শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৯. শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ৬২১১
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১১। মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ বাগদাদী ...... আবু-যুবায়র হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ইওয়ামুন নাহর (দশম যিলহজ্জ)-এ মদীনায় (ঈদুল আযহার) নামায আদায় করলেন। অতঃপর কিছু লােক এই ধারণা করে যে, নবী কুরবানী করেছেন, তারা আগেই কুরবানী করল। তখন নবী নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি তার পূর্বে কুরবানী করেছে, সে যেন অন্য একটি পশু কুরবানী করে এবং পরবর্তীতে যেন কেউ নবী (ﷺ)-এর কুরবানী করার পূর্বে কুরবানী না করে।
আলােচনা : আবু জাফর (তাহাবী) (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের ওপর ভিত্তি করে বলেন, ইমামের কুরবানী করার পূর্বে কারাে জন্য কুরবানী করা জায়েয নয়। যদি কেউ পূর্বে কুরবানী করে,চাই নামাযের পরে হােক কিংবা পূর্বে, এই কুরবানী তার জন্য যথেষ্ট হবে না। আর তারা এ হাদীসকে দল হিসেবে পেশ করেন এবং তারা আল্লাহ্ তা'আলার এ বাণী يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ কে দলীল হিসেবে পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আওযাঈ, মালিক, শাফিঈ (রাহঃ) ও তার অনুসারীগণ উদ্দেশ্য। অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামায়াত তাদের মতের বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের নামাযের পর কুরবানী করবে, তার পক্ষ হতে তা যথেষ্ট হবে। অবশ্য নামাযের পূর্ব যে ব্যক্তি কুরবানী করবে, সে কুরবানী যথেষ্ট হবে না। তারা বলেন, হযরত আবুয-যুবায়র (রাযিঃ) বর্ণিত উল্লেখিত আয়াতটি ভিন্ন অর্থে নাযিল হয়েছে। অতঃপর তারা উল্লেখ করেন। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, আতা ইবন আবু রাবাহ, ইবরাহীম নাখঈ, সুফিয়ান সাওরী, লাইস ইব্ন সা'দ, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও আহমদ (রাহঃ)।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
بَابُ مَنْ نَحَرَ يَوْمَ النَّحْرِ قَبْلَ أَنْ يَنْحَرَ الْإِمَامُ
6211 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , أَخْبَرَهُ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ النَّحْرِ بِالْمَدِينَةِ. فَتَقَدَّمَ رِجَالٌ فَنَحَرُوا , فَظَنُّوا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَحَرَ فَأَمَرَ مَنْ كَانَ نَحَرَ قَبْلَهُ , أَنْ يُعِيدَ بِذَبْحٍ آخَرَ , وَلَا يَنْحَرُ حَتَّى يَنْحَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَنْحَرَ , حَتَّى يَنْحَرَ الْإِمَامُ , وَإِنْ نَحَرَ قَبْلَ ذَلِكَ بَعْدَ الصَّلَاةِ أَوْ قَبْلَهَا , لَمْ يُجْزِهِ ذَلِكَ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَتَأَوَّلُوا قَوْلَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ} [الحجرات: 1] . وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ نَحَرَ بَعْدَ صَلَاةِ الْإِمَامِ أَجْزَأَهُ ذَلِكَ , وَمَنْ نَحَرَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَلَمْ يُجْزِهِ ذَلِكَ , وَقَالُوا: قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ قَدْ نَزَلَتْ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى. [ص:172] فَذَكَرُوا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১২
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১২। মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ্ ইস্পাহানী ...... ইব‌্ন আবু মুলায়কা বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র তাকে খবর দিয়েছেন, একবার বনু তামীমের একটি কাফেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হলাে। তখন হয়তন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কাকা ইব‌্ন মা'বাদ ইব‌্ন যুরারা-কে তাদের আমীর নিযুক্ত করে দিন। অন্যদিকে হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আক্বরা ইবন হাবিসকে তাদের আমীর বানিয়ে দিন । তখন হযরত আব বকর (রাযিঃ) বললেন, এ প্রস্তাব দ্বারা আমার বিরােধিতা করাই তােমার উদ্দেশ্য। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন আমার উদ্দেশ্য আপনার বিরােধিতা করা নয়। এভাবে তারা পরস্পরে বাক্য বিনিময় করতে লাগলেন, এমনকি তাদের আওয়ায বুলন্দ হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহ্ পাক এ আয়াত নাযিল করেন :أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ

তাদের দলীল হলাে, হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর যে হাদীস উপরে বর্ণিত হয়েছে, তা এ ভাষা হতে ভিন্ন ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। অতএব তা এ উলামা-ই কিরামের দলীল হতে পারে না।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6212 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَنَّ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَكْبًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ , قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «يَا رَسُولَ اللهِ أَمِّرِ الْقَعْقَاعَ بْنَ مَعْبَدِ بْنَ زُرَارَةَ» . وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَمِّرِ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «مَا أَرَدْتَ بِذَلِكَ إِلَّا خِلَافِي» . فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «مَا أَرَدْتُ خِلَافَكَ» . فَتَمَارَيَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا {أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ} [الحجرات: 1] وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي قَوْلِهِمْ , أَنَّ حَدِيثَ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَدْ رُوِيَ عَلَى غَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৩
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১৩। আব্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন খাশীশ ...... হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) -এর নামায আদায় করার পূর্বে একটা ছােট ছাগল যবেহ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তােমার পরে আর অন্য কারাে জন্য (এই ছােট বাচ্চা ছাগল) যথেষ্ট হবে না এবং তাকে তিনি নামাযের পূর্বে যবেহ করতে নিষেধ করলেন।
আবু জাফর বলেন, এখানে প্রমাণিত হলাে যে, নিষেধের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঈদের নামায পড়ার পূর্বে কুরবানী না করা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যবেহ করার পূর্বে যবেহ্ না করা, তাঁর নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য নয়। আর নামাযের পরে তাদের জন্য যবেহ করা জায়েয হবার ঘােষণা দেয়া উদ্দেশ্য না হলে তাে নামাযের পূর্বে যবেহ করা হতে তাদেরকে নিষেধ করা জায়েয হয় না। আর নামাযের পর যবেহ করা জায়েয না হলে নামাযের কথা উল্লেখ করারও কোন প্রয়ােজন হয় না। হযরত জাবির (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য সাহাবা-ই কিরাম নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6213 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ رَجُلًا ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَتُودًا جَذَعًا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُجْزِئُ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ» وَنَهَى أَنْ يَذْبَحُوا قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّهْيَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا قُصِدَ بِهِ إِلَى النَّهْيِ عَنِ الذَّبْحِ قَبْلَ الصَّلَاةِ , لَا قَبْلَ ذَبْحِهِ , وَهُوَ لَا يَجُوزُ أَنْ يَنْهَاهُمْ عَنِ الذَّبْحِ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ إِلَّا وَهُوَ يُرِيدُ بِذَلِكَ إِعْلَامَهُمْ إِبَاحَةَ الذَّبْحِ لَهُمْ بَعْدَ مَا يُصَلِّي , وَإِلَّا لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِهِ الصَّلَاةَ مَعْنًى. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ غَيْرِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ هَذَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬২১৬
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১৪-১৬। ইবরাহীম ইবন মারক ...... শা'বী হযরত বারা ইব্‌ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল আযহার দিনে বাকী নামক স্থানে বের হয়ে এলেন এবং প্রথমে তিনি দু রাকআত নামায আদায় করলেন, অতঃপর আমাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, এ দিনে প্রথম যে ইবাদত আমাদের পালন করতে হবে, তা হলাে ঈদুল আযহার নামায আদায় করা। অতঃপর আমরা ফিরে এসে কুরবানী করব। যে এ নিয়ম পালন করল, সে আমাদের সুন্নত মুতাবিক আমল করল। আর যে এর পূর্বে যবেহ করল, তার মনের উচিত যে, এটা কোন কুরবানী হলাে না, যা হলাে তা তার পরিবারের জন্য গােশতের ব্যবস্থা। যার জন্য সে ত্বরা করেছে। তখন আমার মামা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি (নামাযের পূর্বে) যবেহ করেছি এবং এখন আমার নিকট ছয় মাস পূর্ণ একটা ছাগল আছে, যা দুবছরের ছাগল অপেক্ষা উত্তম। তখন। বললেন, তুমি সেটাই যবেহ কর কিন্তু তােমার পরে অন্য কারাে জন্য এটা জায়েয হবে না।

মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ ...... যুবায়দ, মানসুর, দাউদ ইবন আওন ও মুজালিদ শা'বা হতে বর্ণনা করেন, আর এ হাদীসের মতন যুবাইদ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শা'বীকে এখানে মসজিদের খুঁটির নিকট হযরত বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করতে শুনেছি। যদি আমি তার নিকটবর্তী হতাম তবে তার স্থানটি আমি তােমাদেরকে দেখিয়ে দিতাম। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করলেন।

আবু বাকরা, ...... শা'বী হযরত বারা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য তার বর্ণনায় রয়েছে,اذبحها , ولا تزكي جذعة بعد তুমি সেটা যবেহ কর। কিন্তু পরে আর কখনও ছ'মাসের ছাগল যবেহ করা যাবে না।
আলােচনাঃ আবু জাফর তাহাভী (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য, “আমাদের এদিনে প্রথম ইবাদাত হলাে ঈদুল আযহার নামায আদায় করা। অতঃপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করা।" যে ব্যক্তি তা করলাে সে আমাদের সুন্নত মুতাবিক আমল করল।" এ হাদীস দ্বারা তিনি আমাদের জানিয়ে দিলেন যে, কুরবানীর দিনে ইবাদত হলাে, প্রথম নামায, তার পর কুরবানীর পশু যবেহ করা। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, যে কাজের মাধ্যমে কুরবানীর পশু যবেহ করা হালাল হয়, তা হলাে ঈদুল আযহার নামায। ঈদের নামাযের পর ইমামের যবেহ করা (অন্যের যবেহ করা জায়েয হবার জন্য) শর্ত নয়। এ হাদীস এ কথাও প্রমাণ করে যে, নামাযের পর কুরবানী করার হুকুম নামাযের পূর্বে কুরবানী করার হুকুমের বিপরীত। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বিষয়টি হযরত বারা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য সাহাবা-ই কিরামও বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6214 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: خَرَجَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَضْحَى إِلَى الْبَقِيعِ , فَبَدَأَ , فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ: «إِنَّ أَوَّلَ نُسُكِنَا فِي يَوْمِنَا هَذَا , أَنْ نَبْدَأَ بِالصَّلَاةِ , ثُمَّ نَرْجِعَ , فَنَنْحَرَ , فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ , فَقَدْ وَافَقَ سُنَّتَنَا , وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلَ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ عَجَّلَهُ لِأَهْلِهِ , لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ» . فَقَامَ خَالِي فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنِّي ذَبَحْتُ , وَعِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ , فَقَالَ: " اذْبَحْهَا , وَلَا تُجْزِئُ , أَوْ لَا تُوفِي , عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ

6215 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زُبَيْدٌ، وَمَنْصُورٌ , وَدَاوُدُ , وَابْنُ عَوْنٍ , وَمُجَالِدٌ , عَنِ الشَّعْبِيِّ،. وَهَذَا حَدِيثُ زُبَيْدٍ , قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، هَاهُنَا يُحَدِّثُ عَنِ الْبَرَاءِ، عِنْدَ سَارِيَةٍ فِي الْمَسْجِدِ , وَلَوْ كُنْتُ قَرِيبًا مِنْهَا , لَأَخْبَرْتُكُمْ بِمَوْضِعِهَا , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ [ص:173]

6216 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو الْمُطَرِّفِ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ , عَنْ زُبَيْدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ اذْبَحْهَا , وَلَا تُزَكِّي جَذَعَةً بَعْدُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ نُسُكِنَا فِي يَوْمِنَا هَذَا , أَنْ نُصَلِّيَ , ثُمَّ نَرْجِعَ , فَنَنْحَرَ , فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ , فَقَدْ وَافَقَ سُنَّتَنَا. فَأَخْبَرَ أَنَّ النُّسُكَ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , هُوَ صَلَاةٌ , ثُمَّ الذَّبْحُ بَعْدَهَا. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا يَحِلُّ بِهِ الذَّبْحُ , هُوَ الصَّلَاةُ , لَا ذَبْحُ الْإِمَامِ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَهَا , وَعَلَى أَنَّ حُكْمَ النَّحْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ , خِلَافُ حُكْمِ النَّحْرِ قَبْلَهَا. وَقَدْ رَوَى مِثْلَ هَذَا أَيْضًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ الْبَرَاءِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৫
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
empty
৬২১৫।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6215 -
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৬
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
empty
৬২১৬।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6216 -
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৭
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১৭। আবু বাকরা ...... আসওয়াদ ইবন কায়স হযরত জুন্দুব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইয়াওমন নাহার-এ রাসুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এক সময় তিনি এমন কতিপয় লােকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন যারা তার নামায আদায় করার পূর্বে যবেহ করেছিল। তখন তিনি বললেন, (ঈদুল আযহার) নামাযের পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ করেছে সে যেন পুনরায় কুরবানী করে। আমরা যখন নামায পড়ে শেষ করব, তখন যার ইচ্ছা, সে যবেহ করবে আর যার ইচ্ছা যবেহ করবে না (যদি তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব )
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6217 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدَبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ , فَمَرَّ بِقَوْمٍ قَدْ ذَبَحُوا قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَقَالَ: " مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَلِيُعِدْ , فَإِذَا صَلَّيْنَا , فَمَنْ شَاءَ ذَبَحَ , وَمَنْ شَاءَ فَلَا يَذْبَحْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৮
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১৮। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক……জুন্দুব ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, ঈদুল আযহার নামযের পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু যবেহ করেছে, সে যেন তার স্থলে পুনরায় যবেহ করে। আর যবেহ না করে থাকলে সে যেন নামায বাদ যবেহ করে।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6218 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدُبَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ , فَلْيُعِدْ أُخْرَى مَكَانَهَا , وَمَنْ لَمْ يَكُنْ ذَبَحَ , فَلْيَذْبَحْ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২১৯
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২১৯। ইউনুস ...... আসওয়াদ ইব্ন কায়স হতে বর্ণনা করেন, তিনি জুন্দুব (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি নবী (ﷺ) -এর সঙ্গে ঈদুল আযহার নামাযে শরীক ছিলাম। তিনি জানতে পারলেন যে, কিছু লােক নামাযের পুর্বেই যবেহ করেছে। তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি (নামাযের পূর্বে) যবেহ করেছে, সে যেন পুনরায় যবেহ করে। আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে যবেহ করেনি, সে যেন এখন আল্লাহর নামে যবেহ করে।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6219 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، سَمِعَ جُنْدُبًا، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: شَهِدْتُ الْأَضْحَى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلِمَ أَنَّ نَاسًا ذَبَحُوا قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَالَ: «مَنْ كَانَ ذَبَحَ , فَلْيُعِدْ , وَمَنْ لَا , فَلْيَذْبَحْ , عَلَى اسْمِ اللهِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২২০
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২২০। রাওহ ইব্নুল ফারজ…..জুন্দুব ইব্ন সুফিয়ান হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ঈদুল আযহার নামাযে শরীক ছিলাম। তিনি ঈদের নামায জামায়াতের সাথে আদায় করার পর হঠাৎ কিছু যবেহ করা ছাগল দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে যবেহ করেছে, বস্তুত সেটা গােশতের ছাগল । আর যে ব্যক্তি যবেহ করেনি, সে যেন আল্লাহর নামে যবেহ করে।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6220 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ: شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ صَلَّى بِالنَّاسِ الْعِيدَ , فَإِذَا هُوَ بِغَنَمٍ قَدْ ذُبِحَتْ فَقَالَ: «مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ , فَتِلْكَ شَاةُ لَحْمٍ , وَمَنْ لَمْ يَكُنْ ذَبَحَ , فَلْيَذْبَحْ عَلَى اسْمِ اللهِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২২১
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২২১। আবু উমাইয়্যা ...... মুহাম্মাদ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করলেন। তারপর খুতবা প্রদান করলেন। তারপর তিনি নামাযের পূর্বে যবেহকারীকে পুনরায় যবেহ করার দির্দেশ দিলেন।
আবু জাফর (রাযিঃ) বলেন, এ সকল হাদীস প্রমাণ করে যে, করবানীর পশু যবেহ করার প্রথম সময় হলাে, নামাযের পরবর্তী সময়। ইমাম যবেহ করবেন তারপর সর্ব সাধারণের জন্য কুরবানীর সময় হবে এ কথা ঠিক নয়। রিওয়ায়াতের সূত্রে এ অনুচ্ছেদের এটাই ফয়সালা।
নযর ও যুক্তি : আর নযর ও যুক্তি এ ব্যাপারে যা প্রমাণ করে, তা হলাে, আমরা সর্বজন স্বীকৃত একটা নীতি দেখেছি যে, যদি ইমাম একেবারেই কুরবানী না করেন, তবে অন্য লােকদের থেকে কুরবানীর হুকুম রহিত হবে না। সে বছরে তাদের জন্য কুরবানী করায় কোন বাধা থাকবে না। হুযায়ফা ইবন উসায়দ আবু শারীহা হতে বর্ণিত হয়েছে যা আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন-
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6221 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَمَّادٌ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ أَنَسٍ، وَهِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى , ثُمَّ خَطَبَ , فَأَمَرَ مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ أَنْ يُعِيدَ ذَبْحًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الذَّبْحِ , يَوْمَ النَّحْرِ , هُوَ مِنْ بَعْدِ الصَّلَاةِ , لَا مِنْ بَعْدِ ذَبْحِ الْإِمَامِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. فَأَمَّا مَا يَدُلُّ عَلَيْهِ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُجْمَعَ عَلَيْهِ أَنَّ الْإِمَامَ لَوْ لَمْ يَنْحَرْ أَصْلًا , لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِمُسْقِطٍ عَنِ النَّاسِ النَّحْرَ , وَلَا بِمَانِعٍ لَهُمْ مِنَ النَّحْرِ فِي ذَلِكَ الْعَامِ. [ص:174] وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أُسَيْدٍ أَبِي سَرِيحَةَ
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২২২
শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান
কুরবানীর দিনে ইমামের কুরবানী করার পূর্বে যে ব্যক্তি কুরবানী করল।
৬২২২। ইবন মারযূক ...... শাবী আবু শারীহা হতে বর্ণনা করেন, হযরত আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) কুরবানী করতেন না।

সালিহ্ ইব্ন আব্দুর রহমান ও রাওহ ইবনুল ফারজ ......... শাবী, আবু শারীহা হতে বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু বকর ও উমর (রাযিঃ)-কে দেখেছি তারা কুরবানী করতেন না।
আবু জা'ফর তাহাভী (রাহঃ) বলেন, আপনি কি মনে করেন, যখন মুসলমানদের ইমাম (কোন কারণবশত) কুরবানী না করেন, সে বছর অন্য কেউ কুরবানীই করেনি? আপনি কি এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করেন না যে, যদি ইমাম ইওয়ামুন নাহর-এ কোন রণক্ষেত্রে যুদ্ধের কারণে অথবা অন্য কোন অনিবার্য কাজে লিপ্ত হওয়ার কারনে কুরবানী করতে না পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে অন্য লােক যারা কুরবানী করতে চায়, তারা কি কুরবানী করবে না, যদি কেউ বলেন, ঐ বছর কারাে জন্য কুরবানী করা জায়েয হবে না, তবে তিনি সম্মিলিত মত হতে বের হয়ে যাবেন। আর যদি বলেন, সূর্য হেলে যাবার পর তাদের জন্য কুরবানী করার অনুমতি হবে। কারণ তখন ঈদুল আযহার নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়, তবে তার এ কথা এটাই প্রমাণ করে, যার মাধ্যমে কুরবানী করা হালাল হয়, তা হলাে ঈদুল আযহার ওয়াক্তের মধ্যে ঈদুল আযহার নামায আদায় করা, ইমামের কুরবানী করা নয়।
অতএব ইমাম যখন নামায পড়ে শেষ করবেন, তখন যে কুরবানী করতে ইচ্ছা করবে, তার জন্য কুরবানী করা হালাল হরে। আপনি কি দেখছেন না যে, ইমাম যদি নামায পড়ার পূর্বেই কুরবানী করেন, তবে তার জন্য তা যথেষ্ট হবে না। একইভাবে অন্য সমস্ত লােকও অনুরূপ। সুতরাং ইমাম ও অন্য সকল নােক নামাযের পরে যবেহ করা যথেষ্ট না হবার ব্যাপারে সমান। অর্থাৎ তাদের কারাে জন্য তা যথেষ্ট হবে না। অতএব নযর ও যুক্তির দাবি হলাে, নামাযের পর যবেহ করার ব্যাপারেও ইমাম ও অন্যান্য সকল ব্যক্তি সমান হবে। নামায়ের পর যেমন
ইমামের কুরবানী করা তার জন্য যথেষ্ট হবে, অনুরূপভাবে অন্য সকলের জন্য নামাযের পরই কুরবানী করা যথেষ্ট হবে।
এ অনুচ্ছেদ এটাই নযর ও যুক্তি দাবি। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
كتاب الصيد والذبائح والأضاحي
6222 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَشْهَلُ بْنُ حَاتِمٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , كَانَا لَا يُضَحِّيَانِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: أَفَتَرَى مَا ضَحَّى فِي تِلْكَ السِّنِينَ أَحَدٌ , إِذْ كَانَ إِمَامُهُمْ لَمْ يُضَحِّ , أَوَ لَا تَرَى أَنَّ إِمَامًا لَوْ تَشَاغَلَ يَوْمَ النَّحْرِ بِقِتَالِ عَدُوٍّ أَوْ غَيْرِهِ , فَشَغَلَهُ ذَلِكَ عَنِ النَّحْرِ , أَمَا لِغَيْرِهِ مِمَّنْ أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ , فَلَهُ أَنْ يُضَحِّيَ؟ فَإِنْ قَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يُضَحِّيَ فِي عَامِهِ ذَلِكَ , خَرَجَ بِهَذَا مِنْ قَوْلِ الْأَئِمَّةِ. وَإِنْ قَالَ: لِلنَّاسِ أَنْ يُضَحُّوا إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ لِذَهَابِ وَقْتِ الصَّلَاةِ , فَقَدْ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَا يَحِلُّ بِهِ النَّحْرُ , مَا كَانَ فِي وَقْتِ صَلَاةِ الْعِيدِ , فَإِنَّمَا هُوَ الصَّلَاةُ , لَا نَحْرُ الْإِمَامِ , فَإِذَا صَلَّى الْإِمَامُ , حَلَّ النَّحْرُ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْحَرَ. أَوَ لَا تَرَى أَنَّ الْإِمَامَ لَوْ نَحَرَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ لَمْ يُجْزِهِ ذَلِكَ , وَكَذَلِكَ سَائِرُ النَّاسِ. فَكَانَ الْإِمَامُ وَغَيْرُهُ، فِي الذَّبْحِ قَبْلَ الصَّلَاةِ، سَوَاءً فِي أَنْ لَا يُجْزِئَهُمْ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْإِمَامُ , وَسَائِرُ النَّاسِ أَيْضًا , سَوَاءً فِي الذَّبْحِ بَعْدَ الصَّلَاةِ. فَكَمَا كَانَ ذَبْحُ الْإِمَامِ بَعْدَ الصَّلَاةِ يُجْزِئُهُ , فَكَذَلِكَ ذَبْحُ سَائِرِ النَّاسِ بَعْدَ الصَّلَاةِ يُجْزِئُهُمْ. هَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক: