মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০৪৯
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৪৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একসময় বিবি সাফিয়্যার উটটি অসুস্থ হইয়া পড়িল এবং সেই সময় বিবি যয়নবের কাছে একটি অতিরিক্ত সওয়ারী ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবি যয়নবকে বলিলেনঃ তাহাকে (সাফিয়্যাকে) ঐ উটটি দিয়া দাও। উত্তরে বিবি যয়নব বলিলেন, আমি কি ঐ ইহুদিনীকে উহা প্রদান করিব? এই কথাটি শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাগান্বিত হইলেন এবং যিলহজ্জ, মহররম ও সফর মাসের কিছুদিন পর্যন্ত তাঁহার সহিত সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া রহিলেন। —আবু দাউদ। হযরত মু'য়ায ইবনে আনাস-এর বর্ণিত হাদীস من حمى مؤمنا শফকত ও রহমতের অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে।
كتاب الآداب
وَعَن عائشةَ
قَالَتْ: اعْتَلَّ بَعِيرٌ لِصَفِيَّةَ وَعِنْدَ زَيْنَبَ فَضْلُ ظَهْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِزَيْنَبَ: «أَعْطِيهَا بَعِيرًا» . فَقَالَتْ: أَنَا أُعْطِي تِلْكَ الْيَهُودِيَّةَ؟ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَجَرَهَا ذَا الْحُجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَبَعْضَ صَفَرٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَذُكِرَ حَدِيثُ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ: «مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا» فِي «بَابِ الشَّفَقَة وَالرَّحْمَة»
قَالَتْ: اعْتَلَّ بَعِيرٌ لِصَفِيَّةَ وَعِنْدَ زَيْنَبَ فَضْلُ ظَهْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِزَيْنَبَ: «أَعْطِيهَا بَعِيرًا» . فَقَالَتْ: أَنَا أُعْطِي تِلْكَ الْيَهُودِيَّةَ؟ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَجَرَهَا ذَا الْحُجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَبَعْضَ صَفَرٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَذُكِرَ حَدِيثُ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ: «مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا» فِي «بَابِ الشَّفَقَة وَالرَّحْمَة»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত সাফিয়্যা (রাঃ) ছিলেন খায়বার এলাকার ইহুদী সরদার হুয়াঈ ইবনে আখতাবের কন্যা। বংশ সিসিলায় ছিলেন হযরত মূসা (আঃ)-এর বড় ভাই হযরত হারুন (আঃ) -এর বংশীয়া নারী। ৭ম হিজরীতে খায়বার বিজয়ের সময় কয়েদ হইয়া দাসী হিসাবে মুসলমান- দের হাতে আসিলে হুযূর (ﷺ) তাঁহাকে আযাদ করিয়া পত্নীরূপে গ্রহণ করেন। এই হিসাবে হযরত যয়নব তাঁহাকে ইহুদিনী বলিয়া তিরস্কার করিয়াছেন। ব্যক্তিগত ব্যাপারে তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ত্যাগ করা জায়েয নহে। কিন্তু শরী অতের ব্যাপারে সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্ক ছিন্ন রাখা জায়েয। এখানে যয়নবের ব্যাপারটিও ছিল এইরূপ।