শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৭-১৮৭৮। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা ‘যাতুররিকা' যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তখন সালাত কায়েম হয়েছে। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইবন খুযায়মা ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনী মুহারিবের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলেন। তিনি লোকদেরকে নিয়ে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
একদল আলিম উক্ত মত পোষণ করে বলেছেন যে, সালাতুল খাওফ অনুরূপ। বস্তুত আমাদের মতানুসারে এ হাদীসগুলোতে তাদের স্বপক্ষের দলীল হতে পারবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্ভবত সালাতুল খাওফ এভাবে পড়েছেন যেহেতু তিনি এরূপ সফররত ছিলেন না যাতে সালাতকে কসর পড়া হয়। (বরং তিনি মুকীম ছিলেন)। তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত করে পড়েছেন। তারপর তারা পরে দু'রাক'আতের পূর্ণ করে নিয়েছেন। অনুরূপভাবে আমরাও মত পোষণ করি যে, যখন কোন শহরে শত্রু এসে উপস্থিত হয় আর শহরবাসী সালাতুল খাওফ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তাহলে তারা অনুরূপই করবে। অর্থাৎ যদি উক্ত সালাত (চার রাক'আত বিশিষ্ট) যুহর, আসর কিংবা ই'শা হয় । তাঁরা বলেছেনঃ পূর্ণ করা সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ নেই।
তাদেরকে বলা হবে যে, সম্ভবত তাঁরা (পরবর্তীতে) কাযা করে নিয়েছেন আর এ কথাটি হাদীসে বর্ণিত হয়নি। হাদীসে অনুরূপ দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। আর যদি তাঁরা কাযা করে না থাকেন তাহলে আমাদের মতানুসারে এটি তাদের অনুকূলে দলীল হতে পারবে না। যেহেতু এমনও হতে পারে যে এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন করেন তখন (প্রাথমিক যুগে) ফরযকে দু'বার পড়া যেত। অতএব তা প্রত্যেক বারই ফরয হিসাবে গণ্য হতো। তারপর পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে যায়।
كتاب الصلاة
1877 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَاتِ الرِّقَاعِ , فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

1878 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَارِبَ خَصَفَةَ فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ» فَذَكَرَ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا فَقَالَ قَوْمٌ بِهَذَا , وَزَعَمُوا أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ كَذَلِكَ. وَلَا حُجَّةَ لَهُمْ عِنْدَنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّاهَا كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي سَفَرٍ يُقْصَرُ فِي مِثْلِهِ الصَّلَاةُ , فَصَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَضَوْا بَعْدَ ذَلِكَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ. وَهَكَذَا نَقُولُ نَحْنُ إِذَا حَضَرَ الْعَدُوُّ فِي مِصْرٍ فَأَرَادَ أَهْلُ ذَلِكَ الْمِصْرِ أَنْ يُصَلُّوا صَلَاةَ الْخَوْفِ فَعَلُوا هَكَذَا. يَعْنِي بَعْدَ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الصَّلَاةُ ظُهْرًا أَوْ عَصْرًا أَوْ عِشَاءً. قَالُوا: فَإِنَّ الْقَضَاءَ مَا ذُكِرَ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا قَدْ قَضَوْا وَلَمْ يُنْقَلْ ذَلِكَ فِي الْخَبَرِ , وَقَدْ يَجِيءُ فِي الْأَخْبَارِ مِثْلُ هَذَا كَثِيرًا [ص:316] وَإِنْ كَانُوا لَمْ يَقْضُوا , فَإِنَّ ذَلِكَ عِنْدَنَا لَا حُجَّةَ فِيهِ أَيْضًا لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْفَرِيضَةُ تُصَلَّى حِينَئِذٍ مَرَّتَيْنِ فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا فَرِيضَةً , وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ يُفْعَلُ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ ثُمَّ نُسِخَ
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১৮৭৭ | মুসলিম বাংলা