মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল

হাদীস নং: ৬২১১
- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২১১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, হযরত সাবেত ইবনে কায়স ইবনে শাম্মাস (রাঃ) ছিলেন আনসারদের মুখপাত্র। যখন আল্লাহর বাণী, “হে ঈমানদারগণ। তোমাদের কণ্ঠ স্বরকে নবী (ছাঃ)-এর কণ্ঠস্বরের উপরে উঁচু করিও না...... নাযিল হইল, তখন হযরত সাবেত নিজের ঘরের মধ্যে বসিয়া রহিলেন এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাওয়া আসা বন্ধ করিয়া দিলেন। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত সা'দ ইবনে মুআযকে সাবেত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন- সাবেতের কি হইয়াছে, সে কি অসুস্থ? অতঃপর সা'দ (অবস্থা জানার জন্য) তাহার কাছে আসিলেন এবং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথাটিও তাহার নিকট বলিলেন। উত্তরে সাবেত বলিলেন, এই আয়াতটি নাযিল হইয়াছে, আর তোমরা জান যে,তোমাদের মধ্যে আমার কণ্ঠস্বর রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আওয়াজ হইতে বুলন্দ। সুতরাং আমি তো দোযখী হইয়া গিয়াছি। অতঃপর সা'দ রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া সাবেতের অনুপস্থিতির ব্যাপারটি জানাইলে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: আরে না, সে তো জান্নাতী। — মুসলিম
كتاب المناقب
عَن أَنَسٍ قَالَ: كَانَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شماس خطيب الْأَنْصَار فَلَمَّا نزلت هَذِه الْآيَة: [يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوق صَوت النَّبِي] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ جَلَسَ ثَابِتٌ فِي بَيْتِهِ وَاحْتَبَسَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ: «مَا شَأْنُ ثَابِتٍ أَيَشْتَكِي؟» فَأَتَاهُ سَعْدٌ فَذَكَرَ لَهُ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ثَابِتٌ: أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْفَعِكُمْ صَوْتًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلْ هُوَ من أهل الْجنَّة» . رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত সাবেতের কন্ঠস্বর স্বভাবতই বুলন্দ ছিল, আর তাহা দূষণীয় নহে। আয়াতের তাৎপর্য হইল—নবীর সাথে কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা, বিতর্কে লিপ্ত হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে উচ্চ স্বরে কথা বলা। নবী (ﷺ) হযরত সাবেতকে যে জান্নাতী বলিয়াছেন, তাহা এইভাবে বাস্তবে প্রমাণিত হইল যে, তিনি “ইয়ামামার” যুদ্ধে শহীদ হন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান