শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯২৮
নামাযের অধ্যায়
সূর্যগ্রহণের সালাত কিরূপ
১৯২৮। সুলায়মান ইবন শু'আইব (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যদি চতুর্থ রুকূতে সূর্য আলোকোজ্জ্বল হয় তাহলে রুকূ এবং সিজদা অবশ্যই সম্পন্ন করবে। সাঈদ ইবন যুবায়র (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যদি চতুর্থ রুকূতে সূর্য উজ্জ্বল হয়ে উঠে তাহলে রুকূ এবং সিজদা অবশ্যই সম্পন্ন করবে। আর চতুর্থ রুকূই হল দ্বিতীয় রাক'আতের প্রথম রুকূ ।
এটা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সুনির্দিষ্ট রুকূর ইচ্ছা করেননি। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত রুকূ করছিলেন সূর্য আলোকোজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত কেবল তখনই সালাত সমাপ্ত করবে। বস্তুত এ প্রসঙ্গে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বাণী- فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ (সূর্য আলোকোজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত সালাত পড়তে থাক) কেই নিজেদের অভিমত (মাযহাব) স্থির করেছেন।
এ বিষয়ে অন্য আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেনঃ তাঁরা বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাত অপরাপর নফল সালাতের ন্যায় দু'রাক'আত। ইচ্ছা করলে আপনি এ দু'রাক'আত সালাত দীর্ঘাকারেও পড়তে পারেন আবার সংক্ষিপ্তাকারেও আদায় করতে পারেন। তারপর উক্ত দু'রাক'আত সালাতের পরে রয়েছে সূর্য পূর্ণ উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত দু'আ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ দিয়েছেনঃ
এটা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সুনির্দিষ্ট রুকূর ইচ্ছা করেননি। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত রুকূ করছিলেন সূর্য আলোকোজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত কেবল তখনই সালাত সমাপ্ত করবে। বস্তুত এ প্রসঙ্গে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বাণী- فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ (সূর্য আলোকোজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত সালাত পড়তে থাক) কেই নিজেদের অভিমত (মাযহাব) স্থির করেছেন।
এ বিষয়ে অন্য আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেনঃ তাঁরা বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাত অপরাপর নফল সালাতের ন্যায় দু'রাক'আত। ইচ্ছা করলে আপনি এ দু'রাক'আত সালাত দীর্ঘাকারেও পড়তে পারেন আবার সংক্ষিপ্তাকারেও আদায় করতে পারেন। তারপর উক্ত দু'রাক'আত সালাতের পরে রয়েছে সূর্য পূর্ণ উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত দু'আ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ দিয়েছেনঃ
كتاب الصلاة
1928 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ قَالَ: «لَوْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ , لَرَكَعَ وَسَجَدَ» فَهَذَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ يُخْبِرُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ لَوْ تَجَلَّتْ لَهُ الشَّمْسُ فِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ لَرَكَعَ وَسَجَدَ وَالرَّابِعَةُ هِيَ الْأُولَى مِنَ الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ. فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَقْصِدُ فِي ذَلِكَ رُكُوعًا مَعْلُومًا , وَإِنَّمَا يَرْكَعُ مَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُنْكَسِفَةً حَتَّى تَنْجَلِيَ فَيَقْطَعَ الصَّلَاةَ وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: صَلَاةُ الْكُسُوفِ رَكْعَتَانِ كَسَائِرِ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ إِنْ شِئْتَ طَوَّلْتَهُمَا وَإِنْ شِئْتَ قَصَّرْتَهُمَا ثُمَّ الدُّعَاءُ مِنْ بَعْدِهِمَا حَتَّى تَنْجَلِيَ الشَّمْسُ