মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯৫৬
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে
৫৯৫৬। হযরত বারা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে সর্বপ্রথম যাহারা হিজরত করিয়া মদীনায় আমাদের কাছে আসিয়াছিলেন, তাহারা হইলেন হযরত মুসআব ইবনে উমায়র এবং (আব্দুল্লাহ্) ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ)। তাহারা দুইজন আসিয়াই আমাদিগকে কোরআন (মজীদ) শিক্ষা দিতে শুরু করিলেন। ইহার পর আসিলেন হযরত আম্মার, বেলাল ও সা'দ (রাঃ)। তারপর আসিলেন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশজন সাহাবীসহ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)। অতঃপর (সর্বশেষে) আসিলেন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। (বর্ণনাকারী বারা বলেন, নাবীয়ে পাক (ছাঃ)-এর আগমনে আমি মদীনাবাসীকে এতবেশী আনন্দিত হইতে দেখিয়াছি যে, (ইহার পূর্বে) অন্য কোন জিনিসে তাহাদিগকে ততোটা আনন্দিত হইতে আর কখনও দেখি নাই। এমন কি,আমি দেখিয়াছি, মদীনার ছোট ছোট মেয়ে এবং ছেলেরা পর্যন্ত খুশীতে বলিতে লাগিল। ইনিই তো সেই আল্লাহর রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যিনি আমাদের মাঝে আগমন করিয়াছেন। বারা (রাঃ) বলেন, তিনি আসিবার পূর্বেই আমি সুরা আলা ও অনুরূপ আরও কতিপয় ছোট ছোট সূরা শিখিয়া ফেলিয়াছিলাম। -বুখারী
كتاب الفضائل والشمائل
بَاب هِجْرَة أَصْحَابه صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَكَّة ووفاته: الْفَصْل الأول
عَن الْبَراء قَالَ: أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَجَعَلَا يُقْرِآنِنَا الْقُرْآنَ ثُمَّ جَاءَ عَمَّارٌ وَبِلَالٌ وَسَعْدٌ ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عِشْرِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا رَأَيْتُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ فَرِحُوا بِشَيْءٍ فَرَحَهُمْ بِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْوَلَائِدَ وَالصِّبْيَانَ يَقُولُونَ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَاءَ فَمَا جَاءَ حَتَّى قرأتُ: [سبِّح اسْم ربِّك الْأَعْلَى] فِي سُوَرٍ مِثْلِهَا مِنَ الْمُفَصَّلِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার (রহঃ) এই অধ্যায় ও পরবর্তী অধ্যায়ের কোন শিরোনাম নির্ধারণ না করিয়াই অস্পষ্ট রাখিয়াছেন। তবে তাঁহার স্বাভাবিক নীতি হইল, শিরোনামবিহীন অধ্যায় দ্বারা উহাকে পূর্ববর্তী অধ্যায়ের সম্পূরক হিসাবে গণ্য করা। কিন্তু এই অধ্যায়ের বর্ণিত হাদীসে তেমন কিছু পরিলক্ষিত হয় না; বরং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাত ও তৎপূর্ব কিছু বর্ণনা দেখা যায়, তাই পরবর্তী যুগের মুহাদ্দেসীনে কেরাম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ ইহাকে উল্লিখিত শিরোনামে আখ্যায়িত করিয়াছেন। আর পরবর্তী অধ্যায়কে এই অধ্যায়ের সম্পূরক হিসাবে গণ্য করিয়াছেন । والله اعلم بالصواب