আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা

হাদীস নং: ১৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪০. ফজরের নামায প্রত্যুষে প্রথম ওয়াক্তে যাকে ’তাগলীস’ বলা হয়, আদায় করা মুস্তাহাব এবং তাতে সূরা পাঠের পরিমাণ
১৩৩৭। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব আল হারিসী (রাহঃ) ......... সায়্যার ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে আবু বারযা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি। শু’বা বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি নিজেই শুনেছেন? সায়্যার বলেন, আমি যেন এই মুহূর্তেই শুনতে পাচ্ছি। এরপর সায়্যার বলেন, আমি আমার পিতাকে আবু বারযা (রাযিঃ) এর কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি আবু বারযা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কোন কোন নামায অর্থাৎ এশার নামায অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করতে কুণ্ঠিত হতেন না। তবে এশার নামাযের পূর্বে নিদ্রা যেতে এবং পরে আলোচনায় মশশুল হতে অপছন্দ করতেন।

শুবা বলেন, এরপর আমি আবু বারযা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, এবং জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহরের নামায আদায় করতেন, যখন সূর্য ঢলে পড়ত। আসরের নামায আদায় করতেন, যখন নামায শেষে কোন ব্যক্তি মদীনার শেষ প্রান্তে চলে যেত এবং সূর্য তখনো সজীব থাকত।

শুবা বলেন, পরে আমি আবার আবু বারযা (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যে, নামায শেষ করে মুসল্লী যখন ফিরে বসত, তখন সামনে বসা লোকটি পরিচিত হলে তাকে চিনতে পারত। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ফজরের নামাযে ৬০ থেকে ১০০ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ التَّبْكِيرِ بِالصُّبْحِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهُوَ التَّغْلِيسُ وَبَيَانِ قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِيهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُ أَبَا بَرْزَةَ، عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - قُلْتُ آنْتَ سَمِعْتَهُ قَالَ فَقَالَ كَأَنَّمَا أَسْمَعُكَ السَّاعَةَ - قَالَ - سَمِعْتُ أَبِي يَسْأَلُهُ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ لاَ يُبَالِي بَعْضَ تَأْخِيرِهَا - قَالَ يَعْنِي الْعِشَاءَ - إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَلاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيثَ بَعْدَهَا . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ يَذْهَبُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ - قَالَ - وَالْمَغْرِبَ لاَ أَدْرِي أَىَّ حِينٍ ذَكَرَ . قَالَ ثُمَّ لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ وَكَانَ يُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ فَيَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ جَلِيسِهِ الَّذِي يَعْرِفُ فَيَعْرِفُهُ . قَالَ وَكَانَ يَقْرَأُ فِيهَا بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইশার নামায দেরি করে পড়া মুস্তাহাব। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৬৭) অবশ্য মুসল্লিদের জন্য কষ্টকর হলে কিংবা মুসল্লি কম হওয়ার আশঙ্কা থাকলে শুরু ওয়াক্তে ইশার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। (বুখারী: ৫৩৮ ও ৫৪৩)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)