শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫২৩
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৩। আবু উমাইয়া (রাহঃ)..... আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সালাতে) সন্দেহের বিষয়ে বলেছেন, মুসল্লী চিন্তা-ভাবনা করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, “আপনি কি এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছেন” ? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছি”।
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) অনুচ্ছেদের প্রথমে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, এটি তখন প্রযোজ্য হবে, যখন (মুসল্লী) তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে তা বুঝতে পারে না এবং তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয় না। তবে যদি তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয়, তাহলে এই রিওয়ায়াত তথা চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
অতএব আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত শেষোক্ত মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে, তাঁদের বিরোধী মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে না। কারণ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাঁর প্রকার পরবর্তীতে তিনি (আবু সাঈদ খুদরী রা) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে যে উত্তর প্রদান করেছেন, তাতে উভয় বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। অনুরূপভাবে ‘তাহাররী’র বিষয়ে আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) অনুচ্ছেদের প্রথমে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, এটি তখন প্রযোজ্য হবে, যখন (মুসল্লী) তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে তা বুঝতে পারে না এবং তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয় না। তবে যদি তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয়, তাহলে এই রিওয়ায়াত তথা চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
অতএব আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত শেষোক্ত মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে, তাঁদের বিরোধী মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে না। কারণ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাঁর প্রকার পরবর্তীতে তিনি (আবু সাঈদ খুদরী রা) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে যে উত্তর প্রদান করেছেন, তাতে উভয় বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। অনুরূপভাবে ‘তাহাররী’র বিষয়ে আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
كتاب الصلاة
2523 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «فِي الْوَهْمِ يُتَحَرَّى» قَالَ: قُلْتُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَا رَوَاهُ أَبُو سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا هُوَ إِذَا كَانَ لَا يَدْرِي أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟ وَلَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَغْلَبَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْآخَرِ. وَأَمَّا إِذَا كَانَ أَحَدُهُمَا أَغْلَبَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْآخَرِ , عَمِلَ عَلَى ذَلِكَ. فَقَدْ وَافَقَ مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمَّا جَمَعَ مَا رَوَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أَجَابَ بِهِ الَّذِي سَأَلَهُ مِنْ بَعْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ الْأَخِيرَةِ , لَا مَا قَالَ مَنْ خَالَفَهُمْ. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي التَّحَرِّي مِثْلَهُ