মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৫- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত

হাদীস নং: ৩৩৮৯
- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৮৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যদি কেহ যৌথ মালিকানাধীন ক্রীতদাসের মধ্যে নিজের অংশ মুক্ত করিয়া দেয় এবং তাহার কাছে (অন্যান্য অংশীদারের অংশের মূল্য পরিশোধ করার মত) মাল-সম্পদও আছে, তখন তাহার পক্ষ হইতে ক্রীতদাসটি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হইয়া যাইবে (এবং অংশীদারগণকে তাহাদের স্ব স্ব অংশ পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করিয়া দিবে)। কিন্তু যদি তাহার কাছে (ক্রীতদাসের মূল্যের সমপরিমাণ) অর্থ-সম্পদ না থাকে, তখন গোলামটিকে তাহার সাধ্যা পরিমাণ শ্রমে খাটান হইবে। মোত্তাঃ
كتاب العتق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا فِي عَبْدٍ أُعْتِقَ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ اسْتَسْعَى الْبعد غير مشقوق عَلَيْهِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইমাম আযম আবু হানীফা (রঃ) বলেন, যদি আংশিক মুক্তিদানকারী মালদার হয়, তাহা হইলে সে অন্যান্য অংশীদারকে ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া দিবে অথবা ক্রীতদাসটিকে শ্রমে খাটাইয়া প্রত্যেক অংশীদারগণ তাহাদের অংশের মূল্য পরিমাণ উসুল করিয়া লইবে অথবা তাহারাও নিজেদের অংশ মুক্ত করিয়া দিবে। মোটকথা, গোলামটিকে পুনরায় পরিপূর্ণ দাসে পরিণত করিবে না। আর যদি সে ব্যক্তি মালদার বা সম্পদশালী না হয়, তখন শরীকগণ গোলামটিকে শ্রমে খাটাইয়া তাহারা নিজেদের অংশের মূল্য পরিমাণ উসুল করিয়া লইবে অথবা তাহারাও নিজ নিজ অংশ এমনিই মুক্ত করিয়া দিবে। আর ছাহেবাইন (অর্থাৎ, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ [রঃ]) বলেন, যদি ঐ ব্যক্তি মালদার হয়, তখন সে অন্যান্য অংশীদারকে ক্ষতিপূরণ আদায় করিতে বাধ্য হইবে। অন্যথায় অংশীদারগণ গোলামকে শ্রমে খাটাইয়া নিজেদের অংশ পরিমাণ উসুল করিয়া লইবে। তবে গোলামকে সাধ্যাতিরিক্ত পরিশ্রম করাইতে পারিবে না। শব্দের অর্থ, দৈহিক পরিশ্রম করান। আবার কেহ কেহ বলিয়াছেন, খেদমত লওয়া। অর্থাৎ, অংশের মূল্য পরিমাণ প্রভুর খেদমত বা পরিচর্যা করিলে দেনা পরিশোধ হইয়া যাইবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান