মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৮৬০
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - নুবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৫৮৬০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, 'আদে শানুয়া' গোত্রের 'যিমাদ' নামে এক ব্যক্তি একদা মক্কায় আগমন করিল । যিমাদ মন্ত্র দ্বারা জ্বিন-ভূতের ঝাড়-ফুঁক করিত। সে মক্কার জাহেল নির্বোধ লোকদের কাছে শুনিতে পাইল যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) পাগল হইয়া গিয়াছে। ইহা শুনিয়া সে বলিল; যদি আমি ঐ ব্যক্তিকে [অর্থাৎ, মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে] দেখিতাম তাহা হইলে চিকিৎসা করিতাম। হয়তো আমার চিকিৎসায় আল্লাহ্ তাহাকে আমার হাতে সুস্থ করিয়া দিতে পারেন। রাবী বলেন, অতঃপর 'যিমাদ' রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর খেদমতে আসিল এবং বলিল, হে মুহাম্মাদ! আমি জ্বিন-ভূতের মন্ত্র পড়িয়া ঝাড়-ফুঁক করি। যদি তুমি বল আমি তোমার চিকিৎসা করিব। তাহার কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করিলেন: (অর্থাৎ,) “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমি তাঁহারই প্রশংসা করি এবং তাঁহার সাহায্য কামনা করি। তিনি যাহাকে হেদায়ত দান করেন তাহাকে কেহই গোমরাহ করিতে পারে না। আর তিনি যাহাকে পথভ্রষ্ট করেন তাহাকে কেহই সোজা পথ দেখাইতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বূদ নাই এবং তিনি একক, তাহার কোন শরীক নাই। আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, মুহাম্মাদ তাঁহার বান্দা ও রাসূল।” অতঃপর [রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) এই পর্যন্ত বলার পর] যিমাদ বলিল, আপনি উক্ত বাক্যগুলি আমাকে পুনরায় শুনান। তখন রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাক্যগুলি তিনবার পাঠ করিলেন। এতদশ্রবণে যিমাদ বলিল, আমি গণকের কথাও শুনিয়াছি, জাদুকরের কথাও শুনিয়াছি এবং কবিদের কথাও শুনিয়াছি। কিন্তু আপনার এই বাক্য গুলির মত এমন বাক্য আমি আর কখনও শুনিতে পাই নাই। বস্তুতঃ আপনার প্রতিটি বাক্য অথৈ সাগরের তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে। (মোটকথা, ইহা কোন পাগলের প্রলাপ হইতে পারে না।) সুতরাং আপনি আপনার হাতখানা প্রশস্ত করুন। আমি আপনার হাতে ইসলামের বায়আত করিব। রাবী বলেন, তখনই সে হুযুরের হাতে বায়আত করিল। —মুসলিম। ( গ্রন্থকার বলেন,) মাছাবীহের কোন কোন নোসখায় بلغنا قاموس البحر -এর স্থলে بلغنا ناعوس البحر রহিয়াছে। আলোচ্য বিষয়ে হযরত আবু হোরায়রার বর্ণিত হাদীস يهلك كسرى এবং হযরত জাবেরের বর্ণিত হাদীস ليفتحن عصابة মালাহেম অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে। [এই অধ্যায়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ নাই]
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن ابْن عبَّاس قَالَ: إِنَّ ضِمَادًا قَدِمَ مَكَّةَ وَكَانَ مِنْ أَزْدِ شَنُوءَةَ وَكَانَ يَرْقِي مِنْ هَذَا الرِّيحِ فَسَمِعَ سُفَهَاءَ أَهْلِ مَكَّةَ يَقُولُونَ: إِنَّ مُحَمَّدًا مَجْنُونٌ. فَقَالَ: لَوْ أَنِّي رَأَيْتُ هَذَا الرَّجُلَ لَعَلَّ اللَّهَ يَشْفِيهِ عَلَى يَدَيَّ. قَالَ: فَلَقِيَهُ. فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ إِنِّي أَرْقِي مِنْ هَذَا الرِّيحِ فَهَلْ لَكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَمَّا بَعْدُ» فَقَالَ: أَعِدْ عَلَيَّ كَلِمَاتِكَ هَؤُلَاءِ فَأَعَادَهُنَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثٌ مَرَّاتٍ فَقَالَ: لَقَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ الْكَهَنَةِ وَقَوْلَ السَّحَرَةِ وَقَوْلَ الشُّعَرَاءِ فَمَا سَمِعْتُ مِثْلَ كَلِمَاتِكَ هَؤُلَاءِ. وَلَقَدْ بَلَغْنَ قَامُوسَ الْبَحْرِ هَاتِ يَدَكَ أُبَايِعْكَ عَلَى الْإِسْلَامِ قَالَ: فَبَايَعَهُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِي بَعْضِ نُسَخِ «الْمَصَابِيحِ» : بَلَغْنَا نَاعُوسَ الْبَحْر وَذَكَرَ حَدِيثَا أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ «يهْلك كسْرَى» وَالْآخر «ليفتحنَّ عِصَابَةٌ» فِي بَابِ «الْمَلَاحِمِ» وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَن: الْفَصْل الثَّانِي
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান