মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
১. একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৩৬৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১৪) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু বান্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আমার বান্দারা তোমরা প্রত্যেকেই গোনাহগার, অবশ্য আমি যাকে হ্মমা করে দিয়েছি (সে ব্যতীত)।
সুতরাং, তোমরা আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে হ্মমা করে দেব।আর যে ব্যক্তি (তার বিশ্বাসের কারণে) জানে যে, আমি হ্মমা করার শক্তি সংরহ্মণ করি (আর এ বিশ্বাসে) সে আমার কাছে আমার শক্তিমত্তার সাহায্যে হ্মমা প্রার্থনা করে, তো আমি কারো তোয়াক্কা না করে তাকে হ্মমা করে দেই।আর তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট অবশ্য আমি যাকে পথ প্রদর্শন করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে সঠিক পথনির্দেশ কামনা কর আমি তোমাদের পথ নির্দেশ করব।আর তোমাদের প্রত্যেকেই হত দরিদ্র, অবশ্য আমি যাকে ধনাঢ্য করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে ঝাঞ্ঝা কর (ভিহ্মা চাও), আমি তোমাদের ধনাঢ্য করে দেব।
যদি তোমাদের প্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, যদি তোমাদের মানবকুল ও জ্বিনকুল তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত তোমাদের দ্রবীভূত ও বিশুদ্ধ (অর্থাৎ পৃথিবীর তাবৎ শক্তি) যদি আমার বান্দার অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে রুক্ষ্ম ও শক্ত অন্তঃকরণে একত্রিত হয় (এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালায়) তবু মাছির পাখার সমান (সামান্যতম) হ্মতিও সাধন করতে পারবে না আমার সার্বভৌম সাম্রাজ্যের।(পহ্মান্তরে) যদি তারা আমার বান্দাদের অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে পবিত্র অন্তঃকরণে একত্রি হয় (এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়) তবু তারা আমার সার্বভৌম রাজত্বে মাছির পাখা পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে না।
আবার যদি তোমাদের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনা মতে যদি তোমাদের মানবকুল, জ্বিনকুল, তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত, তোমাদের সবল ও দুর্বল একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কামনা-বাসনা ও আশানুরূপ আমার কাছে চাহিদা পেশ করে এবং আমি প্রত্যেককে তার আকাহ্মা অনুযায়ী দান করি।(তবুও) আমার ভাণ্ডারে কোনই হ্মতি সাধিত হবে না।
অনুরূপভাবে যদি তোমাদের কেউ সমুদ্রের কিনারা বয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি সূঁচ সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে তা উঠিয়ে নেয় (তাতে সমুদ্রের পানির যেমন কোন হ্মতি বা ঘাটতি সাধিত হয়না)।তেমনি আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোন হ্মতি হয় না।
কারণ, আমি হচ্ছি ‘জাওয়াদ’ বা দয়ার সাগর, “মাজেদ” দয়ার সাগর, “মাজেদ” করুণা ও সম্মানের আধার, সামাদ এবং অমুখাপেহ্মী।আমার দান (করূণা) হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী এবং আমার শাস্তি হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী।(অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমার দান হচ্ছে আমার কালাম এবং আমার শাস্তি হচ্ছে আমার কালাম)।যখন আমি কোন কিছু সংঘটিত করতে চাই তখন আমি বলি ‘কুন’ ‘হয়ে যাও’, অতঃপর তা হয়ে যায়।
[একই বর্ণনাকারী (অর্থাৎ আবূ যর (রা)) থেকে ভিন্ন সূত্রে বর্ণিত] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সহাপ্রভু আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন আল্লাহ বলেনঃ আমি আমার সত্তার উপর এবং আমার বান্দাদের উপর জুলুম বা অবিচার হারাম করে দিয়েছি।অতএব, সাবধান, তোমরা পরস্পর জুলুম (অবিচার) করো না।প্রতিটি আদম সন্তান রাত্রে ও দিবসে ভুল (গুনাহ) করে থাকে, অতঃপর আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা করে, আর আমি তাকে মার্জনাা করে দেই এবং কারো তোয়াক্কা আমি করি না।(আল্লাহ) আরও বলেনঃ হে আদম সন্তানগণ, তোমরা প্রত্যেকেই ছিলে পথভ্রষ্ট, অবশ্য আমি যাকে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) প্রদান করেছি (সে ভিন্ন); তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে পরিধেয় পরিচ্ছদ বিহীন, অবশ্য আমি যাকে পরিধেয় প্রদান করেছি; তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে অভুক্ত হ্মুধার্থ অবশ্য আমি যাকে খাবার খাইয়েছি, তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে তৃষ্ণার্থ অবশ্য আমি যাকে পান করিয়েছি।সুতরাং, তোমরা আমার কাছে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) কামনা কর, আমি তোমাদের পথ-নির্দেশনা প্রদান করব; আমার কাছে পরিধেয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের পরিধেয় (বস্ত্র ও অন্য কিছু) প্রদান করব; আমার কাছে খাবার প্রার্থনা কর আমি তোমাদেরকে খাবার প্রদান করব; আমার কাছে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানীয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণী পানীয় প্রদান করব। হে আমার বান্দাগণ, (তোমরা জেনে রাখ) যদি তোমাদের সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ (পূর্বে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ …..) একত্রিত হয়ে, প্রচেষ্টা চালায় তবু আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোনই হ্মতিসাধন করতে পারবে না- যেমন পারে না সূচাগ্র সাগর জলের। [মুসলিম, ইবন্ মাজাহ্]
সুতরাং, তোমরা আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে হ্মমা করে দেব।আর যে ব্যক্তি (তার বিশ্বাসের কারণে) জানে যে, আমি হ্মমা করার শক্তি সংরহ্মণ করি (আর এ বিশ্বাসে) সে আমার কাছে আমার শক্তিমত্তার সাহায্যে হ্মমা প্রার্থনা করে, তো আমি কারো তোয়াক্কা না করে তাকে হ্মমা করে দেই।আর তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট অবশ্য আমি যাকে পথ প্রদর্শন করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে সঠিক পথনির্দেশ কামনা কর আমি তোমাদের পথ নির্দেশ করব।আর তোমাদের প্রত্যেকেই হত দরিদ্র, অবশ্য আমি যাকে ধনাঢ্য করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে ঝাঞ্ঝা কর (ভিহ্মা চাও), আমি তোমাদের ধনাঢ্য করে দেব।
যদি তোমাদের প্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, যদি তোমাদের মানবকুল ও জ্বিনকুল তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত তোমাদের দ্রবীভূত ও বিশুদ্ধ (অর্থাৎ পৃথিবীর তাবৎ শক্তি) যদি আমার বান্দার অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে রুক্ষ্ম ও শক্ত অন্তঃকরণে একত্রিত হয় (এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালায়) তবু মাছির পাখার সমান (সামান্যতম) হ্মতিও সাধন করতে পারবে না আমার সার্বভৌম সাম্রাজ্যের।(পহ্মান্তরে) যদি তারা আমার বান্দাদের অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে পবিত্র অন্তঃকরণে একত্রি হয় (এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়) তবু তারা আমার সার্বভৌম রাজত্বে মাছির পাখা পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে না।
আবার যদি তোমাদের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনা মতে যদি তোমাদের মানবকুল, জ্বিনকুল, তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত, তোমাদের সবল ও দুর্বল একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কামনা-বাসনা ও আশানুরূপ আমার কাছে চাহিদা পেশ করে এবং আমি প্রত্যেককে তার আকাহ্মা অনুযায়ী দান করি।(তবুও) আমার ভাণ্ডারে কোনই হ্মতি সাধিত হবে না।
অনুরূপভাবে যদি তোমাদের কেউ সমুদ্রের কিনারা বয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি সূঁচ সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে তা উঠিয়ে নেয় (তাতে সমুদ্রের পানির যেমন কোন হ্মতি বা ঘাটতি সাধিত হয়না)।তেমনি আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোন হ্মতি হয় না।
কারণ, আমি হচ্ছি ‘জাওয়াদ’ বা দয়ার সাগর, “মাজেদ” দয়ার সাগর, “মাজেদ” করুণা ও সম্মানের আধার, সামাদ এবং অমুখাপেহ্মী।আমার দান (করূণা) হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী এবং আমার শাস্তি হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী।(অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমার দান হচ্ছে আমার কালাম এবং আমার শাস্তি হচ্ছে আমার কালাম)।যখন আমি কোন কিছু সংঘটিত করতে চাই তখন আমি বলি ‘কুন’ ‘হয়ে যাও’, অতঃপর তা হয়ে যায়।
[একই বর্ণনাকারী (অর্থাৎ আবূ যর (রা)) থেকে ভিন্ন সূত্রে বর্ণিত] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সহাপ্রভু আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন আল্লাহ বলেনঃ আমি আমার সত্তার উপর এবং আমার বান্দাদের উপর জুলুম বা অবিচার হারাম করে দিয়েছি।অতএব, সাবধান, তোমরা পরস্পর জুলুম (অবিচার) করো না।প্রতিটি আদম সন্তান রাত্রে ও দিবসে ভুল (গুনাহ) করে থাকে, অতঃপর আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা করে, আর আমি তাকে মার্জনাা করে দেই এবং কারো তোয়াক্কা আমি করি না।(আল্লাহ) আরও বলেনঃ হে আদম সন্তানগণ, তোমরা প্রত্যেকেই ছিলে পথভ্রষ্ট, অবশ্য আমি যাকে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) প্রদান করেছি (সে ভিন্ন); তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে পরিধেয় পরিচ্ছদ বিহীন, অবশ্য আমি যাকে পরিধেয় প্রদান করেছি; তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে অভুক্ত হ্মুধার্থ অবশ্য আমি যাকে খাবার খাইয়েছি, তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে তৃষ্ণার্থ অবশ্য আমি যাকে পান করিয়েছি।সুতরাং, তোমরা আমার কাছে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) কামনা কর, আমি তোমাদের পথ-নির্দেশনা প্রদান করব; আমার কাছে পরিধেয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের পরিধেয় (বস্ত্র ও অন্য কিছু) প্রদান করব; আমার কাছে খাবার প্রার্থনা কর আমি তোমাদেরকে খাবার প্রদান করব; আমার কাছে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানীয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণী পানীয় প্রদান করব। হে আমার বান্দাগণ, (তোমরা জেনে রাখ) যদি তোমাদের সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ (পূর্বে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ …..) একত্রিত হয়ে, প্রচেষ্টা চালায় তবু আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোনই হ্মতিসাধন করতে পারবে না- যেমন পারে না সূচাগ্র সাগর জলের। [মুসলিম, ইবন্ মাজাহ্]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
وعن ابي ذر رضل الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول الله عز وجل يا عبادي كلكم مذنب إلا من عافيت فاستغفروني أغفر لكم (2) ومن علم أني أقدر علي المغفرة فاستغفرني بقدرتي عفرت له ولا أبالي، وكلكم ضال إلا من هديت فاستهدوني اهدكم، وكلكم فقير الا من أغنيت، فاسالوني أغنكم، زلز أن أولكم وآخركم (وفي روايه وإنسكم وجنكم وصغيركم وكبيركم وذكركم وانثاكم) وحيكم وميتكمورطبكم ويابسكم اجتمعوا علي اشقي قلب من قلوب عبادي ما نقص في ملكي جناح بعوضة ولو اجتمعوا علي أتقي قلب عبد من عبادي ما زاد في ملكي من جناح بعوضة، ولو أن أولكم وآخركم (وفي رواية - وإنسكم وجنكم وصغيركم وكبيركم وذكركم وأنثاكم) وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجتمعوا فسألني كل سائل منهم ما بلغت أمنيته
فأعطيت كل سائل منهم ما سأل ما نقصني (1) كما لو أن أحدكم مره بشفة البحر فغمس فيها 'برة ثم انتزعها كذلك لا ينقصي من ملكي، ذلك بأني جواد (2) ماجد صمد، عطائي كلام وعذابي كلام (وفي رواية عطائى كلامى وعذابى كلامى) إذا أردت شيئا فانما اقول له كن فيكون (وعنه في أخرى) (3) عن النبي صلى الله عليه وسلم فيما يروى عن ربه عز وجل اني حرمت على نفسى الظلم وعلي عبادي، ألا تظالموا، كل بني آدم يخطئ بالليل والنهار ثم يستغفرنى فأغفر له ولا أبالى، وقال يا بنى آدم كلكم كان ضالا إلا من هديت، وكلكم كان عاريا إلا من كسوت، وكلكم كان جائعا إلا من أطعمت، وكلكم كان ظمآنا إلا من سقيت فاستهدونى أهدكم , واستكسونى أكسكم، واستطعمونى أطعمكم واستسقونى أسقكم، يا عبادى لو أن أولكم وآخركم (فذكر نحو الحديث المتقدم وفيه لم ينقصوا من ملكي شيئا لإلا كما ينقص رأس المخيط من البحر
فأعطيت كل سائل منهم ما سأل ما نقصني (1) كما لو أن أحدكم مره بشفة البحر فغمس فيها 'برة ثم انتزعها كذلك لا ينقصي من ملكي، ذلك بأني جواد (2) ماجد صمد، عطائي كلام وعذابي كلام (وفي رواية عطائى كلامى وعذابى كلامى) إذا أردت شيئا فانما اقول له كن فيكون (وعنه في أخرى) (3) عن النبي صلى الله عليه وسلم فيما يروى عن ربه عز وجل اني حرمت على نفسى الظلم وعلي عبادي، ألا تظالموا، كل بني آدم يخطئ بالليل والنهار ثم يستغفرنى فأغفر له ولا أبالى، وقال يا بنى آدم كلكم كان ضالا إلا من هديت، وكلكم كان عاريا إلا من كسوت، وكلكم كان جائعا إلا من أطعمت، وكلكم كان ظمآنا إلا من سقيت فاستهدونى أهدكم , واستكسونى أكسكم، واستطعمونى أطعمكم واستسقونى أسقكم، يا عبادى لو أن أولكم وآخركم (فذكر نحو الحديث المتقدم وفيه لم ينقصوا من ملكي شيئا لإلا كما ينقص رأس المخيط من البحر