আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬২- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৩৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৫৭
- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায়
৩০৪৬. পেঁচায় কুলক্ষণ নেই
৫৩৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: রোগের মধ্যে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ লক্ষণ বলে কিছু নেই। পেঁচায় কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।
كتاب الطب
باب لاَ هَامَةَ
5757 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الحَكَمِ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অশুভ লক্ষণ প্রসঙ্গ
বিনা হিসাবে জান্নাত লাভকারীদের গুণ- তারা কোনওকিছুকে অশুভ লক্ষণ মনে করে না। হাদীছের শব্দ হল لا يتطيرون । এর মূল শব্দ طير, যার অর্থ পাখি। জাহিলী যুগে মানুষ বিশেষ কোনও কাজ করার সময় বা কোনওদিকে যাত্রাকালে পাখির দিকে লক্ষ করত। যদি দেখত পাখি ডানদিকে উড়ে গেছে, তবে তাকে শুভলক্ষণ মনে করত এবং কাজটি সম্পন্ন করত। আর যদি বামদিকে উড়ত, তবে অশুভলক্ষণ মনে করত এবং সে কাজ থেকে বিরত থাকত। অনেক সময় তারা ইচ্ছাকৃতই পাখি উড়াত এবং লক্ষ করত সেটি ডানে যাচ্ছে না বামে। আর সে হিসেবে কাজ করা বা না করার ফয়সালা নিত। ইসলাম এটাকে নিষিদ্ধ করেছে। কেননা এটা মূর্খতা। পাখির ডানে বামে উড়ার সাথে শুভ-অশুভের কী সম্পর্ক? এটা একটা কুসংস্কার। ইসলাম কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেয় না। তাছাড়া এটা তাওয়াক্কুলেরও পরিপন্থি। শুভ-অশুভ আল্লাহর হাতে। হবে সেটাই, যা তিনি চান। পাখির উড়ায় কিছু হবে না। এর প্রতি বিশ্বাস রাখা শিরকও বটে। এটা আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতায় অন্যকে অংশীদার বানানোর নামান্তর। সুতরাং এর থেকে বেঁচে থাকা অবশ্যকর্তব্য। এরকম আরও যত কুসংস্কার আছে, যেমন কাকের ডাককে কোনও বিপদের সংকেত মনে করা, যাত্রাকালে ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ মনে করা, যাত্রাকালে কেউ হাঁচি দিলে তাকে বিপদসংকেত মনে করা ইত্যাদি, এসবই অবশ্যই পরিত্যাজ্য। ইসলামে এসব কুসংস্কারের কোনও স্থান নেই। এ জাতীয় ধারণা কঠিন পাপ।
বিনা হিসাবে জান্নাত লাভকারীদের গুণ- তারা কোনওকিছুকে অশুভ লক্ষণ মনে করে না। হাদীছের শব্দ হল لا يتطيرون । এর মূল শব্দ طير, যার অর্থ পাখি। জাহিলী যুগে মানুষ বিশেষ কোনও কাজ করার সময় বা কোনওদিকে যাত্রাকালে পাখির দিকে লক্ষ করত। যদি দেখত পাখি ডানদিকে উড়ে গেছে, তবে তাকে শুভলক্ষণ মনে করত এবং কাজটি সম্পন্ন করত। আর যদি বামদিকে উড়ত, তবে অশুভলক্ষণ মনে করত এবং সে কাজ থেকে বিরত থাকত। অনেক সময় তারা ইচ্ছাকৃতই পাখি উড়াত এবং লক্ষ করত সেটি ডানে যাচ্ছে না বামে। আর সে হিসেবে কাজ করা বা না করার ফয়সালা নিত। ইসলাম এটাকে নিষিদ্ধ করেছে। কেননা এটা মূর্খতা। পাখির ডানে বামে উড়ার সাথে শুভ-অশুভের কী সম্পর্ক? এটা একটা কুসংস্কার। ইসলাম কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেয় না। তাছাড়া এটা তাওয়াক্কুলেরও পরিপন্থি। শুভ-অশুভ আল্লাহর হাতে। হবে সেটাই, যা তিনি চান। পাখির উড়ায় কিছু হবে না। এর প্রতি বিশ্বাস রাখা শিরকও বটে। এটা আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতায় অন্যকে অংশীদার বানানোর নামান্তর। সুতরাং এর থেকে বেঁচে থাকা অবশ্যকর্তব্য। এরকম আরও যত কুসংস্কার আছে, যেমন কাকের ডাককে কোনও বিপদের সংকেত মনে করা, যাত্রাকালে ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ মনে করা, যাত্রাকালে কেউ হাঁচি দিলে তাকে বিপদসংকেত মনে করা ইত্যাদি, এসবই অবশ্যই পরিত্যাজ্য। ইসলামে এসব কুসংস্কারের কোনও স্থান নেই। এ জাতীয় ধারণা কঠিন পাপ।