আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৩. অধ্যায়ঃ ইলেম
হাদীস নং: ১০৭
 অধ্যায়ঃ ইলেম
অনুচ্ছেদ
১০৭. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সুগম করে দেন। আর ফিরিশতাগণ ইলম অনুসন্ধানকারীর সন্তুষ্টির জন্য তাদের পাখাসমূহ বিছিয়ে দেন। ইলম অনুসন্ধানকারীর জন্য আসমান ও যমীনবাসী আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে এমনকি পানির মাছও। একজন আবিদের (সাধক) উপর একজন আলিমের মর্যাদা হচ্ছে এমন, যেমনটি আকাশের সমুদয় তারকারাজির উপর চন্দ্রের মর্যাদা বা প্রাধান্য। আলিমগণ নবীগণের উত্তরাধিকারী আর নবীগণ দীনার-দিরহাম উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যান নাই, বরং তাঁরা মীরাস হিসেবে রেখে গেছেন ইলম। যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করল, সে যেন এক বিরাট হিসসা লাভ করলো।
(ইমাম আবু দাউদ, তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ, ইব্ন হিববানের 'সহীহ' গ্রন্থ ও ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী (র) বলেন, আসিম ইবন রিজা ইবন হায়াতের সূত্র ব্যতীত এ হাদীসটি সম্পর্কে জানা যায় না এবং এ হাদীসটি আমার নিকট মুত্তাসিল সনদে বর্ণিত নয়। তবে আসিম ইবন রিজা ইবন হায়াত (র) দাদ ইব্ন জামীল,কাসীর ইব্ন কায়স সূত্রে আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এ বর্ণনা সূত্রটি বিশুদ্ধতর।)
[শ্রুতি লিখক (র) বলেন। এ সূত্রেই আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী 'শুআবুল ঈমান' গ্রন্থে ও অন্যান্যগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আওযাঈ কাসীর ইব্ন কায়স .... ইয়াযীদ ইব্ন আমুরা এবং আবদুস সালাম ইব্ন সুলাম... ইয়াযীদ ইবন মামুরা এবং কাসীর ইব্ন কায়স এ দুটি সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, এ সূত্রটি বিশুদ্ধ। এছাড়া অন্যান্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি সম্পর্কে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। এর কিছু আমি মুখতাসারুস সুনান গ্রন্থে বিস্তারিত ভাবে ও অন্যান্য স্থানে বর্ণনা করেছি। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
(ইমাম আবু দাউদ, তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ, ইব্ন হিববানের 'সহীহ' গ্রন্থ ও ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী (র) বলেন, আসিম ইবন রিজা ইবন হায়াতের সূত্র ব্যতীত এ হাদীসটি সম্পর্কে জানা যায় না এবং এ হাদীসটি আমার নিকট মুত্তাসিল সনদে বর্ণিত নয়। তবে আসিম ইবন রিজা ইবন হায়াত (র) দাদ ইব্ন জামীল,কাসীর ইব্ন কায়স সূত্রে আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এ বর্ণনা সূত্রটি বিশুদ্ধতর।)
[শ্রুতি লিখক (র) বলেন। এ সূত্রেই আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকী 'শুআবুল ঈমান' গ্রন্থে ও অন্যান্যগণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আওযাঈ কাসীর ইব্ন কায়স .... ইয়াযীদ ইব্ন আমুরা এবং আবদুস সালাম ইব্ন সুলাম... ইয়াযীদ ইবন মামুরা এবং কাসীর ইব্ন কায়স এ দুটি সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, এ সূত্রটি বিশুদ্ধ। এছাড়া অন্যান্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি সম্পর্কে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। এর কিছু আমি মুখতাসারুস সুনান গ্রন্থে বিস্তারিত ভাবে ও অন্যান্য স্থানে বর্ণনা করেছি। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
كتاب الْعلم
فصل
107 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من سلك طَرِيقا يلْتَمس فِيهِ علما سهل الله لَهُ طَرِيقا إِلَى الْجنَّة وَإِن الْمَلَائِكَة لتَضَع أَجْنِحَتهَا لطَالب الْعلم رضَا بِمَا يصنع وَإِن الْعَالم ليَسْتَغْفِر لَهُ من فِي السَّمَوَات وَمن فِي الأَرْض حَتَّى الْحيتَان فِي المَاء وَفضل الْعَالم على العابد كفضل الْقَمَر على سَائِر الْكَوَاكِب وَإِن الْعلمَاء وَرَثَة الْأَنْبِيَاء إِن الْأَنْبِيَاء لم يورثوا دِينَارا وَلَا درهما إِنَّمَا ورثوا الْعلم فَمن أَخذه أَخذ بحظ وافر
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ لَا يعرف إِلَّا من حَدِيث عَاصِم بن رَجَاء بن حَيْوَة وَلَيْسَ إِسْنَاده عِنْدِي بِمُتَّصِل وَإِنَّمَا يرْوى عَن عَاصِم بن رَجَاء بن حَيْوَة عَن دَاوُد بن جميل عَن كثير بن قيس عَن أبي الدَّرْدَاء عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهَذَا أصح
قَالَ المملي رَحمَه الله وَمن هَذِه الطَّرِيق رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ فِي الشّعب وَغَيرهَا وَقد رُوِيَ عَن الْأَوْزَاعِيّ عَن كثير بن قيس عَن يزِيد بن سَمُرَة عَنهُ وَعَن الْأَوْزَاعِيّ عَن عبد السَّلَام بن سليم عَن يزِيد بن سَمُرَة عَن كثير بن قيس عَنهُ قَالَ البُخَارِيّ وَهَذَا أصح وَرُوِيَ غير ذَلِك وَقد اخْتلف فِي هَذَا الحَدِيث
اخْتِلَافا كثيرا ذكرت بعضه فِي مُخْتَصر السّنَن وبسطته فِي غَيره وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ لَا يعرف إِلَّا من حَدِيث عَاصِم بن رَجَاء بن حَيْوَة وَلَيْسَ إِسْنَاده عِنْدِي بِمُتَّصِل وَإِنَّمَا يرْوى عَن عَاصِم بن رَجَاء بن حَيْوَة عَن دَاوُد بن جميل عَن كثير بن قيس عَن أبي الدَّرْدَاء عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهَذَا أصح
قَالَ المملي رَحمَه الله وَمن هَذِه الطَّرِيق رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ فِي الشّعب وَغَيرهَا وَقد رُوِيَ عَن الْأَوْزَاعِيّ عَن كثير بن قيس عَن يزِيد بن سَمُرَة عَنهُ وَعَن الْأَوْزَاعِيّ عَن عبد السَّلَام بن سليم عَن يزِيد بن سَمُرَة عَن كثير بن قيس عَنهُ قَالَ البُخَارِيّ وَهَذَا أصح وَرُوِيَ غير ذَلِك وَقد اخْتلف فِي هَذَا الحَدِيث
اخْتِلَافا كثيرا ذكرت بعضه فِي مُخْتَصر السّنَن وبسطته فِي غَيره وَالله أعلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
তালিবে ইলম যেহেতু দীনী ইলম শেখার উদ্দেশ্যে বের হয়, তাই তার প্রতি সন্তুষ্টিতে ফিরিশতাগণ তাদের ডানা বিছিয়ে দেন। এভাবে তারা তালিবে ইলমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। সুবহানাল্লাহ! একজন তালিবে ইলমের কত বড় মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণ সহীহ ইলম সহীহ আমলের ভিত্তি। বিশুদ্ধ ইলম ছাড়া শরী'আত মোতাবেক আমল করা সম্ভব হয় না। বরং বিশুদ্ধ ইলম ছাড়া সঠিক আকীদা-বিশ্বাসও পোষণ করা যায় না। আল্লাহ তা'আলার পরিচয় লাভ করা ও নবুওয়াত, আখিরাত প্রভৃতি বিষয় বোঝা বিশুদ্ধ ইলম ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়। এ কারণেই ইলমে দীন শিক্ষার এত গুরুত্ব ও ফযীলত এবং তালিবে ইলমের এত মর্যাদা।
ফিরিশতাগণের ডানা বিছানোর স্বরূপ কী, তাদের ডানাই বা কেমন, তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। হাদীছে যতটুকু বলা হয়েছে, আমরা ততটুকুতে বিশ্বাস রাখি। এর বেশি খোঁজ-খবরের পেছনে পড়ার কোনও প্রয়োজন আমাদের নেই। তা জানার উপর আমাদের দীনের কোনও বিষয় নির্ভরশীল নয়। না জানলে আমাদের কোনও ক্ষতি নেই। কাজেই ওসব বিষয়ে নীরবতা অবলম্বনই শ্রেয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ইলমে দীন শেখা অত্যন্ত ফযীলতের কাজ। এর জন্য কোনও বয়সের সীমারেখা নেই। যেকোনও বয়সেই তা শেখা যেতে পারে।
ফিরিশতাগণের ডানা বিছানোর স্বরূপ কী, তাদের ডানাই বা কেমন, তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। হাদীছে যতটুকু বলা হয়েছে, আমরা ততটুকুতে বিশ্বাস রাখি। এর বেশি খোঁজ-খবরের পেছনে পড়ার কোনও প্রয়োজন আমাদের নেই। তা জানার উপর আমাদের দীনের কোনও বিষয় নির্ভরশীল নয়। না জানলে আমাদের কোনও ক্ষতি নেই। কাজেই ওসব বিষয়ে নীরবতা অবলম্বনই শ্রেয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ইলমে দীন শেখা অত্যন্ত ফযীলতের কাজ। এর জন্য কোনও বয়সের সীমারেখা নেই। যেকোনও বয়সেই তা শেখা যেতে পারে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
 তাহকীক:তাহকীক চলমান
তাহকীক:তাহকীক চলমান
বর্ণনাকারী: