আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

৭৭৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

গত মাসে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সপরিবারে কলকাতা গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময়ই পনের দিনের বেশি অবস্থানের ইচ্ছা ছিল। ভিসাও ছিল বিশ দিনের। কিন্তু আটদিনেই মোটামুটি কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আর দুইদিন থেকে দেশে ফেরার ইচ্ছা করি। প্রথমে তো পনের দিন থাকব এই ভিত্তিতে মুকীম হিসেবে পূর্ণ নামাযই পড়েছি। কিন্তু আটদিন পর যখন স্পষ্ট হয়ে গেল, পনের দিন থাকা হচ্ছে না তখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই যে, এখন কসর করব নাকি আগের মতই পূর্ণ নামায পড়ব। পরে এ কথা ভেবে বাকি দু’দিনও পূর্ণ নামায পড়েছি যে, চার রাকাতের জায়গায় দুই রাকাত পড়লে তো নামাযই হবে না, তবে দুই রাকাতের জায়গায় চার রাকাত পড়লে অন্তত নামায হয়ে যাবে।

মুফতী সাহেবের কাছে আমার জিজ্ঞাসা হল, পরবর্তী দুই দিন কসর না করে পূর্ণ নামায পড়া কি ঠিক হয়েছে?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২১ অক্টোবর, ২০২০
৭৭৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একদিন এক লোককে দেখলাম, নামায শেষ করে বের হওয়ার জন্য সে দরজার দিকে যাচ্ছে। কিছুদূর গিয়ে পুনরায় বসে পড়েছে। অতপর সিজদা ও বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেছে। ব্যাপারটি তার কাছে জানতে চাইলে  সে বলল, আমার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব ছিল। আমি তা আদায় করতে ভুলে গিয়েছি। আর মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যেহেতু ভুলে যাওয়া সাহু সিজদা আদায়ের সুযোগ থাকে তাই স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আমি তা আদায় করে নিলাম। জানতে চাই, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে সাহু সিজদা আদায় করার দ্বারা কি তার নামায ত্রুটিমুক্ত হবে? উল্লেখ্য, লোকটি নামায নষ্ট হওয়ার মত কোনো কাজ না করেই সিজদা করেছে।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
৩০৭৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকার মসজিদে কয়েকদিন আগে একটি মাহফিল হয়েছিল। আসর বাদ মোয়াযযিন সাহেব ঘোষণা দিলেন, আজ ইশার জামাত রাত সাড়ে আটটায় পড়া হবে। রাত আটটা বিশ মিনিটে জনৈক ওয়ায়েজ বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যমানায় ঘড়ি ছিল না। দায়েমী মুসল্লীগণ যখন হাজির হয়ে যেতেন তখন ইকামত দেওয়া হত। আজ এই মাহফিল উপলক্ষে এ সুন্নতকে যিন্দা করার জন্য আমরা এখন জামাত শুরু করে দিব। যেহেতু মসজিদ পূর্ণ হয়ে গেছে তাই ৮ টা ২০ মিনিটে ইকামত হয়ে গেল। মসজিদের দোতলা, তিন তলা তখনও খালি ছিল। জামাত ৮টা ৩০ মিনিটে হবে এ ঘোষণার কারণে যারা নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়েছে তারা অনেকে জামাত পায়নি। অনেকে মাসবুক হয়েছে। এখন জানতে চাই, দশ মিনিট আগে ইকামত দেওয়ায় সুন্নতে নববী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিন্দা হল, নাকি ৮ টা ৩০ মিনিটে জামাত শুরু হওয়া উচিত ছিল? যদি ঘড়ির সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় জামাত শুরু করা বেদআত হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক মসজিদে নামাযের সময়সুচি ঝুলিয়ে রেখে ঘড়ির সময় হিসাবে জামাত শুরু করা কি উচিত হচ্ছে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর | মুসলিম বাংলা