُ مَجِيئًا مُتَوَاتِرًا
فَمِنْهَا مَا قَدْ
فَمِنْهَا مَا قَدْ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৩
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৩। ইউনুস ….. সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন : মদীনায় তারেক নামক একজন আমীর ছিলেন, তিনি ওয়ারিসের জন্য উমরার ফায়সালা করেন, আর ফায়সালা করেন তিনি হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক নবী(ﷺ) - হতে যে হাদীস বর্ণনা করেন, তার মাধ্যমে।
كتاب الهبة والصدقة
5863 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ أَمِيرًا كَانَ عَلَى الْمَدِينَةِ يُقَالُ لَهُ طَارِقٌ قَضَى بِالْعُمْرَى لِلْوَارِثِ عَنْ قَوْلِ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৪
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৪। ইউনুস ….. হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) ওয়ারিসের জন্য উমরা-এর ফায়সালা করেছেন এবং উমরার শর্তকে তিনি বিচ্ছিন্ন ও বাতিল করেছেন।
অতঃপর প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন : এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ কথা তাে বলেননি, কার ওয়ারিসের জন্য উমরা-এর ফায়সালা করেছেন। (معمر দানকারী)-এর ওয়ারিসের জন্য, না কি معمر له (যাকে দান করা হয়েছে)-এর ওয়ারিসের জন্য। এ সম্ভাবনাও তাে আছে যে, তিনি معمر (দানকারী)-এর ওয়ারিসের জন্য উমরার ফায়সালা করেছেন।
তাদেরকে বলা হবে, আমাদের মতে এটা অসম্ভব। কারণ এমন একটি বস্তুর ওপর আলােচনা চলছে যা গ্রহীতাকর্তৃক মু'মার'কে তার জীবদ্দশার জন্য দান করা হয়েছে এই শর্তে যে, মৃত্যুর পর পুনরায় দাতার কাছে তা ফিরে আসবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তা মু'মার-এর ওয়ারিসের জন্য ফায়সালা করেছেন। অথচ ‘মু'মির’ শর্ত করেছিল যে, তা মীরাস হবে না। আর এর জন্য দলীল হলাে :
অতঃপর প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন : এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ কথা তাে বলেননি, কার ওয়ারিসের জন্য উমরা-এর ফায়সালা করেছেন। (معمر দানকারী)-এর ওয়ারিসের জন্য, না কি معمر له (যাকে দান করা হয়েছে)-এর ওয়ারিসের জন্য। এ সম্ভাবনাও তাে আছে যে, তিনি معمر (দানকারী)-এর ওয়ারিসের জন্য উমরার ফায়সালা করেছেন।
তাদেরকে বলা হবে, আমাদের মতে এটা অসম্ভব। কারণ এমন একটি বস্তুর ওপর আলােচনা চলছে যা গ্রহীতাকর্তৃক মু'মার'কে তার জীবদ্দশার জন্য দান করা হয়েছে এই শর্তে যে, মৃত্যুর পর পুনরায় দাতার কাছে তা ফিরে আসবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তা মু'মার-এর ওয়ারিসের জন্য ফায়সালা করেছেন। অথচ ‘মু'মির’ শর্ত করেছিল যে, তা মীরাস হবে না। আর এর জন্য দলীল হলাে :
كتاب الهبة والصدقة
5864 - أَخْبَرَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنْ حَجَرٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْعُمْرَى لِلْوَارِثِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْعُمْرَى لِلْوَارِثِ فَقَطَعَ بِذَلِكَ شَرْطَ الْعُمْرَى. فَقَالَ الْأَوَّلُونَ: فَلَمْ يُبَيِّنْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ذَلِكَ الْوَارِثَ وَارِثَ مَنْ هُوَ مَعَهُ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ وَارِثَ الْمُعْمِرِ. قِيلَ لَهُ: هَذَا مُحَالٌ عِنْدَنَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ الذِّكْرُ عَلَى شَيْءٍ قَدْ جُعِلَ لِلْمُعْمَرِ حَيَاتَهُ عَلَى أَنْ يَعُودَ بَعْدَ الْمَوْتِ إِلَى الْمُعْمِرِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ لِلْوَارِثِ أَيْ: جَعَلَ لِوَارِثِ الْمُعْمَرِ مَا قَدْ كَانَ اشْتَرَطَ فِيهِ الْمُعْمِرُ أَنْ لَا يَكُونَ مِيرَاثًا
وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৫
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৫। মুহাম্মাদ ইব্ন বাহর ইব্ন মাতার ….. হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি কাউকে তার জীবদ্দশার জন্য কোন বস্তু দান করে, তা তারই হবে এবং (তার মৃত্যুর পর) তার ওয়ারিসের হবে।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে যে ওয়ারিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার দ্বারা معمر (যাকে দান করা হয়েছে)-এর ওয়ারিসই উদ্দেশ্য।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে যে ওয়ারিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার দ্বারা معمر (যাকে দান করা হয়েছে)-এর ওয়ারিসই উদ্দেশ্য।
كتاب الهبة والصدقة
5865 - أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ بَحْرِ بْنِ مَطَرٍ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو النَّضْرِ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الطَّائِفِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْمَرَ شَيْئًا حَيَاتَهُ فَهُوَ لَهُ وَلِوَارِثِهِ» فَدَلَّ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا عَلَى الْوَارِثِ الْمَحْكُومِ بِهَا لَهُ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا أَنَّهُ وَارِثُ الْمُعْمَرِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৬
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৬। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ….. হুজর ইব্ন কায়স বলেন, হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) তাকে জানিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : উমরা (দানের বস্তু) معمر -এর মীরাস।
হাদীসটি ইমাম আহমদ তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি ইমাম আহমদ তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
كتاب الهبة والصدقة
5866 - وَقَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ طَاوُسٍ أَنَّ حُجْرَ بْنَ قَيْسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى مِيرَاثٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৭
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৭। ইব্ন আবু দাউদ ….. হযরত যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেনঃ উমরার পথ হলাে মীরাসের পথ।
আবু জাফর (রাযিঃ) বলেন, এ হাদীসের অর্থও পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ (অর্থাৎ উমরা হবে মু'মির-এর মীরাস) হাদীসের রাবী হুজর ইব্ন কায়েস আল-মাদাবরী একজন বিশ্বস্ত রাবী।
আবু জাফর (রাযিঃ) বলেন, এ হাদীসের অর্থও পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ (অর্থাৎ উমরা হবে মু'মির-এর মীরাস) হাদীসের রাবী হুজর ইব্ন কায়েস আল-মাদাবরী একজন বিশ্বস্ত রাবী।
كتاب الهبة والصدقة
5867 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ الْمَدَرِيِّ، عَنْ حُجْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَبِيلُ الْعُمْرَى سَبِيلُ الْمِيرَاثِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا أَيْضًا مَعْنَاهُ مِثْلُ مَا قَبْلَهُ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৮
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৮। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ….. হযরত মুআবিয়া হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) বলেছেন : উমরা তার আহল-এর জন্য জায়েয আছে।
প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন, উল্লেখিত এ হাদীসে اهل (আহল) দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে ঐ সকল লােক যারা উমরা দান করেছে। তারা তার আহল নয়, যাদেরকে দান করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মতের উলামা-ই কিরামের দলীল হলাে :
প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন, উল্লেখিত এ হাদীসে اهل (আহল) দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে ঐ সকল লােক যারা উমরা দান করেছে। তারা তার আহল নয়, যাদেরকে দান করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মতের উলামা-ই কিরামের দলীল হলাে :
كتاب الهبة والصدقة
5868 - وَقَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ مُعَاوِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى جَائِزَةٌ لِأَهْلِهَا» فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: أَهْلُهَا هُمُ الَّذِينَ أَعْمَرُوهَا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৬৯
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৬৯। ফাহদ ….. মুহাম্মাদ ইব্নুল হানাফিয়া বলেন, হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন বস্তু কাউকে দান করল, সে দান করা বস্তু তারই হবে। তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসই ঐ বস্তুর ওয়ারিস হবে।
হাদীসের রাবী উবায়দ ইব্ন ইয়াঈশ। তিনি কূফার অধিবাসী এবং আতর বিক্রেতা। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী । এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে, যারা عمرى-এর আহল, যাদের জন্য তা জায়েয, তারা হলাে ঐ সকল লােক, যাদেরকে উমরা দান করা হয়েছে। তারা তার আহল নয়, যারা দান করেছে।
হাদীসের রাবী উবায়দ ইব্ন ইয়াঈশ। তিনি কূফার অধিবাসী এবং আতর বিক্রেতা। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী । এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে, যারা عمرى-এর আহল, যাদের জন্য তা জায়েয, তারা হলাে ঐ সকল লােক, যাদেরকে উমরা দান করা হয়েছে। তারা তার আহল নয়, যারা দান করেছে।
كتاب الهبة والصدقة
5869 - أَنَّ فَهْدًا حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ قَالَ: قَالَ لِي مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْمَرَ عُمْرَى فَهِيَ لَهُ يَرِثُهَا مِنْ عَقِبِهِ مَنْ يَرِثُهُ» [ص:92] فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّ أَهْلَهَا الَّذِينَ جَازَتْ لَهُمْ هُمُ الْمُعْمَرُونَ لَا الْمُعْمِرُونَ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৭১
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭০-৭১। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন মায়মূন আল-বাগদাদী ….. হযরত জাবির (রাযিঃ) নবী(ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, উমরা ঐ ব্যক্তির জন্য, যাকে তা দান করা হয়েছে।
হাদীসে রাবী আবু সালামা, তিনি হলেন আব্দুর রহমানের পুত্র আবু সালামা। হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা .... হিশাম ইব্ন আবু আব্দুল্লাহ, ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করেন, তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
হাদীসে রাবী আবু সালামা, তিনি হলেন আব্দুর রহমানের পুত্র আবু সালামা। হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা .... হিশাম ইব্ন আবু আব্দুল্লাহ, ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করেন, তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب الهبة والصدقة
5870 - وَقَدْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى لِمَنْ وُهِبَتْ لَهُ»
5871 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللهِ عَنْ يَحْيَى فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5871 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللهِ عَنْ يَحْيَى فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭১
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
empty
৫৮৭১।
كتاب الهبة والصدقة
5871 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭২
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭২। ফাহদ …. তাউস হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب الهبة والصدقة
5872 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৩
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৩। ফাহদ …. আবু যুবায়র হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : তােমরা তােমাদের মাল আটকিয়ে রাখ। তােমরা তা দান করাে না। কারণ যে ব্যক্তি কাউকে কিছু দান করল, তার মালিক সেই হবে।
كتاب الهبة والصدقة
5873 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْسِكُوا عَلَيْكُمْ أَمْوَالَكُمْ لَا تَعْمُرُوهَا فَمَنْ أَعْمَرَ أَحَدًا شَيْئًا فَهُوَ لَهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৪
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৪। ফাহদ …. আবু সালামা হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : তােমরা দান করাে না, অতঃপর যে ব্যক্তি কিছু দান করল, তা তারই হবে যাকে সে দান করল। অতঃপর প্রথম মতের প্রবক্তাগণ বলেন : আমরা তাে এ কথা অস্বীকার করি না যে, উমরা তারই হবে যাকে দান করা হয়েছে। আমরা বলি, গ্রহীতা মু'মার-এর মৃত্যুর পর তা পুনরায় দাতা মু'মির-এর নিকট ফিরে আসবে।
কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে, আমরা যে সব রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি, তার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) উমরা হতে নিষেধ করেছেন। অথচ উমরা তার চুক্তি অনুসারে জারী হলে তিনি তা হতে নিষেধ করবেন তা অসম্ভব। বরং তিনি নিষেধ করেছেন এ কারণে যে, তা তার চুক্তি অনুযায়ী জারি হয় না, বরং চুক্তির বিপরীত জারী হয়। তিনি বলেন, فمن أعمر شيئا فهو له - “অতঃপর যে ব্যক্তি উমরা করল, তা তার জন্যই হবে, যার জন্য সে উমরা (দান) করেছে। এখানে তিনি এ কথা বলেননি, যাকে দান করা হলাে, দানকৃত বস্তুটি তার হবে কেবল তার জীবিত থাকাকালীন, বরং তিনি বিষয়টি জীবিতাবস্থা কিংবা মৃত্যুর পর, এরূপ কোন সময়ের উল্লেখ না করেই বলেছেন।
তার এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, উমরা গ্রহীতা মু'মার-এর জন্য তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর তার অন্যান্য সব মালের মতই বিবেচ্য।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে এই যে বক্তব্য বর্ণিত যে, তিনি, উমরা'-কে জায়েয করেছেন। তার অর্থ হলো গ্রহীতা মু'মার এর জন্য পরবর্তী সব সময়ের জন্য জায়েয করেছেন।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) উমরাকে জয়েয করেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে আরাে যে সব হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলাে :
কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে, আমরা যে সব রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি, তার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) উমরা হতে নিষেধ করেছেন। অথচ উমরা তার চুক্তি অনুসারে জারী হলে তিনি তা হতে নিষেধ করবেন তা অসম্ভব। বরং তিনি নিষেধ করেছেন এ কারণে যে, তা তার চুক্তি অনুযায়ী জারি হয় না, বরং চুক্তির বিপরীত জারী হয়। তিনি বলেন, فمن أعمر شيئا فهو له - “অতঃপর যে ব্যক্তি উমরা করল, তা তার জন্যই হবে, যার জন্য সে উমরা (দান) করেছে। এখানে তিনি এ কথা বলেননি, যাকে দান করা হলাে, দানকৃত বস্তুটি তার হবে কেবল তার জীবিত থাকাকালীন, বরং তিনি বিষয়টি জীবিতাবস্থা কিংবা মৃত্যুর পর, এরূপ কোন সময়ের উল্লেখ না করেই বলেছেন।
তার এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, উমরা গ্রহীতা মু'মার-এর জন্য তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর তার অন্যান্য সব মালের মতই বিবেচ্য।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে এই যে বক্তব্য বর্ণিত যে, তিনি, উমরা'-কে জায়েয করেছেন। তার অর্থ হলো গ্রহীতা মু'মার এর জন্য পরবর্তী সব সময়ের জন্য জায়েয করেছেন।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) উমরাকে জয়েয করেছেন। এ সম্পর্কে তার থেকে আরাে যে সব হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলাে :
كتاب الهبة والصدقة
5874 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ: «لَا عُمْرَى فَمَنْ أَعْمَرَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ» فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: فَنَحْنُ لَا نُنْكِرُ أَنْ يَكُونَ الْعُمْرَى لِمَنْ أَعْمَرَهَا وَإِنَّمَا قُلْنَا: إِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى الْمُعْمِرِ بَعْدَ مَوْتِ الْمُعْمَرِ. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى فِيمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْآثَارِ عَنِ الْعُمْرَى. فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ نَهَى عَنْهَا وَهِيَ تَجْرِي كَمَا عُقِدَتْ وَلَكِنَّهُ نَهَى عَنْهَا لِأَنَّهَا تَجْرِي عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ. قَالَ فَمَنْ أَعْمَرَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ فَأَرْسَلَ ذَلِكَ وَلَمْ يَقُلْ فَهُوَ لَهُ مَا دَامَ حَيًّا. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا لَهُ كَسَائِرِ مَالِهِ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ مَمَاتِهِ. فَهَذَا مَعْنَى مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ جَعَلَهَا جَائِزَةً أَيْ جَائِزَةً لِلْمُعْمَرِ فِيهَا بَعْدَ ذَلِكَ أَبَدًا. وَمِمَّا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ جَعَلَهَا جَائِزَةً مَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৫
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৫। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ….. হযরত সামুরা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : “উমরা জায়েয আছে।” এ বিষয়ের জন্য এ-ও একটি দলীল,
كتاب الهبة والصدقة
5875 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَفَّانَ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ قَالَ: ثنا قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعُمْرَى جَائِزَةٌ» وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৬
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৬। ইব্ন আবু দাউদ ও আহমদ ইব্ন আবু দাউদ ধারাবাহিকভাবে, আবু উমর হাওযী, হাম্মাম ও কাতাদাহ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন : একবার সুলায়মান ইব্ন হিশাম আমাকে বললেন, উমরা সম্পর্কে আপনি কি বলেন ? তখন আমি তাকে বললাম ; নযর ইব্ন আনাস, বাশীর ইব্ন নাহীক-এর মাধ্যমে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : উমরা জায়েয আছে।
كتاب الهبة والصدقة
5876 - أَنَّ ابْنَ أَبِي دَاوُدَ وَأَحْمَدَ بْنَ دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَانَا قَالَا: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ قَالَ: ثنا قَتَادَةُ قَالَ: قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ مَا تَقُولُ فِي الْعُمْرَى؟ . فَقُلْتُ لَهُ:
حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى جَائِزَةٌ»
حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى جَائِزَةٌ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৭
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৭। ইমাম যুহরী বলেন, যাবত না তােমার দান ‘মু’মার-এর জন্য এবং তারপর তার ওয়ারিসের জন্য করবে, তা উমরা হিসেবে বিবেচিত হবে না। অতঃপর তিনি আতা ইব্ন আবু রবাহকে বললেন, এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তখন তিনি বললেন : হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : العمرى ميراث “উমরা হলাে মু’মার-এর মীরাস।”
এই যে, আতা ও কাতাদাহ উভয়ই উমরাকে মু'মার-এর জন্য জায়েয করেছেন এবং তাঁর পক্ষ হতে তা মীরাস হিসেবে ঘােষণা করেছেন এবং ইমাম যুহরী তাদের মন্তব্যে কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি, বরং তিনি এ কথা বলেছেন যে, যাবত না তুমি মু'মার ও তার পরবর্তী সন্তানদের জন্য তােমার দান করবে, তা উমরা হিসেবে বিবেচিত হবে না। অতএব যখন উমরা এরূপ হবে, তখন তা মু'মার-এর নিজস্ব মালের মত হবে এবং তখন তার পক্ষ হতে তার মধ্যে মীরাসও জারী হবে, যেমন তার অন্যান্য সব মালের মধ্যে তার পক্ষ হতে মীরাস জারী হয়। যদিও তাদের মধ্যে এমনও কেউ ওয়ারিস হয়, যে তার সন্তান নয়। যেমন আবু সালামা এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আমরাও ইনশাআল্লাহ এ অনুচ্ছেদের যথাস্থানে তা বর্ণনা করব ।
আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা সঠিক ও বিশুদ্ধ প্রমাণিত হবার জন্য আরাে যে সব দলীল বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে :
এই যে, আতা ও কাতাদাহ উভয়ই উমরাকে মু'মার-এর জন্য জায়েয করেছেন এবং তাঁর পক্ষ হতে তা মীরাস হিসেবে ঘােষণা করেছেন এবং ইমাম যুহরী তাদের মন্তব্যে কোন আপত্তি উত্থাপন করেননি, বরং তিনি এ কথা বলেছেন যে, যাবত না তুমি মু'মার ও তার পরবর্তী সন্তানদের জন্য তােমার দান করবে, তা উমরা হিসেবে বিবেচিত হবে না। অতএব যখন উমরা এরূপ হবে, তখন তা মু'মার-এর নিজস্ব মালের মত হবে এবং তখন তার পক্ষ হতে তার মধ্যে মীরাসও জারী হবে, যেমন তার অন্যান্য সব মালের মধ্যে তার পক্ষ হতে মীরাস জারী হয়। যদিও তাদের মধ্যে এমনও কেউ ওয়ারিস হয়, যে তার সন্তান নয়। যেমন আবু সালামা এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আমরাও ইনশাআল্লাহ এ অনুচ্ছেদের যথাস্থানে তা বর্ণনা করব ।
আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা সঠিক ও বিশুদ্ধ প্রমাণিত হবার জন্য আরাে যে সব দলীল বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে :
كتاب الهبة والصدقة
5877 - قَالَ الزُّهْرِيُّ: إِنَّهَا لَا تَكُونُ عُمْرَى حَتَّى تُجْعَلَ لَهُ وَلِعَقِبِهِ. [ص:93] فَقَالَ لِعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ: مَا تَقُولُ؟ فَقَالَ:
حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى مِيرَاثٌ» فَهَذَا عَطَاءٌ وَقَتَادَةُ جَمِيعًا قَدْ جَعَلَاهَا جَائِزَةً لِلْمُعْمَرِ مَوْرُوثَةً عَنْهُ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا الزُّهْرِيُّ وَإِنَّمَا قَالَ لَا يَكُونُ عُمْرَى يَكُونُ هَذَا حُكْمَهَا حَتَّى تُجْعَلَ لِلْمُعْمَرِ وَلِعَقِبِهِ فَتَكُونَ كَمَالَهُ وَتَكُونَ مَوْرُوثَةً عَنْهُ كَمَا يُورَثُ سَائِرُ أَمْوَالِهِ عَنْهُ وَإِنْ كَانَ مَنْ يَرِثُهَا عَنْهُ فِيهِمْ خِلَافَ عَقِبِهِ عَلَى مَا حَدَّثَهُ أَبُو سَلَمَةَ وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَا
حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى مِيرَاثٌ» فَهَذَا عَطَاءٌ وَقَتَادَةُ جَمِيعًا قَدْ جَعَلَاهَا جَائِزَةً لِلْمُعْمَرِ مَوْرُوثَةً عَنْهُ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا الزُّهْرِيُّ وَإِنَّمَا قَالَ لَا يَكُونُ عُمْرَى يَكُونُ هَذَا حُكْمَهَا حَتَّى تُجْعَلَ لِلْمُعْمَرِ وَلِعَقِبِهِ فَتَكُونَ كَمَالَهُ وَتَكُونَ مَوْرُوثَةً عَنْهُ كَمَا يُورَثُ سَائِرُ أَمْوَالِهِ عَنْهُ وَإِنْ كَانَ مَنْ يَرِثُهَا عَنْهُ فِيهِمْ خِلَافَ عَقِبِهِ عَلَى مَا حَدَّثَهُ أَبُو سَلَمَةَ وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৮
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৮। ইউনুস ….. আতা হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : তােমরা কাউকে উমরা করাে না এবং রুকবা করাে না। রুকবা অর্থ এ কথা বলা যে, আমার মৃত্যুর পর তুমি আমার এ সম্পদের মালিক। তারপরও যে ব্যক্তি কাউকে উমরা করল কিংবা রুকবা করল, সে ক্ষেত্রে গ্রহীতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিস তার মালিক হরে।।
كتاب الهبة والصدقة
5878 - أَنَّ يُونُسَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَعْمُرُوا وَلَا تَرْقُبُوا فَمَنْ أَعْمَرَ شَيْئًا أَوْ أَرْقَبَهُ فَهُوَ لِلْوَارِثِ إِذَا مَاتَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭৯
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৭৯। রাওহ ইব্ন ফারজ ….. হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : তােমাদের মাল আটকিয়ে রাখ, নষ্ট করে না। কারণ যে ব্যক্তি কাউকে কোন বস্তু দান করল তা জীবিত ও মৃতাবস্থায় তারই হবে এবং তার সন্তানদের হবে।
كتاب الهبة والصدقة
5879 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْسِكُوا عَلَيْكُمْ أَمْوَالَكُمْ لَا تُفْسِدُوهَا فَإِنَّهُ مَنْ أَعْمَرَ عُمْرَى فَهِيَ لَهُ حَيًّا وَمَيِّتًا وَلِعَقِبِهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৮০
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
আল-উমরা প্রসঙ্গ
৫৮৮০। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান .... আবু যুবায়র হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি তিনি বলেন, (ﷺ) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তিকে কোন বস্তু তার জীবিতাবস্থার দান করা হলো, সে বস্তুটি তার জীবনাবস্থায় তারই হবে এবং তার মৃত্যুর পর হবে তার ওয়ারিসদের জন্য।
كتاب الهبة والصدقة
5880 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْمَرَ عُمْرَى حَيَاتِهِ فَهِيَ لَهُ فِي حَيَاتِهِ وَلِوَرَثَتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ»
তাহকীক: