মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৫৯
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - নুবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৫৮৫৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়শঃ উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাঃ)-এর বাড়ীতে যাওয়া-আসা করিতেন। (তিনি হুযুরের দুধ-খালা হিসাবে মাহরাম ছিলেন।) উম্মে হারাম ছিলেন প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত উবাদাহ ইবনে সামেত (রাঃ)-এর স্ত্রী। একদিন নবী (ছাঃ) তাহার বাড়ীতে গেলে উম্মে হারাম তাহাকে খানা খাওয়াইলেন। অতঃপর উম্মে হারাম হুযূর (ছাঃ)-এর মাথার উকুন দেখিতে বসিলেন। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ঘুমাইয়া পড়িলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি হাসিতে হাসিতে জাগিয়া উঠিলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনাকে কিসে হাসাইতেছে? তিনি বলিলেনঃ এইমাত্র স্বপ্নে আমার উম্মতের কিছুসংখ্যক
লোককে আল্লাহর পথে যুদ্ধরত অবস্থায় আমার সম্মুখে উপস্থিত করা হয়। তাহারা বাদশাহী জাঁকজমকে অথবা বলিয়াছেন বাদশাহর ন্যায় জাঁকজমকে সমুদ্রের বুকে সফর করিতেছে। উম্মে হারাম বলেন, তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহর কাছে দো'আ করুন, যেন আল্লাহ্ আমাকেও তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তখন তিনি তাহার জন্য দোআ করিলেন। ইহার পর তিনি মাথা রাখিয়া আবার ঘুমাইয়া পড়িলেন এবং কিছুক্ষণ পরে পুনরায় হাসিমুখে জাগিয়া উঠিলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম; ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি কারণে হাসিতেছেন? জবাবে তিনি বলিলেন এইমাত্র স্বপ্নে আমার উম্মতের কতিপয় লোককে জিহাদরত অবস্থায় আমার সম্মুখে উপস্থিত করা হয়.... ঠিক তেমনই বলিয়াছেন যেমনটি তিনি প্রথমবার বলিয়াছিলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি আরয করিলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আল্লাহর কাছে দো'আ করুন যেন তিনি আমাকে তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। জবাবে তিনি বলিলেন, তুমি তাহাদের প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত। রাবী বলেন, অতঃপর উম্মে হারাম হযরত মুআবিয়া (রাঃ)-এর শাসনকালে জিহাদের উদ্দেশ্যে সমুদ্র সফরে যাত্রা করেন এবং সমুদ্র হইতে অবতরণের পর সওয়ারীর পৃষ্ঠ হইতে পড়িয়া ইনতেকাল করে। — মোত্তাঃ
লোককে আল্লাহর পথে যুদ্ধরত অবস্থায় আমার সম্মুখে উপস্থিত করা হয়। তাহারা বাদশাহী জাঁকজমকে অথবা বলিয়াছেন বাদশাহর ন্যায় জাঁকজমকে সমুদ্রের বুকে সফর করিতেছে। উম্মে হারাম বলেন, তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহর কাছে দো'আ করুন, যেন আল্লাহ্ আমাকেও তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তখন তিনি তাহার জন্য দোআ করিলেন। ইহার পর তিনি মাথা রাখিয়া আবার ঘুমাইয়া পড়িলেন এবং কিছুক্ষণ পরে পুনরায় হাসিমুখে জাগিয়া উঠিলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম; ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি কারণে হাসিতেছেন? জবাবে তিনি বলিলেন এইমাত্র স্বপ্নে আমার উম্মতের কতিপয় লোককে জিহাদরত অবস্থায় আমার সম্মুখে উপস্থিত করা হয়.... ঠিক তেমনই বলিয়াছেন যেমনটি তিনি প্রথমবার বলিয়াছিলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি আরয করিলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আল্লাহর কাছে দো'আ করুন যেন তিনি আমাকে তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। জবাবে তিনি বলিলেন, তুমি তাহাদের প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত। রাবী বলেন, অতঃপর উম্মে হারাম হযরত মুআবিয়া (রাঃ)-এর শাসনকালে জিহাদের উদ্দেশ্যে সমুদ্র সফরে যাত্রা করেন এবং সমুদ্র হইতে অবতরণের পর সওয়ারীর পৃষ্ঠ হইতে পড়িয়া ইনতেকাল করে। — মোত্তাঃ
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ وَكَانَتْ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِي رَأسه فَنَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ: فَقُلْتُ: مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مُلُوكًا عَلَى الْأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ» . فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُضْحِكُكَ؟ قَالَ: «نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . كَمَا قَالَ فِي الأولى. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. قَالَ: «أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ» . فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ الْبَحْرَ فِي زَمَنِ مُعَاوِيَةَ فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ. مُتَّفق عَلَيْهِ