শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯২৭
নামাযের অধ্যায়
সূর্যগ্রহণের সালাত কিরূপ
১৯২৭। সুলায়মান ইবন শু'আইব (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইবন হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর যুগে একবার ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন তিনি বললেন (ভয় ও বিস্ময়ের সুরে) আমি জানিনা এটি জমির কোন্ অংশ অর্থাৎ তাঁর চিন্তার কারণে তিনি এটা বলেছেন। খাসীব নামক বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অথবা (রাবী বলেছেন) ভূমিকম্প হয়েছিল, ফলে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলা হল, ভূমিকম্প হয়েছে। তাই তিনি বের হয়ে লোকজনকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এতে তিনি চারবার তাকবীর বললেন। তারপর দীর্ঘ কিরা'আত পড়লেন। এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকূ করলেন। তারপর সিজদা করে দাঁড়ালেন। তারপর দ্বিতীয় রাক'আতে (প্রথম রাক’আতের) অনুরূপ করলেন। সালাম ফিরিয়ে তিনি বললেনঃ সালাতুল আয়াত (আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনের সালাত) এরূপই। তিনি সে সালাতের প্রথম রাক’আতে সূরা বাকারা এবং দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা আলে-ইমরান তিলাওয়াত করেছিলেন। এ বিষয়ে অন্য আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে সময় নির্ধারিত নেই; বরং তখন দীর্ঘ সালাত পড়বে সূর্য আলোকোজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত রুকূ-সিজদা করতে থাকবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
كتاب الصلاة
1927 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ عَلَى عَهْدِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقَالَ: مَا أَدْرِي أَيَّ أَرْضٍ يَعْنِي مَا كَانَ بِهِ مِنَ التَّفَرُّسِ هَكَذَا ذَكَرَ الْخَصِيبُ أَوْ زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ. فَقِيلَ لَهُ: زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ فَخَرَجَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَكَبَّرَ أَرْبَعًا , ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ , وَكَبَّرَ فَرَكَعَ , ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» ثُمَّ كَبَّرَ أَرْبَعًا , فَكَبَّرَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ , ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ , ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» ثُمَّ كَبَّرَ أَرْبَعًا , فَقَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ , ثُمَّ كَبَّرَ , فَرَكَعَ , ثُمَّ سَجَدَ , ثُمَّ قَامَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ. فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ: «هَكَذَا صَلَاةُ الْآيَاتِ , وَقَرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ , وَفِي الْأُخْرَى سُورَةَ آلِ عِمْرَانَ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ وَقَالُوا: بَلْ يُطِيلُ الصَّلَاةَ كَذَلِكَ أَبَدًا , يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ , لَا تَوْقِيتَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى تَنْجَلِيَ الشَّمْسُ