মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৫- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত

হাদীস নং: ৩৩৯৫
- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৫। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর যমানায় আমরা উম্মুল ওয়ালাদ ক্রয়-বিক্রয় করিয়াছি। কিন্তু হযরত ওমর (রাঃ)-এর খেলাফত আমলে তিনি আমাদিগকে ইহা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। ফলে আমরা ইহা হইতে বিরত রহিয়াছি। —আবু দাউদ
كتاب العتق
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: بِعْنَا أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ نَهَانَا عَنْهُ فَانْتَهَيْنَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

পূর্বের হাদীসে বলা হইয়াছে 'উন্মুল ওয়ালাদ' (দাসী) বিক্রয় করা যায় না; আর এই হাদীস উহার বিপরীত। ইহার জওয়াব এই যে, প্রাক-ইসলাম যুগ হইতে 'উম্মুল ওয়ালাদ’ও অন্যান্য দাস-দাসীর ন্যায় যথারীতি ক্রয়-বিক্রয় হওয়ার রেওয়াজ সাধারণ নিয়মে চলিয়া আসিয়াছে। কিন্তু নবী (ﷺ) যে এই জাতীয় দাসীর বেচাকেনা ইত্যাদি নিষেধ করিয়াছেন, সাধারণ ও সুধীবৃন্দের অনেকেই তা অবগত ছিলেন না। তাই কোথাও কোথাও হযরত আবু বকরের যুগ পর্যন্ত উহা ক্রয়-বিক্রয় হইয়াছে। উহার বেচাকেনা নিষিদ্ধ হওয়ার উপর সাহাবাদের 'ইজমা' হইয়াছে। বস্তুতঃ কোন কাজ হইতে সাহাবাদের বিরত থাকাটাই প্রমাণ করে যে, পূর্বের কাজটি রহিত হইয়া গিয়াছে। বুখারী ও মুসলিমের রেওয়ায়তের মধ্যে উল্লেখ আছে যে, ‘উম্মুল ওয়ালাদ’ বিক্রি হওয়াটা কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণসমূহের একটি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান