মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা
হাদীস নং: ৬১
পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা
সোনা, রূপার পাত্র ব্যবহার করা পুরুষ ও মহিলাদের হারাম।
৬১। আয়েশা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে তার সম্বন্ধে তিনি বলেছেন, সে যেন তার পেটে আগুন প্রবেশ করাচ্ছে।
(ইবন মাজাহ)
(ইবন মাজাহ)
كتاب اللباس والزنية
باب تحريم أواني الذهب والفضة على الرجال والنساء
61- عن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال في الذي يشرب في إناء فضة كإنما يجرجر في بطنه نارا.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘পেটে জাহান্নামের আগুন ঢোকায়’-এর অর্থ এটা তার জাহান্নামের আগুনে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ হবে। যেমন এতিমদের মাল খাওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)