আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা

হাদীস নং: ৩৩০০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাওহাব (র) থেকে বর্ণিত। একদা উসমান ইবনে আফফান (রা) ইবনে উমার (রা)-কে বলেন: চল, তুমি বিচারক নিযুক্ত হও, তখন তিনি (ইবনে উমার) বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! আমাকে কি এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না? তিনি (উসমান) বলেন, চল, মানুষের মাঝে (বিরোধ) মীমাংসা কর। তিনি বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! আমাকে কি অব্যাহতি দেয়া যায় না? তিনি বলেন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে, তুমি (আমার সাথে) যাবে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করবে। তিনি বলেন: (হে আমীরুল মু'মিনীন!) আপনি (মেহেরবানী করে) তাড়াহুড়া করবেন না। কেননা, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতে শুনেননি যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পানাহ চায়, তিনি পানাহ প্রার্থীকে পানাহ দেন। তিনি বলেন: হাঁ। তিনি (ইবনে উমার) বলেন, কাজেই, আমি বিচারক নিযুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর পানাহ চাচ্ছি। তিনি বলেন: তোমাকে (বিচারক হতে) কিসে বারণ করল অথচ তোমার পিতা বিচার ফয়সালা করতেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়, এরপর অজ্ঞতার সাথে বিচার কার্য সম্পাদন করে, সে জাহান্নামী। যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে অন্যায় বিচার করে, সেও জাহান্নামী। আর যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে সততার সাথে অথবা বলেছেন, ন্যায়ের সাথে বিচার কার্য সম্পাদন করে, সেও কোন রকমে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। কাজেই, আমি কখনো এ পদের আশা করি না।
(আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ এবং ইমাম তিরমিযী (র) তাঁদের থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেন। তিনি (ইবনে উমার রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ "যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয় এবং সুবিচার করে, সেও কোন রকমে দায়িত্ব মুক্ত হতে পারবে"। এরপর আমি আর কী আশা করতে পারি? বর্ণনাকারী অন্য দু'জনের কথা উল্লেখ করেন নি। তিনি (ইমাম তিরমিযী) বলেন: হাদীসটি গরীব। আমার মতে হাদীসটি সনদসূত্র মুত্তাসিল নয়।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন,তিনি যা বলেছেন, তা-ই যথার্থ। কেননা, আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসওহাব (র) উসমান (রা) থেকে হাদীসটি শুনেন নি।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3300- وَعَن عبد الله بن موهب أَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ قَالَ لِابْنِ عمر اذْهَبْ فَكُن قَاضِيا
قَالَ أَو تعفيني يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ قَالَ اذْهَبْ فَاقْض بَين النَّاس
قَالَ تعفيني يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ قَالَ عزمت عَلَيْك إِلَّا ذهبت فَقضيت قَالَ لَا تعجل سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من عاذ بِاللَّه فقد عاذ بمعاذ
قَالَ نعم
قَالَ فَإِنِّي أعوذ بِاللَّه أَن أكون قَاضِيا
قَالَ وَمَا يمنعك وَقد كَانَ أَبوك يقْضِي قَالَ لِأَنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من كَانَ قَاضِيا فَقضى بِالْجَهْلِ كَانَ من أهل النَّار وَمن كَانَ قَاضِيا فَقضى بالجور كَانَ من أهل النَّار وَمن كَانَ قَاضِيا فَقضى بِحَق أَو بِعدْل سَأَلَ التفلت كفافا فَمَا أَرْجُو مِنْهُ بعد ذَلِك

رَوَاهُ أَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالتِّرْمِذِيّ بِاخْتِصَار عَنْهُمَا وَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من كَانَ قَاضِيا فَقضى بِالْعَدْلِ فبالحري أَن ينفلت مِنْهُ كفافا فَمَا أَرْجُو بعد ذَلِك وَلم يذكر الآخرين وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَلَيْسَ إِسْنَاده عِنْدِي بِمُتَّصِل وَهُوَ كَمَا قَالَ فَإِن عبد الله بن موهب لم يسمع من عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ৩৩০০ | মুসলিম বাংলা