আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৮. অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
হাদীস নং: ৩২৩২
অধ্যায়ঃ পানাহার সংশ্লিষ্ট বিষয়
বাম হাতে পানাহার করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং খাবার পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা, পাত্র থেকে পান করা এবং ভাঙ্গা পাত্রে পান করা নিষেধ
৩২৩২. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)মশকের মুখ খুলে তা থেকে পান করতে নিষেধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এই নিষেধাজ্ঞার পর এক ব্যক্তি রাতে উঠে পান পাত্রের কাছে গেল এবং তা ভেঙ্গে ফেলল। তখন তা থেকে একটি সাপ বেরিয়ে এলো।
(ইমাম ইবনে মাজাহ (র) যাম'আ ইবনে সালিহ্ সূত্রে, তিনি সালামা ইবনে ওয়াহারাম সূত্রে বর্ণনা করেন এবং তার সনদের অবশিষ্ট অংশ বিশ্বস্ত রাবীদের সূত্রে বর্ণিত।
خنث السقاء মশকের মুখ বাহির দিকে থেকে ভেঙ্গে ফেলা এবং সেখানে মুখ লাগিয়ে পান করা।)
(ইমাম ইবনে মাজাহ (র) যাম'আ ইবনে সালিহ্ সূত্রে, তিনি সালামা ইবনে ওয়াহারাম সূত্রে বর্ণনা করেন এবং তার সনদের অবশিষ্ট অংশ বিশ্বস্ত রাবীদের সূত্রে বর্ণিত।
خنث السقاء মশকের মুখ বাহির দিকে থেকে ভেঙ্গে ফেলা এবং সেখানে মুখ লাগিয়ে পান করা।)
كتاب الطعام
التَّرْهِيب من الْأكل وَالشرب بالشمال وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن النفخ فِي الْإِنَاء وَالشرب من فِي السقاء وَمن ثلمة الْقدح
3232 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن اختناث الأسقية فَإِن رجلا بَعْدَمَا نهى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن ذَلِك قَامَ من اللَّيْل إِلَى السقاء فاختنثه فَخرجت عَلَيْهِ مِنْهُ حَيَّة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من طَرِيق زَمعَة بن صَالح عَن سَلمَة بن وهرام وَبَقِيَّة إِسْنَاده ثِقَات
خنث السقاء واختنثه إِذا كسر فَمه إِلَى خَارج فَشرب مِنْهُ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من طَرِيق زَمعَة بن صَالح عَن سَلمَة بن وهرام وَبَقِيَّة إِسْنَاده ثِقَات
خنث السقاء واختنثه إِذا كسر فَمه إِلَى خَارج فَشرب مِنْهُ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও কোনও ফকীহ এর কারণ বলেছেন এই যে, এভাবে পানি পান করলে কলসের ভেতর পানকারীর নিঃশ্বাস পড়তে পারে। পড়তে পারে তার পেট থেকে উঠে আসা গ্যাসও। এতে পানি অরুচিকর হয়ে যায়। সকলের সে পানি পান করার রুচি হবে না। তাই এভাবে পানি পান করা উচিত নয়।
তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)