মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৯৩৮
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৯৩৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একবার আমরা মক্কা এবং মদীনার মধ্যবর্তী স্থানে হযরত ওমর (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম, তখন আমরা নতুন চাঁদ দেখিতে চেষ্টা করি। আমি ছিলাম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি। সুতরাং আমি চাঁদ দেখিয়া ফেলিলাম। আর আমি ব্যতীত সেখানে অন্য কেহই চাঁদ দেখিতে পাইয়াছে বলিয়া দাবী করে নাই। আমি হযরত ওমর (রাঃ)-কে বলিলাম, আপনি কি চাঁদ দেখিতেছেন না? কিন্তু তিনি উহা দেখিতে পাইতেছিলেন না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ওমর (রাঃ) বলিলেন, অচিরেই আমি আমার বিছানায় শুইয়া শুইয়া উহা দেখিব। (হযরত আনাস বলেন,) অতঃপর হযরত ওমর (রাঃ) বদর যুদ্ধের ঘটনাবলী বর্ণনা করিতে লাগিলেন এবং বলিলেন, যুদ্ধের একদিন পূর্বে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে ঐ সমস্ত স্থানগুলি দেখাইয়া দিলেন, যেই যেই স্থানে কাফেরদের লাশ পড়িয়া থাকিবে। তিনি বলিলেন, ইন্‌শাআল্লাহ্ আগামীকাল এই জায়গায় অমুক (কাফের)-এর লাশ পড়িবে। ইন্‌শাআল্লাহ্ আগামীকাল এই স্থানে অমুকের লাশ পড়িবে (এই বলিয়া তিনি এক একটি করিয়া নিহতের স্থানসমূহ দেখাইলেন)। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, সেই মহান সত্তার কসম! যিনি তাঁহাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করিয়াছেন; যেইসকল স্থান রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দিষ্ট করিয়াছিলেন, (কাফেরদের লাশগুলি) উক্ত স্থান হইতে একটুখানিও এইদিক সেইদিক সরিয়া পড়ে নাই। (বর্ণনাকারী বলেন,) অতঃপর উহাদিগকে একটি (অনাবাদ) কূপের মধ্যে একটির উপর একটিকে নিক্ষেপ করা হইল। ইহার পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কূপটির নিকটে আসিয়া বলিলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক! হে অমুকের পুত্র অমুক! আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল তোমাদিগকে যেই ওয়াদা দিয়াছিলেন, তোমরা কি তাহা ঠিক ঠিক পাইয়াছ? তবে আমার আল্লাহ্ আমাকে যাহা ওয়াদা দিয়াছেন, আমি অবশ্য তাহা ঠিক ঠিকভাবে পাইয়াছি। তখন হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আপনি কিরূপে এমন দেহসমূহের সহিত কথা বলিতেছেন, যাহাদের মধ্যে কোন প্রাণ নাই ? তিনি বলিলেন, আমি উহাদিগকে যাহা বলিতেছি, তোমরা উহা তাহাদের চেয়ে অধিক শুনিতেছ না, অবশ্য উহারা আমার কথার কোন জওয়াব দিতে সক্ষম নহে। —মুসলিম
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ كُنَّا مَعَ عُمَرَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَتَرَاءَيْنَا الْهِلَالَ وَكُنْتُ رَجُلًا حَدِيدَ الْبَصَرِ فَرَأَيْتُهُ وَلَيْسَ أَحَدٌ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَآهُ غَيْرِي قَالَ فجعلتُ أقولُ لعُمر أما ترَاهُ فَجعل لَا يَرَاهُ قَالَ يَقُولُ عُمَرُ سَأَرَاهُ وَأَنَا مُسْتَلْقٍ عَلَى فِرَاشِي ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا عَنْ أَهْلِ بدر فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُرِينَا مَصَارِعَ أَهْلِ بَدْرٍ بِالْأَمْسِ يَقُولُ هَذَا مَصْرَعُ فُلَانٍ غَدًا إِنْ شَاءَ الله قَالَ فَقَالَ عمر فوالذي بَعثه بِالْحَقِّ مَا أخطئوا الْحُدُود الَّتِي حد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فَجُعِلُوا فِي بِئْرٍ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَانْطَلَقَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِمْ فَقَالَ يَا فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ وَيَا فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ حَقًّا فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَني الله حَقًا قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تُكَلِّمُ أَجْسَادًا لَا أَرْوَاحَ فِيهَا قَالَ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ غَيْرَ أَنَّهُمْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَن يَردُّوا عليَّ شَيْئا . رَوَاهُ مُسلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান