প্রশ্নঃ ১৩০৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আচ্ছা মনে করেন একটা পন্যর দাম ১০ টাকা। দোকানদার পন্যটা ১০ টাকার নিচে দিবে না। পরে সে একটা সময় বলল ঠিক আছে ভাই. ০.২০ পয়ষা কমাবো সুধু আপনার জন্ন্যে আর আমাকে বিলটা ১০ টাকাই লিখতে হবে এবং ওই. ০.২০ পয়ষা আপনার জন্ন্যে ওটা আপনার জন্ন্যে গিফট আমরা পক্ষ থেকে । এখন ওই ০.২০ পয়ষা কি হালাল ?
২. নং প্রশ্ন
আমি এক জনের মালামাল কেনার পর দোকান দারের কাছ থেকে চা বা নাস্তা করার জন্ন্যে টাকা চেয়ে নেয়া কি হারাম ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. যদি ওই পণ্য আপনি নিজের জন্য ক্রয় করে থাকেন তাহলে সেটা জায়েজ হবে। কিন্তু যদি অন্য কোনো ব্যক্তি আপনাকে অর্ডার করে কিংবা ওই পণ্যটা কিনে দিতে আপনাকে ওকিল বানায় তালে সেটা গ্রহন করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না।
কেননা, এখানে আপনি মূলত অন্যের পক্ষ থেকে তার নির্দেশিত পন্য ক্রয়ের ওকিলস্বরূপ। আর ওকিলের যাবতীয় কাজ তার মক্কেলের পক্ষ থেকেই হয়। কাজেই দোকানী যদি কোনো কিছু কম রাখে তাহলে সেটা মালিকেরই প্রাপ্য। তেমনিভাবে দোকানী যদি মালিকের বলে দেওয়া মূল্যের চেয়ে কিছু টাকা বেশী রাখে তাহলে সেটাও মালিকেরই দিতে হবে। তবে যদি এই কম রাখার ব্যাপারে আপনি মালিককে অবগত করার পর তিনি ওই টাকাটা আপনাকে গিফট বা হাদিয়া হিসেবে দিয়ে দেয় তাহলে তা আপনার জন্য গ্রহন করা জায়েজ হবে। তার অগোচরে গ্রহন করা জায়েজ হবে না।
২. এর মাঝে যদি অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে কিংবা ক্রেতা বা বহক যেই হোক সুসম্পর্কের কারণে দোকানী তাকে চা নাস্তা আপ্যায়ন করায় অথবা টাকা দিয়ে দেয় তাহলে তার অবকাশ আছে। কিন্তু যদি এর মাঝে অন্য কোনো অসৎউদ্দেশ্য থাকে যেকোনো উপায়ে যা মূলক্রেতার ক্ষতির কারণে হতে পারে- তাহলে তা জায়েজ নাই।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন