আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
হাদীস নং: ৩৩৯৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
যুলম করা, মাযলূমের বদ্ দু'আ ও মাযলুমকে লাঞ্ছিত করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তাকে সাহায্য করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৩৩৯৪. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ইবরাহীম (আ)-এর সহীফাগুলো কি? (তা আমাকে অবহিত করুন)? তিনি বললেনঃ তা উপমায় পরিপূর্ণ। তাতে রয়েছে, হে পরাভূত, পরীক্ষায় নিঃপতিত ও প্রতারিত। আমি তোমাকে পৃথিবী স্তরে স্তরে একত্র করার জন্য পাঠাইনি; বরং আমি তোমাকে মাযলূমের বদদু'আ থেকে বাঁচার জন্য পাঠিয়েছি। কেননা, কোন কাফিরের পক্ষ থেকেও বদদু'আ এলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করি না। জ্ঞানবান ব্যক্তি যতক্ষণে সে জ্ঞান হারিয়ে না ফেলে, তার জন্য রয়েছে বিপুল সময়। কিন্তু সে সময় সে তার প্রতিপালকের সাথে গোপনে আলাপরত থাকবে, কিছু সময় তার নিজের কর্মকাণ্ডের হিসাব পর্যালোচনা করবে, এবং কিছু সময় সে মহান আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করবে, এবং কিছু সময় সে পানাহার সংস্থানের জন্য সময় ব্যয় করবে। বিবেকবান ব্যক্তির উচিত তিনটি কাজ ব্যতীত সফর না করা। তা হল: ১. পারলৌকিক জীবনের সম্বল সংগ্রহ কল্পে, ২. জীবিকা নির্বাহ করার উদ্দেশ্যে এবং ৩. বৈধ উপায়ে স্বাদ আস্বাদনের লক্ষ্যে বিবেকবানের উচিত সে যেন তার জীবন অন্তর্দৃষ্টি যারা দেখে, নিজ কর্তব্য পালনে সতত তৎপর রাখে। রসনাকে সংযমী করে। যে ব্যক্তি নিরর্থক বাক্যালাপ পরিহার করে কাজের তুলনায় কথা সংক্ষেপ করে, তার বাক্যালাপ কম হয়।
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হযরত মুসা (আ)-এর সহীফা কি? তিনি বললেনঃ তা ছিল উপদেশাত্মক কথায় পরিপূর্ণ। তাতে রয়েছেঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে দৃঢ়বিশ্বাস করা সত্ত্বেও আনন্দে আত্মহারা, আমি তার সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছি; যে ব্যক্তি জাহান্নাম সম্পর্কে দৃঢ়বিশ্বাস সত্ত্বেও হাসি-ঠাট্টা করে, তার প্রতি আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি; যে ব্যক্তি অদৃশ্যে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে, তার প্রতি আমি আশ্চর্যবোধ করি, যে ব্যক্তি দুনিয়ার পট পরিবর্তন দেখেও নিশ্চিন্ত ও নীরব, আমি তার প্রতি আশ্চর্যবোধ করছি, যে ব্যক্তি কিয়ামতের হিসাব-নিকাশে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও নেককাজ হতে বিমুখ, আমি তার প্রতি আশ্চর্যবোধ করছি। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: আমি তোমাকে আল্লাহ্ ভীতি অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তা সকল কাজের প্রাণশক্তি। আমি বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আরও বাড়িয়ে বলুন, তিনি বললেনঃ তুমি কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিকর-এই দু'টি কাজ নিজের জন্য অবধারিত করে নেবে। কেননা, এ কাজ পৃথিবীতে তোমার জন্য নূর ও আসমানে তোমার জন্য পুঁজি। আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তুমি অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, তা অন্তরকে নিষ্প্রাণ করে দেয় এবং চেহারার জ্যোতি বিনষ্ট করে। আমি বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেন: তুমি আল্লাহর পথে জিহাদ নিজের জন্য অবধারিত করে নেবে। কেননা, তা আমার উম্মাতের জন্য বৈরাগ্যতা। আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তুমি দুঃস্থকে ভালবাসবে এবং তাদের সাথে বসবে। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ (দুনিয়ার ব্যাপারে) তোমার চেয়ে নিচ স্তরের ব্যক্তিদের প্রতি লক্ষ্য করবে এবং তোমার চেয়ে উপরস্থদের প্রতি লক্ষ্য করবে না। কেননা, তোমার নিকট অবস্থিত আল্লাহর নি'আমতের ব্যাপারে বেপরোয়া না হওয়াই উচিত। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তিক্ত হলেও তুমি সত্য কথা বলবে। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেন: তুমি তোমার নিজের জন্য যা পছন্দ কর না, তা মানুষের প্রতি আরোপ করো না এবং তুমি নিজের জন্য যা পেতে চাও, মানুষের জন্য তা কামনা কর। এরপর তিনি আমার বুকে হাত দিয়ে বলেন। হে আবু যর! যথাযথভাবে কর্ম সম্পাদনই জ্ঞানের পরিচয়,অন্যায় থেকে বিরত থাকার মত উচ্চ পরহেযগারী আর নেই এবং সচ্চরিত্রের মত উচ্চ মর্যাদার আর কোন বস্তু নেই।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দেও হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন: হাদীসটি সনদ সহীহ।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: উক্ত ইব্রাহীম ইবনে হিশাম ইবনে ইয়াহ্ইয়া গাস্সানী তাঁর পিতা হতে একে সূত্রে বর্ণনা করেন। হাদীসটি সুদীর্ঘ যার প্রথমভাগে নবীগণের আলোচনা স্থান পেয়েছে। হাদীসের এই অংশটি আমি এজন্য উল্লেখ করেছি যে, এতে প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণী ও মূল্যবান উপদেশ রয়েছে। হাকিম (র) বায়হাকী সূত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ বাসরী হতে, তিনি আবদুল মালিক ইবনে জুরায়জ (র) হতে, তিনি আতা হতে, তিনি উবায়দ ইবনে উমায়র হতে, তিনি আবু যার (রা) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ সমালোচিত ব্যক্তি। এদিক হতে হাদীসটি মুনকার। তবে ইব্রাহীম ইবনে হিশাম একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হযরত মুসা (আ)-এর সহীফা কি? তিনি বললেনঃ তা ছিল উপদেশাত্মক কথায় পরিপূর্ণ। তাতে রয়েছেঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে দৃঢ়বিশ্বাস করা সত্ত্বেও আনন্দে আত্মহারা, আমি তার সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছি; যে ব্যক্তি জাহান্নাম সম্পর্কে দৃঢ়বিশ্বাস সত্ত্বেও হাসি-ঠাট্টা করে, তার প্রতি আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি; যে ব্যক্তি অদৃশ্যে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে, তার প্রতি আমি আশ্চর্যবোধ করি, যে ব্যক্তি দুনিয়ার পট পরিবর্তন দেখেও নিশ্চিন্ত ও নীরব, আমি তার প্রতি আশ্চর্যবোধ করছি, যে ব্যক্তি কিয়ামতের হিসাব-নিকাশে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও নেককাজ হতে বিমুখ, আমি তার প্রতি আশ্চর্যবোধ করছি। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: আমি তোমাকে আল্লাহ্ ভীতি অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তা সকল কাজের প্রাণশক্তি। আমি বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আরও বাড়িয়ে বলুন, তিনি বললেনঃ তুমি কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিকর-এই দু'টি কাজ নিজের জন্য অবধারিত করে নেবে। কেননা, এ কাজ পৃথিবীতে তোমার জন্য নূর ও আসমানে তোমার জন্য পুঁজি। আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তুমি অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, তা অন্তরকে নিষ্প্রাণ করে দেয় এবং চেহারার জ্যোতি বিনষ্ট করে। আমি বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেন: তুমি আল্লাহর পথে জিহাদ নিজের জন্য অবধারিত করে নেবে। কেননা, তা আমার উম্মাতের জন্য বৈরাগ্যতা। আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তুমি দুঃস্থকে ভালবাসবে এবং তাদের সাথে বসবে। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ (দুনিয়ার ব্যাপারে) তোমার চেয়ে নিচ স্তরের ব্যক্তিদের প্রতি লক্ষ্য করবে এবং তোমার চেয়ে উপরস্থদের প্রতি লক্ষ্য করবে না। কেননা, তোমার নিকট অবস্থিত আল্লাহর নি'আমতের ব্যাপারে বেপরোয়া না হওয়াই উচিত। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেনঃ তিক্ত হলেও তুমি সত্য কথা বলবে। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে আরও বাড়িয়ে বলুন। তিনি বললেন: তুমি তোমার নিজের জন্য যা পছন্দ কর না, তা মানুষের প্রতি আরোপ করো না এবং তুমি নিজের জন্য যা পেতে চাও, মানুষের জন্য তা কামনা কর। এরপর তিনি আমার বুকে হাত দিয়ে বলেন। হে আবু যর! যথাযথভাবে কর্ম সম্পাদনই জ্ঞানের পরিচয়,অন্যায় থেকে বিরত থাকার মত উচ্চ পরহেযগারী আর নেই এবং সচ্চরিত্রের মত উচ্চ মর্যাদার আর কোন বস্তু নেই।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে নিজ শব্দেও হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন: হাদীসটি সনদ সহীহ।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন: উক্ত ইব্রাহীম ইবনে হিশাম ইবনে ইয়াহ্ইয়া গাস্সানী তাঁর পিতা হতে একে সূত্রে বর্ণনা করেন। হাদীসটি সুদীর্ঘ যার প্রথমভাগে নবীগণের আলোচনা স্থান পেয়েছে। হাদীসের এই অংশটি আমি এজন্য উল্লেখ করেছি যে, এতে প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণী ও মূল্যবান উপদেশ রয়েছে। হাকিম (র) বায়হাকী সূত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়ে ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ বাসরী হতে, তিনি আবদুল মালিক ইবনে জুরায়জ (র) হতে, তিনি আতা হতে, তিনি উবায়দ ইবনে উমায়র হতে, তিনি আবু যার (রা) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ সমালোচিত ব্যক্তি। এদিক হতে হাদীসটি মুনকার। তবে ইব্রাহীম ইবনে হিশাম একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب القضاء
التَّرْهِيب من الظُّلم وَدُعَاء الْمَظْلُوم وخذله وَالتَّرْغِيب فِي نصرته
3394- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله مَا كَانَت صحف إِبْرَاهِيم قَالَ كَانَت أَمْثَالًا كلهَا أَيهَا الْملك الْمُسَلط الْمُبْتَلى الْمَغْرُور
إِنِّي لم أَبْعَثك لِتجمع الدُّنْيَا بَعْضهَا على بعض وَلَكِنِّي بَعَثْتُك لِترد عني دَعْوَة الْمَظْلُوم فَإِنِّي لَا أردهَا وَإِن كَانَت من كَافِر وعَلى الْعَاقِل مَا لم يكن مَغْلُوبًا على عقله أَن يكون لَهُ سَاعَات
فساعة يُنَاجِي فِيهَا ربه وَسَاعَة يُحَاسب فِيهَا نَفسه وَسَاعَة يتفكر فِيهَا فِي صنع الله عز وَجل وَسَاعَة يَخْلُو فِيهَا لِحَاجَتِهِ من الْمطعم وَالْمشْرَب وعَلى الْعَاقِل أَن لَا يكون ظَاعِنًا إِلَّا لثلاث تزَود لِمَعَاد أَو مرمة لِمَعَاش أَو لَذَّة فِي غير محرم وعَلى الْعَاقِل أَن يكون بَصيرًا بِزَمَانِهِ مُقبلا على شَأْنه حَافِظًا لِلِسَانِهِ وَمن حسب كَلَامه من عمله قل كَلَامه إِلَّا فِيمَا يعنيه
قلت يَا رَسُول الله فَمَا كَانَت صحف مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ كَانَت عبرا كلهَا عجبت لمن أَيقَن بِالْمَوْتِ ثمَّ هُوَ يفرح عجبت لمن أَيقَن بالنَّار ثمَّ هُوَ يضْحك
عجبت لمن أَيقَن بِالْقدرِ ثمَّ هُوَ ينصب عجبت لمن رأى الدُّنْيَا وَتَقَلُّبهَا بِأَهْلِهَا ثمَّ اطْمَأَن إِلَيْهَا عجبت لمن أَيقَن بِالْحِسَابِ غَدا ثمَّ لَا يعْمل
قلت يَا رَسُول الله أوصني قَالَ أوصيك بتقوى الله فَإِنَّهَا رَأس الْأَمر كُله
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي
قَالَ عَلَيْك بِتِلَاوَة الْقُرْآن وَذكر الله عز وَجل فَإِنَّهُ نور لَك فِي الأَرْض وَذخر لَك فِي السَّمَاء
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ إياك وَكَثْرَة الضحك فَإِنَّهُ يُمِيت الْقلب وَيذْهب بِنور الْوَجْه
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ عَلَيْك بِالْجِهَادِ فَإِنَّهُ رَهْبَانِيَّة أمتِي
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ أحب الْمَسَاكِين وَجَالسهمْ
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي
قَالَ انْظُر إِلَى من هُوَ تَحْتك وَلَا تنظر إِلَى مَا هُوَ فَوْقك فَإِنَّهُ أَجْدَر أَن لَا تزدري نعْمَة الله عنْدك
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ قل الْحق وَإِن كَانَ مرا
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ ليردك عَن النَّاس مَا تعلمه من نَفسك وَلَا تَجِد عَلَيْهِم فِيمَا تَأتي وَكفى بك عَيْبا أَن تعرف من النَّاس مَا تجهله من نَفسك وتجد عَلَيْهِم فِيمَا تَأتي ثمَّ
ضرب بِيَدِهِ على صَدْرِي فَقَالَ يَا أَبَا ذَر لَا عقل كالتدبير وَلَا ورع كَالْكَفِّ وَلَا حسب كحسن الْخلق
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ انْفَرد بِهِ إِبْرَاهِيم بن هِشَام بن يحيى الغساني عَن أَبِيه وَهُوَ حَدِيث طَوِيل فِي أَوله ذكر الْأَنْبِيَاء عَلَيْهِم السَّلَام ذكرت مِنْهُ هَذِه الْقطعَة لما فِيهَا من الحكم الْعَظِيمَة والمواعظ الجسيمة وَرَوَاهُ الْحَاكِم أَيْضا وَمن طَرِيق الْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن يحيى بن سعيد السَّعْدِيّ الْبَصْرِيّ حَدثنَا عبد الْملك بن جريج عَن عَطاء بن عبيد بن عمر عَن أبي ذَر بِنَحْوِهِ وَيحيى بن سعيد فِيهِ كَلَام والْحَدِيث مُنكر من هَذِه الطَّرِيق وَحَدِيث إِبْرَاهِيم بن هِشَام هُوَ الْمَشْهُور وَالله أعلم
إِنِّي لم أَبْعَثك لِتجمع الدُّنْيَا بَعْضهَا على بعض وَلَكِنِّي بَعَثْتُك لِترد عني دَعْوَة الْمَظْلُوم فَإِنِّي لَا أردهَا وَإِن كَانَت من كَافِر وعَلى الْعَاقِل مَا لم يكن مَغْلُوبًا على عقله أَن يكون لَهُ سَاعَات
فساعة يُنَاجِي فِيهَا ربه وَسَاعَة يُحَاسب فِيهَا نَفسه وَسَاعَة يتفكر فِيهَا فِي صنع الله عز وَجل وَسَاعَة يَخْلُو فِيهَا لِحَاجَتِهِ من الْمطعم وَالْمشْرَب وعَلى الْعَاقِل أَن لَا يكون ظَاعِنًا إِلَّا لثلاث تزَود لِمَعَاد أَو مرمة لِمَعَاش أَو لَذَّة فِي غير محرم وعَلى الْعَاقِل أَن يكون بَصيرًا بِزَمَانِهِ مُقبلا على شَأْنه حَافِظًا لِلِسَانِهِ وَمن حسب كَلَامه من عمله قل كَلَامه إِلَّا فِيمَا يعنيه
قلت يَا رَسُول الله فَمَا كَانَت صحف مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ كَانَت عبرا كلهَا عجبت لمن أَيقَن بِالْمَوْتِ ثمَّ هُوَ يفرح عجبت لمن أَيقَن بالنَّار ثمَّ هُوَ يضْحك
عجبت لمن أَيقَن بِالْقدرِ ثمَّ هُوَ ينصب عجبت لمن رأى الدُّنْيَا وَتَقَلُّبهَا بِأَهْلِهَا ثمَّ اطْمَأَن إِلَيْهَا عجبت لمن أَيقَن بِالْحِسَابِ غَدا ثمَّ لَا يعْمل
قلت يَا رَسُول الله أوصني قَالَ أوصيك بتقوى الله فَإِنَّهَا رَأس الْأَمر كُله
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي
قَالَ عَلَيْك بِتِلَاوَة الْقُرْآن وَذكر الله عز وَجل فَإِنَّهُ نور لَك فِي الأَرْض وَذخر لَك فِي السَّمَاء
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ إياك وَكَثْرَة الضحك فَإِنَّهُ يُمِيت الْقلب وَيذْهب بِنور الْوَجْه
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ عَلَيْك بِالْجِهَادِ فَإِنَّهُ رَهْبَانِيَّة أمتِي
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ أحب الْمَسَاكِين وَجَالسهمْ
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي
قَالَ انْظُر إِلَى من هُوَ تَحْتك وَلَا تنظر إِلَى مَا هُوَ فَوْقك فَإِنَّهُ أَجْدَر أَن لَا تزدري نعْمَة الله عنْدك
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ قل الْحق وَإِن كَانَ مرا
قلت يَا رَسُول الله زِدْنِي قَالَ ليردك عَن النَّاس مَا تعلمه من نَفسك وَلَا تَجِد عَلَيْهِم فِيمَا تَأتي وَكفى بك عَيْبا أَن تعرف من النَّاس مَا تجهله من نَفسك وتجد عَلَيْهِم فِيمَا تَأتي ثمَّ
ضرب بِيَدِهِ على صَدْرِي فَقَالَ يَا أَبَا ذَر لَا عقل كالتدبير وَلَا ورع كَالْكَفِّ وَلَا حسب كحسن الْخلق
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ انْفَرد بِهِ إِبْرَاهِيم بن هِشَام بن يحيى الغساني عَن أَبِيه وَهُوَ حَدِيث طَوِيل فِي أَوله ذكر الْأَنْبِيَاء عَلَيْهِم السَّلَام ذكرت مِنْهُ هَذِه الْقطعَة لما فِيهَا من الحكم الْعَظِيمَة والمواعظ الجسيمة وَرَوَاهُ الْحَاكِم أَيْضا وَمن طَرِيق الْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن يحيى بن سعيد السَّعْدِيّ الْبَصْرِيّ حَدثنَا عبد الْملك بن جريج عَن عَطاء بن عبيد بن عمر عَن أبي ذَر بِنَحْوِهِ وَيحيى بن سعيد فِيهِ كَلَام والْحَدِيث مُنكر من هَذِه الطَّرِيق وَحَدِيث إِبْرَاهِيم بن هِشَام هُوَ الْمَشْهُور وَالله أعلم