রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৫১৩
ভূমিকা অধ্যায়
অধ্যায়ঃ ৫৬ অনাহারে থাকা, কৃচ্ছতাপূর্ণ জীবনযাপন করা, অল্প পানাহার, অল্প পোশাক ও অল্প ভোগে পরিতুষ্ট থাকা এবং চাহিদা ত্যাগের ফযীলত।
নবী-পরিবারের দীর্ঘ অনাহার ও তাঁদের খাদ্য
হাদীছ নং : ৫১৩
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একনাগাড়ে কয়েক রাত অনাহারে কাটাতেন এবং তার পরিবারবর্গও। তাঁরা রাতের খাবার পেতেন না। তাদের অধিকাংশ রুটি হতো যবের রুটি – তিরমিযী |
হাদীছ নং : ৫১৩
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একনাগাড়ে কয়েক রাত অনাহারে কাটাতেন এবং তার পরিবারবর্গও। তাঁরা রাতের খাবার পেতেন না। তাদের অধিকাংশ রুটি হতো যবের রুটি – তিরমিযী |
مقدمة الامام النووي
56 - باب فضل الجوع وخشونة العيش والاقتصار على القليل من المأكول والمشروب والملبوس وغيرها من حظوظ النفس وترك الشهوات
513 - وعن ابن عباس رضي الله عنهما، قَالَ: كَانَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يَبيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا، وَأهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ عَشَاءً، وَكَانَ أكْثَرُ خُبْزِهِمْ خُبزَ الشَّعيرِ. رواه الترمذي، (1) وقال: «حديث حسن صحيح».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীছে জানানো হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গ কিভাবে রাতের পর রাত ও দিনের পর দিন অনাহারে কাটাতেন। তাঁরা রাতের খাবার প্রায়ই পেতেন না। এ না পাওয়াটা ছিল ঐচ্ছিক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঐশ্বর্যের প্রস্তাব তো দেওয়াই হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার পরিবর্তে গরীবানা হালকেই বেছে নেন। তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গও তাতে খুশি থাকেন। খায়বারের যুদ্ধের পর তিনি তাঁদের প্রত্যেককে বছরের খরচা একসঙ্গে দিয়ে দিতেন। কিন্তু তাঁরা আল্লাহর পথে খরচ করে দিতেন। অতিথিদের পেছনে ব্যয় করতেন। ফলে তা বছরপূর্তির অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।
দীর্ঘ উপবাসের পর যে খাবার পেতেন তাও পেট ভরে খেতেন না। খেতেন যবের রুটি, তাও আচালা। সেই আচালা যবের রুটিও টানা দু'দিন খাওয়ার সুযোগ হতো না। এক হাদীছে আছে-
مَا شَبعَ آل مُحَمَّدٍ مِنْ خبز شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ
'মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত কোনওদিন পরপর দু'দিন পেট ভরে যবের রুটিও খেতে পায়নি।'
এভাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাত পর্যন্ত অনাহারে, অর্ধাহারে জীবন কাটিয়েছেন। আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. জানান-
توفِّيَ رَسُولُ اللهِ ، وَمَا فِي بَيْتِي مِنْ شَيْءٍ يَأْكُلُهُ ذُو كبد إلا شطر شَعيْرٍ فِي رَف لِي
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন যে, তখন আমার ঘরে এমন কোনও বস্তু ছিল না, যা কোনও জীবিত প্রাণী খেতে পারে। তবে আমার 'তাক'-এ সামান্য কিছু যব ছিল।"
এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ। খাবার ও পোশাকে অত্যন্ত সাদামাটাভাবে দিন কাটিয়েছেন। অশেষ কষ্ট সহ্য করেছেন, কিন্তু কারও কাছে কিছু চাননি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সবর ও সন্তুষ্টির সঙ্গে গরীবানা হালে কোনওমতে খেয়েপরে জীবনযাপনই উত্তম। এটাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ।
দীর্ঘ উপবাসের পর যে খাবার পেতেন তাও পেট ভরে খেতেন না। খেতেন যবের রুটি, তাও আচালা। সেই আচালা যবের রুটিও টানা দু'দিন খাওয়ার সুযোগ হতো না। এক হাদীছে আছে-
مَا شَبعَ آل مُحَمَّدٍ مِنْ خبز شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ
'মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত কোনওদিন পরপর দু'দিন পেট ভরে যবের রুটিও খেতে পায়নি।'
এভাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাত পর্যন্ত অনাহারে, অর্ধাহারে জীবন কাটিয়েছেন। আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. জানান-
توفِّيَ رَسُولُ اللهِ ، وَمَا فِي بَيْتِي مِنْ شَيْءٍ يَأْكُلُهُ ذُو كبد إلا شطر شَعيْرٍ فِي رَف لِي
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন যে, তখন আমার ঘরে এমন কোনও বস্তু ছিল না, যা কোনও জীবিত প্রাণী খেতে পারে। তবে আমার 'তাক'-এ সামান্য কিছু যব ছিল।"
এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ। খাবার ও পোশাকে অত্যন্ত সাদামাটাভাবে দিন কাটিয়েছেন। অশেষ কষ্ট সহ্য করেছেন, কিন্তু কারও কাছে কিছু চাননি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সবর ও সন্তুষ্টির সঙ্গে গরীবানা হালে কোনওমতে খেয়েপরে জীবনযাপনই উত্তম। এটাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)