মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৭২৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২৬। হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) বলিয়াছেন, একদা তিনি একদল লোকসহ মুহাছাব উপত্যকায় বসা ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ও তাহাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় একখণ্ড মেঘ তাহাদের উপর দিয়া অতিক্রম করিল। লোকেরা উহার প্রতি তাকাইল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমরা ইহাকে কি নামে আখ্যায়িত কর? তাহারা বলিল, 'সাহাব'। হুযূর (ﷺ) বলিলেন; এবং 'মুযন'ও বল। লোকেরা বলিল, 'মুযন'ও বলা হয়। তিনি বলিলেন; ইহাকে “আনান’ও বল। লোকেরা বলিল, 'আনান'ও বলা হয়। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বলিলেন, তোমরা কি জান, আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী দূরত্ব কত? লোকেরা বলিল, আমরা জানি না। তিনি বলিলেন; উভয়টির মাঝখানে একাত্তর, বাহাত্তর অথবা তেহাত্তর বৎসরের দূরত্ব। এবং সেই আসমান হইতে উহার পরের আসমানের দূরত্বও অনুরূপ। এইভাবে তিনি সাত আসমান পর্যন্ত গণনা করিলেন। তারপর বলিলেন; সপ্তম আসমানের উপর রহিয়াছে একটি সমুদ্র। উহার উপর ও নীচের পানির স্তরের মধ্যবর্তী দূরত্ব—যেমন দূরত্ব দুই আসমানের মাঝখানে রহিয়াছে। অতঃপর সেই সমুদ্রের উপরে আছে আটটি বিরাট আকারের পাঁঠা (অর্থাৎ, অনুরূপ আকৃতির ফিরিশতা) এবং তাহাদের পায়ের খুর ও কোমরের মাঝখানে ব্যবধান হইল দুই আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্বের মত। অতঃপর উহাদের পিঠের উপর রহিয়াছে 'আরশ'। উহার নীচ ও উপরের মধ্যবর্তী ব্যবধান হইল দুই আসমানের মধ্যবর্তী ব্যবধানের মত। অতঃপর উহার উপরেই রহিয়াছেন আল্লাহ্ পাক সোবহানাহু তা'আলা। -তিরমিযী ও আবু দাউদ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن العبَّاس بن عبد الْمطلب زعم أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا فِي الْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِيهِمْ فَمَرَّتْ سَحَابَةٌ فَنَظَرُوا إِلَيْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ؟» . قَالُوا: السَّحَابَ. قَالَ: «وَالْمُزْنَ؟» قَالُوا: وَالْمُزْنَ. قَالَ: «وَالْعَنَانَ؟» قَالُوا: وَالْعَنَانَ. قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا بعد مابين السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ؟ » قَالُوا: لَا نَدْرِي. قَالَ: «إِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ وَإِمَّا اثْنَتَانِ أَوْ ثَلَاثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً وَالسَّمَاءُ الَّتِي فَوْقَهَا كَذَلِكَ» حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ. ثُمَّ «فَوْقَ السَّمَاء السَّابِعَة بَحر بَين أَعْلَاهُ وأسفله مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَة أَو عَال بَيْنَ أَظْلَافِهِنَّ وَوُرُكِهِنَّ مِثْلُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلَاهُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আলোচ্য হাদীসটির বিষয়বস্তুসমূহ অদৃশ্য ও দুর্বোধ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই ইহা জ্ঞান ও যুক্তির মাধ্যমে জানা অসম্ভব।