রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
২. বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৯৩
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
৫ সাক্ষাৎকালে উত্তম কথা বলা ও হাসিমুখে থাকা
উত্তম কথার ছাওয়াব
হাদীছ নং: ৬৯৩
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, উত্তম কথা এক সদাকা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ২৭০৭; সহীহ মুসলিম: ১০০৯; মুসনাদে আহমাদ: ৮১৮৩; বায়হাকী : ৭৮২০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৬৪৫)
হাদীছ নং: ৬৯৩
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, উত্তম কথা এক সদাকা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী : ২৭০৭; সহীহ মুসলিম: ১০০৯; মুসনাদে আহমাদ: ৮১৮৩; বায়হাকী : ৭৮২০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৬৪৫)
كتاب الأدب
باب استحباب طيب الكلام وطلاقة الوَجه عند اللقاء
693 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه: أنَّ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «وَالكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ». متفقٌ عَلَيْهِ، (1) وَهُوَ بعض حديث تقدم بطولِه.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ভালো কথাও একটি সদাকা। অর্থাৎ দান-সদাকা করলে যেমন ছাওয়াব পাওয়া যায়, ভালো কথা দ্বারাও তেমনি ছাওয়াব পাওয়া যায়। হযরত উমর রাযি. বলেন, পুণ্য সহজ-সহাস্য চেহারা ও নরম কথা। হযরত আবু শুরায়হ নামক এক সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জান্নাতলাভের উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি ইরশাদ করেন-
طِيبُ الْكَلَامِ، وَبَذْلُ السَّلَامِ، وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ
‘উত্তম কথা বলা, ব্যাপকভাবে সালাম দেওয়া এবং মানুষকে খাবার খাওয়ানো। (সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫০৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৪৭০; আল আদাবুল মুফরাদ: ৮১১)
ভালো কথা নানা রকম। যেমন আল্লাহর যিকির ও দু'আ, মানুষকে সালাম দেওয়া, শোকে-দুঃখে মানুষকে সান্ত্বনা দেওয়া, দীনের কাজে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া, মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা, দীনের উদ্দেশ্যে মানুষের সঙ্গে মনোরঞ্জনমূলক কথা বলা, মানুষকে সদুপদেশ ও সুপরামর্শ দেওয়া, এমনিভাবে এমন যে-কোনও কথা, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, সে উপকার আখিরাতের হোক বা দুনিয়ার। মানুষের বৈধ দুনিয়াবী উপকার করাও অনেক বড় ছাওয়াবের কাজ। যেমন কাউকে পার্থিব বিষয়ে সুপরামর্শ দেওয়া বা কারও জন্য সুপারিশ করা। এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
اشفَعوا تُؤجَروا
‘তোমরা সুপারিশ করো, তাতে তোমাদের ছাওয়াব দেওয়া হবে।’ (সহীহ বুখারী: ১৪৩২; সহীহ মুসলিম: ২৬২৭; সুনানে আবূ দাউদ: ৫১৩১; জামে' তিরমিযী: ২৬৭২; সুনানে নাসাঈ : ২৫৫৬; মুসনাদুল হুমায়দী: ৭৮৯; মুসনাদুল বাযযার: ৩১৮০; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৭২৯৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৬৬৭৯; শু'আবুল ঈমান : ৩৪৬১)
বিজ্ঞজনেরা বলেন, যে কথা তোমার প্রতিপালককে নারাজ না করে, অথচ তা দ্বারা তুমি তোমার সঙ্গীকে খুশি করতে পার, সে কথায় তুমি কৃপণতা করো না। কেননা হতে পারে সে কথার বিনিময়ে তুমি সৎকর্মশীলদের ছাওয়াব লাভ করবে।
প্রকাশ থাকে যে, উত্তম কথা উত্তমভাবে বলাই বাঞ্ছনীয়। উত্তম কথা রাগের সঙ্গে বললে সুফল পাওয়া যায় না। তা কোমলভাবে বলতে হবে এবং হাসিমুখে বলতে হবে। এমনিভাবে স্থান-কাল-পাত্রও বিবেচ্য। উত্তম কথা যদি উপযুক্ত জায়গায় বলা না হয় কিংবা অসময়ে বলা হয়, তবে তা উপকারের বদলে ক্ষতি বয়ে আনে। এমনিভাবে যাকে বলা হচ্ছে তার মন-মানসিকতা, সামাজিক মর্যাদা, বয়স ইত্যাদি বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখা উচিত। বলা হয়েছে-
أَنْزِلُوا النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ
‘মানুষকে তাদের আপন আপন মর্যাদায় স্থান দিয়ো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪২; সহীহ মুসলিম, ভূমিকা দ্রষ্টব্য। মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৪৮২৬; শু'আবল ঈমান: ১৫৯৯৯; খারাইতী, মাকারিমুল আখলাক: ৪৬)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা নেক কাজের বৈচিত্র্য জানা যায়।
খ. ভালো কথা বলা অনেক বড় ভালো কাজ, যাতে সদাকার ছাওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং প্রত্যেকের কর্তব্য বাকশক্তিকে ভালো কথায় ব্যবহার করা।
গ. ভালো কথা উত্তমরূপে বলা বাঞ্ছনীয়, যেমন হাসি দিয়ে বলা।
طِيبُ الْكَلَامِ، وَبَذْلُ السَّلَامِ، وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ
‘উত্তম কথা বলা, ব্যাপকভাবে সালাম দেওয়া এবং মানুষকে খাবার খাওয়ানো। (সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫০৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৪৭০; আল আদাবুল মুফরাদ: ৮১১)
ভালো কথা নানা রকম। যেমন আল্লাহর যিকির ও দু'আ, মানুষকে সালাম দেওয়া, শোকে-দুঃখে মানুষকে সান্ত্বনা দেওয়া, দীনের কাজে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া, মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা, দীনের উদ্দেশ্যে মানুষের সঙ্গে মনোরঞ্জনমূলক কথা বলা, মানুষকে সদুপদেশ ও সুপরামর্শ দেওয়া, এমনিভাবে এমন যে-কোনও কথা, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, সে উপকার আখিরাতের হোক বা দুনিয়ার। মানুষের বৈধ দুনিয়াবী উপকার করাও অনেক বড় ছাওয়াবের কাজ। যেমন কাউকে পার্থিব বিষয়ে সুপরামর্শ দেওয়া বা কারও জন্য সুপারিশ করা। এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
اشفَعوا تُؤجَروا
‘তোমরা সুপারিশ করো, তাতে তোমাদের ছাওয়াব দেওয়া হবে।’ (সহীহ বুখারী: ১৪৩২; সহীহ মুসলিম: ২৬২৭; সুনানে আবূ দাউদ: ৫১৩১; জামে' তিরমিযী: ২৬৭২; সুনানে নাসাঈ : ২৫৫৬; মুসনাদুল হুমায়দী: ৭৮৯; মুসনাদুল বাযযার: ৩১৮০; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৭২৯৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৬৬৭৯; শু'আবুল ঈমান : ৩৪৬১)
বিজ্ঞজনেরা বলেন, যে কথা তোমার প্রতিপালককে নারাজ না করে, অথচ তা দ্বারা তুমি তোমার সঙ্গীকে খুশি করতে পার, সে কথায় তুমি কৃপণতা করো না। কেননা হতে পারে সে কথার বিনিময়ে তুমি সৎকর্মশীলদের ছাওয়াব লাভ করবে।
প্রকাশ থাকে যে, উত্তম কথা উত্তমভাবে বলাই বাঞ্ছনীয়। উত্তম কথা রাগের সঙ্গে বললে সুফল পাওয়া যায় না। তা কোমলভাবে বলতে হবে এবং হাসিমুখে বলতে হবে। এমনিভাবে স্থান-কাল-পাত্রও বিবেচ্য। উত্তম কথা যদি উপযুক্ত জায়গায় বলা না হয় কিংবা অসময়ে বলা হয়, তবে তা উপকারের বদলে ক্ষতি বয়ে আনে। এমনিভাবে যাকে বলা হচ্ছে তার মন-মানসিকতা, সামাজিক মর্যাদা, বয়স ইত্যাদি বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখা উচিত। বলা হয়েছে-
أَنْزِلُوا النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ
‘মানুষকে তাদের আপন আপন মর্যাদায় স্থান দিয়ো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪২; সহীহ মুসলিম, ভূমিকা দ্রষ্টব্য। মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৪৮২৬; শু'আবল ঈমান: ১৫৯৯৯; খারাইতী, মাকারিমুল আখলাক: ৪৬)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা নেক কাজের বৈচিত্র্য জানা যায়।
খ. ভালো কথা বলা অনেক বড় ভালো কাজ, যাতে সদাকার ছাওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং প্রত্যেকের কর্তব্য বাকশক্তিকে ভালো কথায় ব্যবহার করা।
গ. ভালো কথা উত্তমরূপে বলা বাঞ্ছনীয়, যেমন হাসি দিয়ে বলা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)