মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৮৭
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৮৮৭। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, যায়দ ইবনে হারেসা, জা'ফর ইবনে আবু তালিব ও আব্দুল্লাহ্ ইবনে রাওয়াহার মৃত্যু-সংবাদ যুদ্ধের ময়দান হইতে আসিবার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদিগকে জানাইয়া দিয়াছেন। রণক্ষেত্রের বিবরণ তিনি এইভাবে দিয়াছেন, যায়দ পতাকা হাতে নিয়াছে, সে শহীদ হইয়াছে। তারপর জা'ফর পতাকা হাতে নিয়াছে, সেও শহীদ হইয়াছে। অতঃপর আব্দুল্লাহ্ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধরিয়াছে, সেও শহীদ হইয়াছে। (বর্ণনাকারী বলেন,) এই সময় রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর চক্ষুদ্বয় হইতে অশ্রুধারা প্রবাহিত ছিল। ইহার পর রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন : আল্লাহর তরবারিসমূহের এক তরবারি (অর্থাৎ, খালেদ ইবনে ওলীদ) ঝাণ্ডা হাতে তুলিয়া লইয়াছেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা কাফেরদের উপর মুসলমানদিগকে বিজয়ী করিয়াছেন। বুখারী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ نَعَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا وَجَعْفَرًا وَابْنَ رَوَاحَةَ لِلنَّاسِ قَبْلَ أَن يَأْتِيهِ خَبَرُهُمْ فَقَالَ أَخْذَ الرَّايَةَ زِيدٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَ جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَ ابْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ حَتَّى أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ من سيوف الله حَتَّى فتح الله عَلَيْهِم. رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইসলামের ইতিহাসে ইহা মুতার যুদ্ধ নামে প্রসিদ্ধ। ৮ম হিজরীতে সিরিয়ার বালকা ও বায়তুল মুকাদ্দাসের নিকটবর্তী 'মুতা' নামক স্থানে খৃষ্টানদের সাথে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
'খালেদ সাইফুল্লাহ্'। পর পর তিনজন সেনাপতির শাহাদাতের পর হযরত খালেদের নেতৃত্বেই মুসলমানদের বিজয় সূচিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেইদিনই তাঁহাকে 'সাইফুল্লাহ্' বা আল্লাহর তলোয়ার উপাধিতে ভূষিত করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উস্তাদুল মুহতারাম, শায়খুল আরব ওয়াল আযম মাওলানা সাইয়্যেদ হোসাইন আহমদ মদনী (রহঃ) বলিয়াছেন, হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ যুদ্ধের ময়দানে শহীদ হওয়ার জন্য অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষা ও আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু আল্লাহর নবী তাঁহাকে 'আল্লাহর তরবারি' বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন। কাজেই আল্লাহর তলোয়ার শত্রুর আঘাতে ভোঁতা কিংবা ভাঙ্গিতে পারে না। ফলে তিনি বহু যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা সত্ত্বেও শহীদ হইবার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করিতে পারেন নাই। অবশেষে তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করিয়াছেন। رضى الله تعالى عنه
'খালেদ সাইফুল্লাহ্'। পর পর তিনজন সেনাপতির শাহাদাতের পর হযরত খালেদের নেতৃত্বেই মুসলমানদের বিজয় সূচিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেইদিনই তাঁহাকে 'সাইফুল্লাহ্' বা আল্লাহর তলোয়ার উপাধিতে ভূষিত করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উস্তাদুল মুহতারাম, শায়খুল আরব ওয়াল আযম মাওলানা সাইয়্যেদ হোসাইন আহমদ মদনী (রহঃ) বলিয়াছেন, হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ যুদ্ধের ময়দানে শহীদ হওয়ার জন্য অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষা ও আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু আল্লাহর নবী তাঁহাকে 'আল্লাহর তরবারি' বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন। কাজেই আল্লাহর তলোয়ার শত্রুর আঘাতে ভোঁতা কিংবা ভাঙ্গিতে পারে না। ফলে তিনি বহু যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা সত্ত্বেও শহীদ হইবার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করিতে পারেন নাই। অবশেষে তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করিয়াছেন। رضى الله تعالى عنه