আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

৭. অধ্যায়ঃ জুম‘আর নামাজ

হাদীস নং: ১০৫৮
অধ্যায়ঃ জুম‘আর নামাজ
জুমু'আ অধ্যায়ঃ
জুমুআর সালাত (আদায়) ও তার জন্যে দৌড়ে যাওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং জুমুআর দিন রাত ও জুমু’আর সময়ের ফযীলত
১০৫৮. হযরত জাবির (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: জুমু'আর দিনের বারটি ঘন্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোন মুসলিম বান্দা তা পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তবে আল্লাহ তাকে তা দেন। কাজেই তোমরা আসরের পরে শেষ মুহূর্তটি খোঁজ কর।
(আবু দাউদ, নাসাঈ নিজ শব্দযোগে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। হাকিম বলেনঃ এ হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। যেমন ইমাম তিরমিযী (র) বলেছেনঃ নবী (সা) এর কতিপয় সাহাবার মতে দু'আ কবুলের সেই মুহূর্তটি আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আহমদ ও ইসহাক এ বিষয়ে অভিমত দিয়েছেন। আহমদ (র) বলেছেনঃ অধিকাংশ হাদীস সূত্রে জানা যায় যে, দু'আ কবুলের বিশেষ মুহূর্তটি হল আসরের পরের সময়। তিনি আরো বলেন: সূর্য পশ্চিমকাশে ঢলে যাওয়ার পরও দু'আ কবুলের আশা করা যায়। এ পর্যায়ে আগেও হযরত আমর ইবন আওফ (রা) সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
[হাফিয আবূ বকর ইবন মুনযির (র) বলেনঃ] মুহাদ্দিসগণ জুমু'আর দিনের কোন সময় দু'আ কবুল হয়, সে বিষয়ে মতানৈক্য পোষণ করেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: তা হল, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসরের সালাতের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কাল।
হাসান বসরী (র) ও আবুল আলীয়া (র) বলেছেন: তা হল সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার সময়। এতে তৃতীয় আর একটি কথা রয়েছে। তা হল মুআযযিন যখন জুমু'আর সালাতের আযান দেয়। হযরত আয়েশা (রা) থেকে এরূপ বর্ণনা রয়েছে। হাসান বসরী (র) আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করে বলেনঃ ইমাম যখন খুতবা দানের জন্য মিম্বারে বসেন, এমন কি যতক্ষণে তা ত্যাগ না করেন। আবু বুরদা (র) বলেনঃ তা হল, সালাতের মধ্যে কোন একটি মুহূর্ত, যা আল্লাহ তা'আলা নির্ধারণ করেছেন। আবূ সওয়ার উদ্‌বী (র) বলেন: দু'আ কবুলের মুহূর্তটি হল সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার এবং সালাতের সময় হওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সময়। এতে সপ্তম একটি কথা রয়েছে। তা হল: সূর্য পশ্চিমাকাশে এক হাত ঢলে পড়ার প্রতি ইশারা, আমরা হযরত আবু যর (রা) থেকে এটি বর্ণনা করেছি। এত রয়েছে অষ্টম আর একটি কথা। তা হলঃ আসর এবং সূর্যাস্তের মধ্যকার অন্তর্বর্তীকালীন সময়। হযরত আবূ হুরায়রা (রা) তাউস এবং আবদুল্লাহ ইবন সালাম (র) প্রমুখ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
كتاب الْجُمُعَة
كتاب الْجُمُعَة:
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجُمُعَة وَالسَّعْي إِلَيْهَا وَمَا جَاءَ فِي فضل
يَوْمهَا وساعتها
1058 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَوْم الْجُمُعَة اثْنَتَا عشرَة سَاعَة
لَا يُوجد عبد مُسلم يسْأَل الله عز وَجل شَيْئا إِلَّا آتَاهُ إِيَّاه فالتمسوها آخر سَاعَة بعد الْعَصْر

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَهُوَ كَمَا قَالَ التِّرْمِذِيّ
وَرَأى بعض أهل الْعلم من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَغَيرهم أَن السَّاعَة الَّتِي ترجى بعد الْعَصْر إِلَى أَن تغرب الشَّمْس وَبِه يَقُول أَحْمد وَإِسْحَاق وَقَالَ أَحْمد أَكثر الحَدِيث فِي السَّاعَة الَّتِي ترجى فِيهَا إِجَابَة الدعْوَة أَنَّهَا بعد صَلَاة الْعَصْر
قَالَ وترجى بعد الزَّوَال ثمَّ روى حَدِيث عَمْرو بن عَوْف الْمُتَقَدّم وَقَالَ الْحَافِظ أَبُو بكر بن الْمُنْذر اخْتلفُوا فِي وَقت السَّاعَة الَّتِي يُسْتَجَاب فِيهَا الدُّعَاء من يَوْم الْجُمُعَة فروينا عَن أبي هُرَيْرَة قَالَ هِيَ من بعد طُلُوع الْفجْر إِلَى طُلُوع الشَّمْس وَمن بعد صَلَاة الْعَصْر إِلَى غرُوب الشَّمْس وَقَالَ الْحسن الْبَصْرِيّ وَأَبُو الْعَالِيَة هِيَ عِنْد زَوَال الشَّمْس وَفِيه قَول ثَالِث وَهُوَ أَنه إِذا أذن الْمُؤَذّن لصَلَاة الْجُمُعَة رُوِيَ ذَلِك عَن عَائِشَة وروينا عَن الْحسن الْبَصْرِيّ أَنه قَالَ هِيَ إِذا قعد الإِمَام على الْمِنْبَر حَتَّى يفرغ وَقَالَ أَبُو بردة هِيَ السَّاعَة الَّتِي اخْتَار الله فِيهَا الصَّلَاة وَقَالَ أَبُو السوار الْعَدوي كَانُوا يرَوْنَ الدُّعَاء مستجابا مَا بَين أَن تَزُول الشَّمْس إِلَى أَن يدْخل فِي الصَّلَاة وَفِيه قَول سَابِع وَهُوَ أَنَّهَا مَا بَين أَن تزِيغ الشَّمْس يُشِير إِلَى ذِرَاع وروينا هَذَا القَوْل عَن أبي ذَر وَفِيه قَول ثامن وَهُوَ أَنَّهَا مَا بَين الْعَصْر إِلَى أَن تغرب الشَّمْس كَذَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَة وَبِه قَالَ طَاوس وَعبد الله بن سَلام رَضِي الله عَنْهُم وَالله أعلم
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ১০৫৮ | মুসলিম বাংলা